hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪৩৪
অধ্যায়- ১ : নবী-রাসূলগণকে পাঠানোর উদ্দেশ্য
মানুষকে সুসংবাদ দেয়া ও ভয় দেখানো :

وَمَا نُرْسِلُ الْمُرْسَلِيْنَ اِلَّا مُبَشِّرِيْنَ وَمُنْذِرِيْنَۚ فَمَنْ اٰمَنَ وَاَصْلَحَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُوْنَ

আমি রাসূলগণকে শুধুমাত্র সুসংবাদবাহী ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করি। সুতরাং যে ব্যক্তি ঈমান আনবে ও নিজেকে সংশোধন করে নেবে, তার কোন ভয় নেই এবং সে দুঃখিতও হবে না। (সূরা আন‘আম– ৪৮)

মানুষের অভিযোগ করার কোন সুযোগ না রাখা :

رُسُلًا مُّبَشِّرِيْنَ وَمُنْذِرِيْنَ لِئَلَّا يَكُوْنَ لِلنَّاسِ عَلَى اللهِ حُجَّةٌ ۢبَعْدَ الرُّسُلِؕ وَكَانَ اللهُ عَزِيْزًا حَكِيْمًا

সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রাসূল প্রেরণ করেছি, যেন রাসূল আসার পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোন অভিযোগ না থাকে। আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা নিসা– ১৬৫)

নবী-রাসূল পাঠানো না হলে অভিযোগ করার সুযোগ থাকত :

وَلَوْ اَنَّاۤ اَهْلَكْنَاهُمْ بِعَذَابٍ مِّنْ قَبْلِهٖ لَقَالُوْا رَبَّنَا لَوْلَاۤ اَرْسَلْتَ اِلَيْنَا رَسُوْلًا فَنَتَّبِعَ اٰيَاتِكَ مِنْ قَبْلِ اَنْ نَّذِلَّ وَنَخْزٰى

যদি আমি এর আগেই তাদেরকে শাস্তি দ্বারা ধ্বংস করতাম, তবে তারা অবশ্যই বলত, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের নিকট একজন রাসূল পাঠালে না কেন? তাহলে আমরা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হওয়ার পূর্বেই তোমার আয়াতসমূহ মেনে চলতাম। (সূরা ত্বা–হা– ১৩৪)

ব্যাখ্যা : শেষ বিচারের দিন কোন অপরাধী আল্লাহর কাছে এ অজুহাত পেশ করতে পারবে না যে, সে জানত না অথবা আল্লাহ তাকে প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করার জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। কেননা আল্লাহ এ ব্যাপারে তাদের মুখ বন্ধ করে দেয়ার জন্যই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গোত্রে বা জাতিতে নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন, যাদের কাছে প্রয়োজনানুসারে ওহী নাযিল হতো। তাদের পথনির্দেশনার জন্য কিতাবও নাযিল করেছিলেন। এসব নবী ও রাসূল সেসব কিতাব ও ওহীর মাধ্যমে মানুষদেরকে আল্লাহর পথে আহবান করেছেন। তারা তাদের নিকট সত্যের জ্ঞান পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁরা দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেও তাদের উপর অবতীর্ণ কিতাবসমূহ রেখে গেছেন। ফলে তাদের অনুপস্থিতিতেও সেসব কিতাব দ্বারা সত্য পথ গ্রহণের সুযোগ ছিল। এরপরও যদি কোন ব্যক্তি গোমরাহ হয়, তাহলে সেজন্য সে নিজেই অভিযুক্ত হবে। কারণ তার কাছে সত্যের বাণী পৌঁছেছিল; কিন্তু সে তা গ্রহণ করেনি। সুতরাং এখন তাদের এসব অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া কিয়ামতের দিন সেসব লোকও অভিযুক্ত হবে, যারা সত্য ও সঠিক পথ সম্পর্কে জানত, কিন্তু আল্লাহর বান্দাদেরকে গোমরাহীতে লিপ্ত দেখেও তাদেরকে সৎপথের সন্ধান দেয়নি।

আযাব দেয়ার পূর্বে দাওয়াত পৌঁছে দেয়া :

وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِيْنَ حَتّٰى نَبْعَثَ رَسُوْلًا

আমি রাসূল না পাঠানো পর্যন্ত কাউকে শাস্তি দেই না। (সূরা বনী ইসরাঈল– ১৫)

وَمَا كَانَ رَبُّكَ مُهْلِكَ الْقُرٰى حَتّٰى يَبْعَثَ فِۤيْ اُمِّهَا رَسُوْلًا يَّتْلُوْا عَلَيْهِمْ اٰيَاتِنَاۚ وَمَا كُنَّا مُهْلِكِى الْقُرٰۤى اِلَّا وَاَهْلُهَا ظَالِمُوْنَ

তোমার প্রতিপালক কোন জনপদকেই ধ্বংস করেন না, যতক্ষণ না তার (জনপদের) কেন্দ্রস্থলে এমন কোন নবী না পাঠান, যিনি তাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করেন। আর আমি কোন জনপদ ধ্বংস করি না, যতক্ষণ না সেখানকার অধিবাসীরা অত্যাচারী হয়ে যায়। (সূরা ক্বাসাস– ৫৯)

রাসূল পাঠানোর তিনটি বিশেষ উদ্দেশ্য :

رَبَّنَا وَابْعَثْ فِيْهِمْ رَسُوْلًا مِّنْهُمْ يَتْلُوْا عَلَيْهِمْ اٰيَاتِكَ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُزَكِّيْهِمْؕ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ

হে আমাদের রব! তাদেরই মধ্য হতে এমন একজন রাসূল প্রেরণ করুন, যিনি তাদেরকে আপনার আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনাবেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দান করবেন এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন। নিশ্চয় আপনি মহাপরাক্রমশালী ও পরম কৌশলী। (সূরা বাক্বারা– ১২৯)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন