hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৩৮
অধ্যায়- ১ : ইসলাম প্রচারের গুরুত্ব
আল্লাহর পথে আহবানকারীর মর্যাদা সর্বোচ্চ :

وَمَنْ اَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّنْ دَعَاۤ اِلَى اللهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَّقَالَ اِنَّنِيْ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ

কথায় ঐ ব্যক্তির চেয়ে উত্তম আর কে হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করে, সৎকর্ম করে এবং বলে, নিশ্চয় আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা হা-মীম সাজদা- ৩৩)

ব্যাখ্যা : আল্লাহর উপর ঈমান এনে তাঁর ইবাদাতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা এবং এ পথ থেকে বিচ্যুত না হওয়াটা এমন এক মৌলিক গুণ, যা মানুষকে ফেরেশতাদের বন্ধু এবং জান্নাতের উপযুক্ত বানিয়ে দেয়। এর উপরের স্তর হচ্ছে, নিজে নেক কাজ করা, অন্যদেরকেও আল্লাহর দিকে আহবান করা এবং এ ঘোষণা করা যে, ‘আমি মুসলিম’। মানুষের জন্য এটাই সর্বোচ্চ স্তর।

আল্লাহর পথে আহবান করার নির্দেশ :

وَادْعُ اِلٰى رَبِّكَؕ اِنَّكَ لَعَلٰى هُدًى مُّسْتَقِيْمٍ

আর তুমি তোমার প্রতিপালকের দিকে আহবান করো, নিশ্চয় তুমি সরল পথেই প্রতিষ্ঠিত রয়েছ। (সূরা হজ্জ- ৬৭)

আল্লাহ মানুষকে শান্তির পথে ডাকেন :

وَاللهُ يَدْعُوْاۤ اِلٰى دَارِ السَّلَامِؕ وَيَهْدِيْ مَنْ يَّشَآءُ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ

আল্লাহ শান্তির আবাসের দিকে আহবান করেন এবং যাকে ইচ্ছা তাকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (সূরা ইউনুস- ২৫)

আল্লাহ মানুষকে জান্নাতের পথে ডাকেন :

وَاللهُ يَدْعُوْاۤ اِلَى الْجَنَّةِ وَالْمَغْفِرَةِ بِاِذْنِهٖۚ وَيُبَيِّنُ اٰيَاتِهٖ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُوْنَ

আল্লাহ স্বেচ্ছায় জান্নাত ও ক্ষমার দিকে ডাকেন। আর তাঁর আয়াতসমূহ মানুষের জন্য বর্ণনা করেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে। (সূরা বাক্বারা- ২২১)

নবীগণও মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকতেন :

قُلْ هٰذِهٖ سَبِيْلِيْۤ اَدْعُوْاۤ اِلَى اللهِ عَلٰى بَصِيْرَةٍ اَنَاْ وَمَنِ اتَّبَعَنِيْؕ وَسُبْحَانَ اللهِ وَمَاۤ اَنَاْ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ

বলো, এটাই আমার পথ। আমি এবং আমার অনুসারীরা সূক্ষ্মদর্শিতার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে মানুষকে আহবান করি। আল্লাহ মহিমান্বিত; আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। (সূরা ইউসুফ- ১০৮)

অনেক মুমিন ব্যক্তি মানুষকে নাজাতের পথে ডাকেন :

وَيَا قَوْمِ مَا لِۤيْ اَدْعُوْكُمْ اِلَى النَّجَاةِ وَتَدْعُوْنَنِيْۤ اِلَى النَّارِ

হে আমার সম্প্রদায়! এ কেমন কথা! আমি তোমাদেরকে আহবান করছি মুক্তির দিকে, আর তোমরা আমাকে আহবান করছ জাহান্নামের দিকে? (সূরা মু’মিন- ৪১)

জিনদের একটি দলও আল্লাহর পথে ডাকে :

يَا قَوْمَنَاۤ اَجِيْبُوْا دَاعِيَ اللهِ وَاٰمِنُوْا بِهٖ يَغْفِرْ لَكُمْ مِّنْ ذُنُوْبِكُمْ وَيُجِرْكُمْ مِّنْ عَذَابٍ اَلِيْمٍ

হে আমাদের জাতি! আল্লাহর দিকে যে ডাকে তার ডাকে সাড়া দাও এবং তার প্রতি ঈমান আনয়ন করো। তাহলে আল্লাহ তোমাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে কষ্টদায়ক আযাব থেকে মুক্ত করবেন। (সূরা আহ্কাফ- ৩১)

শয়তান জাহান্নামের দিকে ডাকে :

اَوَلَوْ كَانَ الشَّيْطَانُ يَدْعُوْهُمْ اِلٰى عَذَابِ السَّعِيْرِ

যদিও শয়তান তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তির দিকে আহবান করতে থাকে (তবুও কি তারা তার অনুসরণ করবে)? (সূরা লুক্বমান- ২১)

বাতিল দলগুলোও জাহান্নামের পথে ডাকে :

وَيَا قَوْمِ مَا لِۤيْ اَدْعُوْكُمْ اِلَى النَّجَاةِ وَتَدْعُوْنَنِيْۤ اِلَى النَّارِ - تَدْعُوْنَنِيْ لِاَكْفُرَ بِاللهِ وَاُشْرِكَ بِهٖ مَا لَيْسَ لِيْ بِهٖ عِلْمٌ وَّاَنَاْ اَدْعُوْكُمْ اِلَى الْعَزِيْزِ الْغَفَّارِ

হে আমার সম্প্রদায়! এ কেমন কথা! আমি তোমাদেরকে আহবান করছি মুক্তির দিকে, আর তোমরা আমাকে আহবান করছ জাহান্নামের দিকে। তোমরা আমাকে ডাকছ আল্লাহকে অস্বীকার করতে এবং তাঁর সাথে শরীক স্থাপন করতে, যা সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান নেই। পক্ষান্তরে আমি তোমাদেরকে আহবান করছি মহাপরাক্রমশালী ও পরম ক্ষমাশীল আল্লাহর দিকে। (সূরা মুমিন- ৪১, ৪২)

আহলে কিতাবদের থেকেও দ্বীন প্রচারের অঙ্গীকার নেয়া হয়েছে :

وَاِذْ اَخَذَ اللهُ مِيْثَاقَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتَابَ لَتُبَيِّنُنَّهٗ لِلنَّاسِ وَلَا تَكْتُمُوْنَهٗ فَنَبَذُوْهُ وَرَآءَ ظُهُوْرِهِمْ وَاشْتَرَوْا بِهٖ ثَمَنًا قَلِيْلًاؕ فَبِئْسَ مَا يَشْتَرُوْنَ

আর যখন আল্লাহ কিতাবধারীদের থেকে এ অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন যে, নিশ্চয় তোমরা এটা লোকদের মধ্যে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করবে এবং তা গোপন করবে না। কিন্তু তারা তা তাদের পশ্চাতে নিক্ষেপ করল এবং অল্প মূল্যে বিক্রি করে দিল, অথচ তারা যা ক্রয় করেছিল তা কতই না নিকৃষ্ট। (সূরা আলে ইমরান- ১৮৭)

ব্যাখ্যা : এখানে যে অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে, বাইবেলের বিভিন্ন স্থানে তার উল্লেখ রয়েছে। বিশেষ করে বাইবেলের দ্বিতীয় বিবরণ পুস্তকে মূসা (আঃ) এর যে শেষ ভাষণটি উদ্ধৃত হয়েছে তাতে তাঁকে বার বার বনী ইসরাঈলদের থেকে নিম্নোক্ত অঙ্গীকারটি নিতে দেখা যায়- আমি তোমাদের কাছে যে বিধানটি পৌঁছে দিয়েছি, তা নিজেদের মনের পাতায় খোদাই করে নাও। অতঃপর তোমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদেরকে সেগুলো শিখিয়ে দিয়ো। ওঠাবসা ও চলাফেরা সকল অবস্থাতে সেগুলোর চর্চা করো। নিজেদের ঘরের চৌকাঠে ও বাইরের দরজার গায়ে সেগুলো লিখে রেখো।

ইসলাম প্রচারে জবরদস্তি নেই :

نَحْنُ اَعْلَمُ بِمَا يَقُوْلُوْنَ وَمَاۤ اَنْتَ عَلَيْهِمْ بِجَبَّارٍ فَذَكِّرْ بِالْقُرْاٰنِ مَنْ يَّخَافُ وَعِيْدِ

তারা যা বলে তা আমি জানি, তুমি তাদের উপর বল প্রয়োগকারী নও। সুতরাং যে প্রতিশ্রুত বিষয়াবলিকে ভয় করে, তাকে কুরআনের মাধ্যমে উপদেশ দান করো। (সূরা ক্বাফ- ৪৫)

ইসলাম প্রচারে বিরোধীদের সাথে আপোষ করতে নেই :

قُلْ يَاۤ اَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ -‐ لَاۤ اَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ -- وَلَاۤ اَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَاۤ اَعْبُدُ -‐ وَلَاۤ اَنَاْ عَابِدٌ مَّا عَبَدْتُّمْ - وَلَاۤ اَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَاۤ اَعْبُدُ -‐ لَكُمْ دِيْنُكُمْ وَلِيَ دِيْنِ

(হে নবী!) বলো, হে কাফিররা! তোমরা যাদের ইবাদাত কর, আমি তাদের ইবাদাত করি না। আর আমি যার ইবাদাত করি, তোমরা তাঁর ইবাদাতকারী নও এবং তোমরা যার ইবাদাত কর, আমিও তার ইবাদাতকারী নই। আর তোমরা তাঁর ইবাদাতকারী নও, যার ইবাদাত আমি করি। অতএব (এ দ্বীনের মধ্যে কোন মিশ্রণ সম্ভব নয়) তোমাদের দ্বীন তোমাদের জন্য এবং আমার দ্বীন আমার জন্য। (সূরা কাফিরূন)

ব্যাখ্যা : নবী ﷺ যখন ইসলামের দাওয়াত দিতে শুরু করলেন, তখন মক্কার কাফির ও মুশরিকরা তাকে এ কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য নানা প্রস্তাব নিয়ে তাঁর কাছে উপস্থিত হতো। আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, একদা কুরাইশরা রাসূল ﷺ কে বলল, আমরা আপনাকে এত বেশি পরিমাণ ধনসম্পদ দেব, যার ফলে আপনি মক্কার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে যাবেন। যে মেয়েটিকে আপনি পছন্দ করবেন তার সাথে আপনার বিয়ে দিয়ে দেব। আমরা আপনাকে নেতা বানিয়ে আপনার পেছনে চলতে প্রস্তুত। আপনি শুধু আমাদের একটি কথা মেনে নেবেন, তা হচ্ছে আমাদের উপাস্যদের নিন্দা করা থেকে বিরত থাকবেন। এ প্রস্তাবটি আপনার পছন্দ না হলে আমরা আরেকটি প্রস্তাব পেশ করছি। এ প্রস্তাবে আপনারও লাভ এবং আমাদেরও লাভ। রাসূল ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, সেটি কী? তারা বলল, একবছর আপনি আমাদের উপাস্যদের ইবাদাত করবেন এবং একবছর আমরা আপনার উপাস্যের ইবাদাত করব। রাসূল ﷺ বললেন, থামো! আমি দেখি আমার রবের পক্ষ থেকে কী হুকুম আসে। তখন আল্লাহ তা‘আলা এ সূরাটি নাযিল করেন এবং তাদের প্রস্তাব নাকচ করে দেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন