hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১২১
অধ্যায়- ১ : মানুষ আল্লাহর খলীফা
মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর খলীফা :

وَاِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَآئِكَةِ اِنِّيْ جَاعِلٌ فِى الْاَرْضِ خَلِيْفَةً

(স্মরণ করো!) যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে বললেন, নিশ্চয় আমি পৃথিবীতে খলিফা (প্রতিনিধি) সৃষ্টি করব। (সূরা বাক্বারা- ৩০)

وَهُوَ الَّذِيْ جَعَلَكُمْ خَلَآئِفَ الْاَرْضِ

তিনিই তোমাদেরকে দুনিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছেন। (সূরা আন‘আম- ১৬৫)

আল্লাহ খিলাফত দিয়ে পরীক্ষা করেন :

ثُمَّ جَعَلْنَاكُمْ خَلَآئِفَ فِى الْاَرْضِ مِنْ ۢبَعْدِهِمْ لِنَنْظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُوْنَ

অতঃপর আমি জমিনে তাদের পরে তোমাদেরকে খলীফা হিসেবে মনোনীত করেছি; যাতে আমি পরীক্ষা করতে পারি যে, তোমরা কী আমল কর? (সূরা ইউনুস- ১৪)

ব্যাখ্যা : পূর্বের জাতিগুলোকে এ অনুগ্রহের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত যুলুম ও বিদ্রোহের নীতি অবলম্বন করেছিল এবং তাদেরকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য যেসব নবী পাঠানো হয়েছিল তাঁদের কথা অস্বীকার করেছিল। তাই তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এখন তোমাদের পালা এসেছে; তাদের জায়গায় তোমাদেরকে কাজ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তোমরা এখন পরীক্ষা কেন্দ্রে অবস্থান করছ। তোমরা যদি তাদের মতো একই পরিণামের সম্মুখীন হতে না চাও, তাহলে তোমরা এ সুযোগ থেকে যথাযথভাবে লাভবান হও। অতীতের জাতিগুলোর ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করো। আর যেসব ভুল তাদের ধ্বংসের কারণ হয়েছিল সেগুলোর পুনরাবৃত্তি করো না।

পৃথিবীর ব্যবস্থাপনা কোন্ সময় কার হাতে সোপর্দ করতে হবে- এ বিষয়টির সিদ্ধান্ত আল্লাহ নিজেই নেন। অথচ অহংকারীরা এ ভুল ধারণা করে যে, পৃথিবীতে বসবাসকারীদের ভাগ্যের ফায়সালা তারা নিজেরাই করে। কিন্তু তারা এ কথা চিন্তা করে না যে, এসব নির্ধারণ করার ক্ষমতা পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে কারো আছে কি না? আর তারা এ কথাও ভাবে না যে, কার ইশারায় তাদের মাঝে ক্ষমতার পালা বদল হচ্ছে? কী কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর শক্তি হঠাৎ করে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং সবচেয়ে দুর্বলতম শক্তি বৃহত্তম শক্তিতে পরিণত হচ্ছে? কেনইবা পৃথিবীতে কোন একটি দল স্থায়ীভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না?

সৎকর্মশীলদেরকে খিলাফত দানে আল্লাহর ওয়াদা :

وَعَدَ اللهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِى الْاَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِيْنَهُمُ الَّذِى ارْتَضٰى لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُمْ مِّنْ ۢبَعْدِ خَوْفِهِمْ اَمْنًاؕ يَعْبُدُوْنَنِيْ لَا يُشْرِكُوْنَ بِيْ شَيْئًاؕ وَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ ذٰلِكَ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْفَاسِقُوْنَ

তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন যে, অবশ্যই তিনি তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করেছিলেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে। আর তিনি অবশ্যই তাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের দ্বীনকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তিনি তাদেরকে ভয়-ভীতির পরিবর্তে নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদাত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক স্থাপন করবে না; এরপরও যারা কুফরী করবে তারাই হবে ফাসিক। (সূরা নূর- ৫৫)

ব্যাখ্যা : খিলাফত ও খিলাফত লাভ কুরআনে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

এর একটি অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর দেয়া ক্ষমতার অধিকারী হওয়া। এ অর্থানুসারে সারা দুনিয়ার সমস্ত মানবসন্তান পৃথিবীতে খিলাফতের আসনে অধিষ্ঠিত।

দ্বিতীয় অর্থটি হচ্ছে, আল্লাহর সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব মেনে নিয়ে তাঁর শরীয়াতী বিধানের আওতায় খিলাফতের ক্ষমতা ব্যবহার করা। এ অর্থে কেবলমাত্র সৎ মুমিনরাই খলীফা হিসেবে গণ্য হয়। কারণ তারাই সঠিকভাবে খিলাফতের হক আদায় করেন। বিপরীত পক্ষে কাফির ও ফাসিক ব্যক্তি খলীফা হওয়ার উপযুক্ত নয়। কারণ তারা আল্লাহর দেয়া ক্ষমতাকে নাফরমানির পথে ব্যবহার করে।

এর তৃতীয় অর্থ হচ্ছে, এক যুগের বিজয়ী ও ক্ষমতাশীল জাতির পরে অন্য জাতি তার স্থান দখল করা।

এখানে خِلَافَةٌ (খিলাফত) শব্দটি এমন এক রাষ্ট্রব্যবস্থার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, যা আল্লাহর শরীয়াতী বিধান অনুযায়ী তাঁর প্রতিনিধিত্বের যথাযথ হক আদায় করে। এ কারণেই কাফির তো দূরের কথা ইসলামের দাবীদার মুনাফিকদেরকেও এ প্রতিশ্রুতিতে শরীক করা হয়নি। তাই বলা হচ্ছে, একমাত্র ঈমান ও সৎকর্মের গুণে গুণান্বিত লোকেরাই এর অধিকারী। এজন্য খিলাফত প্রতিষ্ঠার ফল হিসেবে বলা হচ্ছে, আল্লাহর পছন্দনীয় দ্বীন অর্থাৎ ইসলাম মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হবে। আর এজন্য এ পুরস্কার দানের শর্ত হিসেবে বলা হচ্ছে, নির্ভেজাল আল্লাহর দাসত্ব ও আনুগত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকো। এতে যেন শিরকের সামান্যতমও মিশ্রণ না থাকে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন