hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৮২
অধ্যায়- ৬ : যিনা করা
আল্লাহ যিনার ধারে কাছেও যেতে নিষেধ করেছেন :

وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَاۤ اِنَّهٗ كَانَ فَاحِشَةًؕ وَسَآءَ سَبِيْلًا

আর যিনার নিকটবর্তীও হয়ো না, নিশ্চয় এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৩২)

ব্যাখ্যা : ‘যিনার কাছেও যেয়ো না’- এ হুকুম ব্যক্তির জন্য এবং সামগ্রিকভাবে সমগ্র সমাজের জন্যও। ব্যক্তির জন্য এ হুকুমের অর্থ হচ্ছে, সে নিছক যিনার কাজ থেকে দূরে থেকেই ক্ষান্ত হবে না বরং এ পথের দিকে টেনে নিয়ে যায় এমনসব আকর্ষণ সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো থেকেও দূরে থাকবে। আর সমাজের ব্যাপারে বলা যায়, এ হুকুমের প্রেক্ষিতে সমাজজীবনে যিনা ও যিনার কারণসমূহের পথ বন্ধ করে দেয়া সমাজের জন্য ফরয হয়ে যাবে। এ উদ্দেশ্যে সে আইন প্রণয়ন, শিক্ষা ও অনুশীলন দান, সামাজিক পরিবেশের সংস্কার সাধন এবং অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যিনা বা ব্যভিচার বলতে একজন পুরুষ ও একজন স্ত্রীলোক নিজেদের মধ্যে কোন বৈধ দাম্পত্য সম্পর্ক ছাড়াই পরস্পর যৌন মিলনে লিপ্ত হওয়াকে বুঝায়। এ কাজটি নৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক দিক হতে দূষণীয় হওয়ার ব্যাপারে প্রাচীন যুগ থেকে আজ পর্যন্ত কোন মানবসমাজেই দ্বিমত নেই। কেননা প্রতিটি মানুষের সাধারণ ফিতরাত বা প্রকৃতি এটি হারাম হওয়ার দাবী জানায়। তাছাড়া মানবজাতির অস্তিত্ব ও স্থায়িত্ব এবং মানবিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠা কোনক্রমেই এ বিষয়টির উপর নির্ভর করে না। কেননা এ ধরনের কার্যকলাপের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে শুধুমাত্র আনন্দ উপভোগ করা, যা মানবজাতির অস্তিত্ব ও স্থায়িত্বকে রক্ষা করার পরিবর্তে তার ধ্বংসকেই স্বাগত জানায়। এর মূল পদ্ধতি হচ্ছে, বিবাহ পদ্ধতি। এর মাধ্যমে মানবজাতির প্রতিটি সম্পর্ক এমন একটি স্থায়ী ও বিশ্বস্ততার চুক্তির ভিত্তিতে গড়ে উঠে, যা সমাজের সকলের কাছে পরিচিত এবং সমাজও এর স্থায়িত্বের ব্যাপারে দায়বদ্ধ। কেননা এ ধরনের চুক্তি ছাড়া মানুষের বংশধারা এক দিনের জন্যও চলতে পারে না।

যিনার কাজে কোন মেয়েকে বাধ্য করা যাবে না :

وَلَا تُكْرِهُوْا فَتَيَاتِكُمْ عَلَى الْبِغَآءِ اِنْ اَرَدْنَ تَحَصُّنًا لِّتَبْتَغُوْا عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَاؕ وَمَنْ يُّكْرِهْهُّنَّ فَاِنَّ اللهَ مِنْ ۢ بَعْدِ اِكْرَاهِهِنَّ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

তোমাদের দাসীগণ সতীত্ব রক্ষা করতে চাইলে পার্থিব জীবনের ধন-লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারিণী হতে বাধ্য করো না। আর যদি তাদেরকে বাধ্য করা হয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ জবরদস্তির পর তাদের উপর ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা নূর- ৩৩)

ব্যাখ্যা : জাহেলী যুগে আরব দেশে দু’ধরনের পতিতাবৃত্তির প্রচলন ছিল। (এক) ঘরোয়া পরিবেশে গোপন বেশ্যাবৃত্তি। (দুই) যথারীতি বেশ্যালয়ে বেশ্যাবৃত্তি। ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানার মধ্যে বেশ্যাবৃত্তির ব্যবসাকে সম্পূর্ণরূপে আইনবিরোধী বলে গণ্য করা হয়েছে। নবী ﷺ যিনার বিনিময়ে অর্জিত অর্থকে হারাম ও নিকৃষ্টতম বলে গণ্য করেছেন। (সহীহ বুখারী, হা/৫৩৪৬; সহীহ মুসলিম, হা/৪০৯৪; আবু দাউদ, হা/৩৪৮৬)

লজ্জাস্থানের হেফাজত করা মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য :

وَالَّذِيْنَ هُمْ لِفُرُوْجِهِمْ حَافِظُوْنَ اِلَّا عَلٰۤى اَزْوَاجِهِمْ اَوْ مَا مَلَكَتْ اَيْمَانُهُمْ فَاِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُوْمِيْنَ فَمَنِ ابْتَغٰى وَرَآءَ ذٰلِكَ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْعَادُوْنَ

আর যারা নিজেদের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত (অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে) নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে, এতে তারা নিন্দনীয় হবে না। তবে কেউ যদি তাদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে কামনা করে, তবে সে সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (সূরা মু’মিনূন, ৫-৭; সূরা মা‘আরিজ, ২৯-৩১)

যিনা না করার জন্য নবী ﷺ নারীদের কাছ থেকে বায়‘আত (শপথ) নিতেন :

يَاۤ اَيُّهَا النَّبِيُّ اِذَا جَآءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ عَلٰۤى اَنْ لَّا يُشْرِكْنَ بِاللهِ شَيْئًا وَّلَا يَسْرِقْنَ وَلَا يَزْنِيْنَ وَلَا يَقْتُلْنَ اَوْلَادَهُنَّ وَلَا يَأْتِيْنَ بِبُهْتَانٍ يَّفْتَرِيْنَهٗ بَيْنَ اَيْدِيْهِنَّ وَاَرْجُلِهِنَّ وَلَا يَعْصِيْنَكَ فِيْ مَعْرُوْفٍ فَبَايِعْهُنَّ وَاسْتَغْفِرْ لَهُنَّ اللهَؕ اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

হে নবী! যখন মুমিন নারীরা তোমার নিকট এসে এ মর্মে বায়‘আত গ্রহণ করে যে, তারা আল্লাহর সাথে কোন শরীক স্থির করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, নিজেদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, স্বজ্ঞানে নিজেদের মধ্যে কোন অপবাদ রটাবে না এবং কোন সৎকার্যে তোমার বিরোধিতা করবে না, তখন তুমি তাদের বায়‘আত গ্রহণ করো এবং তাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করো। নিশ্চয় আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা মুমতাহিনা- ১২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন