hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৯৪
অধ্যায়- ১ : রোযার গুরুত্ব ও বিধান
রোযা সর্বযুগে মুসলিমদের উপর ফরয ছিল :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে, যেরকমভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করে দেয়া হয়েছিল। আশা করা যায়, এর মাধ্যমে তোমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পারবে।

(সূরা বাক্বারা- ১৮৩)

উম্মতে মুহাম্মদীর ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়েছিল :

اَيَّامًا مَّعْدُوْدَاتٍؕ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَّرِيْضًا اَوْ عَلٰى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ اَيَّامٍ اُخَرَ ؕ وَعَلَى الَّذِيْنَ يُطِيْقُوْنَهٗ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِيْنٍؕ فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهٗؕ وَاَنْ تَصُوْمُوْا خَيْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ

(রোযা ফরয করা হয়েছে) নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনের জন্য, তবে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা সফরে থাকে, তবে সমপরিমাণ দিনের রোযা (সুস্থ হয়ে অথবা সফর থেকে ফিরে এসে) কাযা আদায় করে নেবে। আর যারা সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও রোযা রাখতে চায় না তাদের জন্য এর বিনিময়ে ফিদিয়া দেয়ার সুযোগ থাকবে- আর তা হচ্ছে একজন গরীব ব্যক্তিকে (পেট ভরে) খাবার দেয়া। অবশ্য যদি কোন ব্যক্তি (এর চেয়ে বেশি দিয়ে) ভালো কাজ করতে চায়, তাহলে এ কাজ তার জন্য একান্ত কল্যাণকর হবে। তবে (এ সময়) রোযা রাখা তোমাদের জন্য খুবই ভালো; যদি তোমরা (রোযার উপকারিতা সম্পর্কে) জানতে! (সূরা বাক্বারা- ১৮৩, ১৮৪)

পরে রমাযান মাসে রোযা রাখা বাধ্যতামূলক করা হয় :

فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ

তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাসকে পাবে, সে এতে রোযা রাখবে। (সূরা বাক্বারা- ১৮৫)

যাদের জন্য রোযা কাযা করার সুযোগ রয়েছে :

وَمَنْ كَانَ مَرِيْضًا اَوْ عَلٰى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ اَيَّامٍ اُخَرَؕ يُرِيْدُ اللهُ بِكُمُ الْيُسْرَؗ وَلَا يُرِيْدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللهَ عَلٰى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ

আর যে ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়বে অথবা সফরে থাকবে, সে পরবর্তী কোন এক সময়ে গুনে গুনে সেই পরিমাণ দিন পূরণ করে নেবে। এর দ্বারা তোমাদের প্রতিপালক (তাঁর বিধান) তোমাদের জন্য সহজ করে দিতে চান, তিনি তোমাদের উপর কষ্ট চাপিয়ে দিতে চান না। যাতে করে তোমরা রোযার সংখ্যাগুলো পূর্ণ করতে পার এবং তিনি তোমাদেরকে যে পথপ্রদর্শন করেছেন সে অনুযায়ী আল্লাহর মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে পার। হয়তো তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারবে। (সূরা বাক্বারা- ১৮৫)

রমাযানের রাতে সহবাস করা জায়েয :

اُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ اِلٰى نِسَآئِكُمْؕ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَاَنْتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّؕ عَلِمَ اللهُ اَنَّكُمْ كُنْتُمْ تَخْتَانُوْنَ اَنْفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنْكُمْۚ فَالْاٰنَ بَاشِرُوْهُنَّ وَابْتَغُوْا مَا كَتَبَ اللهُ لَكُمْ

রমাযান মাসে রাতের বেলায় তোমাদের স্ত্রীদের সাথে মিলন করা তোমাদের জন্য হালাল করে দেয়া হয়েছে। তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের জন্য পোশাকস্বরূপ এবং তোমরাও তাদের জন্য পোশাক সমতুল্য। আল্লাহ এটা জানেন যে, তোমরা নিজেদের উপর খিয়ানত করে বসবে, তাই তিনি তোমাদের উপর দয়া করলেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিলেন। এখন চাইলে তোমরা তাদের সাথে সহবাস করতে পার এবং (এ ব্যাপারে) আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে রেখেছেন, তা সন্ধান করো। (সূরা বাক্বারা- ১৮৭)

ব্যাখ্যা : রমাযান মাসে রোযা রাখা বাধ্যতামূলক হয়ে যাওয়ার পর এর বিস্তারিত বিধিবিধান সম্পর্কে মুসলিমদেরকে ধারণা দেয়া হয় এবং রাতে ঘুমিয়ে পড়ার পর জেগে উঠে সহবাস করা ও খাওয়া-দাওয়া করাকে হালাল করে দেয়া হয়।

ই‘তিকাফ অবস্থায় সহবাস করা যাবে না :

وَلَا تُبَاشِرُوْهُنَّ وَاَنْتُمْ عَاكِفُوْنَ فِى الْمَسَاجِدِ

তবে যখন তোমরা মসজিদে ই‘তিকাফ অবস্থায় থাকবে, তখন নারী সম্ভোগ থেকে বিরত থাকবে। (সূরা বাক্বারা- ১৮৭)

সাহরীর সময়সীমা :

وَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا حَتّٰى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْاَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْاَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ

আর তোমরা পানাহার অব্যাহত রাখতে পার যতক্ষণ পর্যন্ত রাতের অন্ধকার রেখার ভেতর থেকে ভোরের শুভ্র আলোক রেখা পরিষ্কার না হয়। (সূরা বাক্বারা- ১৮৭)

ইফতারের সময়সীমা :

ثُمَّ اَتِمُّوا الصِّيَامَ اِلَى اللَّيْلِ

অতঃপর তোমরা রাত আসা পর্যন্ত রোযা পূর্ণ করো। (সূরা বাক্বারা- ১৮৭)

সাওমের বিধিবিধান লঙ্ঘন করা যাবে না :

تِلْكَ حُدُوْدُ اللهِ فَلَا تَقْرَبُوْهَاؕ كَذٰلِكَ يُبَيِّنُ اللهُ اٰيَاتِهٖ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُوْنَ

এ হচ্ছে আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা; অতএব তোমরা কখনো এর ধারে কাছেও যেয়ো না। এভাবেই আল্লাহ তাঁর যাবতীয় নিদর্শন মানুষের জন্য বর্ণনা করে দিয়েছেন, যাতে তারা (এর আলোকে) আল্লাহকে ভয় করে। (সূরা বাক্বারা- ১৮৭)

ব্যাখ্যা : অত্র আয়াতে এসব সীমারেখা কেবল অতিক্রম করা থেকেই নিষেধ করা হয়নি; বরং এগুলোর ধারেকাছে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, যেখান থেকে গোনাহের সীমানা শুরু হয়েছে সেখানে বরাবর ঘুরাফেরা করা বিপজ্জনক। বরং সীমান্ত থেকে দূরে থাকাই নিরাপদ। কারণ সীমান্ত বরাবর ঘুরাফেরা করলে ভুলে কখনো সীমান্তের ওপারে পা চলে যেতে পারে। শরীয়াতের মূল প্রাণসত্তা সম্পর্কে অজ্ঞ লোকেরা সবসময় অনুমতির শেষ সীমায় চলে যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করে থাকে। তার দিকে অগ্রসর হয়েই আজ অসংখ্য লোক গোনাহ ও গোমরাহীতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। কারণ ঐ সমস্ত সূক্ষ্ম সীমান্ত রেখার মধ্যে পার্থক্য করা এবং তাদের কিনারে পৌঁছে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ নয়। তাই এ ব্যাপারে নবী ﷺ বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক বাদশাহর একটি সীমানা থাকে। আর আল্লাহর সীমানা হচ্ছে তাঁর নির্ধারিত হারাম বিষয়গুলো। কাজেই যে ব্যক্তি সীমানার চারদিকে ঘুরে বেড়ায় তার সীমানার মধ্যে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।’’ (সহীহ বুখারী, হা/৫২)

রোযা ফরয করার উদ্দেশ্য তাক্বওয়া অর্জন করা :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে, যেরকমভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করে দেয়া হয়েছিল। হয়তো তোমরা (এর মাধ্যমে) তাক্বওয়া অর্জন করতে পারবে। (সূরা বাক্বারা- ১৮৩)

রমাযান কুরআন নাযিলের মাস :

شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِيْۤ اُنْزِلَ فِيْهِ الْقُرْاٰنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدٰى وَالْفُرْقَانِ

রমাযান তো সেই মাস যে মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে, যা মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক, হেদায়াতের স্পষ্ট নিদর্শন এবং ফুরক্বান (সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী)। (সূরা বাক্বারা- ১৮৫)

ব্যাখ্যা : রমাযানের প্রতি রাত্রে নবী ﷺ জিবরাঈল (আঃ) এর সাথে কুরআন চর্চা করতেন। ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। বিশেষত তাঁর দানশীলতা অন্যান্য সময় হতে রামাযান মাসে বেশি বেশি দেখা যেত, যখন জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন। রমাযানের প্রতি রাতেই তিনি রাসূল ﷺ এর সাক্ষাৎ করতেন এবং তাঁকে কুরআন শিক্ষা দিতেন। এজন্য আল্লাহর রাসূল ﷺ রমাযান মাসে দানশীলতায় প্রবাহিত বায়ুর চেয়েও বেশি গতিশীল হয়ে যেতেন (অর্থাৎ বেশি বেশি দান করতেন)। (সহীহ বুখারী, হা/৬)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন