hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৭০
অধ্যায়- ৭ : ঈসা (আঃ) সম্পর্কে সঠিক ধারণা
তিনি নিজেকে আল্লাহ বলে দাবী করেননি :

مَا كَانَ لِبَشَرٍ اَنْ يُّؤْتِيَهُ اللهُ الْكِتَابَ وَالْحُكْمَ وَالنُّبُوَّةَ ثُمَّ يَقُوْلَ لِلنَّاسِ كُوْنُوْا عِبَادًا لِّيْ مِنْ دُوْنِ اللهِ وَلٰكِنْ كُوْنُوْا رَبَّانِيِّيْنَ بِمَا كُنْتُمْ تُعَلِّمُوْنَ الْكِتَابَ وَبِمَا كُنْتُمْ تَدْرُسُوْنَ

কোন মানুষের জন্য এটা সমীচিন নয় যে, আল্লাহ তাকে কিতাব, জ্ঞান ও নবুওয়াত দান করবেন। অতঃপর সে মানুষদেরকে বলবে, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমার বান্দা হয়ে যাও। বরং তার বলা উচিত, তোমরা আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও। এ কারণে যে, তোমরা কিতাবের জ্ঞান শিক্ষা দিচ্ছ এবং তা পাঠ করছ। (সূরা আলে ইমরানু ৭৯)

যারা তাকে আল্লাহ বলেছে তারা কাফির :

لَقَدْ كَفَرَ الَّذِيْنَ قَالُوْاۤ اِنَّ اللهَ هُوَ الْمَسِيْحُ ابْنُ مَرْيَمَؕ قُلْ فَمَنْ يَّمْلِكُ مِنَ اللهِ شَيْئًا اِنْ اَرَادَ اَنْ يُّهْلِكَ الْمَسِيْحَ ابْنَ مَرْيَمَ وَاُمَّهٗ وَمَنْ فِى الْاَرْضِ

যারা বলে, মারইয়ামের ছেলে মাসীহই আল্লাহ, তারা তো কুফরী করেছে। বলো, আল্লাহ যদি মারইয়ামের ছেলে মাসীহ, তাঁর মা এবং দুনিয়ার সকলকে ধ্বংস করতে ইচ্ছা করেন, তবে তাঁকে বাধা দেয়ার মতো ক্ষমতা কারো আছে কি? (সূরা মায়েদা– ১৭)

তিনি তার জাতিকে শিরক করতে নিষেধ করেছেন :

وَقَالَ الْمَسِيْحُ يَا بَنِيْۤ اِسْرَآئِيْلَ اعْبُدُوا اللهَ رَبِّيْ وَرَبَّكُمْؕ اِنَّهٗ مَنْ يُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُؕ وَمَا لِلظَّالِمِيْنَ مِنْ اَنْصَارٍ

মাসীহ বলেছিল, হে বনী ইসরাঈল! তোমরা আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহর ইবাদাত করো। কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করলে অবশ্যই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত নিষিদ্ধ (হারাম) করে দেবেন এবং তার আবাস হবে জাহান্নাম। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। (সূরা মায়েদা– ৭২)

তিনি ছিলেন একজন রাসূল এবং তার মাতাও ছিলেন একজন সত্যনিষ্ঠা :

مَا الْمَسِيْحُ ابْنُ مَرْيَمَ اِلَّا رَسُوْلٌۚ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُؕ وَاُمُّهٗ صِدِّيْقَةٌ

মারইয়ামের ছেলে মাসীহ তো কেবল একজন রাসূল, তার পূর্বে বহু রাসূল গত হয়ে গেছে। আর তার মাতাও ছিল পরম সত্যনিষ্ঠা। (সূরা মায়েদা– ৭৫)

ঈসা (আঃ) অথবা তার মা ইলাহ্ নয় :

اِنَّمَا الْمَسِيْحُ عِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَ رَسُوْلُ اللهِ وَكَلِمَتُهۚٗ اَلْقَاهَاۤ اِلٰى مَرْيَمَ وَرُوْحٌ مِّنْهُؗ فَاٰمِنُوْا بِاللهِ وَرُسُلِه ۚ وَلَا تَقُوْلُوْا ثَلَاثَةٌؕ اِنْتَهُوْا خَيْرًا لَّكُمْ

নিশ্চয় মারইয়ামের ছেলে ঈসা মাসীহ আল্লাহর রাসূল এবং তাঁর বাণী, যা তিনি মারইয়ামের নিকট প্রেরণ করেছিলেন ও সে তাঁর রূহ (আদেশ)। সুতরাং তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনয়ন করো এবং (ইলাহের সংখ্যা) ‘তিন’ বলো না, বরং তা হতে নিবৃত্ত হও। আর এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর। (সূরা নিসা– ১৭১)

আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাকে প্রশ্ন করবেন এবং তিনি উত্তর দেবেন :

وَاِذْ قَالَ اللهُ يَا عِيْسَى ابْنَ مَرْيَمَ اَاَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُوْنِيْ وَاُمِّيَ اِلٰهَيْنِ مِنْ دُوْنِ اللهِؕ قَالَ سُبْحَانَكَ مَا يَكُوْنُ لِۤيْ اَنْ اَقُوْلَ مَا لَيْسَ لِيْۗ بِحَقٍّؕ اِنْ كُنْتُ قُلْتُهٗ فَقَدْ عَلِمْتَهٗؕ تَعْلَمُ مَا فِيْ نَفْسِيْ وَلَاۤ اَعْلَمُ مَا فِيْ نَفْسِكَؕ اِنَّكَ اَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ

যখন আল্লাহ বললেন, হে মারইয়ামের ছেলে ঈসা! তুমি কি লোকদেরকে বলেছিলে যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া আমাকে ও আমার মাকে দু‘জন ইলাহ্ হিসেবে গ্রহণ করো? তখন সে বলবে, তুমি মহিমান্বিত! যা বলার অধিকার আমার নেই তা বলা আমার পক্ষে শোভনীয় নয়। যদি আমি তা বলতাম, তবে তুমি তো তা জানতে। তাছাড়া আমার অন্তরের কথা তুমি তো অবগত আছই, কিন্তু তোমার অন্তরের কথা আমি অবগত নই। নিশ্চয় তুমি অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত। (সূরা মায়েদা– ১১৬)

ঈসা (আঃ) সত্য কথা প্রকাশ করে দেবেন :

مَا قُلْتُ لَهُمْ اِلَّا مَاۤ اَمَرْتَنِيْ بِه ۤ اَنِ اعْبُدُوا اللهَ رَبِّيْ وَرَبَّكُمْؕ وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيْدًا مَّا دُمْتُ فِيْهِمْۚ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِيْ كُنْتَ اَنْتَ الرَّقِيْبَ عَلَيْهِمْؕ وَاَنْتَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيْدٌ

তুমি আমাকে যে আদেশ করেছ তা ব্যতীত তাদেরকে আমি কিছুই বলিনি। আর তা হচ্ছে যে, তোমরা আমার ও তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদাত করো এবং যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম ততদিন আমি ছিলাম তাদের কার্যকলাপের সাক্ষী। কিন্তু যখন তুমি আমাকে তুলে নিলে, তখন তুমিই তো ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক এবং তুমিই ছিল সর্ববিষয়ে সাক্ষী। (সূরা মায়েদা– ১১৭)

তিনি কিয়ামতের দিন জাতির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন :

وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكُوْنُ عَلَيْهِمْ شَهِيْدًا

কিয়ামতের দিন সে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। (সূরা নিসা– ১৫৯)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন