hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৬৮
অধ্যায়- ৫ : হিসাব-নিকাশের কাজ শুরু হবে
অচিরেই আল্লাহ হিসাবের কাজ শুরু করবেন :

سَنَفْرُغُ لَكُمْ اَيُّهَا الثَّقَلَانِ

হে মানুষ ও জিন! শীঘ্রই আমি তোমাদের প্রতি (হিসাব-নিকাশের জন্য) মনোনিবেশ করব। (সূরা আর রহমান- ৩১)

কোন জিনিসই হিসাবের বাইরে থাকবে না :

يَا بُنَيَّ اِنَّهَاۤ اِنْ تَكُ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ فَتَكُنْ فِيْ صَخْرَةٍ اَوْ فِى السَّمَاوَاتِ اَوْ فِى الْاَرْضِ يَاْتِ بِهَا اللهُؕ اِنَّ اللهَ لَطِيْفٌ خَبِيْرٌ

হে আমার ছেলে! কোনকিছু যদি সরিষার বীজের পরিমাণও হয় এবং তা যদি পাথরের ভেতরেও থাকে অথবা আসমানে কিংবা ভূগর্ভে, তবুও তা আল্লাহ উপস্থিত করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সূক্ষ্মদর্শী ও সম্যক অবহিত। (সূরা লুক্বমান- ১৬)

ব্যাখ্যা : আল্লাহর জ্ঞান ও তাঁর পাকড়াও হতে কেউ বাঁচতে পারে না। পাথরের মধ্যে ছোট্ট একটি কণা তোমার দৃষ্টির অগোচরে থাকতে পারে কিন্তু তাঁর কাছে তা সুস্পষ্ট। আকাশে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্রতম কণিকা তোমার থেকে বহু দূরবর্তী হতে পারে, ভূমির গভীরে অবস্থিত কোন জিনিসের প্রতি তোমার দৃষ্টি শেষ হয়ে যেতে পারে; কিন্তু তা আল্লাহর অতি নিকটতর। কাজেই তুমি কোথাও এমন কোন সৎ বা অসৎকাজ করতে পার না, যা আল্লাহর অগোচরে থেকে যায়। তিনি তা জানেন কেবল তা নয় বরং যখন হিসাব-নিকাশের সময় আসবে তখন তিনি তোমাদের প্রত্যেকটি কাজের রেকর্ডও তোমাদের সামনে উপস্থাপন করবেন।

সরিষা পরিমাণ জিনিসেরও হিসাব হবে :

وَنَضَعُ الْمَوَازِيْنَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًاؕ وَاِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ اَتَيْنَا بِهَاؕ وَكَفٰى بِنَا حَاسِبِيْنَ

আমি কিয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের মানদন্ড স্থাপন করব, সুতরাং কারো প্রতি কোন অবিচার করা হবে না। অতঃপর কারো কর্ম যদি তিল পরিমাণ ওজনেরও হয়, তবুও তা উপস্থিত করব; (জেনে রেখো) হিসাব গ্রহণকারীরূপে আমিই যথেষ্ট। (সূরা আম্বিয়া- ৪৭)

হিসাবের আওতার বাইরে কেউ যেতে পারবে না :

يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ اِنِ اسْتَطَعْتُمْ اَنْ تَنْفُذُوْا مِنْ اَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ فَانْفُذُوْاؕ لَا تَنْفُذُوْنَ اِلَّا بِسُلْطَانٍ

হে জিন ও মানবজাতি! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সীমা হতে যদি তোমরা বের হতে সক্ষম হও, তবে বের হয়ে যাও। কিন্তু (আল্লাহ প্রদত্ত) ক্ষমতা ছাড়া তোমরা তো তা অতিক্রম করতে পারবে না। (সূরা আর রহমান- ৩৩)

প্রশ্ন করার জন্য সবাইকে থামানো হবে :

وَقِفُوْهُمْ اِنَّهُمْ مَّسْئُوْلُوْنَ

আর তাদেরকে থামাও, অবশ্যই তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে। (সূরা সাফ্ফাত- ২৪)

নবীদেরকেও প্রশ্ন করা হবে :

فَلَنَسْاَلَنَّ الَّذِيْنَ اُرْسِلَ اِلَيْهِمْ وَلَنَسْاَلَنَّ الْمُرْسَلِيْنَ

অতঃপর যাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করা হয়েছিল, অবশ্যই আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করব এবং রাসূলদেরকেও জিজ্ঞেস করব। (সূরা আ‘রাফ- ৬)

يَوْمَ يَجْمَعُ اللهُ الرُّسُلَ فَيَقُوْلُ مَاذَاۤ اُجِبْتُمْؕ قَالُوْا لَا عِلْمَ لَنَاؕ اِنَّكَ اَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ

সেদিন আল্লাহ রাসূলগণকে একত্র করবেন এবং জিজ্ঞেস করবেন, তোমরা কী উত্তর পেয়েছিলে? তখন তারা বলবে, এ বিষয়ে আমাদের কোন জ্ঞান নেই; আপনিই তো অদৃশ্য বিষয় সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত। (সূরা মায়েদা- ১০৯)

ব্যাখ্যা : আখিরাতে জিজ্ঞাসাবাদ সরাসরি রিসালাতের ভিত্তিতেই অনুষ্ঠিত হবে। একদিকে নবীদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে, মানব সম্প্রদায়ের কাছে আল্লাহর পয়গাম পৌঁছে দেয়ার জন্য তোমরা কী কী কাজ করেছ? অন্যদিকে যাদের কাছে দাওয়াত পৌঁছে গেছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে, এ দাওয়াতের সাথে তোমরা কী ব্যবহার করেছ? যেসব ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের কাছে নবীদের শিক্ষা পৌঁছে গেছে তাদের সম্পর্কে কুরআন স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছে যে, তারা নিজেদের কুফরী, ফাসিকী ও নাফরমানির স্বপক্ষে কোন যুক্তি-প্রমাণ পেশ করতে পারবে না। তখন লজ্জায় ও অনুতাপে জাহান্নামের পথে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া কিয়ামতের দিন তাদের জন্য দ্বিতীয় কোন পথ থাকবে না।

সকল নিয়ামতের হিসাব হবে :

ثُمَّ لَتُسْاَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيْمِ

এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেসিত হবে। (সূরা তাকাসুর- ৮)

ওয়াদা রক্ষার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হবে :

وَاَوْفُوْا بِالْعَهْدِۚ اِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْئُوْلًا

প্রতিশ্রুতি পালন করো; নিশ্চয় প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৩৪)

শরীরের অঙ্গ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে :

اِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ اُولٰٓئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُوْلًا

কর্ণ, চক্ষু, হৃদয় তাদের প্রত্যেকটি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৩৬)

মানুষ কী কাজ করেছে, তা জিজ্ঞেস করা হবে :

وَلَتُسْاَلُنَّ عَمَّا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ

তোমরা যা কর, অবশ্যই তোমাদেরকে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। (সূরা নাহল- ৯৩)

কুরআনের উপর আমল করা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে :

وَاِنَّهٗ لَذِكْرٌ لَّكَ وَلِقَوْمِكَۚ وَسَوْفَ تُسْاَلُوْنَ

নিশ্চয় এটা (কুরআন) তোমার ও তোমার সম্প্রদায়ের জন্য উপদেশবাণী, সুতরাং অচিরেই তোমাদেরকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। (সূরা যুখরুফ- ৪৪)

যে অপরাধী কেবল তাকেই প্রশ্ন করা হবে :

تِلْكَ اُمَّةٌ قَدْ خَلَتْۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُمْ مَّا كَسَبْتُمْۚ وَلَا تُسْاَلُوْنَ عَمَّا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ

ওরা একটা দল ছিল, যা অতীত হয়ে গেছে। তারা যা অর্জন করেছিল তা তাদের জন্য এবং তোমরা যা অর্জন করেছ, তা তোমাদের জন্য। আর তারা যা করে গেছে তার জন্য তোমরা জিজ্ঞেসিত হবে না। (সূরা বাক্বারা- ১৩৪)

قُلْ لَّا تُسْاَلُوْنَ عَمَّاۤ اَجْرَمْنَا وَلَا نُسْاَلُ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ

বলো, আমরা যে অপরাধ করেছি সেজন্য তোমরা জিজ্ঞেসিত হবে না এবং তোমরা যা কর তার জন্য আমরাও জিজ্ঞেসিত হব না। (সূরা সাবা- ২৫)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন