hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৬৩
অধ্যায়- ৪ : পাত্র-পাত্রী নির্বাচন
যাকে পছন্দ হয় তাকেই বিয়ে করবে :

فَانْكِحُوْا مَا طَابَ لَكُمْ مِّنَ النِّسَآءِ

তোমরা নারীদের মধ্য হতে যাদেরকে পছন্দ কর তাদেরকেই বিয়ে করে নাও। (সূরা নিসা- ৩)

খারাপ লোকের জন্য খারাপ আর পবিত্র লোকদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনীই মানায় :

اَلْخَبِيْثَاتُ لِلْخَبِيْثِيْنَ وَالْخَبِيْثُوْنَ لِلْخَبِيْثَاتِۚ وَالطَّيِّبَاتُ لِلطَّيِّبِيْنَ وَالطَّيِّبُوْنَ لِلطَّيِّبَاتِۚ اُولٰٓئِكَ مُبَرَّءُوْنَ مِمَّا يَقُوْلُوْنَؕ لَهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّرِزْقٌ كَرِيْمٌ

দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য, দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য, সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য (নির্ধারিত)। লোকে যা বলে তারা তা হতে পবিত্র, এদের জন্য রয়েছে ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা। (সূরা নূর- ২৬)

اَلزَّانِيْ لَا يَنْكِحُ اِلَّا زَانِيَةً اَوْ مُشْرِكَةًؗ وَالزَّانِيَةُ لَا يَنْكِحُهَاۤ اِلَّا زَانٍ اَوْ مُشْرِكٌۚ وَحُرِّمَ ذٰلِكَ عَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ

ব্যভিচারী পুরুষ ব্যভিচারী নারী অথবা মুশরিক নারী ব্যতীত অন্য কাউকে বিবাহ করে না এবং ব্যভিচারী নারীও ব্যভিচারী পুরুষ অথবা মুশরিক পুরুষ ব্যতীত অন্য কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় না। মুমিনদের জন্য এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। (সূরা নূর- ৩)

ব্যাখ্যা : এ আয়াতের উদ্দেশ্য হচ্ছে এ কথা বলা যে, যিনা একটি চরম নিকৃষ্ট কুকর্ম। যে ব্যক্তি মুসলিম হয়েও এ কাজ করে সে মুসলিম সমাজের সৎ ও পবিত্র লোকদের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে তুলার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। সুতরাং তাদের উচিত ঐসব নারী অথবা পুরুষকে বিবাহ করা, যারা সমাজে তারই মতো অশ্লীল কাজ করে বেড়ায় এবং যারা আল্লাহর বিধানের প্রতি আদৌ বিশ্বাস রাখে না।

উত্তম পাত্র-পাত্রীর গুণাবলি :

اِنَّ الْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ وَالْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْقَانِتِيْنَ وَالْقَانِتَاتِ وَالصَّادِقِيْنَ وَالصَّادِقَاتِ وَالصَّابِرِيْنَ وَالصَّابِرَاتِ وَالْخَاشِعِيْنَ وَالْخَاشِعَاتِ وَالْمُتَصَدِّقِيْنَ وَالْمُتَصَدِّقَاتِ وَالصَّآئِمِيْنَ وَالصَّآئِمَاتِ وَالْحَافِظِيْنَ فُرُوْجَهُمْ وَالْحَافِظَاتِ وَالذَّاكِرِيْنَ اللهَ كَثِيْرًا وَّالذَّاكِرَاتِ اَعَدَّ اللهُ لَهُمْ مَّغْفِرَةً وَّاَجْرًا عَظِيْمًا

নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারী, মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনয়ী পুরুষ ও বিনয়ী নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, রোযাদার পুরুষ ও রোযাদার নারী, স্বীয় লজ্জাস্থান হেফাজতকারী পুরুষ ও স্বীয় লজ্জাস্থান হেফাজতকারী নারী এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও অধিক স্মরণকারী নারী, এদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত করে রেখেছেন ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান। (সূরা আহ্যাব- ৩৫)

فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللهُ

সুতরাং সতী-সাধ্বী নারীরা একান্ত অনুগত হয় এবং লোকচক্ষুর অন্তরালে আল্লাহ যা সংরক্ষণ করতে বলেছেন, তা সংরক্ষণ করে। (সূরা নিসা- ৩৪)

عَسٰى رَبُّهٗۤ اِنْ طَلَّقَكُنَّ اَنْ يُّبْدِلَهٗۤ اَزْوَاجًا خَيْرًا مِّنْكُنَّ مُسْلِمَاتٍ مُّؤْمِنَاتٍ قَانِتَاتٍ تَآئِبَاتٍ عَابِدَاتٍ سَآئِحَاتٍ ثَيِّبَاتٍ وَّاَبْكَارًا

যদি নবী তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করেন, তবে তাঁর প্রতিপালক তাকে তোমাদের চেয়ে আরো উৎকৃষ্টতর স্ত্রী দিতে পারেন। তারা হবে আনুগত্যকারিণী, তাওবাকারিণী, ইবাদাতকারিণী, সিয়াম পালনকারিণী, অকুমারী এবং কুমারী। (সূরা তাহরীম- ৫)

ব্যাখ্যা : নবী ﷺ বলেছেন, ‘‘সে স্ত্রীই সর্বোত্তম, যাকে দেখলে তোমার মন আনন্দে ভরে যায়। তুমি তাকে কোন আদেশ করলে সে তোমার আনুগত্য করে। তুমি ঘরে না থাকলে সে তোমার অনুপস্থিতিতে তোমার ধনসম্পদের ও তার নিজের হেফাজত করে।’’ (মুসনাদুল বাযযার, হা/৮৫৩৭)

এ হাদীসটি এ আয়াতের চমৎকার ব্যাখ্যা প্রদান করে। কিন্তু এখানে এ কথাও বুঝে নিতে হবে যে, স্ত্রীর জন্য নিজের স্বামীর আনুগত্যের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আল্লাহর আনুগত্য। কাজেই কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে আল্লাহর নাফরমানি করার হুকুম দেয় অথবা আল্লাহর অর্পিত কোন ফরয থেকে তাকে বিরত রাখার চেষ্টা করে, তাহলে এ ক্ষেত্রে স্বামীর আনুগত্য করতে অস্বীকার করা স্ত্রীর জন্য ফরয হয়ে যায়। এ অবস্থায় যদি স্ত্রী স্বামীর আনুগত্য করে, তাহলে সে গোনাহগার হবে। তবে স্বামী যদি স্ত্রীকে নফল রোযা রাখতে নিষেধ করে, তাহলে স্বামীর কথা মেনে চলা তার জন্য অপরিহার্য।

পাত্রী খুব সুন্দরী না হলেও তার মধ্যে অন্যান্য গুণ থাকতে পারে :

فَاِنْ كَرِهْتُمُوْهُنَّ فَعَسٰۤى اَنْ تَكْرَهُوْا شَيْئًا وَّيَجْعَلَ اللهُ فِيْهِ خَيْرًا كَثِيْرًا

আর যদি তোমরা তাদেরকে অপছন্দ কর, তাহলে এমনও হতে পারে যে, তোমরা তাদেরকে যে বিষয়ে অপছন্দ করছ, অথচ আল্লাহ তাতেই অনেক কল্যাণ নিহিত রেখেছেন। (সূরা নিসা- ১৯)

ব্যাখ্যা : স্ত্রী যদি সুন্দরী না হয় অথবা তার মধ্যে এমন কোন ত্রুটি থাকে যে কারণে স্বামী তাকে অপছন্দ করে, তাহলে তৎক্ষণাৎ হতাশ হয়ে তাকে পরিত্যাগ করার চিন্তা করা উচিত নয়। যতদূর সম্ভব তাকে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা অবলম্বন করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, স্ত্রী সুন্দরী হয় না ঠিকই কিন্তু তার মধ্যে এমন কিছু গুণ থাকে, যা দাম্পত্য জীবনে সুন্দর মুখের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব লাভ করে। যদি সে তার এ গুণাবলি প্রকাশের সুযোগ পায়, তাহলে দেখা যাবে তার স্বামী যিনি প্রথম দিকে শুধুমাত্র স্ত্রীর অসুন্দর মুখ দেখে হতাশ হয়ে পড়ছিলেন, এখন তার চারিত্রিক মাধুর্যের কারণে তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেছেন। এমনিভাবে অনেক সময় দাম্পত্য জীবনের শুরুতে স্ত্রীর কোন কোন কথা ও আচরণ স্বামীর কাছে বিরক্তিকর মনে হয় এবং এজন্য তার মন ভেঙে যায়। এক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ করে স্ত্রীকে তার সম্ভাব্য সকল যোগ্যতা প্রকাশের সুযোগ দেয়া উচিত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন