hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩২৪
অধ্যায়- ২ : মানুষের বিশেষত্ব ও মর্যাদা
আল্লাহ মানুষকে জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন :

اَلرَّحْمٰنُ عَلَّمَ الْقُرْاٰنَ

পরম দয়াময় (আল্লাহ), তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কুরআন। (সূরা আর রহমান- ১, ২)

اَلَّذِيْ عَلَّمَ بِالْقَلَمِ عَلَّمَ الْاِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ

যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন, যা সে জানত না। (সূরা আলাক্ব- ৪, ৫)

ব্যাখ্যা : তিনি গোটা সৃষ্টিজগতে যা কিছুই সৃষ্টি করেছেন, তা কেবল সৃষ্টি করেই ছেড়ে দেননি। তাকে এমন উপযুক্ত আকার-আকৃতি দিয়েছেন, যার সাহায্যে সে কাজের যোগ্য হতে পারে। সাথে সাথে সে কাজ সম্পাদন করার পন্থাও তাকে শিখিয়েছেন। মানুষের দেহের একেকটি লোম এবং একেকটি কোষকে মানবদেহে যে কাজ আঞ্জাম দিতে হবে সে কাজ শিখেই তা জন্ম লাভ করেছে। তাই মানুষ নিজে কেমন করে তার স্রষ্টার শিক্ষা ও পথনির্দেশ লাভ করা থেকে মুক্ত ও বঞ্চিত হতে পারে? এ বিষয়টি কুরআন মাজীদের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ভঙ্গিতে বুঝানো হয়েছে। ফিরাউন মূসা (আঃ) এর মুখে রিসালাতের পয়গাম শুনে বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘‘তোমার রব কে, যে আমার কাছে দূত পাঠায়? জবাবে মূসা (আঃ) বললেন, ‘‘তিনিই আমার রব, যিনি প্রতিটি জিনিসকে একটি নির্দিষ্ট আকার-আকৃতি দান করে পথপ্রদর্শন করেছেন।’’ অর্থাৎ তিনি তাকে সেই নিয়মপদ্ধতি শিখিয়েছেন, যার সাহায্যে সে বস্তুজগতে তার করণীয় কাজ সম্পাদন করতে পারবে। মানুষকে শিক্ষা দেয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে নবী-রাসূল ও কিতাব আসাটা অতি প্রয়োজনীয় বিষয় ছিল।

মানুষকে কথা বলা শিখিয়েছেন :

خَلَقَ الْاِنْسَانَ عَلَّمَهُ الْبَيَانَ

তিনিই মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই তাকে কথা বলা শিখিয়েছেন। (সূরা আর রহমান- ৩, ৪)

ব্যাখ্যা : এর একটি অর্থ হচ্ছে, মনের ভাব প্রকাশ করা। অর্থাৎ কোনকিছু বলা এবং নিজের উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায় ব্যক্ত করা। দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে, পার্থক্য ও বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট করে তুলা। বাকশক্তি এমন এক বৈশিষ্ট্য, যা মানুষকে পৃথিবীর অন্যান্য সৃষ্টিকুল থেকে পৃথক করে দেয়। একইভাবে মানুষের আরেকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ গুণ হলো আল্লাহ তা‘আলা তার মধ্যে একটি নৈতিক অনুভূতি সৃষ্টি করে দিয়েছেন, যার কারণে সে প্রকৃতিগতভাবেই ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, যুলুম-ইনসাফ, উচিত-অনুচিতের মধ্যে পার্থক্য করে এবং চরম গোমরাহী ও অজ্ঞতার মধ্যেও তার ভেতরের এ আত্মজ্ঞান ও অনুভূতি লোপ পায় না।

মানুষকে সম্মানিত করেছেন এবং উত্তম রিযিক দান করেছেন :

وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِيْۤ اٰدَمَ وَحَمَلْنَاهُمْ فِى الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنَاهُمْ مِّنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلٰى كَثِيْرٍ مِّمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيْلًا

আমি আদমসমত্মানকে মর্যাদা দান করেছি এবং স্থলে ও সমুদ্রে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি। তাদেরকে উত্তম রিযিক দান করেছি, এমনকি আমি যাদেরকে সৃষ্টি করেছি তাদের অনেকের উপর তাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৭০)

পৃথিবীকে মানুষের বসবাসের উপযুক্ত করেছেন :

وَلَقَدْ مَكَّنَّاكُمْ فِى الْاَرْضِ وَجَعَلْنَا لَكُمْ فِيْهَا مَعَايِشَؕ قَلِيْلًا مَّا تَشْكُرُوْنَ

আমি তো তোমাদেরকে দুনিয়ায় বসবাসের স্থান দিয়েছি এবং তাতে তোমাদের জীবিকার ব্যবস্থাও করেছি; কিন্তু তোমরা তো খুব অল্পই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর। (সূরা আ‘রাফ- ১০)

ব্যাখ্যা : আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করার পূর্বেই তাদের জন্য একটি সুরক্ষিত ও নিরাপদ আবাসস্থল প্রস্তুত করেছেন। তারপর তাদেরকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যে, একটি সর্বোত্তম দেহকাঠামো, উপযুক্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং উন্নত দেহ ও চিন্তা শক্তি দিয়েছেন। এ সুন্দরতম দেহকাঠামো, হাত, পা, চোখ, নাক, কান, জিহবা এবং সর্বোত্তম যোগ্যতার ভান্ডার এ মস্তিষ্ক মানুষ নিজে তৈরি করে আনেনি, তাদের বাবা-মাও তৈরি করেনি, কোন নবী, ওলী কিংবা দেবতার মধ্যেও তা তৈরি করার ক্ষমতা ছিল না। এসব যোগ্যতা ও ক্ষমতার সৃষ্টিকারী ছিলেন সে মহাজ্ঞানী, দয়ালু ও সর্বশক্তিমান সত্তা, যিনি মানুষকে সৃষ্টি করার সময় পৃথিবীতে কাজ করার জন্য তাকে এ নজীরবিহীন দেহ দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর জন্মলাভ করার সাথে সাথে নিজ অনুগ্রহে প্রচুর পরিমাণ খাদ্যবস্তু ও পানাহারের ব্যবস্থা করেছেন। আর সেগুলো খুবই সুস্বাদু ও সুবাসিত, যা মানুষের দেহের লালন ও প্রবৃদ্ধির জন্য উপযোগী। পানি, খাদ্য, শস্য, তরকারী, ফলমূল, দুধ, মধু, গোশত, লবণ, মরিচ ও মসলা মানুষের পুষ্টি সাধন এবং জীবনের পরিপূর্ণ আস্বাদন লাভের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আর এ ব্যবস্থাপনা সর্বদা চালু রয়েছে। এটি কখনো একটি মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয় না। তাদের রিযিকের এ ব্যবস্থা না করেই যদি মানুষকে সৃষ্টি করা হতো তাহলে তাদের পরিস্থিতি কী দাঁড়াত? সুতরাং এটা এ বিষয়ের সুস্পষ্ট প্রমাণ যে, তোমাদের স্রষ্টা শুধু স্রষ্টাই নন, বরং মহাজ্ঞানী স্রষ্টা এবং অত্যন্ত দয়ালু। অতএব মানুষের উচিত, তাদের প্রতি আল্লাহর এ অনুগ্রহকে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা এবং এতে কাউকে শরীক না করা।

মানুষকে নিয়ামত দিয়ে ভরপুর করে রেখেছেন :

وَاَسْبَغَ عَلَيْكُمْ نِعَمَهٗ ظَاهِرَةً وَّبَاطِنَةً

তিনিই তোমাদের প্রতি তার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল নিয়ামত পূর্ণ করে দিয়েছেন। (সূরা লুক্বমান- ২০)

পরিধান করার জন্য পোশাক দিয়েছেন :

يَا بَنِيْۤ اٰدَمَ قَدْ اَنْزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُّوَارِيْ سَوْاٰتِكُمْ وَرِيْشًاؕ وَلِبَاسُ التَّقْوٰى ذٰلِكَ خَيْرٌ ذٰلِكَ مِنْ اٰيَاتِ اللهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُوْنَ

হে বনী আদম! তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করা ও বেশভূষার জন্য আমি তোমাদেরকে পোষাক দান করেছি এবং (আরো দিয়েছি) তাক্বওয়ার পোষাক, আর এটাই সর্বোত্তম (পোষাক)। এটা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম, হয়তো তারা (এর মাধ্যমে) উপদেশ গ্রহণ করতে পারবে। (সূরা আ‘রাফ- ২৬)

পথ দেখানোর জন্য নবী ও কিতাব পাঠিয়েছেন :

لَقَدْ اَرْسَلْنَا رُسُلَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَاَنْزَلْنَا مَعَهُمُ الْكِتَابَ وَالْمِيْزَانَ لِيَقُوْمَ النَّاسُ بِالْقِسْطِ

নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে প্রেরণ করেছি স্পষ্ট প্রমাণসহ এবং তাদের সাথে দিয়েছি কিতাব ও দাঁড়িপাল্লা, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে। (সূরা হাদীদ- ২৫)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন