hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৩৩
অধ্যায়- ৫ : ভালো কাজের উপকারিতা
যারা ভালো কাজ করে সৃষ্টির মধ্যে তারাই উত্তম :

اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ اُولٰٓئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ

যারা ঈমান আনয়ন করে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা। (সূরা বায়্যিনাহ- ৭)

তারাই সফলতা লাভ করবে :

فَاَمَّا مَنْ تَابَ وَ اٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَعَسٰۤى اَنْ يَّكُوْنَ مِنَ الْمُفْلِحِيْنَ

তবে যে ব্যক্তি তাওবা করবে, ঈমান আনবে ও সৎকর্ম করবে অতি শীঘ্রই সে সাফল্য অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা ক্বাসাস- ৬৭)

সৎকর্ম প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা লাভের ভিত্তি :

مَنْ كَانَ يُرِيْدُ الْعِزَّةَ فَلِلّٰهِ الْعِزَّةُ جَمِيْعًاؕ اِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُهٗ

যে ব্যক্তি সম্মান লাভ করতে চায় (সে জেনে রাখুক), সকল সম্মান আল্লাহর জন্যই। উত্তম বাক্যসমূহ তাঁরই দিকে পৌঁছে, আর সৎকাজ তাকে তাঁরই কাছে পৌঁছে দেয়। (সূরা ফাতির- ১০)

ব্যাখ্যা : কুরাইশ সরদাররা নবী ﷺ এর মুকাবিলায় যা কিছু করেছিল সবই ছিল তাদের নিজেদের ইজ্জত ও মর্যাদার খাতিরে। তাদের ধারণা ছিল, যদি মুহাম্মাদ ﷺ এর কথা মেনে নেয়া হয় তাহলে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব খতম হয়ে যাবে। এরই প্রেক্ষিতে বলা হচ্ছে, আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও কুফরী করে তোমরা নিজেদের যে মর্যাদা তৈরি করে রেখেছ, তা তো একটি মিথ্যা মর্যাদা ছাড়া আর কিছুই নয়। তোমাদের মৃত্যুর সাথে সাথেই তা নিঃশেষ হয়ে যাবে। দুনিয়া ও আখিরাতের প্রকৃত ও চিরস্থায়ী মর্যাদা কেবলমাত্র আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যেই নিহিত। সুতরাং তুমি যদি তাঁর ইবাদাতের মাধ্যমে সে মর্যাদার অনুসন্ধান কর, তবে তা পেয়ে যাবে। কিন্তু যদি তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও, তাহলে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হবে। আল্লাহর কাছে মিথ্যা ও ক্ষতিকারক কথা কখনো উচ্চমর্যাদা লাভ করে না। তাঁর কাছে একমাত্র এমন কথা উচ্চমর্যাদা লাভ করে, যা সত্য ও বাস্তবমুখী হয়। একটি পবিত্র কথাকে যে জিনিসটি উচ্চমর্যাদার দিকে নিয়ে যায়, সেটি হচ্ছে কথা অনুযায়ী কাজ করা। যেখানে কথা খুবই পবিত্র কিন্তু কাজ তার বিপরীত, সেখানে কথার পবিত্রতা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। কেবলমাত্র মুখে কথার খই ফুটালে কোন কথা উচ্চমর্যাদায় উন্নীত হয় না; বরং এজন্য সৎকাজের শক্তিমত্তার প্রয়োজন হয়। কুরআন ভালো কথা ও ভালো কাজকে পরস্পরের অবিচ্ছেদ্য ও অপরিহার্য বিষয় হিসেবে পেশ করে। কোন কাজ নিছক তার বাহ্যিক আকৃতির দিক দিয়ে ভালো হতে পারে না, যতক্ষণ না তার পেছনে থাকে ভালো আকীদা-বিশ্বাস। আর কোন ভালো আকীদা-বিশ্বাস নির্ভরযোগ্য হতে পারে না, যতক্ষণ না মানুষের কাজ তার প্রতি সমর্থন যোগায় এবং তার সত্যতা প্রমাণ করে। কোন ব্যক্তি যদি মুখে বলতে থাকে, আমি এক আল্লাহকে উপাস্য বলে মানি কিন্তু কার্যত সে গাইরুল্লাহর ইবাদাত করে, তাহলে এ কাজ তার কথাকে মিথ্যা প্রমাণ করে। কোন ব্যক্তি যদি মুখে বলতে থাকে মদ হারাম এবং কার্যত সে মদ পান করে চলে, তাহলে তার কথা মানুষের দৃষ্টিতেই গৃহীত হতে পারে না; তাহলে তা আল্লাহর কাছে কীভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে?

সৎকর্মের পুরস্কারের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমান :

وَمَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّنْ ذَكَرٍ اَوْ اُنْثٰى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَاُولٰٓئِكَ يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ يُرْزَقُوْنَ فِيْهَا بِغَيْرِ حِسَابٍ

পুরুষ কিংবা নারীর মধ্যে যারা মুমিন হয়ে সৎ আমল করে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। সেখানে তারা অসংখ্য রিযিক পাবে। (সূরা মু’মিন- ৪০)

مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّنْ ذَكَرٍ اَوْ اُنْثٰى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهٗ حَيَاةً طَيِّبَةً وَّلَنَجْزِيَنَّهُمْ اَجْرَهُمْ بِاَحْسَنِ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ

মুমিন থাকাবস্থায় পুরুষ ও নারীদের মধ্যে যে কেউ সৎকর্ম করবে, নিশ্চয় আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কর্মের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব। (সূরা নাহল- ৯৭)

আল্লাহ সৎকর্মশীলদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করে দেবেন :

اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَيَجْعَلُ لَهُمُ الرَّحْمٰنُ وُدًّا

যারা ঈমান আনয়ন করে ও সৎকর্ম করে, দয়াময় (আল্লাহ) অবশ্যই তাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করে দেবেন। (সূরা মারইয়াম- ৯৬)

আল্লাহ সৎকর্মশীলদের তাওবা কবুল করেন :

اِنْ تَكُوْنُوْا صَالِحِيْنَ فَاِنَّهٗ كَانَ لِلْاَوَّابِيْنَ غَفُوْرًا

যদি তোমরা সৎকর্মপরায়ণ হও, তবে (জেনে রেখো) নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনকারীদের জন্য অতিশয় ক্ষমাশীল। (সূরা বনী ইসরাইল- ২৫)

وَاِنِّيْ لَغَفَّارٌ لِّمَنْ تَابَ وَاٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدٰى

আমি অবশ্যই তার প্রতি ক্ষমাশীল যে তাওবা করে, ঈমান আনয়ন করে, সৎকর্ম করে ও সৎপথে অবিচল থাকে। (সূরা ত্বা-হা- ৮২)

আল্লাহ তাদের দু‘আ কবুল করেন :

وَيَسْتَجِيْبُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَيَزِيْدُهُمْ مِّنْ فَضْلِهٖ

তিনি মুমিন ও সৎ আমলকারীদের আহবানে সাড়া দেন এবং তাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ বর্ধিত করেন। (সূরা শূরা- ২৬)

আল্লাহ তাদের গোনাহ ক্ষমা করেন :

وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّاَجْرٌ كَبِيْرٌ

আর যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। (সূরা ফাতির- ৭)

فَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّرِزْقٌ كَرِيْمٌ

যারা ঈমান আনয়ন করে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। (সূরা হজ্জ- ৫০)

সৎকর্ম অসৎকর্মকে মিটিয়ে দেয় :

وَاَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِّنَ اللَّيْلِؕ اِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِؕ ذٰلِكَ ذِكْرٰى لِلذَّاكِرِيْنَ

তুমি সালাত কায়েম করো- দিবসের দু’প্রামত্মভাগে ও রজনীর প্রথমাংশে। নিশ্চয় সৎকর্ম অসৎকর্মকে মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে এটা তাদের জন্য এক উপদেশ। (সূরা হুদ- ১১৪)

আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকে জান্নাত দেবেন :

اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ كَانَتْ لَهُمْ جَنَّاتُ الْفِرْدَوْسِ نُزُلًا

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের আপ্যায়নের জন্য আছে জান্নাতুল ফিরদাউস। (সূরা কাহফ- ১০৭)

وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَنُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَاۤ اَبَدًاؕ وَعْدَ اللهِ حَقًّاؕ وَمَنْ اَصْدَقُ مِنَ اللهِ قِيْلًا

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে অচিরেই তাদেরকে আমি জান্নাতে প্রবেশ করাব, যার পাদদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত হতে থাকবে, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। আর আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য; কথায় আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্যবাদী আর কে আছে? (সূরা নিসা- ১২২)

وَبَشِّرِ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ اَنَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُ

আর যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে তাদেরকে এ সুসংবাদ প্রদান করো যে, তাদের জন্য এমন জান্নাত প্রস্তুত রয়েছে, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত হতে থাকবে। (সূরা বাক্বারা- ২৫)

তাদের কোন চিন্তা থাকবে না :

اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَالَّذِيْنَ هَادُوْا وَالصَّابِئُوْنَ وَالنَّصَارٰى مَنْ اٰمَنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَعَمِلَ صَالِحًا فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُوْنَ

মুমিন, ইয়াহুদি, সাবিয়ী ও খ্রিস্টানদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। (সূরা মায়েদা- ৬৯)

اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَاَقَامُوا الصَّلَاةَ وَاٰتَوُا الزَّكَاةَ لَهُمْ اَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْۚ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُوْنَ

নিশ্চয় যারা ঈমান আনে, সৎকাজ করে, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত আদায় করে তাদের প্রতিদান তাদের রবের কাছে মওজুদ রয়েছে। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। (সূরা বাক্বারা- ২৭৭)

আমল যত ভালো হবে মর্যাদা তত বাড়বে :

وَمَنْ يَّاْتِهٖ مُؤْمِنًا قَدْ عَمِلَ الصَّالِحَاتِ فَاُولٰٓئِكَ لَهُمُ الدَّرَجَاتُ الْعُلَا جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَا وَذٰلِكَ جَزَآءُ مَنْ تَزَكّٰى

যারা মুমিন অবস্থায় সৎকর্ম করে তাঁর নিকট উপস্থিত হবে, তাদের জন্য রয়েছে সমুচ্চ মর্যাদা ও স্থায়ী জান্নাত, যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত হতে থাকবে, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর এ পুরস্কার তাদের জন্যই, যারা পবিত্র। (সূরা ত্বা-হা- ৭৫, ৭৬)

সৎকর্মের পুরস্কার উত্তম ও চিরস্থায়ী :

مَا عِنْدَكُمْ يَنْفَدُ وَمَا عِنْدَ اللهِ بَاقٍ

তোমাদের নিকট যা আছে তা নিঃশেষ হয়ে যাবে, আর আল্লাহর নিকট যা আছে তা স্থায়ী। (সূরা নাহল- ৯৬)

وَاَمَّا مَنْ اٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَلَهٗ جَزَآءَنِ الْحُسْنٰى

তবে যে ব্যক্তি ঈমান আনয়ন করে এবং সৎকর্ম করে, তার জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান। (সূরা কাহফ- ৮৮)

ভালো কাজের প্রতিদান আল্লাহর কাছে জমা থাকে :

بَلٰىۗ مَنْ اَسْلَمَ وَجْهَهٗ لِلّٰهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَلَهٗۤ اَجْرُهٗ عِنْدَ رَبِّهٖ۪ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُوْنَ

অবশ্য যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সমর্পণ করেছে, সে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তার প্রতিপালকের নিকট তার জন্য রয়েছে প্রতিদান। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। (সূরা বাক্বারা- ১১২)

وَمَا تُقَدِّمُوْا لِاَنْفُسِكُمْ مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوْهُ عِنْدَ اللهِ هُوَ خَيْرًا وَّاَعْظَمَ اَجْرًاؕ وَاسْتَغْفِرُوا اللهَؕ اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

তোমরা তোমাদের আত্মার মঙ্গলের জন্য ভালো যা কিছু অগ্রিম প্রেরণ করবে তা তোমরা আল্লাহর নিকট পেয়ে যাবে। আর এটা অধিক উত্তম এবং পুরস্কার হিসেবে অনেক বড়। অতএব তোমরা আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করো, নিশ্চয় আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও অতি দয়ালু। (সূরা মুয্যাম্মিল- ২০)

আল্লাহ মুমিন বান্দার নেক আমল নষ্ট করেন না :

اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ اِنَّا لَا نُضِيْعُ اَجْرَ مَنْ اَحْسَنَ عَمَلًا

যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, এমন সৎকর্মশীলদের প্রতিদান আমি নষ্ট করব না। (সূরা কাহফ- ৩০)

وَاَنَّ اللهَ لَا يُضِيْعُ اَجْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ

নিশ্চয় আল্লাহ বিশ্বাসীদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না। (সূরা আলে ইমরান- ১৭১)

وَمَا كَانَ اللهُ لِيُضِيْعَ اِيْمَانَكُمْؕ اِنَّ اللهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ

আল্লাহ এরূপ নন যে, তোমাদের ঈমান বিনষ্ট করে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল ও করুণাময়। (সূরা বাক্বারা- ১৪৩)

আল্লাহ কাউকে ঠকাবেন না :

وَمَا تُنْفِقُوْا مِنْ خَيْرٍ يُّوَفَّ اِلَيْكُمْ وَاَنْتُمْ لَا تُظْلَمُوْنَ

তোমরা উত্তম যা কিছুই দান করবে তার পুরোপুরি প্রতিদান তোমরা পাবে এবং তোমাদের উপর কোন অন্যায় করা হবে না। (সূরা বাক্বারা- ২৭২)

وَمَنْ يَّعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا يَخَافُ ظُلْمًا وَّلَا هَضْمًا

যে ব্যক্তি মুমিন অবস্থায় সৎকর্ম করে, তার জন্য অবিচারের এবং অন্য কোন ক্ষতির কোন আশঙ্কা নেই। (সূরা ত্বা-হা- ১১২)

فَمَنْ يَّعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا كُفْرَانَ لِسَعْيِهٖ وَاِنَّا لَهٗ كَاتِبُوْنَ

সুতরাং যদি কেউ মুমিন অবস্থায় সৎকর্ম করে তার কর্মপ্রচেষ্টা অগ্রাহ্য হবে না; আর আমি তো সেটা লিখে রাখি। (সূরা আম্বিয়া- ৯৪)

আল্লাহ সৎকর্মের পুরস্কার বহুগুণে বাড়িয়ে দেন :

وَمَنْ يَّقْتَرِفْ حَسَنَةً نَّزِدْ لَهٗ فِيْهَا حُسْنًاؕ اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ شَكُوْرٌ

যে উত্তম কাজ করে আমি তার জন্য এতে কল্যাণ বর্ধিত করে দেই। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও বড়ই কৃতজ্ঞ। (সূরা শূরা- ২৩)

لِيُوَفِّيَهُمْ اُجُوْرَهُمْ وَيَزِيْدَهُمْ مِّنْ فَضْلِهٖۤ اِنَّهٗ غَفُوْرٌ شَكُوْرٌ

যাতে তিনি তাদেরকে তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিদান দিতে পারেন। অতঃপর তিনি নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে আরো বাড়িয়ে দেবেন। নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল ও বড়ই কৃতজ্ঞ। (সূরা ফাতির- ৩০)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন