hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৪২
অধ্যায়- ২৫ : মূসা (আঃ) এর হিজরতের পরবর্তী ইতিহাস
আল্লাহ মূসা (আঃ) কে চল্লিশ দিনের জন্য সিনাই পর্বতে ডাকলেন :

وَوَاعَدْنَا مُوْسٰى ثَلَاثِيْنَ لَيْلَةً وَّاَتْمَمْنَاهَا بِعَشْرٍ فَتَمَّ مِيْقَاتُ رَبِّهٖۤ اَرْبَعِيْنَ لَيْلَةً

স্মরণ করো, যখন আমি মূসার জন্য ত্রিশ রাত্রি নির্ধারিত করি এবং আরো দশ দ্বারা তা পূর্ণ করি। অতঃপর যখন তার প্রতিপালকের নির্ধারিত চল্লিশ রাত্রি পূর্ণ হয়। (সূরা আ‘রাফু ১৪২)

মূসা (আঃ) হারূন (আঃ) কে খালিফা বানিয়ে চলে গেলেন :

وَقَالَ مُوْسٰى لِاَخِيْهِ هَارُوْنَ اخْلُفْنِيْ فِيْ قَوْمِيْ وَاَصْلِحْ وَلَا تَتَّبِعْ سَبِيْلَ الْمُفْسِدِيْنَ

মূসা তার ভাই হারূনকে বলল, আমার অনুপস্থিতিতে আমার সম্প্রদায়ের মধ্যে তুমি আমার প্রতিনিধিত্ব করবে, সংশোধন করবে এবং বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পথ অনুসরণ করবে না। (সূরা আ‘রাফু ১৪২)

মূসা (আঃ) আল্লাহকে দেখার আবেদন জানালেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি :

وَلَمَّا جَآءَ مُوْسٰى لِمِيْقَاتِنَا وَكَلَّمَهٗ رَبُّهٗ قَالَ رَبِّ اَرِنِۤيْ اَنْظُرْ اِلَيْكَؕ قَالَ لَنْ تَرَانِيْ وَلٰكِنِ انْظُرْ اِلَى الْجَبَلِ فَاِنِ اسْتَقَرَّ مَكَانَهٗ فَسَوْفَ تَرَانِيْۚ فَلَمَّا تَجَلّٰى رَبُّهٗ لِلْجَبَلِ جَعَلَهٗ دَكًّا وَّخَرَّ مُوْسٰى صَعِقًاۚ فَلَمَّاۤ اَفَاقَ قَالَ سُبْحَانَكَ تُبْتُ اِلَيْكَ وَاَنَاْ اَوَّلُ الْمُؤْمِنِيْنَ

স্মরণ করো, যখন মূসা আমার নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হলো এবং তার প্রতিপালক তার সাথে কথা বললেন। তখন সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দর্শন দাও, আমি তোমাকে দেখব। তিনি বললেন, তুমি আমাকে কখনই দেখতে পাবে না। বরং তুমি পাহাড়ের প্রতি লক্ষ্য করো, তা স্বস্থানে স্থির থাকলে তুমি আমাকে দেখতে পাবে। অতঃপর যখন তার প্রতিপালক পাহাড়ে জ্যোতি প্রকাশ করলেন, তখন তা পাহাড়কে চূর্ণ–বিচূর্ণ করে দিল এবং মূসা অজ্ঞান হয়ে পড়ল। যখন সে জ্ঞান ফিরে পেল তখন বলল, আমি তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আমি অনুতপ্ত হয়ে তোমার কাছেই প্রত্যাবর্তন করলাম এবং মুমিনদের মধ্যে আমিই প্রথম। (সূরা আ‘রাফু ১৪৩)

আল্লাহ তাকে ব্যাখ্যা সম্বলিত কিতাব দিলেন :

وَكَتَبْنَا لَهٗ فِى الْاَلْوَاحِ مِنْ كُلِّ شَيْءٍۚ مَوْعِظَةً وَّتَفْصِيْلًا لِّكُلِّ شَيْءٍۚ فَخُذْهَا بِقُوَّةٍ وَّأْمُرْ قَوْمَكَ يَأْخُذُوْا بِاَحْسَنِهَاؕ سَاُرِيْكُمْ دَارَ الْفَاسِقِيْنَ

আমি তার জন্য সর্ববিষয়ে উপদেশ ও সকল বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখ্যা ফলকে লিখিয়ে দিয়েছি। সুতরাং এগুলো শক্তভাবে আঁকড়ে ধরো এবং তোমার সম্প্রদায়কে তা হতে যা উত্তম তা গ্রহণ করতে নির্দেশ দাও। অতি শীঘ্রই আমি তোমাদেরকে সত্যত্যাগীদের বাসস্থান দেখিয়ে দেব। (সূরা আ‘রাফু ১৪৫)

আগে চলে যাওয়াতে আল্লাহ কৈফিয়ত চাইলেন :

وَمَاۤ اَعْجَلَكَ عَنْ قَوْمِكَ يَا مُوْسٰى

হে মূসা! কিসে তোমাকে তোমার সম্প্রদায়কে পশ্চাতে ফেলে তাড়াতাড়ি করতে বাধ্য করল? (সূরা ত্বা-হা– ৮৩)

মূসা (আঃ) উত্তরে বললেন :

قَالَ هُمْ اُولَآءِ عَلٰۤى اَثَرِيْ وَعَجِلْتُ اِلَيْكَ رَبِّ لِتَرْضٰى

সে বলল, তারা তো আমার পশ্চাতে। হে আমার প্রতিপালক! আমি তাড়াতাড়ি তোমার নিকট আসলাম, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও। (সূরা ত্বা–হা– ৮৪)

আল্লাহ বললেন, সামেরী বিপদ ঘটিয়েছে :

قَالَ فَاِنَّا قَدْ فَتَنَّا قَوْمَكَ مِنْ ۢ بَعْدِكَ وَاَضَلَّهُمُ السَّامِرِيُّ

তিনি বললেন, আমি তো তোমার চলে আসার পর তোমার সম্প্রদায়কে পরীক্ষায় ফেলেছি। ফলে সামেরী তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে দেয়। (সূরা ত্বা–হা– ৮৫)

মূসা (আঃ) এর জাতি গো–বৎসের পূজা শুরু করে দিল :

وَاِذْ وَاعَدْنَا مُوْسٰۤى اَرْبَعِيْنَ لَيْلَةً ثُمَّ اتَّخَذْتُمُ الْعِجْلَ مِنْ ۢ بَعْدِه

যখন আমি মূসার সঙ্গে চল্লিশ রাত্রির অঙ্গীকার করেছিলাম, তারপর তোমরা গো–বৎসকে (উপাস্য হিসেবে) গ্রহণ করে নিয়েছিলে। (সূরা বাক্বারা– ৫১)

وَاتَّخَذَ قَوْمُ مُوْسٰى مِنْ ۢ بَعْدِه مِنْ حُلِيِّهِمْ عِجْلًا جَسَدًا لَّهٗ خُوَارٌؕ اَلَمْ يَرَوْا اَنَّهٗ لَا يُكَلِّمُهُمْ وَلَا يَهْدِيْهِمْ سَبِيْلًا ۘ اِتَّخَذُوْهُ وَكَانُوْا ظَالِمِيْنَ

মূসার সম্প্রদায় তার অনুপস্থিতিতে নিজেদের অলংকার দ্বারা এক অবয়ব দিয়ে গো–বৎস বানাল, যা ‘হাম্বা’ করে শব্দ করত। কিন্তু তারা কি দেখল না যে, তা তাদের সাথে কথা বলে না ও তাদেরকে পথও দেখায় না? অতঃপর তারা তাকে উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করল; আর তারা ছিল যালিম। (সূরা আ‘রাফু ১৪৮)

সামেরী তাদেরকে মিথ্যা উপাস্য বানিয়ে দিল :

فَاَخْرَجَ لَهُمْ عِجْلًا جَسَدًا لَّهٗ خُوَارٌ فَقَالُوْا هٰذَاۤ اِلٰهُكُمْ وَاِلٰهُ مُوْسٰىۚ فَنَسِيَ

অতঃপর সে তাদের জন্য এক গো–বৎস তৈরি করল। (তা ছিল) এক অবয়ব, যা ‘হাম্বা’ করে শব্দ করত। তারা বলল, এটা তোমাদের ইলাহ্ এবং মূসারও ইলাহ, কিন্তু মূসা ভুলে গিয়েছে। (সূরা ত্বা–হা– ৮৮)

কিন্তু তারা বিবেক খাটাতে পারেনি :

اَفَلَا يَرَوْنَ اَ لَّا يَرْجِعُ اِلَيْهِمْ قَوْلًا وَّلَا يَمْلِكُ لَهُمْ ضَرًّا وَّلَا نَفْعًا

তবে কি তারা ভেবে দেখে না যে, তা তাদের কথায় সাড়া দেয় না এবং তাদের কোন ক্ষতি অথবা উপকার করার ক্ষমতা রাখে না? (সূরা ত্বা–হা– ৮৯)

হারূন (আঃ) তাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন :

وَلَقَدْ قَالَ لَهُمْ هَارُوْنُ مِنْ قَبْلُ يَا قَوْمِ اِنَّمَا فُتِنْتُمْ بِه ۚ وَاِنَّ رَبَّكُمُ الرَّحْمٰنُ فَاتَّبِعُوْنِيْ وَاَطِيْعُوْاۤ اَمْرِيْ

হারূন তাদেরকে পূর্বেই বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! এটা দ্বারা তো কেবল তোমাদেরকে পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে। নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক খুবই দয়াময়, সুতরাং তোমরা আমার অনুসরণ করো এবং আমার আদেশ মেনে চলো। (সূরা ত্বা–হা– ৯০)

তারপরও তারা বাছুর পূজা ছাড়েনি :

قَالُوْا لَنْ نَّبْرَحَ عَلَيْهِ عَاكِفِيْنَ حَتّٰى يَرْجِعَ اِلَيْنَا مُوْسٰى

তারা বলেছিল, আমাদের নিকট মূসা ফিরে না আসা পর্যন্ত কিছুতেই আমরা এর পূজা হতে বিরত হব না।

(সূরা ত্বা–হা– ৯১)

মূসা (আঃ) ফিরে এসে জাতিকে শাসালেন :

فَرَجَعَ مُوْسٰۤى اِلٰى قَوْمِه غَضْبَانَ اَسِفًاۚ قَالَ يَا قَوْمِ اَلَمْ يَعِدْكُمْ رَبُّكُمْ وَعْدًا حَسَنًاؕ اَفَطَالَ عَلَيْكُمُ الْعَهْدُ اَمْ اَرَدْتُّمْ اَنْ يَّحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ فَاَخْلَفْتُمْ مَّوْعِدِيْ

অতঃপর মূসা তার সম্প্রদায়ের নিকট ক্ষুদ্ধ হয়ে ফিরে গেল এবং বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমাদের প্রতিপালক কি তোমাদেরকে এক উত্তম প্রতিশ্রুতি দেননি? তবে কি প্রতিশ্রুতিকাল তোমাদের নিকট সুদীর্ঘ হয়েছে? নাকি তোমরা চেয়েছ যে, তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের ক্রোধ পতিত হোক, যে কারণে তোমরা আমার প্রতি প্রদত্ত অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে? (সূরা ত্বা–হা– ৮৬)

وَلَمَّا رَجَعَ مُوْسٰۤى اِلٰى قَوْمِه غَضْبَانَ اَسِفًا قَالَ بِئْسَمَا خَلَفْتُمُوْنِيْ مِنْ ۢبَعْدِيْۚ اَعَجِلْتُمْ اَمْرَ رَبِّكُمْ

মূসা যখন ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ হয়ে স্বীয় সম্প্রদায়ের নিকট প্রত্যাবর্তন করল তখন বলল, আমার অনুপস্থিতিতে তোমরা আমার কতই না নিকৃষ্ট প্রতিনিধিত্ব করেছ! তোমাদের প্রতিপালকের আদেশের পূর্বেই তোমরা ত্বরান্বিত করলে? (সূরা আ‘রাফু ১৫০)

তারা বাস্তব ওজর পেশ করল :

قَالُوْا مَاۤ اَخْلَفْنَا مَوْعِدَكَ بِمَلْكِنَا وَلٰكِنَّا حُمِّلْنَاۤ اَوْزَارًا مِّنْ زِيْنَةِ الْقَوْمِ فَقَذَفْنَاهَا فَكَذٰلِكَ اَلْقَى السَّامِرِيُّ

তারা বলল, আমরা তোমার প্রতি প্রদত্ত অঙ্গীকার স্বেচ্ছায় ভঙ্গ করিনি, তবে আমাদের উপর লোকদের অলংকারের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। আর আমরা সেটা অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করি, অনুরূপভাবে সামেরীও নিক্ষেপ করে। (সূরা ত্বা–হা– ৮৭)

মূসা ফলক ছুড়ে মেরে ভাইয়ের দিকে অগ্রসর হলেন :

قَالَ يَا هَارُوْنُ مَا مَنَعَكَ اِذْ رَاَيْتَهُمْ ضَلُّوْا اَ لَّا تَتَّبِعَنِؕ اَفَعَصَيْتَ اَمْرِيْ

মূসা বলল, হে হারূন! তুমি যখন দেখলে তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে তখন আমার অনুসরণ করা হতে কিসে তোমাকে নিবৃত্ত করল? তবে কি তুমি আমার আদেশ অমান্য করলে? (সূরা ত্বা–হা– ৯২, ৯৩)

وَاَلْقَى الْاَلْوَاحَ وَاَخَذَ بِرَأْسِ اَخِيْهِ يَجُرُّهٗۤ اِلَيْهِ

অতঃপর সে ফলকগুলো ফেলে দিল এবং স্বীয় ভ্রাতাকে চুলে ধরে নিজের দিকে টেনে আনল।

(সূরা আ‘রাফু ১৫০)

হারূন (আঃ) বিনয়ের সাথে প্রকৃত ব্যাপারটি তুলে ধরলেন :

قَالَ يَبْنَؤُمَّ لَا تَأْخُذْ بِلِحْيَتِيْ وَلَا بِرَأْسِيْۤ اِنِّيْ خَشِيْتُ اَنْ تَقُوْلَ فَرَّقْتَ بَيْنَ بَنِيْۤ اِسْرَآئِيْلَ وَلَمْ تَرْقُبْ قَوْلِيْ

হারূন বলল, হে আমার সহোদর! আমার দাড়ি ও কেশ ধরো না। আমি আশঙ্কা করেছিলাম যে, তুমি বলবে, তুমিই বনী ইসরাঈলদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছ এবং আমার কথা পালনে যত্নবান হওনি। (সূরা ত্বা–হা– ৯৪)

اِنَّ الْقَوْمَ اسْتَضْعَفُوْنِيْ وَكَادُوْا يَقْتُلُوْنَنِيْؗ فَلَا تُشْمِتْ بِيَ الْاَعْدَآءَ وَلَا تَجْعَلْنِيْ مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِيْنَ

লোকেরা তো আমাকে দুর্বল মনে করেছিল এবং আমাকে প্রায় হত্যাই করে ফেলেছিল। তুমি আমার সাথে এমন করো না, যাতে শত্রুরা আনন্দিত হয় এবং আমাকে যালিমদের অন্তর্ভুক্ত করো না। (সূরা আ‘রাফু ১৫০)

মূসা (আঃ) সামেরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন :

قَالَ فَمَا خَطْبُكَ يَا سَامِرِيُّ

মূসা বলল, হে সামেরী! তোমার ব্যাপার কী? (সূরা ত্বা–হা– ৯৫)

সে প্রতারণামূলক উত্তর দিল :

قَالَ بَصُرْتُ بِمَا لَمْ يَبْصُرُوْا بِه فَقَبَضْتُ قَبْضَةً مِّنْ اَثَرِ الرَّسُوْلِ فَنَبَذْتُهَا وَكَذٰلِكَ سَوَّلَتْ لِيْ نَفْسِيْ

সে বলল, আমি দেখেছিলাম যা তারা দেখেনি। অতঃপর আমি সে দূতের পদচিহ্ন হতে একমুষ্টি (মাটি) নিয়েছিলাম এবং আমি তা নিক্ষেপ করেছিলাম। আমার মন আমার জন্য এরূপ করাটা শোভন করে দিয়েছিল। (সূরা ত্বা–হা– ৯৬)

সামেরী দুনিয়া ও আখিরাতের আযাবে গ্রেফতার হলো :

قَالَ فَاذْهَبْ فَاِنَّ لَكَ فِى الْحَيَاةِ اَنْ تَقُوْلَ لَا مِسَاسَ۪ وَاِنَّ لَكَ مَوْعِدًا لَّنْ تُخْلَفَهٗ

মূসা বলল, দূর হও! তোমার জীবদ্দশায় তোমার জন্য এটাই রইল যে, তুমি শুধু বলবে, আমাকে কেউ স্পর্শ করো না। আর তোমার জন্য রইল এক নির্দিষ্টকাল (পরকালের আযাব), যা তোমার ক্ষেত্রে কখনো ব্যতিক্রম হবে না। (সূরা ত্বা–হা– ৯৭)

নবী তার মূর্তিকে জ্বালিয়ে ভষ্মিভূত করে দিলেন :

وَانْظُرْ اِلٰۤى اِلٰهِكَ الَّذِيْ ظَلْتَ عَلَيْهِ عَاكِفًاؕ لَنُحَرِّقَنَّهٗ ثُمَّ لَنَنْسِفَنَّهٗ فِى الْيَمِّ نَسْفًا

তুমি তোমার সে ইলাহের প্রতি লক্ষ্য করো, যার পূজায় তুমি রত ছিলে। অবশ্যই আমরা তাকে জ্বালিয়ে দেব, অতঃপর তাকে বিক্ষিপ্ত করে সাগরে নিক্ষেপ করব। (সূরা ত্বা–হা– ৯৭)

আল্লাহকে মা‘বুদ বলে ঘোষণা করলেন :

اِنَّمَاۤ اِلٰهُكُمُ اللهُ الَّذِيْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ وَسِعَ كُلَّ شَيْءٍ عِلْمًا

তোমাদের ইলাহ্ তো কেবল আল্লাহই, যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই, তাঁর জ্ঞান সর্ববিষয়ে ব্যাপ্ত। (সূরা ত্বা–হা– ৯৮)

জাতি ভুল বুঝতে পেরে তাওবা করল :

وَلَمَّا سُقِطَ فِۤيْ اَيْدِيْهِمْ وَرَاَوْا اَنَّهُمْ قَدْ ضَلُّوْا قَالُوْا لَئِنْ لَّمْ يَرْحَمْنَا رَبُّنَا وَيَغْفِرْ لَنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ

অতঃপর যখন তারা অনুতপ্ত হলো ও বুঝতে পারল যে, তারা বিপথগামী হয়ে গেছে তখন তারা বলল, আমাদের প্রতিপালক যদি আমাদের প্রতি দয়া না করেন ও আমাদেরকে ক্ষমা না করেন, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। (সূরা আ‘রাফু ১৪৯)

নবী নিজের ও ভাইয়ের জন্য মাগফিরাত কামনা করলেন :

قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَلِاَخِيْ وَاَدْخِلْنَا فِيْ رَحْمَتِكَؗ وَاَنْتَ اَرْحَمُ الرَّاحِمِيْنَ

মূসা বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ও আমার ভাইকে ক্ষমা করো এবং আমাদেরকে তোমার রহমতের মধ্যে দাখিল করো; তুমিই তো শ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা আ‘রাফু ১৫১)

যারা বাছুর পূজায় লিপ্ত ছিল তারা লাঞ্ছিত হয়েছে :

اِنَّ الَّذِيْنَ اتَّخَذُوا الْعِجْلَ سَيَنَالُهُمْ غَضَبٌ مِّنْ رَّبِّهِمْ وَذِلَّةٌ فِى الْحَيَاةِ الدُّنْيَاؕ وَكَذٰلِكَ نَجْزِى الْمُفْتَرِيْنَ

যারা গো–বৎসকে উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করেছে পার্থিব জীবনে তাদের উপর তাদের প্রতিপালকের ক্রোধ ও লাঞ্ছনা পতিত হবেই। এভাবেই আমি মিথ্যা রচনাকারীদেরকে প্রতিফল দিয়ে থাকি। (সূরা আ‘রাফু ১৫২)

রাগ প্রশমিত হলে নবী ফলকগুলো তুলে নিলেন :

وَلَمَّا سَكَتَ عَنْ مُّوْسَى الْغَضَبُ اَخَذَ الْاَلْوَاحَۚ وَفِيْ نُسْخَتِهَا هُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلَّذِيْنَ هُمْ لِرَبِّهِمْ يَرْهَبُوْنَ

যখন মূসার ক্রোধ প্রশমিত হলো, তখন সে (তাওরাতের) ফলকগুলো তুলে নিল। তার পাতায় হেদায়াত ও রহমত (সম্বলিত কথাবার্তা লিখিত) ছিল- এমনসব লোকদের জন্য, যারা তাদের রবকে ভয় করে। (সূরা আ‘রাফু ১৫৪)

ক্ষমাপ্রার্থনা করার জন্য ৭০ জনকে নিয়ে সিনাই পাহাড়ে গেলেন :

وَاخْتَارَ مُوْسٰى قَوْمَهٗ سَبْعِيْنَ رَجُلًا لِّمِيْقَاتِنَا

মূসা স্বীয় সম্প্রদায় হতে সত্তরজন লোককে আমার নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার জন্য মনোনীত করল।

(সূরা আ‘রাফু ১৫৫)

সেখানে ভূমিকম্পে আক্রান্ত হলে মূসা (আঃ) দু‘আ করলেন :

فَلَمَّاۤ اَخَذَتْهُمُ الرَّجْفَةُ قَالَ رَبِّ لَوْ شِئْتَ اَهْلَكْتَهُمْ مِّنْ قَبْلُ وَاِيَّايَؕ اَتُهْلِكُنَا بِمَا فَعَلَ السُّفَهَآءُ مِنَّاۚ اِنْ هِيَ اِلَّا فِتْنَتُكَؕ تُضِلُّ بِهَا مَنْ تَشَآءُ وَتَهْدِيْ مَنْ تَشَآءُؕ اَنْتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَاَنْتَ خَيْرُ الْغَافِرِيْنَ

যখন তারা ভূমিকম্প দ্বারা আক্রান্ত হলো তখন মূসা বলল, হে আমার প্রতিপালক! তুমি ইচ্ছা করলে পূর্বেই তো তাদেরকে এবং আমাকে ধ্বংস করতে পারতে! আমাদের মধ্যে যারা নির্বোধ, তারা যা করেছে সেজন্য কি তুমি আমাদেরকে ধ্বংস করবে? এটা তো শুধু তোমার পরীক্ষা, যার দ্বারা তুমি যাকে ইচ্ছা বিপথগামী কর এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত কর। তুমিই তো আমাদের অভিভাবক, সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করো ও আমাদের প্রতি দয়া করো; ক্ষমাশীলদের মধ্যে তুমিই তো শ্রেষ্ঠ। (সূরা আ‘রাফু ১৫৫)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন