hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৪৬
অধ্যায়- ৭ : যারা দুনিয়া-আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে
যারা আনুগত্যে অটল থাকে না :

وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَّعْبُدُ اللهَ عَلٰى حَرْفٍۚ فَاِنْ اَصَابَهٗ خَيْرُنِ اطْمَاَنَّ بِهٖۚ وَاِنْ اَصَابَتْهُ فِتْنَةُ نِ انْقَلَبَ عَلٰى وَجْهِهٖۚ خَسِرَ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةَؕ ذٰلِكَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِيْنُ

মানুষের মধ্যে কেউ কেউ দ্বিধার সাথে আল্লাহর ইবাদাত করে। অতঃপর তার মঙ্গল হলে তাতে তার চিত্ত প্রশামত্ম হয় এবং কোন বিপর্যয় ঘটলে সে তার পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। সে দুনিয়াতে ও আখিরাতে ক্ষতিগ্রসত্ম হয়; আর এটাই তো সুস্পষ্ট ক্ষতি। (সূরা হজ্জ- ১১)

ব্যাখ্যা : তারা এমন ব্যক্তি যাদের মানসিক গঠন অপরিপক্ক, আকীদা-বিশ্বাস দুর্বল এবং যারা প্রবৃত্তির অনুসারী। তারা ইসলাম গ্রহণ করে দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে। তাদের ঈমান এ শর্তের সাথে জড়িত যে, তাদের সবধরনের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করে দিতে হবে। অতঃপর যখন আল্লাহ তা‘আলা তাদের কামনা-বাসনা পূর্ণ করে দেন, তখন তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকে এবং তাঁর দ্বীনকে খুবই ভালো মনে করে। কিন্তু যখনই তারা আল্লাহর পথে কোন বিপদাপদ বা ক্ষতির শিকার হয় কিংবা কোন আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ না হয়, তখনই তারা আল্লাহর সার্বভৌম ক্ষমতা, রাসূলের রিসালাত ও দ্বীনের সত্যতা কোনটার উপরই নিশ্চিন্ত থাকে না; বরং তারা তাগুতের প্রতি ঝুঁকে পড়ে।

যারা কাফির :

فَلَمْ يَكُ يَنْفَعُهُمْ اِيْمَانُهُمْ لَمَّا رَاَوْا بَاْسَنَاؕ سُنَّةَ اللهِ الَّتِيْ قَدْ خَلَتْ فِيْ عِبَادِهٖۚ وَخَسِرَ هُنَالِكَ الْكَافِرُوْنَ

যখন তারা আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করল, তখন তাদের ঈমান তাদের কোন উপকারে আসল না। আল্লাহর এই বিধান পূর্ব হতেই তাঁর বান্দাদের মধ্যে চলে আসছে এবং সে ক্ষেত্রে কাফিররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। (সূরা মু’মিন- ৮৫)

যারা ঈমান আনতে অস্বীকার করে :

وَمَنْ يَّكْفُرْ بِالْاِيْمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهٗؗ وَهُوَ فِى الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ

আর যে ব্যক্তি ঈমান প্রত্যাখ্যান করবে, তার কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা মায়েদা- ৫)

যারা ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম গ্রহণ করে :

وَمَنْ يَّبْتَغِ غَيْرَ الْاِسْلَامِ دِيْنًا فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْهُۚ وَهُوَ فِى الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ

আর যে ব্যক্তি ইসলামকে বাদ দিয়ে অন্য কোন জীবনব্যবস্থা তালাশ করবে, তার কাছ থেকে কিছুই কবুল করা হবে না। অতঃপর আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা আলে ইমরান- ৮৫)

যারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করাকে মিথ্যা মনে করে :

قَدْ خَسِرَ الَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِلِقَآءِ اللهِ

যারা আল্লাহর সম্মুখীন হওয়াকে মিথ্যা বলেছে, অবশ্যই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। (সূরা আন‘আম- ৩১)

যারা আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে না :

اِنَّ الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَةِ زَيَّنَّا لَهُمْ اَعْمَالَهُمْ فَهُمْ يَعْمَهُوْنَ اُولٰٓئِكَ الَّذِيْنَ لَهُمْ سُوْٓءُ الْعَذَابِ وَهُمْ فِى الْاٰخِرَةِ هُمُ الْاَخْسَرُوْنَ

যারা আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে না, আমি তাদের কর্মকে তাদের দৃষ্টিতে শোভন করে দিয়েছি, ফলে তারা বিভ্রামিত্মতে ঘুরে বেড়ায়। এদের জন্য রয়েছে কঠিন শাসিত্ম, আর আখিরাতে তারাই হবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা নামল- ৪, ৫)

যারা মনে করে যে, পরকালে তার বিপক্ষে কেউ সাক্ষ্য দেবে না :

وَمَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُوْنَ اَنْ يَّشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلَاۤ اَبْصَارُكُمْ وَلَا جُلُوْدُكُمْ وَلٰكِنْ ظَنَنْتُمْ اَنَّ اللهَ لَا يَعْلَمُ كَثِيْرًا مِّمَّا تَعْمَلُوْنَ وَذٰلِكُمْ ظَنُّكُمُ الَّذِيْ ظَنَنْتُمْ بِرَبِّكُمْ اَرْدَاكُمْ فَاَصْبَحْتُمْ مِّنَ الْخَاسِرِيْنَ

তোমরা কোনকিছু গোপন করতে না এ বিশ্বাসে যে, তোমাদের কর্ণ, চক্ষু এবং ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে না। উপরন্তু তোমরা মনে করতে যে, তোমরা যা করতে তার অনেক কিছুই আল্লাহ জানেন না। তোমাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে তোমাদের এ ধারণাই তোমাদেরকে ধ্বংস করেছে। ফলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ। (সূরা হা-মীম সাজদা- ২২, ২৩)

যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে :

وَلَا تَكُوْنَنَّ مِنَ الَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِاٰيَاتِ اللهِ فَتَكُوْنَ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ

যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে প্রত্যাখ্যান করেছে, কখনো তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না; তাহলে তুমিও ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা ইউনুস- ৯৫)

যারা আল্লাহর পথে বাধা দেয় ও বক্রতা সৃষ্টি করে :

اَلَّذِيْنَ يَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِ اللهِ وَيَبْغُوْنَهَا عِوَجًاؕ وَهُمْ بِالْاٰخِرَةِ هُمْ كَافِرُوْنَ اُولٰٓئِكَ لَمْ يَكُوْنُوْا مُعْجِزِيْنَ فِى الْاَرْضِ وَمَا كَانَ لَهُمْ مِّنْ دُوْنِ اللهِ مِنْ اَوْلِيَآءَۘ يُضَاعَفُ لَهُمُ الْعَذَابُؕ مَا كَانُوْا يَسْتَطِيْعُوْنَ السَّمْعَ وَمَا كَانُوْا يُبْصِرُوْنَ اُولٰٓئِكَ الَّذِيْنَ خَسِرُوْاۤ اَنْفُسَهُمْ وَضَلَّ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَفْتَرُوْنَ لَا جَرَمَ اَنَّهُمْ فِى الْاٰخِرَةِ هُمُ الْاَخْسَرُوْنَ

যারা আল্লাহর পথে বাধা দেয় এবং এতে বক্রতা অনুসন্ধান করে; তারাই আখিরাতের ব্যাপারে অবিশ্বাসী। তারা পৃথিবীতে আল্লাহকে অপারগ করতে পারেনি এবং আল্লাহ ব্যতীত তাদের অপর কোন অভিভাবকও ছিল না। তাদের শাসিত্ম দ্বিগুণ করা হবে, কারণ তারা শুনার সামর্থ্য রাখত না এবং তারা দেখতেও পারত না। তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করল এবং তারা যে অহেতুক কল্পনা করত তা তাদের নিকট হতে উধাও হয়ে গেল। নিঃসন্দেহে তারাই আখিরাতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রসত্মদের অমত্মর্ভুক্ত হবে। (সূরা হুদ, ১৯-২২)

যারা মন্দকাজ করে এবং সেটাকেই ভালো মনে করে :

قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْاَخْسَرِيْنَ اَعْمَالًا اَ لَّذِيْنَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِى الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُوْنَ اَنَّهُمْ يُحْسِنُوْنَ صُنْعًا

বলো, আমি কি তোমাদেরকে আমলের দিক থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রসত্মদের সম্পর্কে সংবাদ দেব? তারা হলো, পার্থিব জীবনে যাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে; যদিও তারা মনে করে যে, তারা সৎকর্মই করে যাচ্ছে। (সূরা কাহফ- ১০৩, ১০৪)

যারা সম্পর্ক নষ্ট করে এবং জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করে :

اَلَّذِيْنَ يَنْقُضُوْنَ عَهْدَ اللهِ مِنْ ۢبَعْدِ مِيْثَاقِه۪ٖ وَيَقْطَعُوْنَ مَاۤ اَمَرَ اللهُ بِهٖۤ اَنْ يُّوْصَلَ وَيُفْسِدُوْنَ فِى الْاَرْضِؕ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْخَاسِرُوْنَ

যারা আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে এবং ঐসব সম্পর্ক ছিন্ন করে, যা আল্লাহ অক্ষুণ্ণ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং যারা পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা বাক্বারা- ২৭)

যারা ধনসম্পদের মোহে পড়ে আল্লাহকে ভুলে যায় :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تُلْهِكُمْ اَمْوَالُكُمْ وَلَاۤ اَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللهِۚ وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْخَاسِرُوْنَ

হে মুমিনগণ! তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ হতে উদাসীন না করে দেয়। যারা এমন করবে (উদাসীন হবে) তারাই ক্ষতিগ্রস্তদের অমত্মর্ভুক্ত হবে । (সূরা মুনাফিকূন- ৯)

যারা শয়তানের সাথে বন্ধুত্ব করে :

وَمَنْ يَّتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّنْ دُوْنِ اللهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِيْنًا

আর যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবর্তে শয়তানকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করবে, সে স্পষ্টভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (সূরা নিসা- ১১৯)

যারা শয়তানের দলে অংশ নেয় :

اِسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطَانُ فَاَنْسَاهُمْ ذِكْرَ اللهِؕ اُولٰٓئِكَ حِزْبُ الشَّيْطَانِؕ اَ لَاۤ اِنَّ حِزْبَ الشَّيْطَانِ هُمُ الْخَاسِرُوْنَ

শয়তান তাদের উপর পরিপূর্ণ আধিপত্য বিস্তার লাভ করে নিয়েছে। অতঃপর সে তাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে ভুলিয়ে দিয়েছে। তারাই হলো শয়তানের দল, সাবধান! নিশ্চয় শয়তানের দল ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। (সূরা মুজাদালা- ১৯)

যারা কাফিরদের অনুসরণ করে :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اِنْ تُطِيْعُوا الَّذِيْنَ كَفَرُوْا يَرُدُّوْكُمْ عَلٰۤى اَعْقَابِكُمْ فَتَنْقَلِبُوْا خَاسِرِيْنَ

হে মুমিনগণ! যদি তোমরা কাফিরদের অনুসরণ কর, তবে তারা তোমাদেরকে পেছনে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। আর তাতে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রত্যাবর্তিত হবে। (সূরা আলে ইমরান- ১৪৯)

যারা বাতিলের প্রতি বিশ্বাস রাখে :

وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِالْبَاطِلِ وَكَفَرُوْا بِاللهِ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْخَاسِرُوْنَ

যারা অসত্যের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আল্লাহকে অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা আনকাবূত- ৫২)

وَيَوْمَ تَقُوْمُ السَّاعَةُ يَوْمَئِذٍ يَّخْسَرُ الْمُبْطِلُوْنَ

যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে সেদিন বাতিলপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা জাসিয়া- ২৭)

যাদের নেক আমলের পাল্লা হালকা হবে :

وَمَنْ خَفَّتْ مَوَازِيْنُهٗ فَاُولٰٓئِكَ الَّذِيْنَ خَسِرُوْاۤ اَنْفُسَهُمْ فِيْ جَهَنَّمَ خَالِدُوْنَ

যাদের পাল্লা হালকা হবে তারাই তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে, যারা নিজেদেরকে ক্ষতিগ্রসত্ম করেছে; আর তারাই জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে। (সূরা মু’মিনূন- ১০৩)

وَمَنْ خَفَّتْ مَوَازِيْنُهٗ فَاُولٰٓئِكَ الَّذِيْنَ خَسِرُوْاۤ اَنْفُسَهُمْ بِمَا كَانُوْا بِاٰيَاتِنَا يَظْلِمُوْنَ

যাদের পাল্লা হালকা হবে তারাই সেসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত হবে, যারা নিজেদের ক্ষতি করেছে; যেহেতু তারা আমার নিদর্শনসমূহকে প্রত্যাখ্যান করত। (সূরা আ‘রাফ- ৯)

যারা পরকালে সব হারাবে :

قُلْ اِنَّ الْخَاسِرِيْنَ الَّذِيْنَ خَسِرُوْاۤ اَنْفُسَهُمْ وَاَهْلِيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِؕ اَ لَا ذٰلِكَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِيْنُ

বলো, নিশ্চয় কিয়ামতের দিন তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যারা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবারবর্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সাবধান! এটাই প্রকাশ্য ক্ষতি। (সূরা যুমার- ১৫)

اِنَّ الْخَاسِرِيْنَ الَّذِيْنَ خَسِرُوْاۤ اَنْفُسَهُمْ وَاَهْلِيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِؕ اَ لَاۤ اِنَّ الظَّالِمِيْنَ فِيْ عَذَابٍ مُّقِيْمٍ

নিশ্চয় কিয়ামতের দিন তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যারা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবারবর্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সাবধান! নিশ্চয় যালিমরা স্থায়ী আযাবের মধ্যে অবস্থান করবে। (সূরা শূরা- ৪৫)

ব্যাখ্যা : কারো ব্যবসায় খাটানো সমস্ত পুঁজি যদি নষ্ট হয়ে যায় এবং বাজারে তার পাওনাদারের সংখ্যা এত বেড়ে যায় যে, নিজের সবকিছু দিয়েও সে দায়মুক্ত হতে পারবে না, তাহলে এরূপ অবস্থাকেই দেউলিয়াত্ব বলে। এখানে আল্লাহ তা‘আলা কাফির ও মুশরিকদের জন্য এ রূপক ভাষাটিই ব্যবহার করেছেন। মানুষ এ পৃথিবীতে জীবন, আয়ু, জ্ঞানবুদ্ধি, শরীর, শক্তি, যোগ্যতা, উপায়-উপকরণ এবং সুযোগসুবিধা যা কিছু লাভ করেছে তার সমষ্টি এমন একটি পুঁজি, যা সে পার্থিব জীবনের কারবারে খাটায়। কেউ যদি এ পুঁজির সবটাই এই অনুমানের উপর ভিত্তি করে খাটায় যে, ইলাহ্ বলতে কেউ নেই কিংবা অনেক ইলাহ্ আছে; আর সে তাদের বান্দা। তাকে কারো কাছে হিসাব দিতে হবে না, কিংবা হিসাব-নিকাশের সময় অন্য কেউ এসে তাকে রক্ষা করবে, তাহলে এর অর্থ হচ্ছে সে ক্ষতিগ্রস্ত হলো এবং নিজের সবকিছু বিসর্জন দিল। এটা হচ্ছে প্রথম ক্ষতি। দ্বিতীয় ক্ষতি হচ্ছে, এই ভ্রান্ত অনুমানের ভিত্তিতে সে যত কাজ করল, সেসব কাজের ক্ষেত্রে সে নিজেকে সহ দুনিয়ার বহু সৃষ্টির উপর জীবনভর যুলুম করল। তাছাড়া আরো একটি ক্ষতি হচ্ছে, সে নিজেই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হলো না, বরং নিজের সন্তান-সন্ততি ও আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবকেও তার ভ্রান্ত শিক্ষার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত করল। এ তিনটি ক্ষতির সমষ্টিকে আল্লাহ তা‘আলা সুস্পষ্ট ক্ষতি বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায় হলো সূরা আসরের উপর আমল করা :

وَالْعَصْرِ اِنَّ الْاِنْسَانَ لَفِيْ خُسْرٍ اِلَّا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ

যুগের কসম, নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকাজ করে; আর পরস্পরকে সত্যের তাকীদ করে এবং তাকীদ করে সবরের। (সূরা আসর)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন