hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৫৪
অধ্যায়- ১ : সম্পদ ব্যবহারের নিয়মাবলি
সবকিছুর প্রকৃত মালিকানা আল্লাহর হাতে :

لِلّٰهِ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْاَرْضِ

আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর। (সূরা বাক্বারা- ২৮৪)

وَلِلّٰهِ مِيْرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মালিকানা আল্লাহরই। (সূরা হাদীদ- ১০)

মানুষের কল্যাণের জন্যই আল্লাহ সবকিছু সৃষ্টি করেছেন :

هُوَ الَّذِيْ خَلَقَ لَكُمْ مَّا فِى الْاَرْضِ جَمِيْعًا

তিনি সেই সত্তা, যিনি পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছুই তোমাদের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন। (সূরা বাক্বারা- ২৯)

সম্পদের আবর্তন হওয়া জরুরি :

كَيْ لَا يَكُوْنَ دُوْلَةً ۢبَيْنَ الْاَغْنِيَآءِ مِنْكُمْ

যাতে করে তোমাদের মধ্যে যারা ধনী কেবল তাদের মধ্যেই সম্পদ আবর্তন না করে। (সূরা হাশর- ৭)

সম্পদ গচ্ছিত রাখা মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয় :

وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ اَلَّذِيْ جَمَعَ مَالًا وَّعَدَّدَهٗ

দুর্ভোগ, প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর জন্য। যে অর্থ সঞ্চয় করে ও গণনা করে। (সূরা হুমাযাহ- ১, ২)

খরচের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে :

وَالَّذِيْنَ اِذَاۤ اَنْفَقُوْا لَمْ يُسْرِفُوْا وَلَمْ يَقْتُرُوْا وَكَانَ بَيْنَ ذٰلِكَ قَوَامًا

(মুমিনের একটি গুণ হলো) যখন তারা ব্যয় করে, তখন অপব্যয় করে না এবং কার্পণ্যও করে না; বরং তারা মধ্যম পন্থায় ব্যয় করে। (সূরা ফুরক্বান- ৬৭)

ব্যাখ্যা : ইসলামের দৃষ্টিতে তিনটি জিনিসকে ইসরাফ বা অমিতব্যয়িতা বলা হয়।

(এক) অবৈধ কাজে অর্থ ব্যয় করা, যদিও তা একটি পয়সার সমপরিমাণ হয়।

(দুই) বৈধ কাজে ব্যয় করতে গিয়ে সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে সে নিজের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি ব্যয় করে অথবা সে যে অর্থসম্পদ লাভ করেছে তা হতে নিজের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ব্যয় করে।

(তিন) সৎকাজে ব্যয় করা, যা আল্লাহর জন্য নয় বরং অন্যান্য মানুষকে দেখানোর জন্য। পক্ষান্তরে কার্পণ্য বলে বিবেচিত হয় দু’টি জিনিস। এক, প্রয়োজন পূরণের জন্য নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় না করা। দুই, ভালো ও সৎকাজে ব্যয় না করা। এ দু’টি প্রান্তিকতার মাঝে ইসলামই হচ্ছে ভারসাম্যের সঠিক পথ।

মিতব্যয়ী হতে হবে :

وَلَا تَجْعَلْ يَدَكَ مَغْلُوْلَةً اِلٰى عُنُقِكَ وَلَا تَبْسُطْهَا كُلَّ الْبَسْطِ فَتَقْعُدَ مَلُوْمًا مَّحْسُوْرًا

তুমি তোমার হস্ত তোমার ঘাড়ে আবদ্ধ করে রেখো না এবং তা সম্পূর্ণ প্রসারিতও করো না, তাহলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে পড়বে। (সূরা বনী ইসরাঈল- ২৯)

ব্যাখ্যা : অর্থাৎ তোমাদেরকে এমন হতে হবে, যাতে কৃপণ হয়ে অর্থের আবর্তন বন্ধ করে না দাও অথবা অপব্যয়ী হয়ে নিজের অর্থনৈতিক শক্তি ধ্বংস করে না ফেল। বরং তোমাদের মধ্যে ভারসাম্যের এমন মানসিকতা থাকতে হবে, যার ফলে তোমরা যথার্থ ব্যয় থেকে বিরত হবে না, আবার অযথা ব্যয়জনিত ক্ষতিরও শিকার হবে না। অহংকার ও লোক দেখানো ব্যয়, বিলাসিতা, ফাসিকী ও অশ্লীল কাজে ব্যয় এবং যে ব্যয় মানুষের ধনসম্পদ প্রকৃত প্রয়োজনে কাজে লাগার পরিবর্তে ভুল পথে ব্যয় হয়- এসবই আল্লাহর নিয়ামত অস্বীকার করার নামান্তর। যারা এভাবে নিজেদের ধনসম্পদ খরচ করে তাদেরকে শয়তানের ভাই বলা হয়েছে।

অপচয় বর্জন করতে হবে :

وَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا وَلَا تُسْرِفُوْاۚ اِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِيْنَ

তোমরা খাও এবং পান করো, কিন্তু অপচয় করো না; নিশ্চয় আল্লাহ অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা আ‘রাফ- ৩১)

কৃপণতা ত্যাগ করতে হবে :

وَلَا يَحْسَبَنَّ الَّذِيْنَ يَبْخَلُوْنَ بِمَاۤ اٰتَاهُمُ اللهُ مِنْ فَضْلِهٖ هُوَ خَيْرًا لَّهُمْؕ بَلْ هُوَ شَرٌّ لَّهُمْؕ سَيُطَوَّقُوْنَ مَا بَخِلُوْا بِهٖ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

আল্লাহ যাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহ হতে যা কিছু দান করেছেন সে বিষয়ে যারা কার্পণ্য করে তারা যেন এরূপ ধারণা না করে যে, তা তাদের জন্য কল্যাণকর। বরং তা তাদের জন্য ক্ষতিকর, তারা যে বিষয়ে কৃপণতা করেছে পুনরুত্থান দিবসে সেটাই তাদের গলার বেড়ি হবে। (সূরা আলে ইমরান- ১৮০)

দান খয়রাত করতে হবে :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اَنْفِقُوْا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّاۤ اَخْرَجْنَا لَكُمْ مِّنَ الْاَرْضِ

হে ঈমানদারগণ! তোমরা যা উপার্জন করেছ এবং আমি জমিন থেকে যা উৎপন্ন করি তার মধ্য হতে পবিত্র জিনিসসমূহ দান করো। (সূরা বাক্বারা- ২৬৭)

ব্যাখ্যা : অর্থাৎ পৃথিবী ও আকাশের যে জিনিসই যে কেউ ব্যবহার করুক না কেন তা মূলত আল্লাহর মালিকানাধীন। তার উপর সৃষ্টির আধিপত্য ও তাকে ব্যবহার করার অধিকার সাময়িক। প্রত্যেককে অবশ্যই তার দখল ছাড়তে হবে। অবশেষে সবকিছুই আল্লাহর কাছে চলে যাবে। কাজেই এ সাময়িক দখল লাভ করে যে ব্যক্তি আল্লাহর সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে, সে-ই বুদ্ধিমান।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন