hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৮
অধ্যায়- ৬ : কুরআন নাযিলের সূচনা
নবী ﷺ এর উপর নাযিল হওয়া সর্বপ্রথম ওহী :

اِقْرَاْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِيْ خَلَقَ - – خَلَقَ الْاِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ - اِقْرَاْ وَرَبُّكَ الْاَكْرَمُ - اَلَّذِيْ عَلَّمَ بِالْقَلَمِ - عَلَّمَ الْاِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ

পড়ুন, আপনার পালনকর্তার নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ঝুলন্ত রক্তপিন্ড হতে। পড়ুন, আপনার পালনকর্তা অতি সম্মানিত। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে, যা সে জানত না। (সূরা আলাক্ব, ১-৫)

ব্যাখ্যা : সর্বপ্রথম কুরআন নাযিলের ঘটনা হাদীসে বর্ণিত হয়েছে : আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট ওহী আগমনের সূচনা হয় ঘুমের মধ্যে সত্য স্বপ্নরূপে। স্বপ্নে তিনি যা দেখতেন তা-ই প্রভাতের আলোর ন্যায় বাস্তবে প্রতিফলিত হতো। এ অবস্থায় কিছুকাল চলার পর নিজ থেকেই তাঁর অন্তরে নির্জনে থাকার প্রেরণা জাগ্রত হয়। ফলে তিনি (মক্কা নগরী হতে তিন মাইল দূরে) হেরা গুহায় নির্জনে (ইবাদাতের উদ্দেশ্যে) অবস্থান করতে লাগলেন। তিনি তাঁর পরিবারের নিকট না গিয়ে সেথায় কয়েক রাত পর্যন্ত ইবাদাতে মগ্ন থাকতেন। এজন্য তিনি সঙ্গে কিছু খাবার নিয়ে আসতেন। তারপর খাদীজা (রাঃ) এর নিকট ফিরে যেতেন। পুনরায় কিছু খাবার নিয়ে (একাধারে ইবাদাতে রত হওয়ার জন্য) হেরা গুহায় চলে যেতেন। এমনিভাবে হেরা গুহায় থাকাকালীন হঠাৎ তাঁর নিকট হক্ব (ওহী) এলো। অর্থাৎ ফেরেশতা জিবরাঈল (আঃ) আসলেন। অতঃপর বললেন, اِقْرَاْ (ইক্বরা) (হে নবী) ‘‘আপনি পড়ুন।’’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘‘আমি তো পড়তে জানি না।’’ রাসূল ﷺ বলেন, (এ কথা শুনে জিবরাঈল) আমাকে ধরে এমন জোরে চাপ দিলেন, যাতে আমার খুব কষ্ট অনুভব হলো। তারপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘আপনি পড়ুন!’ জবাবে আমি বললাম, আমি তো পড়তে জানি না। এটা শুনে আবার (তিনি) আমাকে ধরে এমন জোরে চাপ দিলেন, এতে আমার আরো বেশি কষ্ট অনুভব হতে লাগল। তারপর আমাকে ছেড়ে দিয়ে পুনরায় বললেন, ‘‘আপনি পড়ুন’’। জবাবে আমি আগের ন্যায় বললাম, ‘‘আমি তো পড়তে জানি না।’’ এটা শুনে জিবরাঈল (আঃ) তৃতীয় বার আমাকে জোরে চাপ দিলেন, তারপর ছেড়ে দিয়ে সূরা আলাক্ব এর প্রথম পাঁচটি আয়াত পাঠ করতে বললেন। তারপর রাসূল ﷺ উক্ত আয়াতসমূহ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন। তখন ভয়ে তাঁর অন্তর কাঁপতেছিল। তিনি তাঁর স্ত্রী খাদীজা বিনতে খুয়াইলিদ (রাঃ) এর কাছে এসে বললেন, আমাকে চাদর জড়িয়ে দাও! আমাকে চাদর জড়িয়ে দাও। অতঃপর খাদীজা (রাঃ) তাঁকে চাদর জড়িয়ে দিলেন। কিছুক্ষণ পর তাঁর থেকে ভয় কেটে গেলে তিনি স্ত্রী খাদীজাকে সব ঘটনা খুলে বললেন। অতঃপর বললেন, আমি আমার জীবন নিয়ে ভয় করছি। তখন খাদীজা (রাঃ) রাসূল ﷺ কে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, আল্লাহর কসম! মহান আল্লাহ আপনাকে কখনো চিন্তায় ফেলবেন না। কেননা আপনি আত্মীয়স্বজনের সাথে ভালো ব্যবহার করেন। ইয়াতীম, বিধবা, অন্ধ ও অক্ষমদের খাওয়া-পরা ও থাকার ব্যবস্থা করেন। বেকারদের কর্মসংস্থান করেন। মেহমানের সমাদর করেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্দশাগ্রস্ত জনগণকে সাহায্য করেন। (অতএব এ অবস্থায় আপনার ভয়ের কোন কারণ নেই)।

এরূপ সান্ত্বনা দেয়ার পর খাদীজা (রাঃ) রাসূল ﷺ কে সাথে নিয়ে স্বীয় চাচাত ভাই ওয়ারাকা ইবনে নাওফেল এর নিকট গেলেন। যিনি জাহেলী যুগে ঈসায়ী ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি হিব্রু ভাষায় কিতাব লিখতেন। আল্লাহ যতটুকু চাইতেন তিনি ইঞ্জিল হতে ততটুকু হিব্রু ভাষায় লিখতেন। তিনি সেসময় খুব বৃদ্ধ হওয়ায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। খাদীজা (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে চাচাত ভাই! আপনি আপনার ভাতিজার কথা শুনুন। তখন ওয়ারাকা ইবনে নাওফেল রাসূল ﷺ কে লক্ষ্য করে বললেন, হে ভাতিজা! তুমি কী দেখেছ? তখন রাসূল ﷺ তাঁকে সব কাহিনী খুলে বললেন। কাহিনী শুনার পর ওয়ারাকা ইবনে নাওফেল রাসূল ﷺ কে বললেন, ইনি তো সেই জিবরাঈল, যাকে আল্লাহ মূসা (আঃ) এর নিকট পাঠিয়েছিলেন। আফসোস! (তোমার নবুওয়াতের প্রচারকালে) যদি আমি ক্ষমতাশালী যুবক হতাম, আর যদি আমি সেদিন জীবিত থাকতাম, যেদিন তোমার জাতি তোমাকে দেশান্তরিত করে ছাড়বে! এ কথা শুনে রাসূল ﷺ আশ্চর্যান্বিত হয়ে বললেন, আমার দেশবাসী কি আমাকে বিতাড়িত করবে? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ! তুমি সত্য দ্বীন নিয়ে প্রেরিত হয়েছ। তোমার ন্যায় যাঁরা পূর্বে এরূপ সত্য দ্বীন নিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের সকলের সাথেই শত্রুতা করা হয়েছে। (আমি তোমাকে কথা দিলাম) যদি আমি সেদিন জীবিত থাকি, তাহলে অবশ্যই প্রবলভাবে তোমাকে সাহায্য করব। এ কাহিনীর অল্পদিন পরই ওয়ারাকা ইন্তেকাল করেন। এরপর (কিছু দিন) ওহী নাযিল হওয়া বন্ধ ছিল। (সহীহ বুখারী, হা/৩)

কিছু দিন পর আবার ধারাবাহিকভাবে কুরআন নাযিল শুরু হয় :

وَالضُّحٰى - وَاللَّيْلِ اِذَا سَجٰى - مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلٰى

কসম পূর্বাহ্নের এবং রাতের, যখন তা নিঝুম হয়। আপনার প্রতিপালক আপনাকে পরিত্যাগ করেননি এবং আপনার প্রতি বিরূপও হননি। (সূরা যোহা, ১-৩)

kv‡b byh~j : জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার সাময়িকভাবে জিবরাঈল (আঃ) নবী ﷺ এর কাছে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকেন। এতে জনৈকা কুরাইশ মহিলা বলল, তার শয়তানটি তাঁর কাছে আসতে বিলম্ব করছে। তখন সূরা যোহা নাযিল হয়। (সহীহ বুখারী, হা/১১২৫)

يَاۤ اَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ قُمْ فَاَنْذِرْ وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ وَالرُّجْزَ فَاهْجُرْ

‘‘হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! উঠুন, আপনি লোকদেরকে সতর্ক করুন। আপনার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন, আপনার পোষাক পবিত্র করুন এবং অপবিত্রতা দূর করুন।’’ (সূরা মুদ্দাস্সির, ১-৫)।

শানে নুযূল : জাবির ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) ওহী বন্ধ থাকাকালীন অবস্থা প্রসঙ্গে বর্ণনা করেন, রাসূল ﷺ বলেন, ‘‘একদিন আমি পথ চলার সময় আকাশের দিক থেকে বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে উপর দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম, যে ফেরেশতা হেরা গুহায় আমার নিকট এসেছিলেন সেই ফেরেশতা আসমান ও জমিনের মাঝখানে একটি চেয়ারে বসে আছেন। তাঁর এ অবস্থা দেখে আমি খুবই ভয় পেলাম। অতঃপর আমি ভয়ার্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে এসে বললাম, তোমরা আমাকে চাদর দ্বারা আবৃত করো, আমাকে চাদর দ্বারা আবৃত করো। তখন আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াতগুলো নাযিল করেন। এরপর থেকে পুরোদমে পর পর ওহী নাযিল হতে লাগল। (সহীহ বুখারী, হা/৪)

কুরআন নাযিল হয়েছে আরবি ভাষায় :

وَهٰذَا كِتَابٌ مُّصَدِّقٌ لِّسَانًا عَرَبِيًّا

এ কিতাব (পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের) সত্যতা প্রকাশকারী। এটা আরবি ভাষায় অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা আহকাফ- ১২)

وَكَذٰلِكَ اَنْزَلْنَاهُ حُكْمًا عَرَبِيًّا

এভাবেই আমি একে বিধানরূপে আরবি ভাষায় অবতীর্ণ করেছি। (সূরা রা‘দ- ৩৭)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন