hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৮১
অধ্যায়- ৯ : মুহাম্মাদ ﷺ এর উপর আল্লাহর অনুগ্রহ
আল্লাহ তাঁর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন :

اِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُّبِيْنًا لِيَغْفِرَ لَكَ اللهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْۢبِكَ وَمَا تَاَخَّرَ وَيُتِمَّ نِعْمَتَهٗ عَلَيْكَ وَيَهْدِيَكَ صِرَاطًا مُّسْتَقِيْمًا

(হে রাসূল!) আমি আপনাকে সুস্পষ্ট বিজয় দান করেছি, যাতে আল্লাহ আপনার আগের ও পরের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করেন এবং আপনার প্রতি তাঁর নিয়ামতকে পরিপূর্ণ করেন আর আপনাকে সরলসঠিক পথ দেখান। (সূরা ফাতহ- ১, ২)

মুহাম্মাদ ﷺ কে কুরআন মাজীদ দান করেছেন :

وَلَقَدْ اٰتَيْنَاكَ سَبْعًا مِّنَ الْمَثَانِيْ وَالْقُرْاٰنَ الْعَظِيْمَ

নিশ্চয় আমি আপনাকে সাতটি আয়াত দান করেছি, যা বার বার পাঠ করা হয় এবং মহান কুরআনও দান করেছি। (সূরা হিজর- ৮৭)

মুহাম্মাদ ﷺ কে হাউজে কাওসার দান করেছেন :

اِنَّاۤ اَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ

(হে নবী!) আমি অবশ্যই তোমাকে (নিয়ামতের ভান্ডার) কাওসার দান করেছি। (সূরা কাওসার- ১)

ব্যাখ্যা : কাওসার জান্নাতের একটি নদী। নবী ﷺ এখান থেকে তাঁর পিপাসার্ত উম্মতকে পানি পান করাবেন। কিন্তু কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। তখন নবী ﷺ বলবেন, হে আমার প্রতিপালক! এরা তো আমার উম্মত! তখন তাঁকে বলা হবে, আপনি জানেন না, আপনার অবর্তমানে তারা দ্বীনের বহির্ভূত অনেক নতুন বিদ‘আত আবিষ্কার করেছে। (সহীহ বুখারী, হা/৬৫৭৬)

তাঁর জন্য রয়েছে অগণিত পুরস্কার :

وَاِنَّ لَكَ لَاَجْرًا غَيْرَ مَمْنُوْنٍ

নিশ্চয় তোমার জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার। (সূরা ক্বালাম- ৩)

তাঁর জন্য রয়েছে মাকামে মাহমুদ :

وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِه نَافِلَةً لَّكَۗ عَسٰۤى اَنْ يَّبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَّحْمُوْدًا

রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম করবে, এটা তোমার এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৭৯)

ব্যাখ্যা : অর্থাৎ দুনিয়া ও আখিরাতে তোমাকে এমন মর্যাদায় পৌঁছে দেবেন, যেখানে তুমি মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়ে থাকবে। চারদিক থেকে তোমার উপর প্রশংসার স্রোত প্রবাহিত হতে থাকবে। আখিরাতেও তুমি সমগ্র সৃষ্টির প্রশংসার অধিকারী হবে। কিয়ামতের দিন নবী ﷺ এর শাফা‘আতকারীর মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হওয়াও এ প্রশংসনীয় মর্যাদারই একটি অংশ।

আল্লাহ নবী ﷺ এর আশা পূর্ণ করেন :

قَدْ نَرٰى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِى السَّمَآءِۚ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا

নিশ্চয় আমি আকাশের দিকে তোমার চেহারা উঠানো দেখতে পাচ্ছি। তাই আমি তোমাকে ঐ কিবলামুখীই করব, যা তুমি কামনা করছ। (সূরা বাক্বারা- ১৪৪)

শানে নুযুল : হিজরতের পর প্রথম দিকে নবী ﷺ বায়তুল মুকাদ্দাস এর দিকে মুখ করে নামায আদায় করতেন। কিন্তু নবী ﷺ এর মনের টান ছিল কা‘বার দিকে। তাই তিনি বার বার আকাশের দিকে তাকাতেন এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশের আশায় থাকতেন। পরে আল্লাহ তা‘আলা নবী ﷺ এর এ আশা পূর্ণ করে উক্ত আয়াত নাযিল করেন।

আল্লাহ নবী ﷺ এর উপর কঠোরতা করেননি :

مَا كَانَ عَلَى النَّبِيِّ مِّنْ حَرَجٍ فِيْمَا فَرَضَ اللهُ لَهٗؕ سُنَّةَ اللهِ فِى الَّذِيْنَ خَلَوْا مِنْ قَبْلُؕ وَكَانَ اَمْرُ اللهِ قَدَرًا مَّقْدُوْرًا

আল্লাহ নবীর জন্য যা বিধিসম্মত করেছেন তা করতে তার জন্য কোন বাধা নেই। পূর্বে যেসব নবী গত হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও এটাই ছিল আল্লাহর বিধান। আর আল্লাহর হুকুম তো পূর্ব থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে। (সূরা আহযাব- ৩৮)

বিধান পালনের ক্ষেত্রে নবী ﷺ কে সুবিধা প্রদান করেছেন :

وَامْرَاَةً مُّؤْمِنَةً اِنْ وَّهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ اِنْ اَرَادَ النَّبِيُّ اَنْ يَّسْتَنْكِحَهَاۗ خَالِصَةً لَّكَ مِنْ دُوْنِ الْمُؤْمِنِيْنَ

কোন মুমিন নারী যদি নবীর কাছে নিজেকে সমর্পণ করে এবং নবী তাকে বিবাহ করতে চান, তবে তা হালাল। এ আদেশ শুধু আপনারই জন্য, অন্য মুমিনদের জন্য নয়। (সূরা আহযাব- ৫০)

ব্যাখ্যা : কিছু বিধান নবী ﷺ এর জন্য নির্দিষ্ট, উম্মতের অন্য কারো জন্য তা প্রযোজ্য নয়। কুরআন ও সুন্নাহর মধ্যে তাত্ত্বিক অনুসন্ধান চালিয়ে এ ধরনের বহু বিধানের কথা জানা যায়। যেমন নবী ﷺ এর জন্য তাহাজ্জুদের নামায ফরয ছিল, কিন্তু সমগ্র উম্মতের জন্য তা নফল। তাঁর ও তাঁর পরিবারবর্গের জন্য সাদাকা নেয়া হারাম, কিন্তু অন্য কারো জন্য তা হারাম নয়। তাঁর মীরাস বণ্টন হতে পারত না, কিন্তু অন্য সকলের মীরাস বণ্টন হওয়া ফরয। তাঁর জন্য চারজনের অধিক স্ত্রী হালাল করা হয়েছে। নিজেকে হিবাকারী নারীকে মোহর ছাড়াই বিয়ে করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাঁর ইন্তিকালের পর তাঁর পবিত্র স্ত্রীগণকে সমগ্র উম্মতের জন্য হারাম করে দেয়া হয়েছে। এসব বিশেষত্ব নবী ﷺ এর জন্য খাস।

এগারজন স্ত্রী গ্রহণের সুযোগ দিয়েছেন :

لَا يَحِلُّ لَكَ النِّسَآءُ مِنْ ۢبَعْدُ وَلَاۤ اَنْ تَبَدَّلَ بِهِنَّ مِنْ اَزْوَاجٍ وَّلَوْ اَعْجَبَكَ حُسْنُهُنَّ اِلَّا مَا مَلَكَتْ يَمِيْنُكَؕ وَكَانَ اللهُ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ رَّقِيْبًا

এরপর আপনার জন্য কোন নারী হালাল নয় এবং আপনার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয়- যদিও তাদের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে আপনার অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপারে স্বতন্ত্র। আল্লাহ সর্ববিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। (সূরা আহযাব- ৫২)

ব্যাখ্যা : মুহাম্মাদ ﷺ ২৫ বছর বয়সে এমন এক মহিলাকে বিয়ে করেন, যার বয়স ছিল ৪০ বছর। অতঃপর পুরো ২৫ বছর ধরে তিনি তাঁর সাথে অত্যন্ত সুখী দাম্পত্য জীবন যাপন করতে থাকেন। তাঁর ইন্তিকালের পর তিনি অন্য একজন অধিক বয়সের মহিলা সাওদা (রাঃ) কে বিয়ে করেন। পুরো চার বছর পর্যন্ত তিনি একাই ছিলেন তাঁর স্ত্রী। এখন কোন বিবেকবান ব্যক্তি কি এ কথা কল্পনা করতে পারে যে, ৫৩ বছর পার হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ তাঁর যৌন কামনা বেড়ে যায় এবং তাঁর অনেক স্ত্রীর প্রয়োজন হয়ে পড়ে? এ বিষয়টি বুঝতে হলে নবী ﷺ কে আল্লাহ যে মহান দায়িত্ব সম্পাদন করার জন্য নিযুক্ত করেছিলেন, তা অনুধাবন করা জরুরি। নবী ﷺ কে যে কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তা ছিল এই যে, তিনি এমন একটি জাতিকে শিক্ষা ও অনুশীলনের মাধ্যমে একটি উন্নত পর্যায়ের সুসভ্য ও পরিচ্ছন্ন জাতিতে পরিণত করবেন, যারা কেবল ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেই নয় বরং সাধারণ সভ্যতা ও সংস্কৃতির দৃষ্টিতেও ছিল অসংগঠিত ও অপরিপক্ক। এ উদ্দেশ্যে কেবলমাত্র পুরুষদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া যথেষ্ট ছিল না। তাই মহিলাদের মধ্যেও কাজ করার কেবলমাত্র একটি পথই তাঁর জন্য খোলা ছিল। সেটি হচ্ছে, বিভিন্ন বয়সের ও বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক যোগ্যতাসম্পন্ন মহিলাদেরকে বিয়ে করবেন এবং তাদেরকে প্রশিক্ষণ দান করে নিজের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত করবেন। তারপর তাদের সাহায্যে নগরবাসী, যুবতী ও বৃদ্ধা সবধরনের নারীদেরকে দ্বীন ও নৈতিকতার নতুন নীতিসমূহ শিখানোর ব্যবস্থা করবেন।

এছাড়াও নবী ﷺ কে জাহেলী জীবনব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে তার জায়গায় ইসলামী জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্বও দেয়া হয়েছিল। এ দায়িত্ব সম্পাদন করার জন্য জাহেলী জীবনব্যবস্থার পতাকাবাহীদের সাথে যুদ্ধ অপরিহার্য ছিল। এ অবস্থায় অন্যান্য ব্যবস্থার সাথে বিভিন্ন পরিবারে বিয়ে করে বন্ধুত্বকে পাকাপোক্ত এবং বহুতর শত্রুতাকে খতম করার ব্যবস্থা করাও তাঁর জন্য জরুরি ছিল। তাই তিনি যেসব মহিলাকে বিয়ে করেন তাঁদের ব্যক্তিগত গুণাবলি ছাড়াও তাঁদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে এসব বিষয়ও কমবেশি জড়িত ছিল। আয়েশা (রাঃ) ও হাফসা (রাঃ) কে বিয়ে করে তিনি আবু বকর (রাঃ) ও ওমর (রাঃ) এর সাথে নিজের সম্পর্ককে মজবুত করে নেন। উম্মে সালামা (রাঃ) ছিলেন এমন এক পরিবারের মেয়ে, যার সাথে ছিল আবু জেহেল ও খালেদ ইবনে ওয়ালীদের সম্পর্ক। উম্মে হাবীবা (রাঃ) ছিলেন আবু সুফিয়ানের মেয়ে। এ বিয়েগুলো সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর শত্রুতার জের অনেকাংশ কমিয়ে দেয়। বরং উম্মে হাবীবার সাথে নবী ﷺ এর বিয়ে হওয়ার পর আবু সুফিয়ান আর কখনো তাঁর মুকাবিলায় অস্ত্র ধরেনি। সাফিয়া, জুওয়াইরিয়া ও রাইহানা (রাঃ) ইয়াহুদি পরিবারের মেয়ে ছিলেন। তাঁদেরকে যুদ্ধবন্ধি থেকে মুক্তি দিয়ে যখন নবী ﷺ নিজেই তাঁদেরকে বিয়ে করে নেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে ইয়াহুদিদের তৎপরতা স্তিমিত হয়ে পড়ে। কারণ সে যুগের রীতি অনুযায়ী যে ব্যক্তির সাথে কোন গোত্রের মেয়ের বিয়ে হতো তাঁকে কেবল মেয়েটির পরিবারের নয় বরং সমগ্র গোত্রের জামাতা মনে করা হতো এবং জামাতার সাথে যুদ্ধ করা বড়ই লজ্জাকর ছিল। সমাজের কার্যকর সংশোধন এবং তার জাহেলী রসম রেওয়াজ নির্মূল করাও নবী ﷺ এর অন্যতম দায়িত্ব ছিল। কাজেই এ উদ্দেশ্যেও তাঁকে বিয়ে করতে হয়। জাহেলী যুগে পালক পুত্রের মেয়েকে বিয়ে করা বৈধ মনে করা হতো না। এ কুপ্রথাকে খতম করার জন্য তিনি তাঁর পালক পুত্র যায়েদের স্ত্রী যয়নাবকে বিয়ে করেন।

এসব কারণে বিয়ের ব্যাপারে নবী ﷺ এর জন্য কোন রকম সংকীর্ণতা ও অসুবিধা রাখা হয়নি। এর ফলে যে মহান দায়িত্ব তাঁর প্রতি অর্পিত হয়েছিল তার প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন। যারা মনে করেন একাধিক বিয়ে কেবলমাত্র কয়েকটি বিশেষ ব্যক্তিগত প্রয়োজনেই বৈধ এবং সেগুলো ছাড়া তা বৈধ হওয়ার পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে না, এ বর্ণনা থেকে তাদের চিন্তার বিভ্রান্তিও সুস্পষ্ট হয়ে যায়। এ কথা সুস্পষ্ট যে, নবী ﷺ এর একাধিক বিয়ে করার পেছনে তাঁর স্ত্রীর রুগ্নতা, বন্ধ্যাত্ব বা সন্তানহীনতা অথবা ইয়াতীম প্রতিপালনের সমস্যা ছিল না। তিনি এ সমস্ত বিয়ে করেন প্রচার ও শিক্ষামূলক প্রয়োজনে এবং সামাজিক উদ্দেশ্যে।

স্ত্রীদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা কাছে রাখার সুবিধা প্রদান করেছেন :

تُرْجِيْ مَنْ تَشَآءُ مِنْهُنَّ وَتُؤْوِيْۤ اِلَيْكَ مَنْ تَشَآءُؕ وَمَنِ ابْتَغَيْتَ مِمَّنْ عَزَلْتَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكَؕ ذٰلِكَ اَدْنٰۤى اَنْ تَقَرَّ اَعْيُنُهُنَّ وَلَا يَحْزَنَّ وَيَرْضَيْنَ بِمَاۤ اٰتَيْتَهُنَّ كُلُّهُنَّؕ وَاللهُ يَعْلَمُ مَا فِيْ قُلُوْبِكُمْؕ وَكَانَ اللهُ عَلِيْمًا حَلِيْمًا

আপনি আপনার স্ত্রীদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা পৃথক রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আর আপনি যাকে পৃথক রেখেছেন তাকে আবার (কাছে রাখতে) চাইলে তাতে আপনার কোন গোনাহ নেই। এতে অধিক আশা করা যায় যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে, তারা কষ্ট পাবে না এবং আপনি যা দেন তাতে তারা সবাই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা জানেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী ও সহনশীল। (সূরা আহযাব- ৫১)

ব্যাখ্যা : নবী ﷺ এর সংসার জীবনকে সংকটমুক্ত করাই ছিল এ আয়াতটির উদ্দেশ্য। যাতে তিনি পরিপূর্ণ নিশ্চিয়তার সাথে নিজের কাজ করতে পারেন। যখন আল্লাহ তাঁকে স্ত্রীদের সাথে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা দান করেন, তখন তাকে এ ব্যাপারে কোন চিন্তা বা সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু আল্লাহর কাছ থেকে এ অধিকার লাভ করার পরও নবী ﷺ সকল স্ত্রীদের মধ্যে পূর্ণ সমতা ও ইনসাফ বজায় রেখেছেন, কাউকে কারো উপর প্রাধান্য দেননি এবং যথারীতি পালা নির্ধারণ করে সবার কাছে যেতেন। যখন নবী ﷺ তাঁর শেষ রোগে আক্রান্ত হন এবং চলাফেরা করা তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে তখন তিনি সকল স্ত্রীদের থেকে এ মর্মে অনুমতি চান যে, আমাকে আয়েশার কাছে থাকতে দাও। যখন সবাই এ অনুমতি দেন তখন তিনি শেষ সময়ে আয়েশা (রাঃ) এর কাছে থাকেন এবং তার ঘরেই ইন্তিকাল করেন। নবী ﷺ এর পবিত্র স্ত্রীগণের জন্য এটা ছিল বিরাট মর্যাদার ব্যাপার। তাঁরা নবী ﷺ এর মতো মহান ব্যক্তিত্বের স্ত্রী হওয়ার মর্যাদা লাভ করেছিলেন। এরই বদৌলতে তাঁরা ইসলামী দাওয়াত ও সংস্কারের কাজে নবী ﷺ এর সহযোগী হতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ উদ্দেশ্যে নবী ﷺ যেমন অসাধারণ ত্যাগ ও কুরবানীর পথ অবলম্বন করেছিলেন, ঠিক তেমনি ত্যাগ স্বীকার করা তাঁর পবিত্র স্ত্রীগণেরও কর্তব্য ছিল। তাই নবী ﷺ এর সকল স্ত্রী মহান আল্লাহর এ ফায়সালা সানন্দে গ্রহণ করেছিলেন।

নবী ﷺ এর উপর আল্লাহর বিরাট অনুগ্রহ ছিল :

وَاَنْزَلَ اللهُ عَلَيْكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُؕ وَكَانَ فَضْلُ اللهِ عَلَيْكَ عَظِيْمًا

আল্লাহ তোমার প্রতি কিতাব ও হেকমত নাযিল করেছেন এবং তুমি যা জানতে না তা তোমাকে শিক্ষা দিয়েছেন, তোমার প্রতি আল্লাহর মহা অনুগ্রহ রয়েছে। (সূরা নিসা- ১১৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন