hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৯২
অধ্যায়- ২০ : নবী ﷺ এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের জবাব
মুহাম্মাদ ﷺ কোন রাসূল নন- এ কথার জবাব :

وَيَقُوْلُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَسْتَ مُرْسَلًاؕ قُلْ كَفٰى بِاللهِ شَهِيْدًاۢ بَيْنِيْ وَبَيْنَكُمْ وَمَنْ عِنْدَهٗ عِلْمُ الْكِتَابِ

যারা কুফরী করে তারা বলে, তুমি তো রাসূল নও। বলো, আল্লাহ এবং যাদের নিকট কিতাবের জ্ঞান রয়েছে, তারাই আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। (সূরা রা‘দ- ৪৩)

তিনি আল্লাহর উপর মিথ্যারোপ করছেন- এ কথার জবাব :

اَمْ يَقُوْلُوْنَ افْتَرٰى عَلَى اللهِ كَذِبًاۚ فَاِنْ يَّشَاِ اللهُ يَخْتِمْ عَلٰى قَلْبِكَؕ وَيَمْحُ اللهُ الْبَاطِلَ وَيُحِقُّ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهٖؕ اِنَّهٗ عَلِيْمٌ ۢبِذَاتِ الصُّدُوْرِ

তারা কি বলে যে, সে (রাসূল) আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বানিয়েছে। (অথচ) আল্লাহ ইচ্ছা করলে তোমার হৃদয়ে মোহর মেরে দিতে পারতেন। আল্লাহ মিথ্যাকে মুছে দেন এবং নিজ বাণী দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন। নিশ্চয় তিনি (মানুষের) অন্তরে যা আছে সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (সূরা শূরা- ২৪)

নবী মানুষ হওয়াতে তাদের অভিযোগ ছিল :

وَاَسَرُّوا النَّجْوَى الَّذِيْنَ ظَلَمُوْاۗ هَلْ هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْۚ اَفَتَأْتُوْنَ السِّحْرَ وَاَنْتُمْ تُبْصِرُوْنَ

যারা যালিম তারা গোপনে পরামর্শ করে, এ তো তোমাদের মতোই একজন মানুষ, তবুও কি তোমরা দেখেশুনে যাদুর কবলে পড়বে? (সূরা আম্বিয়া- ৩)

নবী মানুষ হওয়াতে সকল যুগেই আপত্তি ছিল :

وَمَا مَنَعَ النَّاسَ اَنْ يُّؤْمِنُوْاۤ اِذْ جَآءَهُمُ الْهُدٰۤى اِلَّاۤ اَنْ قَالُوْاۤ اَبَعَثَ اللهُ بَشَرًا رَّسُوْلًا

যখনই মানুষের কাছে (আল্লাহর কাছ থেকে) হেদায়াত আসত তখন তাদের ঈমান আনা থেকে এ ছাড়া অন্য কোন জিনিসই বিরত রাখেনি যে, তারা বলত, আল্লাহ কি (আমাদের মতো) একজন মানুষকেই নবী করে পাঠালেন! (সূরা বনী ইসরাঈল- ৯৪)

এ অভিযোগের জবাব :

قُلْ لَّوْ كَانَ فِى الْاَرْضِ مَلَآئِكَةٌ يَّمْشُوْنَ مُطْمَئِنِّيْنَ لَنَزَّلْنَا عَلَيْهِمْ مِّنَ السَّمَآءِ مَلَكًا رَّسُوْلًا

বলো, ফেরেশতারা যদি নিশ্চিন্ত হয়ে পৃথিবীতে বিচরণ করত, তবে অবশ্যই আমি আকাশ থেকে কোন ফেরেশতাকে তাদের নিকট রাসূল করে পাঠাতাম। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৯৫)

وَمَاۤ اَرْسَلْنَا قَبْلَكَ اِلَّا رِجَالًا نُّوْحِيْۤ اِلَيْهِمْ فَاسْأَلُوْاۤ اَهْلَ الذِّكْرِ اِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ وَمَا جَعَلْنَاهُمْ جَسَدًا لَّا يَأْكُلُوْنَ الطَّعَامَ وَمَا كَانُوْا خَالِدِيْنَ

তোমার পূর্বে যে সকল রাসূল প্রেরণ করেছিলাম এবং যাদের প্রতি ওহী করতাম তারা সকলেই মানুষ ছিল। (এ বিষয়ে) তোমরা যদি না জেনে থাক তবে (অবতীর্ণ) কিতাবের জ্ঞান যাদের কাছে আছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করে নাও। (তাছাড়া) আমি তাদেরকে এমন দেহবিশিষ্ট করিনি যে, তারা খাদ্য খেত না। আর তারা চিরস্থায়ীও ছিল না। (সূরা আম্বিয়া- ৭, ৮)

ব্যাখ্যা : একজন মানুষকেই নবী বানিয়ে পাঠানোর পেছনে যে নিগূঢ় যৌক্তিকতা নিহিত ছিল মহান আল্লাহ সে যৌক্তিকতাও বর্ণনা করে দিয়েছেন। ‘যিকির’ বা আল্লাহর বাণী ফেরেশতাদের মাধ্যমেও পাঠানো যেত অথবা সরাসরি ছাপিয়ে প্রত্যেকটি মানুষের হাতেও পৌঁছানো যেত। কিন্তু ওহী অবতরণের মাধ্যমে আল্লাহ প্রকৃতপক্ষে যে উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে চান তা হলো, একজন যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ তা নিয়ে আসবেন। তিনি তাকে একটু একটু করে লোকদের সামনে পেশ করবেন। যারা এর কোন কথা বুঝতে পারবে না, তাদেরকে তার অর্থ বুঝিয়ে দেবেন। এর কোন ব্যাপারে যাদের সন্দেহ থাকবে, তাদের সন্দেহ দূর করে দেবেন। কোন ব্যাপারে যাদের আপত্তি ও প্রশ্ন থাকবে তাদের আপত্তি ও প্রশ্নের জবাব দিয়ে দেবেন। যারা তাকে মেনে নিতে অস্বীকার করবে এবং এর অগ্রগতিতে বাধা দিতে এগিয়ে আসবে তাদের মুকাবিলায় তিনি এমন মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গী অবলম্বন করবেন, যা এ যিকির বা আল্লাহর বাণীর ধারকদের জন্য উপযোগী। যারা মেনে নেবে তাদের জীবনের প্রত্যেকটি দিক ও বিভাগ সম্পর্কে পথনিদের্শনা দেবেন। নিজের জীবনকে তাদের সামনে আদর্শ হিসেবে পেশ করবেন। তাদেরকে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক পর্যায়ে অনুশীলন দান করে সারা দুনিয়ার সামনে এমন একটি সমাজ আদর্শ হিসেবে তুলে ধরবেন, যার সমগ্র সামাজিক ব্যবস্থা হবে আল্লাহর কিতাবের বাস্তব প্রতিফলন।

নবী খাওয়া-দাওয়া ও বাজার করেন- এ ব্যাপারে অভিযোগ :

وَقَالُوْا مَالِ هٰذَا الرَّسُوْلِ يَأْكُلُ الطَّعَامَ وَيَمْشِيْ فِى الْاَسْوَاقِؕ لَوْلَاۤ اُنْزِلَ اِلَيْهِ مَلَكٌ فَيَكُوْنَ مَعَهٗ نَذِيْرًا

তারা বলে, সে কেমন রাসূল যে আহার করে এবং হাট-বাজারে চলাফেরা করে। তার নিকট কোন ফেরেশতা কেন অবতীর্ণ করা হলো না, যে সতর্ককারী হিসেবে তার সঙ্গে থাকত? (সূরা ফুরক্বান- ৭)

ব্যাখ্যা : একজন রক্ত-মাংসের মানুষ, যে জীবিত থাকার জন্য খাদ্যের মুখাপেক্ষী হয়, সে কেমন করে আল্লাহর বাণী নিয়ে আসে? আর যদি মানুষকেই রাসূল বানানো হয়ে থাকে, তবে তাকে তো অন্তত বাদশাহ অথবা দুনিয়ার বড় লোকদের মতো উন্নত পর্যায়ের ব্যক্তিত্ব হওয়া উচিত ছিল, যাকে দেখার জন্য চোখ উন্মাদ হয়ে থাকত এবং অনেক সাধনার পর তার দরবারে হাজির হওয়ার সৌভাগ্য হতো। কিন্তু তা না হয়ে এমন একজন সাধারণ লোককে কীভাবে নবী বানিয়ে প্রেরণ করা হলো, যে বাজারের মধ্যে ঘুরে ঘুরে জুতোর তলা ক্ষয় করতে থাকে? একজন সাধারণ মানুষ যেভাবে চলাফেরা করে, সেও সেভাবে চলাফেরা করে এবং কোন দিক দিয়েই তার মধ্যে কোন অসাধারণত্বের সন্ধান পাওয়া যায় না। সুতরাং কীভাবে তাকে গ্রাহ্য করা যায়?

এ অভিযোগের জবাব :

وَمَاۤ اَرْسَلْنَا قَبْلَكَ مِنَ الْمُرْسَلِيْنَ اِلَّاۤ اِنَّهُمْ لَيَأْكُلُوْنَ الطَّعَامَ وَيَمْشُوْنَ فىِ الْاَسْوَاقِ

তোমার পূর্বে আমি যে সকল রাসূল প্রেরণ করেছি তারা সকলেই আহার করত ও হাট-বাজারে চলাফেরা করত। (সূরা ফুরক্বান- ২০)

নবীর স্ত্রী-সন্তান থাকবে কেন- এ অভিযোগের জবাব :

وَلَقَدْ اَرْسَلْنَا رُسُلًا مِّنْ قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ اَزْوَاجًا وَّذُرِّيَّةًؕ وَمَا كَانَ لِرَسُوْلٍ اَنْ يَّأْتِيَ بِاٰيَةٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللهِؕ لِكُلِّ اَجَلٍ كِتَابٌ

তোমার পূর্বে আমি অনেক রাসূল প্রেরণ করেছিলাম এবং তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দিয়েছিলাম। আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কোন নিদর্শন উপস্থিত করা কোন রাসূলের কাজ নয়। প্রতিটি বিষয়ের জন্য নির্ধারিত কাল লিপিবদ্ধ রয়েছে। (সূরা রা‘দ- ৩৮)

নবী ﷺ এর ধনসম্পদ না থাকার কারণে অভিযোগ :

اَوْ يُلْقٰۤى اِلَيْهِ كَنْزٌ اَوْ تَكُوْنُ لَهٗ جَنَّةٌ يَّأْكُلُ مِنْهَاؕ وَقَالَ الظَّالِمُوْنَ اِنْ تَتَّبِعُوْنَ اِلَّا رَجُلًا مَّسْحُوْرًا

অথবা তাকে ধনভান্ডার দেয়া হয় না কেন অথবা তার একটি বাগান নেই কেন, যা হতে সে আহার সংগ্রহ করতে পারে? সীমালঙ্ঘনকারীরা আরো বলে, তোমরা তো এক যাদুগ্রস্ত ব্যক্তিরই অনুসরণ করছ। (সূরা ফুরক্বান- ৮)

এ অভিযোগের জবাব :

تَبَارَكَ الَّذِيْۤ اِنْ شَآءَ جَعَلَ لَكَ خَيْرًا مِّنْ ذٰلِكَ جَنَّاتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُ وَيَجْعَلْ لَّكَ قُصُوْرًا بَلْ كَذَّبُوْا بِالسَّاعَةِ وَاَعْتَدْنَا لِمَنْ كَذَّبَ بِالسَّاعَةِ سَعِيْرًا

তিনি কতই না মহান, যিনি ইচ্ছা করলে তোমাকে এর চেয়ে উৎকৃষ্ট বস্তু দিতে পারেন- (যেমন) উদ্যানসমূহ, যার তলদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত হবে এবং তিনি তোমাকে (আরো) দিতে পারেন প্রাসাদসমূহ। কিন্তু তারা (কাফিররা) কিয়ামতকে অস্বীকার করেছে। আর যারা কিয়ামতকে অস্বীকার করে, তাদের জন্য আমি জ্বলন্ত অগ্নি প্রস্তুত করে রেখেছি। (সূরা ফুরক্বান- ১০, ১১)

এ নবীর অনুসরণ করলে তোমরা দেশ হতে উৎখাত হবে- এর জবাব :

وَقَالُوْاۤ اِنْ نَّتَّبِعِ الْهُدٰى مَعَكَ نُتَخَطَّفْ مِنْ اَرْضِنَاؕ اَوَلَمْ نُمَكِّنْ لَّهُمْ حَرَمًا اٰمِنًا يُّجْبٰۤى اِلَيْهِ ثَمَرَاتُ كُلِّ شَيْءٍ رِّزْقًا مِّنْ لَّدُنَّا وَلٰكِنَّ اَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ وَكَمْ اَهْلَكْنَا مِنْ قَرْيَةٍ ۢبَطِرَتْ مَعِيْشَتَهَاۚ فَتِلْكَ مَسَاكِنُهُمْ لَمْ تُسْكَنْ مِّنْ ۢبَعْدِهِمْ اِلَّا قَلِيْلًاؕ وَكُنَّا نَحْنُ الْوَارِثِيْنَ

তারা বলে, আমরা যদি তোমার সাথে সৎপথ অনুসরণ করি তবে আমাদেরকে দেশ হতে উৎখাত করা হবে। আমি কি তাদেরকে এক নিরাপদ হারামে প্রতিষ্ঠিত করিনি, যেখানে আমার দেয়া রিযিকস্বরূপ সর্বপ্রকার ফলমূল আমদানী হয়? কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না। আমি কত জনপদকে ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা নিজেদের ভোগ-সম্পদের অহংকার করত! এগুলোই তো তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পর এগুলোতে লোকজন সামান্যই বসবাস করছে। আর আমিই তো এগুলোর চূড়ান্ত মালিকানার অধিকারী। (সূরা ক্বাসাস- ৫৭, ৫৮)

ব্যাখ্যা : কুরাইশ বংশীয় কাফিররা ইসলাম গ্রহণ না করার অজুহাত হিসেবে এ কথাটি বলত। গভীরভাবে চিন্তা করে দেখলে জানা যাবে, এটিই ছিল তাদের কুফরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক কারণ। যখন নবী ﷺ এর তাওহীদের দাওয়াত সম্প্রসারিত হতে লাগল তখন বাপ-দাদার ধর্মের প্রতি অন্ধপ্রীতির চেয়ে বড় হয়ে যে বিষয়টি কুরাইশদেরকে তার বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠার কারণ হয়ে দেখা দিল সেটি ছিল এই যে, এ দাওয়াতের ফলে তারা নিজেদের স্বার্থহানির আশঙ্কা করছিল। তারা মনে করছিল, যুক্তিপূর্ণ দলীল-প্রমাণের মাধ্যমে শিরক ও মূর্তিপূজা মিথ্যা। কিন্তু তা পরিত্যাগ করে একে গ্রহণ করে নেয়া আমাদের জন্য ধ্বংসের কারণ হবে। এমনটি করার সাথে সাথেই সমগ্র আরবের অধিবাসীরা তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়বে। এভাবে এ দ্বীনটি তাদের ধর্মীয় প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিরও অবসান ঘটাবে। রাসূল ﷺ বার বার তাদেরকে এ নিশ্চয়তা দান করছিলেন যে, তোমাদের সামনে আমি যে কালিমা পেশ করেছি তা মেনে নাও, তাহলে আরব ও অনারব সকলেই তোমাদের পদানত হয়ে যাবে। কিন্তু তারা এর মধ্যে নিজেদের বিপদ দেখতে পাচ্ছিল। তারা মনে করেছিল, আমরা আজ যে সম্পদ ও প্রভাব-প্রতিপত্তি লাভ করেছি এও নিঃশেষ হয়ে যাবে। এর জবাবে বলা হয়েছে, তোমরা যে ধন-দৌলত ও সমৃদ্ধির জন্য অহংকারী হয়ে উঠেছ, যার বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বাতিলের উপরে টিকে থাকতে চাচ্ছ- এই জিনিসই এক সময় আদ, সামূদ, সাবা, মাদইয়ান ও লূত জাতির লোকদেরকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেগুলোও কি তাদেরকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করতে পেরেছিল? যেসব অসৎ ও ভ্রষ্টতামূলক কাজ অতীতের সমৃদ্ধশালী জাতিগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে তার উপর টিকে থাকার প্রচেষ্টা চালিয়ে তোমরা রক্ষা পেয়ে যাবে এবং তাদের মতো তোমাদের উপর কখনো ধ্বংস নেমে আসবে না- এর কোন গ্যারান্টি কি তোমাদের কাছে আছে?

নবী মানবীয় বৈশিষ্ট্যের ঊর্ধ্বে থাকবেন- এ ধারণার জবাব :

قُلْ لَّاۤ اَقُوْلُ لَكُمْ عِنْدِيْ خَزَآئِنُ اللهِ وَلَاۤ اَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَاۤ اَقُوْلُ لَكُمْ اِنِّيْ مَلَكٌۚ اِنْ اَتَّبِعُ اِلَّا مَا يُوْحٰۤى اِلَيَّؕ قُلْ هَلْ يَسْتَوِى الْاَعْمٰى وَالْبَصِيْرُؕ اَفَلَا تَتَفَكَّرُوْنَ

বলো, আমি তোমাদেরকে এটা বলি না যে, আমার নিকট আল্লাহর ধনভান্ডার আছে, অদৃশ্য সম্বন্ধেও আমি জানি না এবং তোমাদেরকে এটাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমার প্রতি যা ওহী হয় আমি শুধু তারই অনুসরণ করি। বলো, অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান? তোমরা কি চিন্তা-ভাবনা কর না? (সূরা আন‘আম- ৫০)

মুহাম্মাদ ﷺ লেজকাটা- এ উক্তির জবাব :

اِنَّاۤ اَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ اِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْاَبْتَرُ

(হে নবী!) অবশ্যই আমি তোমাকে কাওসার (নিয়ামতের ভান্ডার) দান করেছি। অতএব তুমি (আমাকে স্মরণের জন্য) নামায কায়েম করো এবং (আমারই উদ্দেশ্যে) কুরবানী করো, নিশ্চয় (পরিশেষে) তোমার নিন্দুকরাই হবে লেজকাটা (অসহায়)। (সূরা কাওসার)

ব্যাখ্যা : নবী ﷺ এর সকল পুত্রসন্তান ছোট কালেই মারা যায়। এতে কুরাইশ বংশের লোকেরা বলাবলি করতে লাগল - بَتِرَ مُحَمَّدٌ অর্থাৎ মুহাম্মাদ লেজকাটা (নির্বংশ) হয়ে গেছে। তখন আল্লাহ তা‘আলা এ সূরাটি নাযিল করেন। (ইবনে কাসীর) অপর বর্ণনায় রয়েছে, নবী ﷺ এর পুত্র ইবরাহীম মারা গেলে মক্কার মুশরিকরা একে অপরকে বলাবলি করতে লাগল, মুহাম্মাদ লেজকাটা হয়ে গেছে। মুশরিকদের এ সকল অশালীন উক্তির কারণে নবী ﷺ কষ্ট পেতেন। বিপদের সময় নিজের আত্মীয়স্বজন পাশে দাঁড়ানোর কথা, কিন্তু তারাই তাঁর কষ্টকে আরো বাড়িয়ে তুলছিল। এ বেদনাদায়ক পরিস্থিতিতে আল্লাহ তা‘আলা সূরা কাওসার নাযিল করে নবীকে সান্ত্বনা দিলেন।

নবী ﷺ এর মজলিস থেকে গরীবদেরকে তাড়িয়ে দিতে হবে- এ উক্তির জবাব :

وَلَا تَطْرُدِ الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيْدُوْنَ وَجْهَهٗؕ مَا عَلَيْكَ مِنْ حِسَابِهِمْ مِّنْ شَيْءٍ وَّمَا مِنْ حِسَابِكَ عَلَيْهِمْ مِّنْ شَيْءٍ فَتَطْرُدَهُمْ فَتَكُوْنَ مِنَ الظَّالِمِيْنَ

যারা তাদের প্রতিপালককে সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ডাকে তুমি তাদেরকে বিতাড়িত করো না। তাদের কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কোন কর্মের জবাবদিহির দায়িত্বও তাদের নয় যে, তুমি তাদেরকে বিতাড়িত করবে; যদি কর তবে তুমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (সূরা আন‘আম- ৫২)

এ লোকটি কানপাতলা- এ উক্তির জবাব :

وَمِنْهُمُ الَّذِيْنَ يُؤْذُوْنَ النَّبِيَّ وَيَقُوْلُوْنَ هُوَ اُذُنٌؕ قُلْ اُذُنُ خَيْرٍ لَّكُمْ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَيُؤْمِنُ لِلْمُؤْمِنِيْنَ وَرَحْمَةٌ لِّلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مِنْكُمْؕ وَالَّذِيْنَ يُؤْذُوْنَ رَسُوْلَ اللهِ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ

তাদের মধ্যে এমনও লোক আছে, যারা নবীকে কষ্ট দেয় এবং বলে, সে তো কর্ণপাতকারী। বলো, তার কান তোমাদের জন্য যা মঙ্গল তাই শুনে। সে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়ন করে এবং মুমিনদেরকে বিশ্বাস করে। তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে সে তাদের জন্য রহমতস্বরূপ; আর যারা আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয় তাদের জন্য রয়েছে মর্মান্তিক শাস্তি। (সূরা তাওবা- ৬১)

আমাদের মূর্তিগুলো তোমাকে ধ্বংস করবে- এ উক্তির জবাব :

اَلَيْسَ اللهُ بِكَافٍ عَبْدَهٗؕ وَيُخَوِّفُوْنَكَ بِالَّذِيْنَ مِنْ دُوْنِهٖؕ وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَمَا لَهٗ مِنْ هَادٍ

আল্লাহ কি তাঁর বান্দার জন্য যথেষ্ট নন? অথচ তারা তোমাকে আল্লাহর পরিবর্তে অন্য কারো ভয় দেখায়। মূলত আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার জন্য কোন পথপ্রদর্শক নেই। (সূরা যুমার- ৩৬)

ব্যাখ্যা : মক্কার কাফিররা নবী ﷺ কে বলত, তুমি তো আমাদের উপাস্যদের সাথে বেআদবী কর এবং তাদের বিরুদ্ধে কথা বল। তারা কত বড় সম্মানিত সত্তা তা কি তুমি জান না। ইতোপূর্বে যে-ই তাদের অবমাননা ও অপমান করেছে সে-ই ধ্বংস হয়েছে। তুমি যদি এসব কথা থেকে বিরত না হও, তাহলে এরা তোমাকে ধ্বংস করে ছাড়বে। এটাও তাদের হেদায়াত থেকে বঞ্চিত হওয়ার ফলশ্রুতি। কারণ এসব উপাস্যদের শক্তি ও মর্যাদার প্রতি এসব নির্বোধদের ভালো খেয়াল আছে। কিন্তু এ খেয়াল তাদের কখনো আসে না যে, আল্লাহ এক মহাপরাক্রমশালী সত্তা, শিরক করে এরা তাঁকে যে অপমান করছে এজন্যও তাদের শাস্তি হতে পারে।

আমাদের উপাস্যদের দাসত্ব করো- এ আহবানের জবাব :

قُلْ اِنِّيْ نُهِيْتُ اَنْ اَعْبُدَ الَّذِيْنَ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِؕ قُلْ لَّاۤ اَتَّبِعُ اَهْوَآءَكُمْ قَدْ ضَلَلْتُ اِذًا وَّمَاۤ اَنَاْ مِنَ الْمُهْتَدِيْنَ

বলো, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে আহবান কর তাদের ইবাদাত করতে নিষেধ করা হয়েছে। বলো, আমি তোমাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করি না; যদি করি তবে আমি বিপথগামী হয়ে যাব এবং সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত থাকব না। (সূরা আন‘আম- ৫৬)

قُلْ يَاۤ اَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ لَاۤ اَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ وَلَاۤ اَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَاۤ اَعْبُدُ وَلَاۤ اَنَاْ عَابِدٌ مَّا عَبَدْتُّمْ وَلَاۤ اَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَاۤ اَعْبُدُ لَكُمْ دِيْنُكُمْ وَلِيَ دِيْنِ

(হে নবী!) তুমি বলে দাও, হে কাফিররা! আমি তাদের ইবাদাত করি না তোমরা যাদের ইবাদাত কর। আর তোমরা তার ইবাদাতকারী নও যার ইবাদাত আমি করি এবং আমিও তাদের ইবাদাতকারী নই যাদের ইবাদাত তোমরা কর। আর তোমরা তার ইবাদাতকারী নও যার ইবাদাত আমি করি। (এ দ্বীনের মধ্যে কোন মিশ্রণ সম্ভব নয়, অতএব) তোমাদের পথ তোমাদের জন্য, আর আমার পথ আমার জন্য। (সূরা কাফিরূন)

এখন আযাব আসেনা কেন- এ উক্তির জবাব :

قُلْ اِنِّيْ عَلٰى بَيِّنَةٍ مِّنْ رَّبِّيْ وَكَذَّبْتُمْ بِهٖؕ مَا عِنْدِيْ مَا تَسْتَعْجِلُوْنَ بِهٖؕ اِنِ الْحُكْمُ اِلَّا لِلّٰهِؕ يَقُصُّ الْحَقَّ وَهُوَ خَيْرُ الْفَاصِلِيْنَ قُلْ لَّوْ اَنَّ عِنْدِيْ مَا تَسْتَعْجِلُوْنَ بِهٖ لَقُضِيَ الْاَمْرُ بَيْنِيْ وَبَيْنَكُمْؕ وَاللهُ اَعْلَمُ بِالظَّالِمِيْنَ

বলো, অবশ্যই আমি আমার প্রতিপালকের স্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত; অথচ তোমরা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছ। যা তোমরা খুব তাড়াতাড়ি পেতে চাও (অর্থাৎ আল্লাহর আযাব) তা আমার আয়ত্তে নেই। কর্তৃত্ব তো আল্লাহরই, তিনি সত্য বর্ণনা করেন; আর ফায়সালাকারীদের মধ্যে তিনিই শ্রেষ্ঠ। বলো, তোমরা যা তাড়াতাড়ি চাচ্ছ তা যদি আমার নিকট থাকত, তবে আমার ও তোমাদের মধ্যকার ব্যাপারে তো ফায়সালা হয়েই যেত। তথাপিও আল্লাহ যালিমদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। (সূরা আন‘আম- ৫৭, ৫৮)

এ নবীকে শেষ করে দেব- এ চিন্তার জবাব :

وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِّنْ قَبْلِكَ الْخُلْدَؕ اَفَاِنْ مِّتَّ فَهُمُ الْخَالِدُوْنَ كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ الْمَوْتِؕ وَنَبْلُوْكُمْ بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةًؕ وَاِلَيْنَا تُرْجَعُوْنَ

আমি তোমার পূর্বেও কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করিনি; সুতরাং তোমার মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হয়ে থাকবে? প্রতিটি জীবনই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে; আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভালো দ্বারা বিশেষভাবে পরীক্ষা করে থাকি। আর তোমাদেরকে আমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করা হবে। (সূরা আম্বিয়া- ৩৪, ৩৫)

মুহাম্মাদকে তার রব পরিত্যাগ করেছে- এ উক্তির জবাব :

وَالضُّحٰى وَاللَّيْلِ اِذَا سَجٰى مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلٰى

শপথ পূর্বাহ্নের; শপথ রাত্রির, যখন তা গভীর হয়। আপনার পালনকর্তা আপনাকে ত্যাগ করেননি এবং আপনার প্রতি বিরূপও হননি। (সূরা যোহা, ১-৩)

এ নবী বিপথগামী হয়ে গেছে- এ উক্তির জবাব :

وَالنَّجْمِ اِذَا هَوٰى مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوٰى

শপথ তারকারাজির, যখন তা অস্তমিত হয়, তোমাদের সাথি পথভ্রষ্ট হয়নি এবং বিভ্রান্তও হয়নি। (সূরা নাজম- ১, ২)

এ নবী পাগল- এ উক্তির জবাব :

نٓ وَالْقَلَمِ وَمَا يَسْطُرُوْنَ مَاۤ اَنْتَ بِنِعْمَةِ رَبِّكَ بِمَجْنُوْنٍ

নূন। শপথ কলমের এবং তারা (ফেরেশতাগণ) যা লিপিবদ্ধ করে তার, তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি উন্মাদ নও। (সূরা ক্বালাম- ১, ২)

وَمَا صَاحِبُكُمْ بِمَجْنُوْنٍ

আর তোমাদের সাথি (মুহাম্মাদ) পাগল নয়। (সূরা তাকভীর- ২২)

এ নবী গণক- এ উক্তির জবাব :

فَذَكِّرْ فَمَاۤ اَنْتَ بِنِعْمَتِ رَبِّكَ بِكَاهِنٍ وَّلَا مَجْنُوْنٍ

অতএব তুমি উপদেশ দিতে থাক, তোমার প্রভুর অনুগ্রহে তুমি গণক নও এবং উন্মাদও নও। (সূরা তূর- ২৯)

তার উপর নিদর্শন নাযিল হয় না কেন- এ প্রশ্নের জবাব :

وَقَالُوْا لَوْلَا نُزِّلَ عَلَيْهِ اٰيَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖؕ قُلْ اِنَّ اللهَ قَادِرٌ عَلٰۤى اَنْ يُّنَزِّلَ اٰيَةً وَّلٰكِنَّ اَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ

তারা বলে, তার প্রতিপালকের নিকট হতে তার নিকট কোন নিদর্শন নাযিল হয় না কেন? বলো, নিশ্চয় আল্লাহ নিদর্শন নাযিল করতে সক্ষম, কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (সূরা আন‘আম- ৩৭)

وَمَا كَانَ لِرَسُوْلٍ اَنْ يَّأْتِيَ بِاٰيَةٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللهِؕ لِكُلِّ اَجَلٍ كِتَابٌ

আল্লাহর হুকুম ব্যতীত নিদর্শন হাজির করার শক্তি কোন রাসূলের নেই। যাবতীয় বিষয়ের নির্দিষ্ট সময় লিপিবদ্ধ আছে। (সূরা রা‘দ- ৩৮)

নবী ﷺ এর কাছে ফেরেশতা আসে না কেন- এ প্রশ্নের জবাব :

وَقَالُوْا لَوْلَاۤ اُنْزِلَ عَلَيْهِ مَلَكٌؕ وَلَوْ اَنْزَلْنَا مَلَكًا لَّقُضِيَ الْاَمْرُ ثُمَّ لَا يُنْظَرُوْنَ

তারা বলে, তার নিকট কোন ফেরেশতা প্রেরিত হয় না কেন? (তাদেরকে বলে দাও) যদি আমি ফেরেশতা প্রেরণ করতাম তাহলে তো চূড়ান্ত ফায়সালা হয়েই যেত, আর তাদেরকে কোন অবকাশ দেয়া হতো না।

(সূরা আন‘আম- ৮)

لَوْ مَا تَأْتِيْنَا بِالْمَلَآئِكَةِ اِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِيْنَ مَا نُنَزِّلُ الْمَلَآئِكَةَ اِلَّا بِالْحَقِّ وَمَا كَانُوْاۤ اِذًا مُّنْظَرِيْنَ

তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের নিকট ফেরেশতাগণকে উপস্থিত করছ না কেন? আমি ফেরেশতাগণকে যথার্থ কারণ ব্যতীত প্রেরণ করি না; কেননা ফেরেশতাগণ উপস্থিত হলে তারা আর অবকাশ পাবে না। (সূরা হিজর- ৭, ৮)

আল্লাহ সরাসরি সাক্ষ্য দিতে আসেন না কেন- এ উক্তির জবাব :

وَقَالَ الَّذِيْنَ لَا يَرْجُوْنَ لِقَآءَنَا لَوْلَاۤ اُنْزِلَ عَلَيْنَا الْمَلَآئِكَةُ اَوْ نَرٰى رَبَّنَاؕ لَقَدِ اسْتَكْبَرُوْا فِۤيْ اَنْفُسِهِمْ وَعَتَوْا عُتُوًّا كَبِيْرًا

যারা আমার সাক্ষাৎ কামনা করে না তারা বলে, আমাদের নিকট ফেরেশতা অবতরণ করানো হয় না কেন? অথবা আমরা আমাদের প্রতিপালককে প্রত্যক্ষ করি না কেন? তারা তো তাদের অন্তরে অহংকার পোষণ করেছে এবং তারা ঘোরতরভাবে সীমালঙ্ঘন করেছে। (সূরা ফুরক্বান- ২১)

وَقَالَ الَّذِيْنَ لَا يَعْلَمُوْنَ لَوْلَا يُكَلِّمُنَا اللهُ اَوْ تَأْتِيْنَاۤ اٰيَةٌؕ كَذٰلِكَ قَالَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ مِّثْلَ قَوْلِهِمْؕ تَشَابَهَتْ قُلُوْبُهُمْؕ قَدْ بَيَّنَّا الْاٰيَاتِ لِقَوْمٍ يُّوْقِنُوْنَ

মূর্খরা বলে, আল্লাহ আমাদের সাথে কথা বলেন না কেন অথবা কেন আমাদের কাছে কোন নিদর্শন আসে না? এদের পূর্বে যারা ছিল তারাও এদের অনুরূপ কথা বলত। তাদের সকলের অন্তর পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ। অথচ আমি বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করে দিয়েছি। (সূরা বাক্বারা- ১১৮)

তারা কত আশ্চর্যজনক দাবী করত :

وَقَالُوْا لَنْ نُّؤْمِنَ لَكَ حَتّٰى تَفْجُرَ لَنَا مِنَ الْاَرْضِ يَنْۢبُوْعًا اَوْ تَكُوْنَ لَكَ جَنَّةٌ مِّنْ نَّخِيْلٍ وَّعِنَبٍ فَتُفَجِّرَ الْاَنْهَارَ خِلَالَهَا تَفْجِيْرًا اَوْ تُسْقِطَ السَّمَآءَ كَمَا زَعَمْتَ عَلَيْنَا كِسَفًا اَوْ تَأْتِيَ بِاللهِ وَالْمَلَآئِكَةِ قَبِيْلًا اَوْ يَكُوْنَ لَكَ بَيْتٌ مِّنْ زُخْرُفٍ اَوْ تَرْقٰى فِى السَّمَآءِ وَلَنْ نُّؤْمِنَ لِرُقِيِّكَ حَتّٰى تُنَزِّلَ عَلَيْنَا كِتَابًا نَّقْرَؤُهٗ قُلْ سُبْحَانَ رَبِّيْ هَلْ كُنْتُ اِلَّا بَشَرًا رَّسُوْلًا

তারা বলে, আমরা কখনই তোমার প্রতি ঈমান আনব না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তুমি আমাদের জন্য ভূমি হতে এক নদী প্রবাহিত করবে, অথবা তোমার খেজুরের ও আঙ্গুরের একটি বাগান হবে, যার ফাঁকে ফাঁকে অজস্র ধারায় প্রবাহিত করবে নদী-নালা, অথবা তুমি যেমন বলে থাক তদানুযায়ী আকাশকে খন্ড-বিখন্ড করে আমাদের উপর ফেলবে, অথবা আল্লাহ ও ফেরেশতাগণকে আমাদের সম্মুখে উপস্থিত করবে, অথবা তোমার একটি সবর্ণ নির্মিত গৃহ হবে, অথবা তুমি আকাশে আরোহণ করবে। কিন্তু তোমার আকাশে আরোহণ করাতেও আমরা কখনো ঈমান আনব না, যতক্ষণ না তুমি আমাদের প্রতি এক কিতাব অবতরণ করবে, যা আমরা পাঠ করব। বলো, আমার প্রতিপালক খুবই পবিত্র ও মহান! আমি তো একজন মানুষ ও একজন রাসূল মাত্র। (সূরা বনী ইসরাঈল, ৯০-৯৩)

সকল যুগে নবীদের বিরুদ্ধে একই ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে :

كَذٰلِكَ مَاۤ اَتَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ مِّنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا قَالُوْا سَاحِرٌ اَوْ مَجْنُوْنٌ اَتَوَاصَوْا بِهٖۚ بَلْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُوْنَ

এভাবে, তাদের পূর্ববর্তীদের নিকট যখনই কোন রাসূল এসেছেন, তারা বলেছে, তুমি তো এক যাদুকর অথবা উন্মাদ। তারা কি একে অপরকে এ উপদেশই দিয়ে এসেছে? বস্তুত তারা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়। (সূরা যারিয়াত- ৫২, ৫৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন