hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৮৮
অধ্যায়- ১৬ : মুহাম্মাদ ﷺ এর সীমাবদ্ধতা
যালিমদের ব্যাপারে তার কিছু করার অধিকার ছিল না :

لَيْسَ لَكَ مِنَ الْاَمْرِ شَيْءٌ اَوْ يَتُوْبَ عَلَيْهِمْ اَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَاِنَّهُمْ ظَالِمُوْنَ

এ কাজে তোমার এ ধরনের কোন কর্তৃত্ব নেই যে, তিনি তাদেরকে ক্ষমা করেন অথবা শাস্তি প্রদান করেন, উপরমুত নিশ্চয় তারা অত্যাচারী। (সূরা আলে ইমরান- ১২৮)

কারো লাভ-লোকসান করার ক্ষমতা তাঁর নেই :

قُلْ اِنِّيْ لَاۤ اَمْلِكُ لَكُمْ ضَرًّا وَّلَا رَشَدًا

বলো, আমি তোমাদের অনিষ্টের ও পথপ্রদর্শনের ক্ষমতা রাখি না। (সূরা জিন- ২১)

নিজের লাভ-ক্ষতির মালিকও তিনি নন :

قُلْ لَّاۤ اَمْلِكُ لِنَفْسِيْ نَفْعًا وَّلَا ضَرًّا اِلَّا مَا شَآءَ اللهُ

বলো, আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত আমার নিজের ভালো-মন্দের উপরও আমার কোন অধিকার নেই। (সূরা আ‘রাফ- ১৮৮)

শিরক করলে তাঁর আমলও বরবাদ হয়ে যেত :

وَلَقَدْ اُوْحِيَ اِلَيْكَ وَاِلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكَۚ لَئِنْ اَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ

নিশ্চয় তোমার প্রতি ও তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি ওহী করা হয়েছে যে, যদি তুমি আল্লাহর শরীক স্থির কর তবে নিঃসন্দেহে তোমার আমল ধ্বংস হয়ে যাবে এবং অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

(সূরা যুমার- ৬৫)

তিনি হেদায়াতের মালিক নন :

اِنَّكَ لَا تَهْدِيْ مَنْ اَحْبَبْتَ وَلٰكِنَّ اللهَ يَهْدِيْ مَنْ يَّشَآءُۚ وَهُوَ اَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِيْنَ

তুমি যাকে ভালোবাস, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে আনয়ন করেন। আর সৎপথ অনুসারীদের সম্পর্কে তিনিই ভালো জানেন। (সূরা ক্বাসাস- ৫৬)

ব্যাখ্যা : কুরাইশরা রাসূল ﷺ এর আত্মীয় এবং ইয়াহুদি ও নাসারারা অনাত্মীয় ছিল। ফলে যখন রাসূল ﷺ অনাত্মীয় ইয়াহুদি ও নাসারাদের ঈমান আনতে দেখলেন, তখন স্বগোত্রীয়দের অবিশ্বাস ও বিরুদ্ধাচরণের জন্য মনে মনে খুবই দুঃখ পেলেন। বিশেষত চাচা আবু তালিবও তা কার্যকর না করায় তিনি আরো দুঃখ পেলেন। তাই অত্র আয়াত নাযিল করে আল্লাহ তা‘আলা তাকে সান্ত্বনা প্রদান করেন। সহীহ বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনানুসারে এ আয়াতটি নবী ﷺ এর চাচা আবু তালেবের প্রসঙ্গে নাযিল হয়। তার শেষ সময় উপস্থিত হলে নবী ﷺ নিজের সামর্থ্যানুযায়ী কালিমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’- এর প্রতি ঈমান আনার জন্য চূড়ান্ত চেষ্টা চালান। তিনি চাচ্ছিলেন, তাঁর চাচা ঈমানের মধ্য দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করুক। কিন্তু চাচা তা গ্রহণ না করে আবদুল মুত্তালিবের অনুসৃত ধর্মে অবস্থান করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করাকে অগ্রাধিকার দেন।

তিনি বধিরকে শুনাতে পারেন না :

اِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتٰى وَلَا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَآءَ اِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِيْنَ

তুমি তো মৃতকে কথা শুনাতে পারবে না, বধিরকেও কোন আহবান শুনাতে পারবে না যখন তারা পিঠ ফিরিয়ে চলে যায়। (সূরা নামল- ৮০)

وَمِنْهُمْ مَّنْ يَّسْتَمِعُوْنَ اِلَيْكَؕ اَفَاَنْتَ تُسْمِعُ الصُّمَّ وَلَوْ كَانُوْا لَا يَعْقِلُوْنَ

তাদের মধ্যে কেউ কেউ তোমার দিকে কান পেতে রাখে। তুমি কি বধিরকে শুনাবে, তারা না বুঝলেও? (সূরা ইউনুস- ৪২)

তিনি অন্ধকে পথ দেখাতে পারেন না :

وَمِنْهُمْ مَّنْ يَّنْظُرُ اِلَيْكَؕ اَفَاَنْتَ تَهْدِى الْعُمْيَ وَلَوْ كَانُوْا لَا يُبْصِرُوْنَ

তাদের মধ্যে কেউ কেউ তোমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তুমি কি অন্ধকে পথ দেখাবে, তারা না দেখলেও? (সূরা ইউনুস- ৪৩)

ব্যাখ্যা : এখানে এমনসব লোককে মৃত বলা হয়েছে, যাদের বিবেক মরে গেছে, যাদের মধ্যে নৈতিক চেতনা লুপ্ত হয়ে গেছে এবং প্রবৃত্তির দাসত্ব ও একগুঁয়েমি যাদের মানবীয় গুণাবলির অবসান ঘটিয়ে ফেলেছে। বধির হচ্ছে এমনসব লোক, যারা নিজেদের মনের দুয়ার এমনভাবে আবদ্ধ করেছে যে, তারা সবকিছু শুনেও কিছুই শুনে না। তারপর এ ধরনের লোকেরা এমন প্রচেষ্টা চালায়, যাতে সত্যের আহবানের ধ্বনি তাদের কানে পৌঁছতে না পারে এবং আহবানকারীর চেহারা দেখতেই দূরে সরে যেতে থাকে। তখন আর কে তাদেরকে শুনাবে এবং কী-ই বা শুনাবে? তাদেরকে অন্ধদের মতো হাত ধরে সারা জীবন সঠিক পথে চালানো তো নবীর কাজ নয়। তিনি তো কেবল সঠিক পথ দেখিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু যাদের দেখার চোখ অন্ধ হয়ে গেছে, তাদেরকে সঠিক পথ দেখানো নবীর ক্ষমতার বাইরে।

তিনি বল প্রয়োগকারী নন :

نَحْنُ اَعْلَمُ بِمَا يَقُوْلُوْنَ وَمَاۤ اَنْتَ عَلَيْهِمْ بِجَبَّارٍ فَذَكِّرْ بِالْقُرْاٰنِ مَنْ يَّخَافُ وَعِيْدِ

তারা যা বলে তা আমি জানি, তুমি তাদের উপর জবরদস্তকারী নও। সুতরাং যে শাস্তিকে ভয় করে তাকে কুরআনের সাহায্যে উপদেশ দান করো। (সূরা ক্বাফ- ৪৫)

لَسْتَ عَلَيْهِمْ بِمُصَيْطِرٍ

তুমি তাদের জিম্মাদার নও। (সূরা গাশিয়া- ২২)

فَاِنْ اَعْرَضُوْا فَمَاۤ اَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيْظًاؕ اِنْ عَلَيْكَ اِلَّا الْبَلَاغُ

তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তোমাকে তো আমি তাদের রক্ষক হিসেবে পাঠাইনি। তোমার দায়িত্ব শুধু প্রচার করে যাওয়া। (সূরা শূরা- ৪৮)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন