hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৬৩
অধ্যায়- ১ : সর্বযুগের গ্রহণযোগ্য দ্বীন হলো ইসলাম
সকল নবীদের দ্বীন হলো ইসলাম :

مِلَّةَ اَبِيْكُمْ اِبْرَاهِيْمَؕ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمِيْنَ مِنْ قَبْلُ وَفِيْ هٰذَا لِيَكُوْنَ الرَّسُوْلُ شَهِيْدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُوْنُوْا شُهَدَآءَ عَلَى النَّاسِ

এটা তোমাদের পিতা ইবরাহীমের মিল্লাত। তিনি ইতোপূর্বে তোমাদের নামকরণ করেছিলেন ‘মুসলিম’ এবং এ কিতাবেও (অর্থাৎ কুরআনের মধ্যেও তোমাদেরকে এ নামেই সম্বোধন করা হয়েছে); যাতে রাসূল তোমাদের জন্য এবং সমস্ত মানুষের জন্য আল্লাহর দ্বীনের উপর সাক্ষী হতে পারে। (সূরা হজ্জ- ৭৮)

নূহ (আঃ) এর দ্বীন ছিল ইসলাম :

وَاُمِرْتُ اَنْ اَكُوْنَ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ

(নূহ আঃ বলেছিলেন) আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্যই আদিষ্ট হয়েছি। (সূরা ইউনুস- ৭২)

ইবরাহীম (আঃ) এর দ্বীন ছিল ইসলাম :

مَا كَانَ اِبْرَاهِيْمُ يَهُوْدِيًّا وَّلَا نَصْرَانِيًّا وَّلٰكِنْ كَانَ حَنِيْفًا مُّسْلِمًاؕ وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ

ইবরাহীম ইয়াহুদি বা নাসারা কিছুই ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। আর তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্তও ছিলেন না। (সূরা আলে ইমরান - ৬৭)

ইবরাহীম ও ইসমাঈল (আঃ) মুসলিম হওয়ার দু‘আ করেছিলেন :

رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِنَاۤ اُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكْ وَاَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَاۚ اِنَّكَ اَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ

হে আমাদের রব! আমাদের উভয়কে মুসলিম বানিয়ে দিন এবং আমাদের বংশধরদের মধ্য হতেও আপনার অনুগত একদল লোক সৃষ্টি করে দিন। আর আমাদেরকে ইবাদাতের আহকাম বলে দিন এবং আমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হোন, নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল ও করুণাময়। (সূরা বাক্বারা- ১২৮)

ইয়াকূব (আঃ) এর দ্বীন ছিল ইসলাম :

وَوَصّٰى بِهَاۤ اِبْرَاهِيْمُ بَنِيْهِ وَيَعْقُوْبُؕ يَا بَنِيَّ اِنَّ اللهَ اصْطَفٰى لَكُمُ الدِّيْنَ فَلَا تَمُوْتُنَّ اِلَّا وَاَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ

ইবরাহীম ও ইয়াকূব স্বীয় সন্তানদেরকে এ সদুপদেশ প্রদান করেছিল যে, হে আমার বংশধর! নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এই দ্বীনকে (জীবনব্যবস্থা হিসেবে) মনোনীত করেছেন। অতএব তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (সূরা বাক্বারা- ১৩২)

ইউসুফ (আঃ) মুসলিম হয়ে মৃত্যুবরণ করার জন্য দু‘আ করেছিলেন :

فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِؕ اَنْتَ وَلِيِّيْ فِى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِۚ تَوَفَّنِيْ مُسْلِمًا وَّاَلْحِقْنِيْ بِالصَّالِحِيْنَ

হে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা! তুমিই ইহকাল ও পরকালে আমার অভিভাবক। তুমি আমাকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দাও এবং আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করো। (সূরা ইউসুফ- ১০১)

লূত (আঃ) এর পরিবারও মুসলিম ছিলেন :

فَاَخْرَجْنَا مَنْ كَانَ فِيْهَا مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ فَمَا وَجَدْنَا فِيْهَا غَيْرَ بَيْتٍ مِّنَ الْمُسْلِمِيْنَ

সেখানে যেসব মুমিন ছিল আমি তাদেরকে বের করে নিলাম। কিন্তু সেখানে আমি একটি পরিবার (লূত আঃ এর পরিবার) ব্যতীত অন্য কোন মুসলিম পাইনি। (সূরা যারিয়াত- ৩৫, ৩৬)

মূসা (আঃ) এর দ্বীনও ছিল ইসলাম :

وَقَالَ مُوْسٰى يَا قَوْمِ اِنْ كُنْتُمْ اٰمَنْتُمْ بِاللهِ فَعَلَيْهِ تَوَكَّلُوْاۤ اِنْ كُنْتُمْ مُّسْلِمِيْنَ

মূসা বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনে থাক এবং যদি তোমরা মুসলিম হও, তবে তোমরা তাঁর উপরই নির্ভর করো। (সূরা ইউনুস- ৮৪)

সুলায়মান (আঃ) এর দ্বীন ছিল ইসলাম :

قَالَتْ رَبِّ اِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ وَاَسْلَمْتُ مَعَ سُلَيْمَانَ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ

সে (সাবার রাণী) বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমি তো নিজের প্রতি যুলুম করেছি, এখন আমি সুলায়মানের সাথে জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করলাম। (সূরা নামল- ৪৪)

ঈসা (আঃ) এর দ্বীন ছিল ইসলাম :

وَاِذْ اَوْحَيْتُ اِلَى الْحَوَارِيِّيْنَ اَنْ اٰمِنُوْا بِيْ وَبِرَسُوْلِيْۚ قَالُوْاۤ اٰمَنَّا وَاشْهَدْ بِاَنَّنَا مُسْلِمُوْنَ

স্মরণ করো, যখন আমি হাওয়ারীদেরকে এ আদেশ দিয়েছিলাম যে, তোমরা আমার প্রতি ও আমার রাসূলের প্রতি ঈমান আনয়ন করো। তখন তারা বলেছিল, আমরা ঈমান আনলাম এবং তুমি সাক্ষী থাক যে, আমরা মুসলিম। (সূরা মায়েদা- ১১১)

মুহাম্মাদ ﷺ এরও দ্বীন হলো ইসলাম :

اِنَّمَاۤ اُمِرْتُ اَنْ اَعْبُدَ رَبَّ هٰذِهِ الْبَلْدَةِ الَّذِيْ حَرَّمَهَا وَلَهٗ كُلُّ شَيْءٍ وَّاُمِرْتُ اَنْ اَكُوْنَ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ

নিশ্চয় আমি আদিষ্ট হয়েছি এ নগরীর প্রতিপালকের ইবাদাত করার জন্য, যিনি তাকে সম্মানিত করেছেন এবং সমস্ত কিছু তাঁরই জন্য। আর আমি আরো আদিষ্ট হয়েছি, যেন আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হই। (সূরা নামল- ৯১)

ব্যাখ্যা : মানবজাতির ইতিহাসের সূচনালগ্ন থেকেই যারা তাওহীদ, আখিরাত ও রিসালাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে আসছেন, তারা সকলেই মুসলিম ছিলেন। এ সত্য মিল্লাতের অনুসারীদেরকে কোন দিন ‘নূহী’ ‘ইবরাহিমী’ বা ‘মাসীহী’ ইত্যাদি বলা হয়নি; বরং তাদের নাম ছিল ‘মুসলিম’ এবং আজও সবাই মুসলিম। তবে অতি দুঃখের বিষয় যে, আজকের মুসলিমরা তাদের এ প্রকৃত পরিচিতিমূলক নামটি ব্যবহার না করে এমনসব নামে পরিচয় দিচ্ছে, ফলে গোটা মুসলিম উম্মাহ বিভক্ত হয়ে গেছে এবং ভিন্ন ভিন্ন নামে তাদের পরিচয় প্রকাশ করছে। যার ফলে তাদের মধ্যে হিংসা-বিবাদ ও হানা-হানি লেগেই আছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন