hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৭৮
অধ্যায়- ২ : ফাসিকী কার্যাবলি ও এর পরিণাম
ওয়াদা ভঙ্গ করা, সম্পর্ক ছিন্ন করা ও ফাসাদ সৃষ্টি করা :

وَمَا يُضِلُّ بِهٖۤ اِلَّا الْفَاسِقِيْنَ اَ لَّذِيْنَ يَنْقُضُوْنَ عَهْدَ اللهِ مِنْ ۢبَعْدِ مِيْثَاقِهٖ۪ وَيَقْطَعُوْنَ مَاۤ اَمَرَ اللهُ بِهٖۤ اَنْ يُّوْصَلَ وَيُفْسِدُوْنَ فِى الْاَرْضِؕ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْخَاسِرُوْنَ

এর দ্বারা তিনি শুধু ফাসিকদেরকেই বিপথগামী করে থাকেন। যারা আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ়ভাবে ওয়াদাবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে এবং ঐসব সম্পর্ক ছিন্ন করে, যা আল্লাহ অক্ষুণ্ণ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর যারা পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা বাক্বারা- ২৬, ২৭)

ব্যাখ্যা : আল্লাহ ও বান্দার মধ্যকার সম্পর্ক এবং মানুষ ও মানুষের মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্ন করার অনিবার্য পরিণতি হচ্ছে বিপর্যয়। আর যে ব্যক্তি এ বিপর্যয় সৃষ্টি করে সে-ই হচ্ছে ফাসিক।

দেব-দেবীর নামে বলি দেয়া ও তীর দ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা :

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنْزِيْرِ وَمَاۤ اُهِلَّ لِغَيْرِ اللهِ بِهٖ وَالْمُنْخَنِقَةُ وَالْمَوْقُوْذَةُ وَالْمُتَرَدِّيَةُ وَالنَّطِيْحَةُ وَمَاۤ اَكَلَ السَّبُعُ اِلَّا مَا ذَكَّيْتُمْ وَمَا ذُبِحَ عَلَى النُّصُبِ وَاَنْ تَسْتَقْسِمُوْا بِالْاَزْلَامِ ذٰلِكُمْ فِسْقٌ

তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশু কর্তৃক খাওয়া জন্তু; তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা ছাড়া। আর যা মূর্তি অথবা দেব দেবীর নামে বলি দেয়া হয় তা এবং জুয়ার তীর দ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা হয় (তাও হারাম)- (কেননা) এসব পাপকাজ। (সূরা মায়েদা- ৩)

ব্যাখ্যা : نُصُبٌ (নুসুব) বলতে এমনসব স্থান বুঝায়, যেগুলোকে লোকেরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে বলিদান ও নজরানা পেশ করার জন্য নির্দিষ্ট করে নিয়েছে। সেখানে কোন পাথর বা কাঠের মূর্তি থাক বা না থাক তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের ভাষায় এটিই বেদী বা আস্তানা নামে পরিচিত। তবে এসব স্থান কোন না কোন মহাপুরুষ, দেবতা বা মুশরিকী আকীদার সাথে জড়িত থাকে।

আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে পশু যবেহ করা :

وَلَا تَأْكُلُوْا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللهِ عَلَيْهِ وَاِنَّهٗ لَفِسْقٌ

যাতে আল্লাহর নাম নেয়া হয়নি তোমরা তার কিছুই খেয়ো না; নিশ্চয় তা পাপকাজ। (সূরা আন‘আম- ১২১)

আল্লাহর বিধানকে অস্বীকার করা :

وَلَقَدْ اَنْزَلْنَاۤ اِلَيْكَ اٰيَاتٍ ۢبَيِّنَاتٍ وَّمَا يَكْفُرُ بِهَاۤ اِلَّا الْفَاسِقُوْنَ

নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ অবতীর্ণ করেছি, যা দুষ্কার্যকারী ব্যতীত অন্য কেউই অবিশ্বাস করতে পারে না। (সূরা বাক্বারা- ৯৯)

যারা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ফায়সালা করে না তারা ফাসিক :

وَمَنْ لَّمْ يَحْكُمْ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللهُ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْفَاسِقُوْنَ

আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন যারা সে অনুযায়ী মীমাংসা করে না তারাই ফাসিক। (সূরা মায়েদা- ৪৭)

মুনাফিকরা ফাসিক :

اِنَّ الْمُنَافِقِيْنَ هُمُ الْفَاسِقُوْنَ

নিশ্চয় মুনাফিকরা ফাসিক। (সূরা তাওবা- ৬৭)

অধিকাংশ মানুষই ফাসিক :

وَاِنَّ كَثِيْرًا مِّنَ النَّاسِ لَفَاسِقُوْنَ

নিশ্চয় মানুষের মধ্যে অনেকেই ফাসিক। (সূরা মায়েদা- ৪৯)

সর্বপ্রথম ইবলিস ফাসিকী করেছিল :

وَاِذْ قُلْنَا لِلْمَلَآئِكَةِ اسْجُدُوْا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوْاۤ اِلَّاۤ اِبْلِيْسَؕ كَانَ مِنَ الْجِنِّ فَفَسَقَ عَنْ اَمْرِ رَبِّهٖ

(স্মরণ করো) যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বলেছিলাম, তোমরা সবাই আদমকে সিজদা করো। তখন ইবলিস ব্যতীত তারা সকলেই সিজদা করল; আর সে ছিল জিনদের মধ্যে একজন, সে তার প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করল। (সূরা কাহফ- ৫০)

মুমিন আর ফাসিক সমান হতে পারে না :

اَفَمَنْ كَانَ مُؤْمِنًا كَمَنْ كَانَ فَاسِقًاؕ لَا يَسْتَوُوْنَ

যে ব্যক্তি ঈমানদার সে কি ঐ ব্যক্তির সমকক্ষ যে ফাসিক? কখনই তারা সমান হতে পারে না। (সূরা সাজদা- ১৮)

আল্লাহ ফাসিকদের উপর সন্তুষ্ট নন :

فَاِنَّ اللهَ لَا يَرْضٰى عَنِ الْقَوْمِ الْفَاسِقِيْنَ

নিশ্চয় আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়ের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন না। (সূরা তাওবা- ৯৬)

ফাসিকরা হেদায়াত পায় না :

وَاللهُ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الْفَاسِقِيْنَ

আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (সূরা মায়েদা- ১০৮)

ফাসিকের সংবাদ যাচাই-বাছাই করে গ্রহণ করতে হবে :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اِنْ جَآءَكُمْ فَاسِقٌ ۢبِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوْاۤ اَنْ تُصِيْبُوْا قَوْمًا ۢبِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوْا عَلٰى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِيْنَ

হে ঈমানদারগণ! যদি কোন ফাসিক লোক তোমাদের কাছে কোন খবর নিয়ে আসে তাহলে এর সত্যতা যাচাই করে নিও। এমন যেন না হয় যে, তোমরা (প্রকৃত বিষয়টি) না জেনে কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে বস এবং তোমরা যা করেছ সেজন্য পরে আফসোস করতে থাকবে। (সূরা হুজুরাত- ৬)

ফাসিকের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয় :

وَالَّذِيْنَ يَرْمُوْنَ الْمُحْصَنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَأْتُوْا بِاَرْبَعَةِ شُهَدَآءَ فَاجْلِدُوْهُمْ ثَمَانِيْنَ جَلْدَةً وَّلَا تَقْبَلُوْا لَهُمْ شَهَادَةً اَبَدًاۚ وَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْفَاسِقُوْنَ

যারা সতী-সাধ্বী রমণীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে এবং চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে না পারে, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং কখনো তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না; (জেনে রেখো) এরা ফাসিকদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা নূর- ৪)

ফাসিকীর কারণেই গজব আসে :

وَاِذَاۤ اَرَدْنَاۤ اَنْ نُّهْلِكَ قَرْيَةً اَمَرْنَا مُتْرَفِيْهَا فَفَسَقُوْا فِيْهَا فَحَقَّ عَلَيْهَا الْقَوْلُ فَدَمَّرْنَاهَا تَدْمِيْرًا

যখন আমি কোন জনপদ ধ্বংস করতে চাই, তখন তার সমৃদ্ধশালী ব্যক্তিদেরকে সৎকর্ম করতে আদেশ করি, কিন্তু তারা তাতে ফাসিকী করে। অতঃপর তার প্রতি (শাস্তির) বিধান অনিবার্য হয়ে যায়, পরিশেষে আমি তা সম্পূর্ণরূপে বিনাশ করে দেই। (সূরা বনী ইসরাঈল- ১৬)

اِنَّا مُنْزِلُوْنَ عَلٰۤى اَهْلِ هٰذِهِ الْقَرْيَةِ رِجْزًا مِّنَ السَّمَآءِ بِمَا كَانُوْا يَفْسُقُوْنَ

আমি এ জনপদের উপর আকাশ হতে শাস্তি নাযিল করব, কারণ তারা ফাসিকী কর্ম সংঘটিত করেছিল। (সূরা আনকাবূত- ৩৪)

হাশরের ময়দানে ফাসিকরা লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে :

فَالْيَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُوْنِ بِمَا كُنْتُمْ تَسْتَكْبِرُوْنَ فِى الْاَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَبِمَا كُنْتُمْ تَفْسُقُوْنَ

তোমরা দুনিয়ায় অন্যায়ভাবে যে অহংকার করে বেড়াচ্ছিলে এবং যে ফাসিকী করেছিলে এর পরিবর্তে আজ তোমাদেরকে অপমানজনক আযাব দেয়া হবে। (সূরা আহকাফ- ২০)

وَالَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِاٰيَاتِنَا يَمَسُّهُمُ الْعَذَابُ بِمَا كَانُوْا يَفْسُقُوْنَ

যারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যারোপ করেছে, ফাসিকী কাজকর্ম করার জন্য তাদের উপর শাস্তি আসবেই। (সূরা আন‘আম- ৪৯)

ফাসিকদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম :

وَاَمَّا الَّذِيْنَ فَسَقُوْا فَمَأْوَاهُمُ النَّارُؕ كُلَّمَاۤ اَرَادُوْاۤ اَنْ يَّخْرُجُوْا مِنْهَاۤ اُعِيْدُوْا فِيْهَا وَقِيْلَ لَهُمْ ذُوْقُوْا عَذَابَ النَّارِ الَّذِيْ كُنْتُمْ بِهٖ تُكَذِّبُوْنَ

যারা ফাসিকী কাজকর্ম করেছে তাদের বাসস্থান হবে জাহান্নাম। যখনই তারা সেখান থেকে বের হতে চাইবে, তখনই তাদেরকে সেথায় ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, দোযখের আযাব ভোগ করে নাও; (স্মরণ করো, দুনিয়াতে) তোমরা এ বিষয়টিকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে। (সূরা সাজদা- ২০)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন