hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

অধ্যায়- ১ : আল্লাহর গুণাবলি
সূরা ফাতেহায় বর্ণিত আল্লাহ তা‘আলার গুণাবলি :

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ اَلرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ مَالِكِ يَوْمِ الدِّيْنِ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَاِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ صِرَاطَ الَّذِيْنَ اَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّآلِّيْنَ

আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু। সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। যিনি পরম করুণাময় ও অতিশয় দয়ালু। যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক। আমরা কেবল আপনারই ইবাদাত করি এবং আপনার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি। আপনি আমাদেরকে সরলসঠিক পথপ্রদর্শন করুন। তাদের পথ, যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন; তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আপনার গযব অবতীর্ণ হয়েছে এবং তাদের পথও নয়, যারা পথভ্রষ্ট।

ব্যাখ্যা : সূরা ফাতেহা হলো কুরআন মাজীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূরা। আবু সাঈদ ইবনে মু‘আলা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি যখন সালাত আদায় করছিলাম, তখন নবী ﷺ আমাকে ডাকলেন, কিন্তু আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিলাম না। পরে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি সালাত আদায় করছিলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আল্লাহ তা‘আলা কি বলেননি? ‘‘হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দাও, যখন তারা তোমাদেরকে আহবান করেন।’’ (সূরা আনফাল- ২৪)

তারপর নবী ﷺ বললেন, আমি কি তোমাকে কুরআনের সর্বোত্তম সূরা শিক্ষা দেব না? অতঃপর তিনি বললেন, তা হচ্ছে সূরা ফাতেহা- যা বার বার পঠিত সাতটি আয়াতের সমন্বয়ে গঠিত। এ সূরা এবং মহান কিতাব আল-কুরআন আমাকে প্রদান করা হয়েছে। (সহীহ বুখারী, হা/৫০০৬)

সূরা ফাতেহার প্রথম তিনটি আয়াতে আল্লাহ তা‘আলার গুণাবলি বর্ণনা করা হয়েছে। তার পরের আয়াতে আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা দেয়া হয়েছে এবং শেষ তিনটি আয়াতে মুমিন বান্দার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় অর্থাৎ সিরাতে মুস্তাকীম বা সঠিক পথের সন্ধান পাওয়ার দু‘আ শিক্ষা দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলার প্রথম পরিচয় হচ্ছে, তিনি সারা বিশ্বের রব। রব বলতে ঐ সত্তাকে বুঝায়, যিনি কোন জিনিসকে তার মঙ্গলের দিকে দৃষ্টি রেখে পর্যায়ক্রমে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দেন। গোটা বিশ্বে যা কিছু আছে সবকিছুর রব হলেন তিনি। তিনিই সবকিছুর মালিক এবং সবকিছুর প্রতিপালক ও পরিচালনাকারী। তাঁর মালিকানা ও পরিচালনায় অন্য কারো হাত নেই। এজন্য সকল প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য একমাত্র তিনিই। আল্লাহ হলেন ‘রহমান’ ও ‘রহীম’ তথা বড়ই মেহেরবান ও অশেষ দয়াময়। আমরা আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে ডুবে আছি। মহান আল্লাহ বলেন, ‘‘তোমরা আমার নিয়ামত গণনা করতে শুরু করলে তা শেষ করতে পারবে না।’’ (সূরা নাহল- ১৮)

যে সকল নিয়ামত একান্ত প্রয়োজনীয়, তা তিনি এত ব্যাপক করে দিয়েছেন যে, এর কোন অভাব হয় না। যেমন- সূর্যের আলো, পানি, বাতাস ও আগুন ইত্যাদি। তিনি কারো কাছ থেকে এগুলোর কোন বিনিময় গ্রহণ করেন না; কেবল নিজ দয়া ও অনুগ্রহে এসব দান করেছেন। এ দুনিয়াতে তাঁর রহমত এত ব্যাপক যে, তিনি কাফির, মুশরিক ও জীবজন্তু সবাইকে রিযিক দেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করেন।

আল্লাহ তা‘আলা হলেন বিচার দিনের মালিক। এ দুনিয়াতে মানুষ যা কিছু করে তার সঠিক বিচার ও পরিপূর্ণ প্রতিদান পাওয়ার জন্য আমাদের সামনে একটি দিবসের আগমন ঘটবে, যার নাম হলো কিয়ামত দিবস। আর সেদিনের বিচারক হবেন স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা। তিনি কারো প্রতি যুলুম করবেন না। দুনিয়াতে যারা ঈমান আনবে এবং সৎকর্ম করবে, তাদেরকে তিনি নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আর যারা পাপকাজ করে অপরাধী হবে, তাদেরকে জাহান্নামের আগুনে ফেলে শাস্তি দেবেন। সে দিনের সকল ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব একমাত্র তাঁরই হাতে থাকবে।

আয়াতুল কুরসীতে বর্ণিত আল্লাহ তা‘আলার গুণাবলি :

اَللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ اَلْحَيُّ الْقَيُّوْمُۚ لَا تَاْخُذُهٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌؕ لَهٗ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْاَ رْضِ ؕ مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗۤ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ؕ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْۚ وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَ الْاَ رْضَ ۚ وَلَا يَئُوْدُهٗ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ

আল্লাহ এমন সত্তা, যিনি ব্যতীত কোন (প্রকৃত) উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও সবকিছুর ধারক বাহক। তন্দ্রা এবং নিদ্রা কোনকিছুই তাঁকে স্পর্শ করে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতীত এমন কে আছে, যে তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পেছনে যা কিছু আছে সবকিছু তিনি জানেন। তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন ততটুকু ছাড়া তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর সিংহাসন আসমান ও জমিনকে বেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে মোটেই ক্লান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও সুমহান। (সূরা বাক্বারা- ২৫৫)

ব্যাখ্যা : সাধারণত কুরসী শব্দটি কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও রাষ্ট্রশক্তি অর্থে রূপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আয়াতুল কুরসীর সারমর্ম হচ্ছে, সকল সার্বভৌম ক্ষমতা, প্রতিপত্তি ও শাসন কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশভাবে একমাত্র সে সত্তার অধীনে, যাঁর জীবন কারো দান নয় বরং তিনি নিজস্ব জীবনী শক্তিতে স্বয়ং জীবিত। যাঁর শক্তির উপর নির্ভর করে এ বিশ্বের সমগ্র ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছে। নিজের এ বিশাল রাজ্যের যাবতীয় শাসন ও ক্ষমতার একচ্ছত্র মালিক তিনি একাই। তাঁর গুণাবলিতে দ্বিতীয় কোন সত্তার অংশীদারিত্ব নেই। কাজেই তাঁকে বাদ দিয়ে বা তাঁর সাথে শরীক করে পৃথিবীতে বা আকাশে কোথাও অন্য কাউকে মা‘বুদ, ইলাহ্ ও প্রভু বানানো হলে তা নিরেট মিথ্যা ছাড়া আর কিছু নয়। আল্লাহর আদালতে কোন শ্রেষ্ঠতম নবী এবং কোন নিকটতম ফেরেশতাও পৃথিবী ও আকাশের মালিকের নিকট বিনা অনুমতিতে একটি শব্দও উচ্চারণ করার সাহস রাখেন না। মানুষ, জিন, ফেরেশতা বা অন্য যেকোন সৃষ্টিই হোক না কেন সবার জ্ঞান অসম্পূর্ণ ও সীমিত। বিশ্বের সমগ্র সত্য ও রহস্য কারো আয়ত্তে নেই। বিশ্বজাহানের প্রভু ও পরিচালক মহান আল্লাহই ভালো-মন্দের পুরোপুরি জ্ঞান রাখেন। কাজেই এ ক্ষেত্রে জ্ঞানের মূল উৎস মহান আল্লাহর হেদায়াত ও পথনির্দেশনার উপর জীবন পরিচালনা করা ছাড়া মানুষের জন্য দ্বিতীয় আর কোন পথ নেই।

সূরা ইখলাসে বর্ণিত আল্লাহ তা‘আলার ৪টি গুণাবলি :

قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ اَللهُ الصَّمَدُ - لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ

১. বলো, তিনি আল্লাহ একক।

২. তিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ।

৩. তাঁর থেকে কেউ জন্ম নেয়নি এবং তিনিও কারো থেকে জন্মগ্রহণ করেননি।

৪. আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই। (সূরা ইখলাস)

ব্যাখ্যা : নবী ﷺ কোন এক ব্যক্তিকে একটি সেনাদলের অধিনায়ক করে কোন এক যুদ্ধে পাঠান। তিনি সালাতে যখন সঙ্গীদের ইমামতি করতেন, তখন সূরা ইখলাস দিয়ে সালাত শেষ করতেন। (অভিযান শেষে) ফিরে আসলে লোকজন এ বিষয়টি নবী ﷺ এর কাছে বললে তিনি তাদেরকে বললেন, সে কেন এমন করল, তাকেই জিজ্ঞেস করো। অতঃপর তারা তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এ সূরাতে মহান আল্লাহর গুণাবলি (তাওহীদের) কথা বর্ণিত হয়েছে। তাই আমি তা পাঠ করতে বেশি ভালোবাসি। একথা শুনে নবী ﷺ বললেন, তাকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন। (সহীহ বুখারী, হা/৭৩৭৫)

তাওহীদ তথা আল্লাহর একত্ববাদের বিষয়টি এ সূরায় স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সূরা ইখলাসের সারমর্ম হচ্ছে, আল্লাহ অতুলনীয়, তাঁর উপর ঈমান আনতে হলে তাঁর গুণাবলি দেখেই ঈমান আনতে হবে। তাঁর গুণাবলিই তাঁর পরিচয় বহন করে। আল্লাহ হলেন একক সত্তা, তাঁর জাত ও সিফাতের মধ্যে কোন অংশীদারিত্ব নেই। তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, বরং সকল সৃষ্টিই তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনি কারো থেকে জন্মগ্রহণ করেননি। তাঁর সমকক্ষ ও সমতুল্য কিছুই নেই। এ সূরায় বর্ণিত আল্লাহর গুণাবলিসমূহ আল্লাহ এবং অন্যান্য উপাস্যের মধ্যে পার্থক্য কী তা স্পষ্ট করে দেয়। সূরা ইখলাসে বর্ণিত গুণাবলিসমূহ এক আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কোন সত্তার উপর প্রযোজ্য হয় না, সুতরাং আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ উপাস্য হওয়ার যোগ্য নয়। যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে নিজেদের মনগড়া উপাস্য বানিয়ে তাদের উপাসনা করছে তারা স্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে ডুবে আছে। মানুষের স্রষ্টা ও পালনকর্তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। তাই আন্তরিকতা ও ইখলাসের সাথে তাঁর ইবাদাত করাই মানুষের কর্তব্য।

ইবরাহীম (আঃ) এর ভাষায় আল্লাহর গুণাবলি :

فَاِنَّهُمْ عَدُوٌّ لِّۤيْ اِلَّا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ -‐ اَ لَّذِيْ خَلَقَنِيْ فَهُوَ يَهْدِيْنِ - وَالَّذِيْ هُوَ يُطْعِمُنِيْ وَيَسْقِيْنِ - وَاِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِيْنِ - وَالَّذِيْ يُمِيْتُنِيْ ثُمَّ يُحْيِيْنِ - وَالَّذِيْۤ اَطْمَعُ اَنْ يَّغْفِرَ لِيْ خَطِيْٓئَتِيْ يَوْمَ الدِّيْنِ

নিশ্চয় (মূর্তিগুলো) সবই আমার শত্রু, জগতসমূহের প্রতিপালক ব্যতীত। যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেছেন। যিনি আমাকে খাদ্য ও পানীয় দান করেছেন। যখন আমি রোগাক্রামত্ম হই, তখন তিনিই আমাকে রোগমুক্ত করেন এবং তিনিই আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনরায় জীবিত করবেন। আর আমি আশা করি যে, কিয়ামত দিবসে তিনিই আমার অপরাধসমূহ ক্ষমা করবেন। (সূরা শু‘আরা, ৭৭-৮২)

মূসা (আঃ) এর ভাষায় আল্লাহর পরিচয় :

قَالَ فِرْعَوْنُ وَمَا رَبُّ الْعَالَمِيْنَ - قَالَ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَ الْاَ رْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا ؕ اِنْ كُنْتُمْ مُّوْقِنِيْنَ - قَالَ لِمَنْ حَوْلَهٗۤ اَلَا تَسْتَمِعُوْنَ - قَالَ رَبُّكُمْ وَرَبُّ اٰبَآئِكُمُ الْاَ وَّلِيْنَ - قَالَ اِنَّ رَسُوْلَكُمُ الَّذِيْۤ اُرْسِلَ اِلَيْكُمْ لَمَجْنُوْنٌ -‐ قَالَ رَبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَمَا بَيْنَهُمَاؕ اِنْ كُنْتُمْ تَعْقِلُوْنَ

ফিরাউন বলল, জগতসমূহের প্রতিপালক আবার কে? মূসা বললেন, তিনি আসমান, জমিন এবং উভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর প্রতিপালক, যদি তোমরা দৃঢ় বিশ্বাসী হও। ফিরাউন তার পরিষদবর্গকে লক্ষ্য করে বলল, তোমরা শুনছ তো! মূসা বললেন, তিনি তোমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদেরও প্রতিপালক। ফিরাউন বলল, নিশ্চয় তোমাদের প্রতি প্রেরিত রাসূল (একজন) পাগল। মূসা বললেন, তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের এবং তাদের মধ্যবর্তী সবকিছুর প্রতিপালক; যদি তোমরা বুঝতে পারতে। (সূরা শু‘আরা, ২৩-২৮)

আল্লাহর সাদৃশ্য কিছুই নেই :

لَيْسَ كَمِثْلِهٖ شَيْءٌۚ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْبَصِيْرُ

কোনকিছুই তাঁর সাদৃশ্য নয়, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরা শূরা- ১১)

ব্যাখ্যা : ‘আল্লাহর জন্য সাদৃশ্য তৈরি করো না’ অর্থাৎ আল্লাহকে দুনিয়ার রাজা-বাদশাহদের সমপর্যায়ে রেখে বিবেচনা করো না। দুনিয়ার রাজা-বাদশাহদের অনুচর, সভাসদ ও বিশেষ ব্যক্তিবর্গের মাধ্যম ছাড়া তাদের কাছে কেউ নিজের আবেদন নিবেদন পৌঁছাতে পারে না। তেমনি আল্লাহর ব্যাপারেও তোমরা এ ধারণা করো না যে, অন্যান্য মাধ্যম ছাড়া তাঁর কাছে কারো কোন কাজ পৌঁছতে পারে না।

তাঁর মতো গুণাবলিসম্পন্ন কেউ নেই :

رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَ الْاَ رْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا فَاعْبُدْهُ وَاصْطَبِرْ لِعِبَادَتِهٖؕ هَلْ تَعْلَمُ لَهٗ سَمِيًّا

তিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবী এবং এদের মধ্যবর্তী যা কিছু আছে সবকিছুর প্রতিপালক। সুতরাং তোমরা তাঁরই ইবাদাত করো এবং তাঁর ইবাদাতে ধৈর্যশীল হও। তুমি কি তাঁর মতো (গুণাবলিসম্পন্ন অপর) কাউকে জান? (সূরা মারইয়াম- ৬৫)

আল্লাহর গুণাবলি লিখে শেষ করা যায় না :

وَلَوْ اَنَّمَا فِى الْاَ رْضِ مِنْ شَجَرَةٍ اَقْلَامٌ وَّالْبَحْرُ يَمُدُّهٗ مِنْ ۢبَعْدِهٖ سَبْعَةُ اَبْحُرٍ مَّا نَفِدَتْ كَلِمَاتُ اللهِؕ اِنَّ اللهَ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ

সমগ্র পৃথিবীতে যত গাছ আছে তা সবই যদি কলম হয় এবং যত সমুদ্র রয়েছে তার সাথে যদি আরো সাতটি সমুদ্র একত্র হয়ে কালি হয়, তবুও আল্লাহর বাণী (লিখে) শেষ হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ প্রতাপশালী ও মহাবিজ্ঞ। (সূরা লুক্বমান- ২৭)

قُلْ لَّوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِّكَلِمَاتِ رَبِّيْ لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ اَنْ تَنْفَدَ كَلِمَاتُ رَبِّيْ وَلَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهٖ مَدَدًا

বলো, আমার প্রতিপালকের কথা লিপিবদ্ধ করার জন্য (গোটা) সমুদ্র যদি কালিতে পরিণত হয়, তবুও আমার প্রতিপালকের কথা শেষ হওয়ার পূর্বেই সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে- যদিও আমরা এর (সাহায্যার্থে) অনুরূপ আরো সমুদ্র নিয়ে আসি। (সূরা কাহফ- ১০৯)

ব্যাখ্যা : ‘আল্লাহর কথা’ অর্থ তাঁর সৃষ্টিকর্ম এবং তাঁর শক্তি ও জ্ঞানের নিদর্শন। এ পৃথিবীর গাছগুলো কেটে কলম তৈরি করলে এবং পৃথিবীর সাগরের পানির সাথে আরো সাতটি সাগরের পানিকে কালিতে পরিণত করলেও তা দিয়ে আল্লাহর শক্তি, জ্ঞান ও সৃষ্টির কথা লিখে শেষ করা সম্ভব হবে না। এ বর্ণনা দ্বারা আসলে এ ধরনের একটি ধারণা দেয়াই উদ্দেশ্য যে, যে আল্লাহ এত বড় বিশ্বজাহানকে অস্তিত্ব দান করেছেন এবং আদি থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত এর যাবতীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করে চলেছেন, তাঁর সার্বভৌম কর্তৃত্বের ক্ষেত্রে মানুষ যেসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সত্তাকে উপাস্যে পরিণত করেছে তাদের কোন গুরুত্ব নেই।

আল্লাহই প্রথম ও শেষ, প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য :

هُوَ الْاَ وَّلُ وَالْاٰخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُۚ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ

তিনিই শুরু, তিনিই শেষ, তিনিই প্রকাশ্য, তিনিই অপ্রকাশ্য এবং তিনি সবকিছু সম্পর্কে অধিক অবহিত। (সূরা হাদীদ- ৩)

আল্লাহ কখনো ধ্বংস হবেন না :

كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ اِلَّا وَجْهَهٗؕ لَهُ الْحُكْمُ وَاِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ

আল্লাহর নিজ সত্তা ব্যতীত সবকিছুই ধ্বংসশীল। বিধান তাঁরই এবং তাঁরই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। (সূরা কবাসাস- ৮৮)

কেউ তাঁকে দেখে না কিন্তু তিনি সবাইকে দেখেন :

لَا تُدْرِكُهُ الْاَ بْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الْاَ بْصَارَ ۚ وَهُوَ اللَّطِيْفُ الْخَبِيْرُ

কোন চোখই তাঁকে আয়ত্ত করতে পারে না, কিন্তু তিনিই সকল দৃষ্টিকে আয়ত্ত করেন। আর তিনিই সূক্ষ্মদর্শী এবং সব খবর রাখেন। (সূরা আন‘আম- ১০৩)

মূসা (আঃ) আল্লাহকে দেখতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেননি :

وَلَمَّا جَآءَ مُوْسٰى لِمِيْقَاتِنَا وَكَلَّمَهٗ رَبُّهٗ قَالَ رَبِّ اَرِنِۤيْ اَنْظُرْ اِلَيْكَؕ قَالَ لَنْ تَرَانِيْ وَلٰكِنِ انْظُرْ اِلَى الْجَبَلِ فَاِنِ اسْتَقَرَّ مَكَانَهٗ فَسَوْفَ تَرَانِيْۚ - فَلَمَّا تَجَلّٰى رَبُّهٗ لِلْجَبَلِ جَعَلَهٗ دَكًّا وَّخَرَّ مُوْسٰى صَعِقًاۚ فَلَمَّاۤ اَفَاقَ قَالَ سُبْحَانَكَ تُبْتُ اِلَيْكَ وَاَنَاْ اَوَّلُ الْمُؤْمِنِيْنَ

মূসা বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখা দাও, আমি তোমাকে দেখতে চাই। তিনি বললেন, তুমি আমাকে কখনই দেখতে পারবে না। বরং তুমি পাহাড়ের প্রতি লক্ষ্য করো, সেটা যদি স্বস্থানে স্থির থাকে তবে তুমি আমাকে দেখতে পারবে। যখন তাঁর প্রতিপালক পাহাড়ের উপর জ্যোতি প্রকাশ করলেন তখন তা পাহাড়কে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিল এবং মূসা অজ্ঞান হয়ে পড়ল। তারপর যখন সে জ্ঞান ফিরে পেল তখন বললেন, আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, আমি অনুতপ্ত হয়ে তোমার কাছেই প্রত্যাবর্তন করলাম এবং মুমিনদের মধ্যে আমিই প্রথম। (সূরা আ‘রাফ- ১৪৩)

আল্লাহ ওহীর মাধ্যম ছাড়া মানুষের সাথে কথা বলেন না :

وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ اَنْ يُّكَلِّمَهُ اللهُ اِلَّا وَحْيًا اَوْ مِنْ وَّرَآءِ حِجَابٍ اَوْ يُرْسِلَ رَسُوْلًا فَيُوْحِيَ بِاِذْنِه مَا يَشَآءُؕ اِنَّهٗ عَلِيٌّ حَكِيْمٌ

মানুষের জন্য অসম্ভব যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন ওহীর মাধ্যম ছাড়া, অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যতীত অথবা এমন দূত প্রেরণ করা ছাড়া, যে তাঁর অনুমতিক্রমে তিনি যা চান তা ব্যক্ত করে। নিশ্চয় তিনি সমুন্নত ও প্রজ্ঞাবান। (সূরা শূরা- ৫১)

আল্লাহ আহার করান, তাঁকে কেউ আহার করায় না :

قُلْ اَغَيْرَ اللهِ اَتَّخِذُ وَلِيًّا فَاطِرِ السَّمَاوَاتِ وَ الْاَ رْضِ وَهُوَ يُطْعِمُ وَلَا يُطْعَمُ

বলো, আমি কি আসমান ও জমিনের স্রষ্টা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করব? অথচ তিনিই (আমাদেরকে) আহার করান; কিন্তু তাঁকে কেউ আহার করায় না। (সূরা আন‘আম- ১৪)

- مَاۤ اُرِيْدُ مِنْهُمْ مِّنْ رِّزْقٍ وَّمَاۤ اُرِيْدُ اَنْ يُّطْعِمُوْنِ - اِنَّ اللهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِيْنُ

আমি তাদের নিকট হতে কোন রিযিক চাই না এবং এও চাই না যে, তারা আমার আহার যোগাবে। নিশ্চয় আল্লাহ (ঐ সত্তা) যিনি রিযিকদাতা এবং সুদৃঢ় শক্তির অধিকারী। (সূরা যারিয়াত- ৫৭, ৫৮)

আল্লাহ কিছুই ভুলেন না :

قَالَ عِلْمُهَا عِنْدَ رَبِّيْ فِيْ كِتَابٍۚ لَا يَضِلُّ رَبِّيْ وَلَا يَنْسٰى

মূসা বললেন, এটার জ্ঞান আমার প্রতিপালকের নিকট এক কিতাবে রয়েছে। আমার প্রতিপালক ভুল করেন না এবং কোনকিছু ভুলেও যান না। (সূরা ত্বা-হা- ৫২)

ব্যাখ্যা : সবকিছুর রেকর্ড আল্লাহর কাছে সংরক্ষিত আছে। আল্লাহই জানেন, পৃথিবীতে কার ভূমিকা কী ছিল এবং কার পরিণাম কী হবে। আমাদেরকেও চিন্তা করা উচিত যে, আমাদের ভূমিকা কী এবং আমরা কোন ধরনের পরিণামের সম্মুখীন হব।

আল্লাহর মর্যাদা সর্বশ্রেষ্ঠ :

وَلَهُ الْمَثَلُ الْاَ عْلٰى فِى السَّمَاوَاتِ وَ الْاَ رْضِؕ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ

আসমান ও জমিনে সর্বোচ্চ মর্যাদা তাঁরই। আর তিনিই প্রতাপশালী ও মহাবিজ্ঞ। (সূরা রূম- ২৭)

সকল বড়ত্ব আল্লাহর :

وَلَهُ الْكِبْرِيَآءُ فِى السَّمَاوَاتِ وَ الْاَ رْضِ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ

আসমান ও জমিনে তাঁরই বড়ত্ব বিরাজমান রয়েছে এবং তিনি মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাবান। (সূরা জাসিয়া- ৩৭)

আল্লাহ আরশের মালিক :

لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيْمِ

তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই; আর তিনিই সম্মানিত আরশের (একক) অধিপতি। (সূরা মু’মিনূন- ১১৬)

اَللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ

আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই; আর তিনি মহান আরশের অধিপতি। (সূরা নামল- ২৬)

فَاِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَؕ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ

এরপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে তুমি বলে দাও, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন মা‘বুদ নেই। আর আমি তাঁরই উপর ভরসা করছি এবং তিনিই হচ্ছেন মহান আরশের অধিপতি। (সূরা তাওবা- ১২৯)

আল্লাহ আরশের উপর সমাসীন :

اَلرَّحْمٰنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوٰى

দয়াময় (আল্লাহ) আরশের উপর সমাসীন। (সূরা ত্বা-হা- ৫)

هُوَ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَ الْاَ رْضَ فِيْ سِتَّةِ اَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰى عَلَى الْعَرْشِ

তিনি ছয় দিনে আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। (সূরা হাদীদ- ৪)

আল্লাহ আসমান ও জমিনের নূর :

اَللهُ نُوْرُ السَّمَاوَاتِ وَ الْاَ رْضِ

আল্লাহ আসমান ও জমিনের আলো। (সূরা নূর- ৩৫)

ব্যাখ্যা : আল্লাহ আসমান ও জমিনের নূর- এ কথাটির অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ তা‘আলা আসমান এবং জমিনবাসীর হেদায়াত দানকারী ও পরিচালক। কেননা আল্লাহ তা‘আলা শুধু স্রষ্টাই নন, তিনি আসমান এবং জমিনে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন সবকিছুকে তার প্রয়োজন অনুপাতে পথনির্দেশনা দিয়েছেন এবং সবকিছু পরিচালনা করছেন।

আল্লাহর নূরের উদাহরণ :

مَثَلُ نُوْرِهٖ كَمِشْكَاةٍ فِيْهَا مِصْبَاحٌ ؕ اَلْمِصْبَاحُ فِيْ زُجَاجَةٍؕ الزُّجَاجَةُ كَاَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُّوْقَدُ مِنْ شَجَرَةٍ مُّبَارَكَةٍ زَيْتُوْنَةٍ لَّا شَرْقِيَّةٍ وَّلَا غَرْبِيَّةٍ يَّكَادُ زَيْتُهَا يُضِيْٓءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌؕ نُوْرٌ عَلٰى نُوْرٍ ؕ يَهْدِى اللهُ لِنُوْرِهٖ مَنْ يَّشَآءُؕ وَيَضْرِبُ اللهُ الْاَ مْثَالَ لِلنَّاسِؕ وَاللهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ

তাঁর জ্যোতির উপমা যেন একটি চেরাগের মতো, যার মধ্যে রয়েছে এক প্রদীপ। আর প্রদীপটি রাখা হয়েছে একটি কাঁচের আবরণের মধ্যে, কাঁচের আবরণটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো- এটা প্রজ্বলিত করা হয় পূত-পবিত্র যায়তূন গাছের তেল দ্বারা, যা পূর্বেরও নয় এবং পশ্চিমেরও নয়। অগ্নি সেটাকে স্পর্শ না করলেও যেন তার তেল উজ্জ্বল আলো দিচ্ছে; জ্যোতির উপর জ্যোতি! আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাঁর জ্যোতির দিকে পথনির্দেশ করেন, (প্রয়োজনে) আল্লাহ মানুষের জন্য উপমা দিয়ে থাকেন; আর আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ। (সূরা নূর- ৩৫)

আল্লাহর নূর ছাড়া অন্য কোন নূর নেই :

وَمَنْ لَّمْ يَجْعَلِ اللهُ لَهٗ نُوْرًا فَمَا لَهٗ مِنْ نُّوْرٍ

আল্লাহ যাকে জ্যোতি দান করেন না তার জন্য কোন জ্যোতিই নেই। (সূরা নূর- ৪০)

আল্লাহর নূর হাশরের মাঠকে আলোকিত করবে :

وَاَشْرَقَتِ الْاَ رْضُ بِنُوْرِ رَبِّهَا وَوُضِعَ الْكِتَابُ وَجِيْٓءَ بِالنَّبِيِّيْنَ وَالشُّهَدَآءِ وَقُضِيَ بَيْنَهُمْ بِالْحَقِّ وَهُمْ لَا يُظْلَمُوْنَ

সেদিন সমস্ত পৃথিবী তার প্রতিপালকের নূরে আলোকিত হবে, আমলনামা পেশ করা হবে এবং নবী ও সাক্ষীগণকে হাজির করা হবে। অতঃপর সকলের মধ্যে ন্যায়বিচার করা হবে; আর তাদের প্রতি কোন যুলুম করা হবে না। (সূরা যুমার- ৬৯)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন