hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৬০
অধ্যায়- ৮ : ঈমানের দাবী
আল্লাহর প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা স্থাপন করা :

وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَّتَّخِذُ مِنْ دُوْنِ اللهِ اَنْدَادًا يُّحِبُّوْنَهُمْ كَحُبِّ اللهِؕ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰهِ

মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমনও রয়েছে, যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্য কিছুকে তাঁর সমকক্ষ হিসেবে গ্রহণ করে। তারা তাদেরকে তেমনি ভালোবাসে যেমনটি কেবল আল্লাহকেই ভালোবাসা উচিত। আর যারা (সত্যিকার অর্থে) আল্লাহর উপর ঈমান আনয়ন করে, তারা তো তাঁকেই সর্বাধিক ভালোবাসবে। (সূরা বাক্বারা- ১৬৫)

ব্যাখ্যা : এটা ঈমানের দাবী। একজন ঈমানদারের কাছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্যসব সন্তুষ্টির উপর অগ্রাধিকার লাভ করবে। তার মধ্যে কোনকিছুর প্রতি ভালোবাসা আল্লাহর ভালোবাসার চেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করবে না।

দৃঢ় মনোবলের অধিকারী হওয়া :

وَلَا تَهِنُوْا وَلَا تَحْزَنُوْا وَاَنْتُمُ الْاَعْلَوْنَ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ

আর তোমরা দুর্বল হয়ো না এবং চিন্তিতও হয়ো না; যদি তোমরা মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হও, তবে তোমরাই বিজয়ী হবে। (সূরা আলে ইমরান- ১৩৯)

وَكَاَيِّنْ مِّنْ نَّبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهٗ رِبِّيُّوْنَ كَثِيْرٌۚ فَمَا وَهَنُوْا لِمَاۤ اَصَابَهُمْ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ وَمَا ضَعُفُوْا وَمَا اسْتَكَانُوْاؕ وَاللهُ يُحِبُّ الصَّابِرِيْنَ

এমন অনেক নবী ছিলেন, যাদের সহযোগে আল্লাহভক্ত লোকেরা যুদ্ধ করেছিল। অতঃপর আল্লাহর পথে যা সংঘটিত হয়েছিল তাতে তারা নিরুৎসাহিত হয়নি, শক্তিহীন হয়নি এবং বিচলিতও হয়নি। আর আল্লাহ ধৈর্যশীলদেরকে ভালোবাসেন। (সূরা আলে ইমরান- ১৪৬)

বাতিলের হুমকিকে ভয় না করা :

اَ لَّذِيْنَ قَالَ لَهُمُ النَّاسُ اِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوْا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ اِيْمَانًا وَّقَالُوْا حَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْلُ

লোকেরা যাদেরকে বলেছিল, নিশ্চয় তোমাদের বিরুদ্ধে লোকজন সমবেত হয়েছে; অতএব তোমরা তাদেরকে ভয় করো। কিন্তু এতে তাদের ঈমান আরো বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং তারা বলেছিল, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আর তিনি কতই না মঙ্গলময় কর্মবিধায়ক। (সূরা আলে ইমরান- ১৭৩)

আল্লাহর উপর দৃঢ় আস্থা রাখা :

فَلَمَّا تَرَآءَ الْجَمْعَانِ قَالَ اَصْحَابُ مُوْسٰۤى اِنَّا لَمُدْرَكُوْنَ قَالَ كَلَّاۚ اِنَّ مَعِيَ رَبِّيْ سَيَهْدِيْنِ

অতঃপর যখন দু’টি দল পরস্পরকে দেখল তখন মূসার সঙ্গীরা বলল, আমরা তো ধরা পড়ে গেলাম! মূসা বলল, কখনই নয়! নিশ্চয় আমার প্রতিপালক আমার সঙ্গেই রয়েছেন; অচিরেই তিনি আমাকে পথনির্দেশ করবেন। (সূরা শু‘আরা- ৬১, ৬২)

اِلَّا تَنْصُرُوْهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللهُ اِذْ اَخْرَجَهُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا ثَانِيَ اثْنَيْنِ اِذْ هُمَا فِى الْغَارِ اِذْ يَقُوْلُ لِصَاحِبِه لَا تَحْزَنْ اِنَّ اللهَ مَعَنَا

যদি তোমরা তাঁকে (নবীকে) সাহায্য না কর, তবে আল্লাহ তো তাকে সাহায্য করেছিলেন যখন কাফিররা তাকে বহিষ্কার করেছিল। আর তিনি ছিলেন দু’জনের দ্বিতীয়জন- যখন তারা উভয়ে (একটি) গুহার মধ্যে অবস্থান করছিল তখন তিনি তার সঙ্গীকে বলেছিলেন, চিন্তিত হয়ো না; নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। (সূরা তাওবা- ৪০)

ব্যাখ্যা : নবী ﷺ যখন জানতে পারলেন যে, মক্কার কাফিররা তাঁকে হত্যা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, তখন শুধুমাত্র আবু বকর (রাঃ) কে সাথে নিয়ে তিনি মক্কা থেকে বের হয়ে পড়লেন। শত্রুরা তাঁকে চারদিকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল, এমনকি যে গুহায় তিনি লুকিয়েছিলেন তাদের কয়েকজন সেখানেও পৌঁছে যায়। ফলে আবু বকর (রাঃ) ভীষণ ভয় পেয়ে গেলেন। কিন্তু নবী ﷺ একটুও বিচলিত না হয়ে আবু বকর (রাঃ) কে এ বলে সান্ত্বনা দিলেন যে, ‘‘চিন্তিত হয়ো না, মন খারাপ করো না; কেননা আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন।’’ এটা ছিল আল্লাহর প্রতি দৃঢ় আস্থার বহিঃপ্রকাশ।

ঈমান রক্ষার জন্য যে কোন কষ্ট স্বীকার করা :

قَالَتْ فَذٰلِكُنَّ الَّذِيْ لُمْتُنَّنِيْ فِيْهِؕ وَلَقَدْ رَاوَدْتُّهٗ عَنْ نَّفْسِه فَاسْتَعْصَمَؕ وَلَئِنْ لَّمْ يَفْعَلْ مَاۤ اٰمُرُه لَيُسْجَنَنَّ وَلَيَكُوْنًا مِّنَ الصَّاغِرِيْنَ قَالَ رَبِّ السِّجْنُ اَحَبُّ اِلَيَّ مِمَّا يَدْعُونَنِيْۤ اِلَيْهِۚ وَاِلَّا تَصْرِفْ عَنِّيْ كَيْدَهُنَّ اَصْبُ اِلَيْهِنَّ وَاَكُنْ مِّنَ الْجَاهِلِيْنَ

সে (বাদশাহর স্ত্রী) বলল, এ-ই সে যার সম্বন্ধে তোমরা আমার নিন্দা করেছ। আমি তো তার থেকে অসৎকর্ম কামনা করেছি। কিন্তু সে নিজেকে পবিত্র রেখেছে; আমি তাকে যা আদেশ করেছি সে যদি তা না করে, তবে সে কারারুদ্ধ হবে এবং হীনদের অন্তর্ভুক্ত হবে। তখন ইউসুফ বলল, হে আমার প্রতিপালক! এরা আমাকে যার প্রতি আহবান করছে তা অপেক্ষা কারাগার আমার নিকট অধিক প্রিয়। আপনি যদি তাদের ছলনা হতে আমাকে রক্ষা না করেন, তবে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। (সূরা ইউসুফ- ৩২, ৩৩)

অসীম সাহসী হওয়া :

فَاُلْقِيَ السَّحَرَةُ سُجَّدًا قَالُوْاۤ اٰمَنَّا بِرَبِّ هَارُوْنَ وَمُوْسٰى قَالَ اٰمَنْتُمْ لَهٗ قَبْلَ اَنْ اٰذَنَ لَكُمْؕ اِنَّهٗ لَكَبِيْرُكُمُ الَّذِيْ عَلَّمَكُمُ السِّحْرَۚ فَلَاُقَطِّعَنَّ اَيْدِيَكُمْ وَاَرْجُلَكُمْ مِّنْ خِلَافٍ وَّلَاُصَلِّبَنَّكُمْ فِيْ جُذُوْعِ النَّخْلِ وَلَتَعْلَمُنَّ اَيُّنَاۤ اَشَدُّ عَذَابًا وَّاَبْقٰى قَالُوْا لَنْ نُّؤْثِرَكَ عَلٰى مَا جَآءَنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالَّذِيْ فَطَرَنَا فَاقْضِ مَاۤ اَنْتَ قَاضٍؕ اِنَّمَا تَقْضِيْ هٰذِهِ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا اِنَّاۤ اٰمَنَّا بِرَبِّنَا لِيَغْفِرَ لَنَا خَطَايَانَا وَمَاۤ اَكْرَهْتَنَا عَلَيْهِ مِنَ السِّحْرِؕ وَاللهُ خَيْرٌ وَّاَبْقٰى

অতঃপর যাদুকররা সিজদায় লুটিয়ে পড়ল এবং বলল, আমরা হারূন ও মূসার প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনয়ন করলাম। তখন ফিরাউন বলল, ‘কী ব্যাপার, আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার পূর্বেই তোমরা তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলে? (আমি দেখতে পাচ্ছি যে) আসলে সে-ই হচ্ছে তোমাদের প্রধান গুরু, যে তোমাদেরকে যাদু শিক্ষা দিয়েছে। সুতরাং আমি তোমাদের হাত-পা বিপরীত দিক হতে কর্তন করবই এবং তোমাদেরকে খেজুর বৃক্ষের কান্ডে শূলবিদ্ধ করবই। ফলে অবশ্যই তোমরা জানতে পারবে যে, আমাদের মধ্যে কার শাস্তি কঠোরতর ও অধিক স্থায়ী। অতঃপর তারা বলল, আমাদের নিকট যে স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে তার উপর এবং যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর উপর তোমাকে আমরা কিছুতেই প্রাধান্য দেব না। সুতরাং তুমি যা ইচ্ছা করতে পার। তুমি তো কেবল এ পার্থিব জীবনের উপর কর্তৃত্ব করতে পার। নিশ্চয় আমরা আমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান এনেছি, যাতে তিনি আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দেন এবং তুমি আমাদেরকে যে যাদু করতে বাধ্য করেছ তা হতেও ক্ষমা করে দেন। আর আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ ও স্থায়ী। (সূরা ত্বা-হা, ৭০-৭৩)

পরস্পর ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকা :

اِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ اِخْوَةٌ فَاَصْلِحُوْا بَيْنَ اَخَوَيْكُمْ وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ

নিশ্চয় মুমিনরা একে অপরের ভাইস্বরূপ। তাই তোমাদের ভাইদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করে দাও। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো; আশা করা যায়, তোমাদের উপর দয়া করা হবে। (সূরা হুজুরাত- ১০)

ব্যাখ্যা : এ আয়াতটি দুনিয়ার সকল মুসলিমকে এক বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে। দুনিয়ার অন্য কোন আদর্শ বা মত ও পথের অনুসারীদের মধ্যে এমন কোন ভ্রাতৃত্ববন্ধন পাওয়া যায় না, যা মুসলিমদের মধ্যে পাওয়া যায়। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) ও আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার উপর যুলুম করবে না, তাকে সহযোগিতা করা পরিত্যাগ করবে না এবং তাকে লাঞ্ছিত ও হেয় করবে না। কোন ব্যক্তির জন্য তার কোন মুসলিম ভাইকে হেয় ও তুচ্ছ জ্ঞান করার মতো অপকর্ম আর নেই। (সহীহ মুসলিম, হা/৬৭০৬) সাহল ইবনে সা’দ সায়েদী (রাঃ) নবী ﷺ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ঈমানদারদের সাথে একজন ঈমানদারের সম্পর্ক ঠিক তেমন, যেমন দেহের সাথে মাথার সম্পর্ক। সে ঈমানদারদের প্রতিটি দুঃখ-কষ্ট ঠিক তেমন অনুভব করে যেমন মাথা দেহের প্রতিটি অংশের ব্যথা অনুভব করে। (সহীহ বুখারী, হা/৬০১১) নবী ﷺ আরো বলেন, ‘‘মুমিনগণ পরস্পরের জন্য একই প্রাচীরের ইটের মতো একে অপরের থেকে শক্তিলাভ করে থাকে।’’ (সহীহ বুখারী, হা/৪৮১; সহীহ মুসলিম, হা/৬৭৫০)

ঈমানের দাবী অনুযায়ী কাজ করা :

وَالْمُؤْمِنُوْنَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ اَوْلِيَآءُ بَعْضٍ يَّاْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُقِيْمُوْنَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوْنَ الزَّكَاةَ وَيُطِيْعُوْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗؕ اُولٰٓئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللهُؕ اِنَّ اللهَ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ

মুমিন নর ও মুমিন নারী একে অপরের বন্ধু, এরা সৎকার্যের নির্দেশ দেয় এবং অসৎকার্য হতে নিষেধ করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে; অচিরেই আল্লাহ এদেরকে দয়া প্রদর্শন করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা তাওবা- ৭১)

ব্যাখ্যা : পরকালীন জীবনে তাদের জান্নাত লাভ করাটা এমন ঈমানের ফল নয়, যার অর্থ নিছক বিশ্বাস করা। বরং এটি এমন ঈমানের ফল, যা চরিত্র ও কর্মকান্ডের পরিচালক শক্তিতে শক্তিশালী সৎকাজে উদ্বুদ্ধ করে। যে ব্যক্তি ঈমান এনেও বেঈমানের মতো জীবন-যাপন করে সে আল্লাহর উপর ঈমান আনয়নের পর সৎকর্মশীল হয়ে জীবন-যাপনকারীর মতো পুরস্কার পাওয়ার আশা করতে পারে না।

ঈমানকে শিরক থেকে পবিত্র রাখা :

اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَلَمْ يَلْبِسُوْاۤ اِيْمَانَهُمْ بِظُلْمٍ اُولٰٓئِكَ لَهُمُ الْاَ مْنُ وَهُمْ مُّهْتَدُوْنَ

যারা ঈমান এনেছে এবং নিজেদের ঈমানকে যুলুম দ্বারা কলুষিত করেনি, তাদের জন্য রয়েছে নিরাপত্তা। আর তারাই হচ্ছে প্রকৃত হেদায়াতপ্রাপ্ত। (সূরা আন‘আম- ৮২)

ব্যাখ্যা : এখানে যুলুম বলতে শিরককে বুঝানো হয়েছে। সুতরাং এ আয়াতের মর্মার্থ হলো, যারা আল্লাহকে মেনে নেবে এবং কোন প্রকার শিরকী বিশ্বাস ও কর্মের অনুপ্রবেশ ঘটাবে না। নিরাপত্তা ও প্রশান্তি একমাত্র তারাই লাভ করবে এবং একমাত্র তারাই সরল পথে প্রতিষ্ঠিত থাকবে।

ঈমানকে সন্দেহমুক্ত রাখা :

اِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِه ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوْا وَجَاهَدُوْا بِاَمْوَالِهِمْ وَاَنْفُسِهِمْ فِيْ سَبِيْلِ اللهِؕ اُولٰٓئِكَ هُمُ الصَّادِقُوْنَ

তারাই সত্যিকার মুমিন, যারা আল্লাহ ও রাসূলের উপর ঈমান আনয়ন করেছে, এরপর এতে কোন সন্দেহ পোষণ করেনি এবং আল্লাহর পথে তাদের জান ও মাল দ্বারা জিহাদ করেছে। প্রকৃতপক্ষে এরাই সত্যবাদী। (সূরা হুজুরাত- ১৫)

মুনাফিকী থেকে দূরে থাকা :

وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَّقُوْلُ اٰمَنَّا بِاللهِ وَبِالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَمَا هُمْ بِمُؤْمِنِيْنَ

মানুষের মধ্যে এমন লোকও আছে যারা বলে- আমরা আল্লাহর উপর এবং বিচার দিনের উপর ঈমান আনয়ন করেছি; অথচ তারা মোটেই ঈমানদার নয়। (সূরা বাক্বারা- ৮)

পাকাপোক্ত ঈমানদার হওয়া :

قَالَتِ الْاَعْرَابُ اٰمَنَّاؕ قُلْ لَّمْ تُؤْمِنُوْا وَلٰكِنْ قُوْلُوْاۤ اَسْلَمْنَا وَلَمَّا يَدْخُلِ الْاِيْمَانُ فِيْ قُلُوْبِكُمْ

মরুবাসীরা বলে, আমরা ঈমান আনয়ন করেছি। বলো, (প্রকৃতপক্ষে) তোমরা ঈমান আনয়ন করনি; বরং তোমরা বলো, আমরা অনুগত হয়েছি। (কেননা) এখনো তোমাদের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করেনি। (সূরা হুজুরাত- ১৪)

ব্যাখ্যা : আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার অর্থ শুধুমাত্র ‘আল্লাহ আছেন’ এ কথা মেনে নেয়া নয়। বরং এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ্ ও রব হিসেবে মেনে নেয়া এবং তাঁর সত্তা, গুণাবলি, অধিকার ও ক্ষমতায় কাউকে শরীক না করা। আর আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার অর্থ হচ্ছে, মরে যাওয়ার পর আমাদেরকে আবারও উঠানো হবে- এ কথার স্বীকৃতি দেয়া এবং এ কথাও মেনে নেয়া যে, সেখানে কোন তাদবীর কাজে আসবে না, কেউ কারো পাপের কাফ্ফারা হবে না। আল্লাহর আদালতে ইনসাফ হবে সম্পূর্ণ পক্ষপাতহীন এবং মানুষের ঈমান ও আমল ছাড়া সেখানে আর কোন জিনিসেরই মূল্য থাকবে না।

মসজিদ আবাদ করা :

اِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللهِ مَنْ اٰمَنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَاَقَامَ الصَّلَاةَ وَاٰتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ اِلَّا اللهَ ؕ فَعَسٰۤى اُولٰٓئِكَ اَنْ يَّكُوْنُوْا مِنَ الْمُهْتَدِيْنَ

তারাই তো আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যারা আল্লাহর প্রতি ও আখিরাতের প্রতি ঈমান আনয়ন করবে। আর তারা সালাত কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করবে না। অতএব আশা করা যায়, তারা সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা তাওবা- ১৮)

ঈমানের উপর অটল থাকা :

اِنَّ الَّذِيْنَ قَالُوْا رَبُّنَا اللهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوْا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلَآئِكَةُ اَلَّا تَخَافُوْا وَلَا تَحْزَنُوْا وَاَبْشِرُوْا بِالْجَنَّةِ الَّتِيْ كُنْتُمْ تُوْعَدُوْنَ نَحْنُ اَوْلِيَآؤُكُمْ فِى الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِى الْاٰخِرَةِۚ وَلَكُمْ فِيْهَا مَا تَشْتَهِيْۤ اَنْفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيْهَا مَا تَدَّعُوْنَ نُزُلًا مِّنْ غَفُوْرٍ رَّحِيْمٍ

নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, অতঃপর অবিচল থাকে, তাদের নিকট ফেরেশতারা অবতীর্ণ হয়ে বলে- তোমরা ভীত হয়ো না এবং চিন্তিতও হয়ো না; বরং তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তার সুসংবাদ পেয়ে আনন্দিত হও। দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে আমরাই তোমাদের বন্ধু। সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে যা কিছু তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে যা তোমাদেরকে ওয়াদা দেয়া হয়েছে। এটা হলো ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ হতে আপ্যায়ন। (সূরা হা-মীম সাজদা, ৩০-৩২)

ব্যাখ্যা : যারা এ সুসংবাদ পেয়েছে তারা আল্লাহকে কেবল রব বলে ঘোষণা করে থেমে যায়নি এবং তার সাথে অন্য কাউকে রব হিসেবেও গ্রহণ করেনি, আর এর সাথে কোন ভ্রান্ত আকীদার সংমিশ্রণও ঘটায়নি। বরং এ আকীদা পোষণ করার পর সারা জীবন তার উপর প্রতিষ্ঠিত থেকেছে, তার পরিপন্থী অন্য সকল আকীদা প্রত্যাখান করেছে এবং নিজের কর্মজীবনে তাওহীদের দাবীসমূহও পূরণ করেছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন