hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৮৬
অধ্যায়- ১০ : কসর সালাতের বর্ণনা
সফরের সময় কসর সালাত আদায় করা যায় :

وَاِذَا ضَرَبْتُمْ فِى الْاَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ اَنْ تَقْصُرُوْا مِنَ الصَّلَاةِ اِنْ خِفْتُمْ اَنْ يَّفْتِنَكُمُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْاۤ اِنَّ الْكَافِرِيْنَ كَانُوْا لَكُمْ عَدُوًّا مُّبِيْنًا

যখন তোমরা জমিনে সফর করবে তখন যদি তোমাদের আশঙ্কা হয় যে, কাফিররা তোমাদের জন্য ফিতনা সৃষ্টি করবে, তখন যদি তোমরা সালাত সংক্ষিপ্ত করে দাও তাহলে তাতে কোন দোষ নেই। নিশ্চয় কাফিররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা নিসা- ১০১)

ব্যাখ্যা : যেসব ওয়াক্তে চার রাকআত সালাত ফরয, সেসব ওয়াক্তে ফরয সালাত দু’রাকআত আদায় করাই হচ্ছে কসর। নবী ﷺ সফরে ফজরের সুন্নাত ও বেতর সালাত নিয়মিত পড়তেন; কিন্তু অন্যান্য ওয়াক্তে কেবল ফরয পড়তেন। নিয়মিত সুন্নাত পড়া তাঁর থেকে প্রমাণিত হয়নি। তবে যখনই নফল সালাতের সুযোগ পেতেন তখন তা পড়ে নিতেন। এমনকি সাওয়ারীর পিঠে বসেও নফল সালাত আদায় করতেন। মুসাফির যখন পথে চলমান অবস্থায় থাকে তখন তার সুন্নাত না পড়াই উত্তম। আর যখন কোন নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে থাকে তখন সুন্নাত পড়াই উত্তম।

খাউফ বা ভয়ের সময় সালাত আদায় করার নিয়ম :

وَاِذَا كُنْتَ فِيْهِمْ فَاَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلَاةَ فَلْتَقُمْ طَآئِفَةٌ مِّنْهُمْ مَّعَكَ وَلْيَاْخُذُوْاۤ اَسْلِحَتَهُمْؕ فَاِذَا سَجَدُوْا فَلْيَكُوْنُوْا مِنْ وَّرَآئِكُمْ وَلْتَاْتِ طَآئِفَةٌ اُخْرٰى لَمْ يُصَلُّوْا فَلْيُصَلُّوْا مَعَكَ وَلْيَاْخُذُوْا حِذْرَهُمْ وَاَسْلِحَتَهُمْۚ وَدَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَوْ تَغْفُلُوْنَ عَنْ اَسْلِحَتِكُمْ وَاَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيْلُوْنَ عَلَيْكُمْ مَّيْلَةً وَّاحِدَةًؕ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ اِنْ كَانَ بِكُمْ اَذًى مِّنْ مَّطَرٍ اَوْ كُنْتُمْ مَّرْضٰۤى اَنْ تَضَعُوْاۤ اَسْلِحَتَكُمْۚ وَخُذُوْا حِذْرَكُمْؕ اِنَّ اللهَ اَعَدَّ لِلْكَافِرِيْنَ عَذَابًا مُّهِيْنًا

আর যখন তুমি তাদের মধ্যে অবস্থান করবে, তখন তাদের সাথে সালাত কায়েম করবে। অতঃপর তাদের একদল যেন তোমার সঙ্গে দাঁড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র থাকে। তারা সিজদায় গেলে তারা যেন তোমাদের পেছনে অবস্থান করে; আর অপর একদল যারা সালাতে শরীক হয়নি তারা যেন তোমার সঙ্গে সালাতে শরীক হয় এবং তারা যেন সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে। কাফিররা কামনা করে যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও আসবাবপত্র সম্বন্ধে অসতর্ক হও, যাতে তারা তোমাদের উপর একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। আর যদি তোমরা বৃষ্টির জন্য কষ্ট পাও অথবা পীড়িত থাক, তবে তোমরা অস্ত্র রেখে দিলে তোমাদের কোন দোষ নেই; কিন্তু তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করবে। নিশ্চয় আল্লাহ কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। (সূরা নিসা- ১০২)

ব্যাখ্যা : যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যেভাবে সম্ভব সালাত আদায় করে নিতে হবে। জামা‘আতে আদায় করার সুযোগ থাকলে জামা‘আতের সাথে আদায় করে নিতে হবে। অন্যথায় একা একা আদায় করে নিতে হবে। কিবলার দিকে মুখ করে আদায় করা সম্ভব না হলে যে দিকে মুখ করে আদায় করা সম্ভব সেদিকেই মুখ করে আদায় করতে হবে। সাওয়ারীর পিঠে বসে চলন্ত অবস্থায়ও আদায় করা যেতে পারে। রুকূ ও সিজদা করা সম্ভব না হলে ইশারায় করতে হবে। কাপড়ে রক্ত লেগে থাকলেও কোন ক্ষতি নেই। এসব সহজ ব্যবস্থার পরও যদি অবস্থা এতই বিপজ্জনক হয়, যার ফলে সালাত আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে বাধ্য হয়ে সালাত পিছিয়ে দিতে হবে। যেমন খন্দকের যুদ্ধের সময় হয়েছিল।

যুদ্ধের অবস্থার উপর ‘সালাতুল খাওফ’ আদায়ের পদ্ধতি নির্ভর করে। নবী ﷺ বিভিন্ন অবস্থায় বিভিন্ন পদ্ধতিতে এ সালাত আদায় করেছেন। কাজেই যুদ্ধের পরিস্থিতির আলোকে মুসলিম দলের প্রধান যেটির অনুমতি দেবে সে পদ্ধতিতেই সালাত আদায় করে নেবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন