hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৬৭
অধ্যায়- ৮ : স্ত্রীর দায়িত্ব
স্ত্রীকে দায়িত্বশীল ও নিষ্ঠাবান হতে হবে :

فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللهُ

সুতরাং সতী-সধ্বী নারীরা একান্ত অনুগত হয় এবং লোকচক্ষুর অন্তরালে আল্লাহ যা সংরক্ষণ করতে বলেছেন, তা সংরক্ষণ করে। (সূরা নিসা- ৩৪)

স্বামীকে দ্বীনের কাজে বাধা সৃষ্টি করবে না :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اِنَّ مِنْ اَزْوَاجِكُمْ وَاَوْلَادِكُمْ عَدُوًّا لَّكُمْ فَاحْذَرُوْهُمْ

হে মুমিনগণ! নিশ্চয় তোমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের শত্রু, অতএব তোমরা তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকো। (সূরা তাগাবুন- ১৪)

স্বামীর খিয়ানত করবে না :

ضَرَبَ اللهُ مَثَلًا لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوا امْرَاَتَ نُوْحٍ وَّامْرَاَتَ لُوْطٍؕ كَانَتَا تَحْتَ عَبْدَيْنِ مِنْ عِبَادِنَا صَالِحَيْنِ فَخَانَتَاهُمَا فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمَا مِنَ اللهِ شَيْئًا وَّقِيْلَ ادْخُلَا النَّارَ مَعَ الدَّاخِلِيْنَ

আল্লাহ কাফিরদের জন্য নূহ ও লূতের স্ত্রীদের দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন, তারা ছিল আমার বান্দাদের মধ্যে দু’জন সৎকর্মপরায়ণ বান্দার অধীন, কিন্তু তারা তাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। ফলে নূহ ও লূত (উভয়ের কেউই) তাদেরকে আল্লাহর শাস্তি হতে রক্ষা করতে পারল না। অতঃপর তাদেরকে (সে স্ত্রীদেরকে) বলা হলো, জাহান্নামে প্রবেশকারীদের সাথে তোমরাও তাতে প্রবেশ করো। (সূরা তাহরীম- ১০)

স্বামীর গোপন বিষয় প্রকাশ করবে না :

وَاِذْ اَسَرَّ النَّبِيُّ اِلٰى بَعْضِ اَزْوَاجِهٖ حَدِيْثًاۚ فَلَمَّا نَبَّاَتْ بِهٖ وَاَظْهَرَهُ اللهُ عَلَيْهِ عَرَّفَ بَعْضَهٗ وَاَعْرَضَ عَنْ ۢبَعْضٍۚ فَلَمَّا نَبَّاَهَا بِهٖ قَالَتْ مَنْ اَنْۢبَاَكَ هٰذَاؕ قَالَ نَبَّاَنِيَ الْعَلِيْمُ الْخَبِيْرُ

নবী তাঁর স্ত্রীদের একজনকে গোপনে কিছু বলেছিলেন। অতঃপর যখন সে তা অন্যকে বলে দিয়েছিল এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তখন তিনি এ বিষয়ে কিছু প্রকাশ করলেন এবং কিছু গোপন রাখলেন। যখন নবী তাঁর সেই স্ত্রীকে তা জানালেন তখন সে বলল, কে আপনাকে এটা অবহিত করল? নবী বললেন, আমাকে তিনিই অবহিত করেছেন, যিনি সর্বজ্ঞ ও সম্যক অবহিত। (সূরা তাহরীম- ৩)

স্ত্রীদেরকে দুনিয়ায় ভোগবিলাসী না হয়ে আখিরাতমুখী হতে হবে :

يَاۤ اَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِّاَزْوَاجِكَ اِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِيْنَتَهَا فَتَعَالَيْنَ اُمَتِّعْكُنَّ وَاُسَرِّحْكُنَّ سَرَاحًا جَمِيْلًا وَاِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ وَالدَّارَ الْاٰخِرَةَ فَاِنَّ اللهَ اَعَدَّ لِلْمُحْسِنَاتِ مِنْكُنَّ اَجْرًا عَظِيْمًا

হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে বলে দিন, যদি তোমরা পার্থিব জীবন ও তার সৌন্দর্য চাও তবে এসো, আমি তোমাদের ভোগের ব্যবস্থা করে দেই এবং তোমাদেরকে সম্মানের সাথে বিদায় দেই। আর যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও পরকাল চাও, তবে তোমাদের মধ্যে যারা সৎ আল্লাহ তাদের জন্য বিরাট পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন। (সূরা আহযাব- ২৮, ২৯)

শানে নুযূল : জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আবু বকর (রাঃ) এসে রাসূল ﷺ এর নিকট প্রবেশ করার অনুমতি প্রার্থনা করলেন। তিনি তাঁর দরজায় অনেক লোককে উপবিষ্ট দেখতে পেলেন। তবে তাদের কাউকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, এরপর তিনি আবু বকর (রাঃ) কে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করলে তিনি প্রবেশ করলেন। এরপর ওমর (রাঃ) এলেন এবং তিনি অনুমতি প্রার্থনা করলেন। তখন তাঁকেও প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হলো। তিনি নবী ﷺ কে চিন্তিত ও নীরবে বসে থাকতে দেখলেন আর তখন তাঁর চতুষ্পার্শ্বে তাঁর সহধর্মিণীগণ উপবিষ্ট ছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, ওমর (রাঃ) বললেন, নিশ্চয় আমি নবী ﷺ এর নিকট এমন কথা বলব যা তাঁকে হাসাবে। এরপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যদি খারিজার কন্যাকে (ওমর রাঃ এর স্ত্রী) আমার কাছে খোরপোষ তলব করতে দেখতেন তাহলে (তৎক্ষণাৎ) আপনি তাঁর দিকে অগ্রসর হয়ে তার স্কন্ধে আঘাত করতেন। তখন রাসূল ﷺ হেসে উঠলেন এবং বললেন, আমার চতুষ্পার্শ্বে তোমরা যাদেরকে দেখতে পাচ্ছ তারা আমার কাছে খোরপোষ দাবী করছে। অমনি আবু বকর (রাঃ) আয়েশা (রাঃ) এর দিকে ছুটলেন এবং তাঁর গর্দানে আঘাত করলেন। ওমর (রাঃ)ও দাঁড়িয়ে গেলেন এবং হাফসা (রাঃ) এর দিকে অগ্রসর হয়ে তাঁর ঘাড়ে আঘাত করলেন। তাঁরা উভয়ে বললেন, তোমরা নবী ﷺ এর নিকট এমন জিনিস দাবী করছ, যা তাঁর কাছে নেই। তখন তাঁরা (নবী ﷺ এর সহধর্মিণীগণ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমরা আর কখনো রাসূল ﷺ এর কাছে এমন জিনিস চাইব না, যা তাঁর কাছে নেই। এরপর তিনি তাঁদের থেকে এক মাস কিংবা ঊনত্রিশ দিন পৃথক রইলেন। অতঃপর তাঁর প্রতি উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়। রাবী বলেন, রাসূল আয়েশা (রাঃ) কে দিয়ে (আয়াতের নির্দেশ তামীল করতে) শুরু করলেন। তখন তিনি বললেন, হে আয়েশা! আমি তোমার কাছে একটি (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয়ে আলাপ করতে চাই। তবে সে বিষয়ে তোমার পিতামাতার সঙ্গে পরামর্শ না করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করাই আমি পছন্দ করি। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার ব্যাপারে আমি কি আমার পিতামাতার কাছে পরামর্শ নিতে যাব? (এর কোন প্রয়োজন নেই)। না, বরং আমি আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও আখিরাতকেই বেছে নিয়েছি। তবে আপনার কাছে আমার একান্ত নিবেদন, আমি যা বলেছি সে সম্পর্কে আপনি আপনার অন্যান্য সহধর্মিণীদের কারো কাছে ব্যক্ত করবেন না। তিনি বললেন, তাঁদের যে কেউ সে বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি অবশ্যই তাঁকে তা বলে দেব। কারণ আল্লাহ আমাকে কঠোরতা আরোপকারী ও অত্যাচারীরূপে নয় বরং সহজ পন্থায় (শিক্ষাদানকারী) হিসেবে প্রেরণ করেছেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৩৫৮২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন