hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪১৭
অধ্যায়- ১৫ : যেসব কারণে মানুষ জাহান্নামে যাবে
সঠিক জিনিস না বুঝা :

وَلَقَدْ ذَرَاْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيْرًا مِّنَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِؗ لَهُمْ قُلُوْبٌ لَّا يَفْقَهُوْنَ بِهَاؗ وَلَهُمْ اَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُوْنَ بِهَاؗ وَلَهُمْ اٰذَانٌ لَّا يَسْمَعُوْنَ بِهَاؕ اُولٰٓئِكَ كَالْاَنْعَامِ بَلْ هُمْ اَضَلُّؕ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْغَافِلُوْنَ

আমি জাহান্নামের জন্য এমন অনেক জিন ও মানুষ তৈরি করেছি, যাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা বুঝে না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা দেখে না এবং তাদের কান আছে কিন্তু তা দিয়ে তারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মতো; বরং তার চেয়েও পথভ্রষ্ট, তারাই উদাসীন। (সূরা আ‘রাফু ১৭৯)

ব্যাখ্যা : আল্লাহ মানুষকে জ্ঞানুবুদ্ধি, চোখ, কান ইত্যাদি দিয়েছেন, যেন মানুষ এগুলো কাজে লাগিয়ে ভালো–মন্দ যাচাই করে সঠিক পথে জীবন পরিচালনা করে। কিন্তু যারা এগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার না করে পশুর মতো জীবন-যাপন করে, তারাই জাহান্নামে যাবে।

পাপ করা :

وَالَّذِيْنَ كَسَبُوا السَّيِّئَاتِ جَزَآءُ سَيِّئَةٍ ۢبِمِثْلِهَا وَتَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌؕ مَا لَهُمْ مِّنَ اللهِ مِنْ عَاصِمٍ

যারা পাপ করবে তারা তাদের পাপের সমপরিমাণ শাস্তি ভোগ করবে। তাদেরকে লাঞ্ছনা ঘিরে ফেলবে। আর তাদের রক্ষাকারী কেউ থাকবে না। (সূরা ইউনুছ– ২৭)

কুফরী করা :

وَلِلَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَؕ وَبِئْسَ الْمَصِيْرُ

যারা তাদের প্রতিপালকের সাথে কুফরী করেছে, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। আর কতই না জঘন্য তাদের প্রত্যাবর্তনস্থল। (সূরা মুলক– ৬)

اِنَّاۤ اَعْتَدْنَا جَهَنَّمَ لِلْكَافِرِيْنَ نُزُلًا

আমি কাফিরদের বসবাসের জন্য জাহান্নাম তৈরি করে রেখেছি। (সূরা কাহফু ১০২)

আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে অস্বীকার করা :

وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَكَذَّبُوْا بِاٰيَاتِنَاۤ اُولٰٓئِكَ اَصْحَابُ النَّارِۚ هُمْ فِيْهَا خَالِدُوْنَ

যারা কুফরী করে এবং আমার নিদর্শনাবলিকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তারা জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। (সূরা বাক্বারা– ৩৯)

পরকাল বিশ্বাস না করা :

وَاَنَّ الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَةِ اَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا اَلِيْمًا

যারা পরকালের প্রতি ঈমান রাখে না, তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।

(সূরা বনী ইসরাঈল– ১০)

وَاَعْتَدْنَا لِمَنْ كَذَّبَ بِالسَّاعَةِ سَعِيْرًا

যারা কিয়ামতকে অবিশ্বাস করে আমি তাদের জন্য জ্বলন্ত অগ্নি তৈরি করে রেখেছি। (সূরা ফুরক্বানু ১১)

ব্যাখ্যা : পরকালীন জীবনের ধারণা অস্বীকার করার অনিবার্য ও নিশ্চিত ফল জাহান্নাম। কারণ এ ধারণা অস্বীকার করে মানুষ এমনসব অসৎকাজ করে যেগুলোর শাস্তি জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। যারা নিজেদেরকে দায়িত্বশীল এবং জবাবদিহি করতে হবে বলে মনে করে না, তাদের জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। তারা দুনিয়ায় বসবাস করে লাগামহীন উটের মতো। তারা অত্যন্ত নিকৃষ্ট পর্যায়ের চারিত্রিক গুণাবলির অধিকারী হয়। পৃথিবীকে যুলুম, নির্যাতন, বিপর্যয়, বিশৃঙ্খলা, ফাসিকী ও অশ্লীল জীবন চর্চায় ভরে দেয়। ফলে তারা জাহান্নামের শাস্তি ভোগের যোগ্যতা অর্জন করে।

আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করাকে অস্বীকার করা :

وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِاٰيَاتِ اللهِ وَلِقَآئِهۤ اُولٰٓئِكَ يَئِسُوْا مِنْ رَّحْمَتِيْ وَ اُولٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ

আর যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে ও তার সাক্ষাতকে অস্বীকার করে, তারাই আমার রহমত থেকে নিরাশ হয়। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (সূরা আন্কাবুত– ২৩)

ব্যাখ্যা : তাদের জাহান্নামের ভয়াবহ আযাব ভোগ করার কারণ হচ্ছে- প্রথমত, দুনিয়ায় তারা এ মনে করে জীবন-যাপন করত যে, আল্লাহর সামনে হাজির হয়ে নিজেদের আমলের হিসাব পেশ করার সময় কখনো আসবে না। দ্বিতীয়ত, আল্লাহ নবীদের মাধ্যমে তাদের হেদায়াতের জন্য যেসব আয়াত পাঠিয়েছিলেন সেগুলো মেনে নিতে তারা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে এবং সেগুলোকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করে।

শিরক করা :

اِنَّهٗ مَنْ يُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَاْوَاهُ النَّارُؕ وَمَا لِلظَّالِمِيْنَ مِنْ اَنْصَارٍ

যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ অবশ্যই তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন। (ফলে) তার আবাস হবে জাহান্নাম। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। (সূরা মায়েদা– ৭২)

নিজেকে উপাস্য দাবী করা :

وَمَنْ يَّقُلْ مِنْهُمْ اِنِّۤيْ اِلٰهٌ مِّنْ دُوْنِه فَذٰلِكَ نَجْزِيْهِ جَهَنَّمَؕ كَذٰلِكَ نَجْزِى الظَّالِمِيْنَ

আর তাদের মধ্য হতে যে বলবে, ‘‘আল্লাহ ব্যতীত আমিই উপাস্য’’ তাকে আমি জাহান্নামের শাস্তি দেব। এভাবেই আমি অত্যাচারীদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি। (সূরা আম্বিয়া– ২৯)

মুনাফিকী করা :

اِنَّ الْمُنَافِقِيْنَ فِى الدَّرْكِ الْاَسْفَلِ مِنَ النَّارِؕ وَلَنْ تَجِدَ لَهُمْ نَصِيْرًا

মুনাফিকরা জাহান্নামের নিম্নস্তরে থাকবে এবং তাদের জন্য তুমি কখনো কোন সাহায্যকারী পাবে না। (সূরা নিসা– ১৪৫)

وَعَدَ اللهُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْمُنَافِقَاتِ وَالْكُفَّارَ نَارَ جَهَنَّمَ خَالِدِيْنَ فِيْهَاؕ هِيَ حَسْبُهُمْۚ وَلَعَنَهُمُ اللهُۚ وَلَهُمْ عَذَابٌ مُّقِيْمٌ

আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারী এবং কাফিরদের সাথে জাহান্নামের আগুনের অঙ্গীকার করেছেন। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে; আর সেটাই তাদের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন এবং তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী শাস্তি। (সূরা তাওবা– ৬৮)

ফাসিকী করা :

وَاَمَّا الَّذِيْنَ فَسَقُوْا فَمَاْوَاهُمُ النَّارُؕ كُلَّمَاۤ اَرَادُوْاۤ اَنْ يَّخْرُجُوْا مِنْهَاۤ اُعِيْدُوْا فِيْهَا وَقِيْلَ لَهُمْ ذُوْقُوْا عَذَابَ النَّارِ الَّذِيْ كُنْتُمْ بِهٖ تُكَذِّبُوْنَ

যারা ফাসিক (পাপাচারী) তাদের বাসস্থান হবে জাহান্নাম। যখনই তারা সেখান থেকে বের হতে চাইবে, তখনই তাদেরকে সেখানে ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, জাহান্নামের সেই আযাব ভোগ করো, যা তোমরা মিথ্যা মনে করতে। (সূরা সাজদা– ২০)

নবীর আদেশ অমান্য করা :

فَلْيَحْذَرِ الَّذِيْنَ يُخَالِفُوْنَ عَنْ اَمْرِه ۤ اَنْ تُصِيْبَهُمْ فِتْنَةٌ اَوْ يُصِيْبَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ

যারা তাঁর (নবীর) আদেশের বিরোধিতা করে তারা যেন সাবধান হয় যে, তাদের উপর বিপর্যয় পতিত হবে অথবা তাদেরকে বেদনাদায়ক শাস্তি গ্রাস করবে। (সূরা নূর– ৬৩)

আল্লাহর বিধান নিয়ে ঠাট্টা–বিদ্রূপ করা :

وَمَاْوَاكُمُ النَّارُ وَمَا لَكُمْ مِّنْ نَّاصِرِيْنَ ذٰلِكُمْ بِاَنَّكُمُ اتَّخَذْتُمْ اٰيَاتِ اللهِ هُزُوًا وَّغَرَّتْكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَاۚ فَالْيَوْمَ لَا يُخْرَجُوْنَ مِنْهَا وَلَا هُمْ يُسْتَعْتَبُوْنَ

তোমাদের ঠিকানা হলো জাহান্নাম; আর তোমাদের কোন সাহায্যকারীও নেই, কারণ তোমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে ঠাট্টা–বিদ্রূপের বস্তু বানিয়েছিলে এবং পার্থিব জীবন তোমাদেরকে ধোঁকায় ফেলে রেখেছিল। সুতরাং আজ তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে না এবং তাওবা করারও সুযোগ দেয়া হবে না। (সূরা জাসিয়া– ৩৪, ৩৫)

দুনিয়ার ভোগবিলাসে ডুবে থাকা :

وَيَوْمَ يُعْرَضُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا عَلَى النَّارِؕ اَذْهَبْتُمْ طَيِّبَاتِكُمْ فِيْ حَيَاتِكُمُ الدُّنْيَا وَاسْتَمْتَعْتُمْ بِهَاۚ فَالْيَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُوْنِ بِمَا كُنْتُمْ تَسْتَكْبِرُوْنَ فِى الْاَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَبِمَا كُنْتُمْ تَفْسُقُوْنَ

যেদিন কাফিরদেরকে জাহান্নামের কাছে উপস্থিত করা হবে (সেদিন তাদেরকে বলা হবে) তোমরা তো তোমাদের পার্থিব জীবনে তোমাদের সুখ–সম্ভার নিঃশেষ করে ফেলেছ এবং তা খুব উপভোগ করেছ। অতএব আজ তোমাদেরকে অপমানজনক শাস্তি দেয়া হবে, কারণ তোমরা পৃথিবীতে অযথা অহংকার করতে এবং পাপাচার করতে। (সূরা আহকাফু ২০)

اِنَّ الَّذِيْنَ لَا يَرْجُوْنَ لِقَآءَنَا وَرَضُوْا بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَاطْمَاَنُّوْا بِهَا وَالَّذِيْنَ هُمْ عَنْ اٰيَاتِنَا غَافِلُوْنَ اُولٰٓئِكَ مَاْوَاهُمُ النَّارُ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُوْنَ

নিশ্চয় যারা আমার সাক্ষাৎ লাভের আশা রাখে না এবং দুনিয়ার জীবন নিয়েই সন্তুষ্ট রয়েছে এবং তাতেই প্রশান্তি অনুভব করে, আর যারা আমার নিদর্শনসমূহের ব্যাপারে উদাসীন, তাদের কৃতকর্মের ফলে তাদের আশ্রয়স্থল হবে জাহান্নাম। (সূরা ইউনুছ– ৭, ৮)

বেশি বেশি পাওয়ার চিন্তায় মগ্ন থাকা :

اَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ حَتّٰى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُوْنَ ثُمَّ كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُوْنَ كَلَّا لَوْ تَعْلَمُوْنَ عِلْمَ الْيَقِيْنِ لَتَرَوُنَّ الْجَحِيْمَ ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ الْيَقِيْنِ ثُمَّ لَتُسْاَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيْمِ

একে অপর থেকে বেশি পাওয়ার ধান্দা তোমাদেরকে ভুলের মধ্যে ফেলে রেখেছে। এমনকি (এ চিন্তা নিয়েই) তোমরা কবরে পৌঁছে যাও। কখনো নয়! অচিরেই তোমরা জানতে পারবে। আবার শোনো, কখনো নয়! অচিরেই তোমরা জানতে পারবে। কখনো নয়! যদি তোমরা বিশ্বাসযোগ্য জ্ঞানের ভিত্তিতে (এ চালচলনের কুফল) জানতে পারতে, (তাহলে এভাবে চলতে না)। অবশ্যই তোমরা জাহান্নাম দেখতে পাবে। অতঃপর তোমরা তা সরাসরি দেখতে পাবে, যা একীনে পরিণত হয়। সেদিন তোমাদেরকে সকল নিয়ামত সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (সূরা তাকাছুর)

পাপ বিস্তার হওয়াকে পছন্দ করা :

اِنَّ الَّذِيْنَ يُحِبُّوْنَ اَنْ تَشِيْعَ الْفَاحِشَةُ فِى الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ فِى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ وَاللهُ يَعْلَمُ وَاَنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ

অবশ্যই যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে অশ্লীলতার বিস্তার হোক, তাদের জন্য রয়েছে ইহকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না। (সূরা নূর– ১৯)

অবাধ্যতা করা এবং সীমালঙ্ঘন করা :

وَمَنْ يَّعْصِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ وَيَتَعَدَّ حُدُوْدَهٗ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيْهَا۪ وَلَهٗ عَذَابٌ مُّهِيْنٌ

আর যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের অবাধ্যতা করবে এবং সীমালঙ্ঘন করবে, তিনি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। সেখানে সে চিরকাল অবস্থান করবে। আর তার জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। (সূরা নিসা– ১৪)

ব্যাখ্যা : যারা আনুগত্যের সীমানা পেরিয়ে আল্লাহর রাজ্যে স্বেচ্ছাচারী মনোভাব ও আচরণ গ্রহণ করে, যারা আল্লাহর ক্ষমতার মধ্যে থেকেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের দাপট দেখায় এবং যারা মানুষের অধিকারে হস্তক্ষেপ করে, তারা সবাই বিদ্রোহী বলে গণ্য হয়।

মুমিনদেরকে নিয়ে হাসি–তামাশা করা :

اَلَّذِيْنَ يَلْمِزُوْنَ الْمُطَّوِّعِيْنَ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ فِى الصَّدَقَاتِ وَالَّذِيْنَ لَا يَجِدُوْنَ اِلَّا جُهْدَهُمْ فَيَسْخَرُوْنَ مِنْهُمْؕ سَخِرَ اللهُ مِنْهُمْؗ وَلَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ

ঈমানদারদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় সাদাকা দেয় এবং যারা নিজেদের পরিশ্রমলব্ধ জিনিস ব্যতীত খরচ করার মতো কিছুই পায় না, যারা তাদেরকে দোষারূপ করে এবং উপহাস করে, আল্লাহ তাদেরকে উপহাস করেন। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (সূরা তাওবা– ৭৯)

মুমিনদেরকে কষ্ট দেয়া :

اِنَّ الَّذِيْنَ فَتَنُوا الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَتُوْبُوْا فَلَهُمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَلَهُمْ عَذَابُ الْحَرِيْقِ

নিশ্চয় যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়; তারপরও তাওবা করে না, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি এবং তাদের জন্য আরো আছে আগুনে পুড়ার শাস্তি। (সূরা বুরুজ– ১০)

মুমিনদের পথ ছেড়ে অন্যদের পথে চলা :

وَمَنْ يُّشَاقِقِ الرَّسُوْلَ مِنْ ۢبَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدٰى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيْلِ الْمُؤْمِنِيْنَ نُوَلِّهٖ مَا تَوَلّٰى وَنُصْلِهٖ جَهَنَّمَؕ وَسَآءَتْ مَصِيْرًا

কারো নিকট সৎপথ প্রকাশিত হওয়ার পর সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে সে যেদিকে যায় আমি তাকে সেদিকেই ফিরিয়ে দেব এবং তাকে জাহান্নামে পৌঁছাব। আর জাহান্নাম কতই না নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল!’’ (সূরা নিসা– ১১৫)

জেনে শুনে দ্বীনি ইলিম গোপন করা :

اِنَّ الَّذِيْنَ يَكْتُمُوْنَ مَاۤ اَنْزَلْنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالْهُدٰى مِنْ ۢ بَعْدِ مَا بَيَّنَّاهُ لِلنَّاسِ فِى الْكِتَابِ اُولٰٓئِكَ يَلْعَنُهُمُ اللهُ وَيَلْعَنُهُمُ اللَّاعِنُوْنَ

আমি যেসব উজ্জ্বল নিদর্শন ও হেদায়াত নাযিল করেছি যারা সেগুলোকে মানুষের নিকট প্রকাশ করার পরও গোপন করে, আল্লাহ তাদেরকে লানত করেন এবং লানতকারীগণও তাদেরকে লানত করে থাকে। (সূরা বাক্বারা– ১৫৯)

কুরআনের অপব্যাখ্যা করা :

اِنَّ الَّذِيْنَ يُلْحِدُوْنَ فِۤيْ اٰيَاتِنَا لَا يَخْفَوْنَ عَلَيْنَاؕ اَفَمَنْ يُّلْقٰى فِى النَّارِ خَيْرٌ اَمْ مَّنْ يَّاْتِۤيْ اٰمِنًا يَّوْمَ الْقِيَامَةِؕ اِعْمَلُوْا مَا شِئْتُمْ اِنَّهٗ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ

নিশ্চয় যারা আমার আয়াতসমূহ সম্বন্ধে বক্রতা অবলম্বন করে, তারা আমার কাছে গোপন নয়। যে ব্যক্তি দোযখে নিক্ষিপ্ত হবে সে উত্তম, না ঐ ব্যক্তি উত্তম যে কিয়ামতের দিন নিরাপদে আগমন করবে? তোমরা যা ইচ্ছা (আমল) করো। নিশ্চয় তোমরা যা কর তিনি তা দেখেন। (সূরা হা–মীম সিজদা– ৪০)

কুরআন প্রচারে গোলমাল সৃষ্টি করা :

وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَا تَسْمَعُوْا لِهٰذَا الْقُرْاٰنِ وَالْغَوْا فِيْهِ لَعَلَّكُمْ تَغْلِبُوْنَ فَلَنُذِيْقَنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا عَذَابًا شَدِيْدًا وَّلَنَجْزِيَنَّهُمْ اَسْوَاَ الَّذِيْ كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ

কাফিররা বলে, তোমরা এ কুরআন শ্রবণ করো না এবং এতে গোলমাল সৃষ্টি করো। এতে আশা করা যায় তোমরা জয়লাভ করতে পারবে। সুতরাং আমি কাফিরদেরকে কঠিন আযাবের স্বাদ ভোগ করাব এবং তাদের কুকর্মের প্রতিদান দেব। (সূরা হা–মীম সিজদা– ২৬, ২৭)

কুরআনের বাণী শুনে আমল না করা :

وَاِذَا تُتْلٰى عَلَيْهِ اٰيَاتُنَا وَلّٰى مُسْتَكْبِرًا كَاَنْ لَّمْ يَسْمَعْهَا كَاَنَّ فِۤيْ اُذُنَيْهِ وَقْرًاۚ فَبَشِّرْهُ بِعَذَابٍ اَلِيْمٍ

যখন তার কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন সে অহংকার করে এমনভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যেন সে শুনতেই পায়নি, যেন তার কর্ণদ্বয়ের মধ্যে ছিপি রয়েছে। অতএব তাকে বেদনাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন। (সূরা লুক্বমানু ৭)

وَالَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِاٰيَاتِنَا وَاسْتَكْبَرُوْا عَنْهَاۤ اُولٰٓئِكَ اَصْحَابُ النَّارِۚ هُمْ فِيْهَا خَالِدُوْنَ

যারা আল্লাহর আয়াতকে মিথ্যা বলে এবং অহংকারবশত তা অমান্য করে তারা জাহান্নামের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানে থাকবে। (সূরা আ‘রাফু ৩৬)

আল্লাহর বিধান কিছু মানা এবং কিছু না মানা :

اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍۚ فَمَا جَزَآءُ مَنْ يَّفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْيٌ فِى الْحَيَاةِ الدُّنْيَاۚ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّوْنَ اِلٰۤى اَشَدِّ الْعَذَابِؕ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ اُولٰٓئِكَ الَّذِيْنَ اشْتَرَوُا الْحَيَاةَ الدُّنْيَا بِالْاٰخِرَةِ فَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ وَلَا هُمْ يُنْصَرُوْنَ

তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশ স্বীকার কর এবং কিছু অংশ অস্বীকার কর? অতএব তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করবে তাদের পার্থিব জীবনে দুর্গতি ব্যতীত কিছুই নেই এবং কিয়ামতের দিন তারা কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হবে; আর তোমরা যা করছ সে ব্যাপারে আল্লাহ অমনোযোগী নন। তারাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে, অতএব তাদের শাস্তি হালকা করা হবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না। (সূরা বাক্বারা– ৮৫, ৮৬)

সালাত আদায় না করা :

كُلُّ نَفْسٍ ۢبِمَا كَسَبَتْ رَهِيْنَةٌ اِلَّاۤ اَصْحَابَ الْيَمِيْنِ فِيْ جَنَّاتٍ يَتَسَآءَلُوْنَ عَنِ الْمُجْرِمِيْنَ مَا سَلَكَكُمْ فِيْ سَقَرَ قَالُوْا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّيْنَ وَلَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِيْنَ وَكُنَّا نَخُوْضُ مَعَ الْخَآئِضِيْنَ وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوْمِ الدِّيْنِ حَتّٰۤى اَتَانَا الْيَقِيْنُ

প্রত্যেক মানুষ তার কৃতকর্মের জন্য বন্দী হয়ে থাকবে। তবে ডানপন্থীরা এর ব্যতিক্রম, তারা জান্নাতে থাকবে এবং জাহান্নামীদেরকে জিজ্ঞেস করবে, কোন্ জিনিস তোমাদেরকে জাহান্নামে পৌঁছাল? তারা উত্তরে বলবে, আমরা সালাত আদায়কারী ছিলাম না। আমরা মিসকীনদেরকে খাবার দিতাম না। আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম। আর আমরা কিয়ামতের দিনকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতাম; এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত আমরা এভাবেই ছিলাম। (এসব কারণে আমাদেরকে আজ জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হচ্ছে)। (সূরা মুদ্দাসসির, ৩৮–৪৭)

যাকাত না দেয়া :

وَالَّذِيْنَ يَكْنِزُوْنَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُوْنَهَا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ اَلِيْمٍ يَوْمَ يُحْمٰى عَلَيْهَا فِيْ نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوٰى بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوْبُهُمْ وَظُهُوْرُهُمْؕ هٰذَا مَا كَنَزْتُمْ لِاَنْفُسِكُمْ فَذُوْقُوْا مَا كُنْتُمْ تَكْنِزُوْنَ

যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে খরচ করে না, তাদেরকে আপনি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। সেদিন এ সম্পদ জাহান্নামের আগুনে গরম করা হবে এবং তা দিয়ে দাগ দেয়া হবে তাদের কপালে, পাঁজরে এবং পিঠে। অতঃপর (বলা হবে) এগুলো হলো সেই সম্পদ, যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা করে রেখেছিলে। সুতরাং তোমরা যা জমা করে রাখতে, তার স্বাদ গ্রহণ করো। (সূরা তাওবা– ৩৪, ৩৫)

কৃপণতা করা :

اَلَّذِيْنَ يَبْخَلُوْنَ وَيَاْمُرُوْنَ النَّاسَ بِالْبُخْلِ وَيَكْتُمُوْنَ ماۤ اٰتَاهُمُ اللهُ مِنْ فَضْلِهٖؕ وَاَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِيْنَ عَذَابًا مُّهِيْنًا

যারা কৃপণতা করে ও মানুষকে কৃপণতার নির্দেশ দেয় এবং আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তা গোপন করে, এসব কাফিরদের জন্য আমি লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। (সূরা নিসা– ৩৭)

জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اِذَا لَقِيْتُمُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا زَحْفًا فَلَا تُوَلُّوْهُمُ الْاَدْبَارَ وَمَنْ يُّوَلِّهِمْ يَوْمَئِذٍ دُبُرَهٗۤ اِلَّا مُتَحَرِّفًا لِّقِتَالٍ اَوْ مُتَحَيِّزًا اِلٰى فِئَةٍ فَقَدْ بَآءَ بِغَضَبٍ مِّنَ اللهِ وَمَاْوَاهُ جَهَنَّمُؕ وَبِئْسَ الْمَصِيْرُ

হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা কাফিরদের মুখোমুখি হও, তখন তোমরা পিছু ফিরে যেও না। আর সেদিন যে ব্যক্তি যুদ্ধ কৌশল বা স্বীয় বাহিনীর কেন্দ্রস্থলে স্থান করে নেয়া ব্যতীত (অন্য কোন কারণে) পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে, সে আল্লাহর গযবে পতিত হবে। তার আশ্রয়স্থল হবে জাহান্নাম। আর জাহান্নাম কতই না নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল। (সূরা আনফাল– ১৫, ১৬)

সতী নারীদের প্রতি অপবাদ দেয়া :

اِنَّ الَّذِيْنَ يَرْمُوْنَ الْمُحْصَنَاتِ الْغَافِلَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ لُعِنُوْا فِى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ۪ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيْمٌ

অবশ্যই যারা সৎ, নিরীহ ও সরলমনা ঈমানদার নারীদের প্রতি অপবাদ দেয়, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত; তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। (সূরা নূর– ২৩)

মানুষের নিন্দা করা ও তাদেরকে লজ্জা দেয়া :

وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ اَلَّذِيْ جَمَعَ مَالًا وَّعَدَّدَهٗ يَحْسَبُ اَنَّ مَالَهٗۤ اَخْلَدَهٗ كَلَّا لَيُنْۢبَذَنَّ فِى الْحُطَمَةِ وَمَاۤ اَدْرَاكَ مَا الْحُطَمَةُ نَارُ اللهِ الْمُوْقَدَةُ اَ لَّتِيْ تَطَّلِعُ عَلَى الْاَفْئِدَةِ اِنَّهَا عَلَيْهِمْ مُّؤْصَدَةٌ فِيْ عَمَدٍ مُّمَدَّدَةٍ

ধ্বংস তাদের জন্য, যারা সামনা–সামনি ধিক্কার দেয় এবং পেছনে নিন্দা করে বেড়ায়। যে মাল জমা করে এবং তা গুনে গুনে রাখে। সে মনে করে তার সম্পদ তাকে চিরস্থায়ী করে রাখবে। কখনো নয়! অবশ্যই তাকে ফেলা হবে হুতামায়। তুমি কি জান হুতামা কী? সেটা আল্লাহর জ্বলন্ত আগুন, যা অন্তর পর্যন্ত পৌঁছবে। নিশ্চয় (এ আগুনকে) তাদের উপর আবদ্ধ করে দেয়া হবে। তারা উঁচু উঁচু স্তম্ভে বাঁধা থাকবে। (সূরা হুমাযাহ)

অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা :

وَمَنْ يَّقْتُلْ مُؤْمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُهٗ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيْهَا وَغَضِبَ اللهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهٗ وَاَعَدَّ لَهٗ عَذَابًا عَظِيْمًا

যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করবে, তার শাস্তি জাহান্নাম; সেখানে সে চিরকাল থাকবে। তার প্রতি আল্লাহ রাগান্বিত হন, তাকে লানত করেন এবং তার জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন মহাশাস্তি। (সূরা নিসা– ৯৩)

সৎকাজের আদেশ দানকারীকে হত্যা করা :

اِنَّ الَّذِيْنَ يَكْفُرُوْنَ بِاٰيَاتِ اللهِ وَيَقْتُلُوْنَ النَّبِيِّيْنَ بِغَيْرِ حَقٍ وَّيَقْتُلُوْنَ الَّذِيْنَ يَاْمُرُوْنَ بِالْقِسْطِ مِنَ النَّاسِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ اَلِيْمٍ

নিশ্চয় যারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করে এবং অন্যায়ভাবে নবীদেরকে হত্যা করে, আর মানুষের মধ্যে যারা ইনসাফের নির্দেশ দেয় তাদেরকেও হত্যা করে, তুমি তাদের সবাইকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও। (সূরা আলে ইমরানু ২১)

যিনা করা :

وَالَّذِيْنَ لَا يَدْعُوْنَ مَعَ اللهِ اِلٰهًا اٰخَرَ وَلَا يَقْتُلُوْنَ النَّفْسَ الَّتِيْ حَرَّمَ اللهُ اِِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُوْنَؕ وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ يَلْقَ اَثَامًا يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيْهٖ مُهَانًا

তারা আল্লাহর সাথে কোন ইলাহকে ডাকে না। আল্লাহ যার হত্যা নিষেধ করেছেন, যথার্থ কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা এসব করবে তারা অপরাধী হবে। কিয়ামতের দিন তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দেয়া হবে এবং সেখানে সে স্থায়ী হবে হীন অবস্থায়। (সূরা ফুরক্বানু ৬৮, ৬৯)

অত্যাচার করা :

وَمَنْ يَّظْلِمْ مِّنْكُمْ نُذِقْهُ عَذَابًا كَبِيْرًا

তোমাদের মধ্যে যে অত্যাচার করবে আমি তাকে মহাশাস্তি ভোগ করাব। (সূরা ফুরক্বানু১৯)

অন্যায়ভাবে অপরের মাল খাওয়া :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَاْكُلُوْاۤ اَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنْ تَكُوْنَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِّنْكُمْ وَلَا تَقْتُلُوْاۤ اَنْفُسَكُمْؕ اِنَّ اللهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيْمًا وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ عُدْوَانًا وَّظُلْمًا فَسَوْفَ نُصْلِيْهِ نَارًا

হে মুমিনগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ গ্রাস করো না, তবে তোমাদের পরস্পরের সম্মতিতে ব্যবসা করা বৈধ। আর তোমরা একে অপরকে (অন্যায়ভাবে) হত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। আর যে কেউ সীমালঙ্ঘন করে অন্যায়ভাবে তা করবে, তাকে আমি জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ করব। (সূরা নিসা- ২৯, ৩০)

ইয়াতীমের মাল আত্মসাৎ করা :

اِنَّ الَّذِيْنَ يَاْكُلُوْنَ اَمْوَالَ الْيَتَامٰى ظُلْمًا اِنَّمَا يَاْكُلُوْنَ فِيْ بُطُوْنِهِمْ نَارًاؕ وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيْرًا

নিশ্চয় যারা অন্যায়ভাবে ইয়াতীমের সম্পদ খায়, তারা তাদের পেটে কেবল আগুনই ভর্তি করে। আর অচিরেই তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সূরা নিসা– ১০)

সুদ খাওয়া :

اَلَّذِيْنَ يَاْكُلُوْنَ الرِّبَا لَا يَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا يَقُوْمُ الَّذِيْ يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّؕ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْاۤ اِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا وَاَحَلَّ اللهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَاؕ فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّه فَانْتَهٰى فَلَهٗ مَا سَلَفَ وَاَمْرُهٗۤ اِلَى اللهِؕ وَمَنْ عَادَ فَاُولٰٓئِكَ اَصْحَابُ النَّارِۚ هُمْ فِيْهَا خَالِدُوْنَ

যারা সুদ খায় তারা (হাশরের মাঠে) ঐ ব্যক্তির ন্যায় উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা দিশেহারা করে দেয়। এটা এজন্য যে তারা বলে, বেচাকেনা তো সুদের মতোই অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন আর সুদকে হারাম করেছেন। সুতরাং যার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ আসবে অতঃপর সে সুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকবে, তবে অতীতে যা হয়েছে তা তার এবং তার ব্যাপারে ফায়সালা করার দায়িত্ব আল্লাহর। আর যারা (উপদেশ শুনার পরেও) সুদের লেনদেন করবে তারা জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। (সূরা বাক্বারা– ২৭৫)

অহংকার করা :

وَاَمَّا الَّذِيْنَ اسْتَنْكَفُوْا وَاسْتَكْبَرُوْا فَيُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا اَلِيْمًا وَّلَا يَجِدُوْنَ لَهُمْ مِّنْ دُوْنِ اللهِ وَلِيًّا وَّلَا نَصِيْرًا

যারা আল্লাহর ইবাদাত করতে লজ্জাবোধ করেছে এবং অহংকার করেছে, তিনি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেবেন। তারা আল্লাহ ব্যতীত নিজেদের জন্য কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী পাবে না। (সূরা নিসা– ১৭৩)

মিথ্যা কথা বলা :

فَوَيْلٌ يَّوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِيْنَ

কিয়ামতের দিন মিথ্যাবাদীদের জন্য রয়েছে ধ্বংস। (সূরা তূর– ১১)

ব্যাখ্যা : রাসূল ﷺ বলেছেন, নিশ্চয় মিথ্যা পাপের পথ খুলে দেয় আর পাপ জাহান্নামের পথ খুলে দেয়। আর যখন কোন ব্যক্তি মিথ্যা বলতেই থাকে, তখন সে আল্লাহর কাছে মিথ্যুক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়। (সহীহ বুখারী, হা/৬০৯৪)

শয়তানের পথে চলা :

اَلَمْ اَعْهَدْ اِلَيْكُمْ يَا بَنِيْۤ اٰدَمَ اَنْ لَّا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَۚ اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ وَاَنِ اعْبُدُوْنِيْؕ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيْمٌ وَلَقَدْ اَضَلَّ مِنْكُمْ جِبِلًّا كَثِيْرًاؕ اَفَلَمْ تَكُوْنُوْا تَعْقِلُوْنَ هٰذِه جَهَنَّمُ الَّتِيْ كُنْتُمْ تُوْعَدُوْنَ اِصْلَوْهَا الْيَوْمَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُوْنَ

আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! আমি কি তোমাদেরকে এ প্রতিশ্রুতি দেইনি যে, তোমরা শয়তানের উপাসনা করো না, নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। আর তোমরা শুধু আমারই ইবাদাত করো, এটাই সঠিক পথ। শয়তান তোমাদের অনেককেই বিভ্রান্ত করেছে, তোমরা কি তা বুঝ না? এ হলো সেই জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে। তোমাদের কুফরির কারণে আজ তোমরা তাতে প্রবেশ করো। (সূরা ইয়াসীন, ৬০–৬৪)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন