hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৫১
পর্ব- ৩১ : কুফর অধ্যায়- ১ : কুফরের তাৎপর্য
كُفْرٌ (কুফর) এর আসল অর্থ হচ্ছে গোপন করা বা লুকানো। এ থেকেই অস্বীকারের অর্থ বের হয়েছে। কুরআনের বর্ণনার প্রেক্ষিতে কুফরী মনোভাব ও আচরণ বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যেমন- ১. আল্লাহকে একেবারেই না মানা। অথবা তাঁর সার্বভৌম কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা স্বীকার না করা এবং তাঁকে নিজের ও সমগ্র বিশ্বের মালিক ও উপাস্য হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করা। অথবা তাঁকেই একমাত্র মালিক ও উপাস্য হিসেবে না মানা। ২. আল্লাহকে মেনে নেয়া, কিন্তু তাঁর বিধান ও হেদায়াতসমূহকে জ্ঞান ও আইনের একমাত্র উৎস হিসেবে না মানা। ৩. অথবা মেনে নেয়ার পর কার্যত জেনে বুঝে আল্লাহর বিধানের নাফরমানি করা এবং এ নাফরমানির উপর জোর দিতে থাকা। সেই সাথে দুনিয়ার জীবনে আনুগত্যের পরিবর্তে নাফরমানির উপর নিজের কর্মনীতির ভিত্তি স্থাপন করা।

কুফরী করার কোন যৌক্তিকতা নেই :

كَيْفَ تَكْفُرُوْنَ بِاللهِ وَكُنْتُمْ اَمْوَاتًا فَاَحْيَاكُمْۚ ثُمَّ يُمِيْتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيْكُمْ ثُمَّ اِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ

কীভাবে তোমরা আল্লাহর সাথে কুফরী করছ? অথচ তোমরা ছিলে মৃত, অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে জীবন দান করেছেন, এরপর আবার তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, তারপর আবার জীবিত করবেন, অবশেষে তোমাদেরকে তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে। (সূরা বাক্বারা- ২৮)

وَكَيْفَ تَكْفُرُوْنَ وَاَنْتُمْ تُتْلٰى عَلَيْكُمْ اٰيَاتُ اللهِ وَفِيْكُمْ رَسُوْلُهٗ

কীভাবে তোমরা আল্লাহর সাথে কুফরী করছ, অথচ আল্লাহর আয়াতসমূহ তোমাদের সামনে পাঠ করে শুনানো হচ্ছে এবং তোমাদের মধ্যে রয়েছে তাঁর রাসূল। (সূরা আলে ইমরান- ১০১)

কুফরী কালিমা নিম্নমানের :

وَجَعَلَ كَلِمَةَ الَّذِيْنَ كَفَرُوا السُّفْلٰىؕ وَكَلِمَةُ اللهِ هِيَ الْعُلْيَاؕ وَاللهُ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ

তিনি কাফিরদের কালিমাকে হেয় করলেন, আর আল্লাহর কালিমাই উচ্চ। আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা তাওবা- ৪০)

কুফরী কালিমার স্থায়িত্ব নেই :

وَمَثَلُ كَلِمَةٍ خَبِيْثَةٍ كَشَجَرَةٍ خَبِيْثَةِنِ اجْتُثَّتْ مِنْ فَوْقِ الْاَرْضِ مَا لَهَا مِنْ قَرَارٍ

অপবিত্র বাক্যের তুলনা একটি মন্দ বৃক্ষের মতো, যার মূল ভূপৃষ্ঠ হতে বিচ্ছিন্ন এবং যার কোন স্থায়িত্ব নেই। (সূরা ইবরাহীম- ২৬)

ব্যাখ্যা : এটি কালিমায়ে তাইয়্যেবার বিপরীত কালিমা। এর দ্বারা এমন বাতিল আকীদা বুঝায়, যার ভিত্তিতে মানুষ নিজের জীবনব্যবস্থা গড়ে তুলে। এ বাতিল আকীদা নাস্তিক্যবাদ, ধর্মর্র্র্দ্রোহিতা, অবিশ্বাস, শিরক, পৌত্তলিকতা অথবা এমন কোন চিন্তাধারাও হতে পারে, যা নবীদের মাধ্যমে আসেনি। বাতিল আকীদা যেহেতু সত্যবিরোধী তাই প্রাকৃতিক আইন কোথাও একে সহযোগিতা করে না। বিশ্বজগতের প্রতিটি বস্তু তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। পৃথিবী ও আকাশের প্রতিটি বস্তু তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। পরীক্ষার খাতিরে মানুষকে যদি নির্বাচন করার স্বাধীনতা ও কর্মের অবকাশ না দেয়া হতো, তাহলে এ কুফরী কালিমার গাছটি কোথাও গজিয়ে উঠতে পারত না। কিন্তু যেহেতু মহান আল্লাহ আদম সন্তানকে নিজের স্বাধীন ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ দান করেছেন, তাই কিছু নির্বোধ লোক প্রাকৃতিক আইনের বিরুদ্ধে লড়ে এ গাছ লাগানোর চেষ্টা করে। ফলে জমি একে সামান্য কিছু জায়গা দিয়ে দেয়। বাতাস ও পানি থেকে সে কিছু খাদ্য পেয়েই যায় এবং আকাশও তার ডালপালা ছড়ানোর জন্য কিছু জায়গা দিতে প্রস্তুত হয়ে যায়। কিন্তু যতদিন এ গাছ বেঁচে থাকে ততদিন তিক্ত ও বিষাক্ত ফল দিতে থাকে।

কুফরী দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য ক্ষতিকর :

فَاَمَّا الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فَاُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا شَدِيْدًا فِى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ وَمَا لَهُمْ مِّنْ نَّاصِرِيْنَ

সুতরাং যারা কুফরী করেছে দুনিয়া ও আখিরাতে আমি তাদেরকে কঠিন শাস্তি দেব; আর তাদের কোন সাহায্যকারীও থাকবে না। (সূরা আলে ইমরান- ৫৬)

কুফরীর কারণে অন্তরে মরিচা পড়ে যায় :

كَذٰلِكَ يَطْبَعُ اللهُ عَلٰى قُلُوْبِ الْكَافِرِيْنَ

এভাবে আল্লাহ কাফিরদের হৃদয়ে মোহর মেরে দেন। (সূরা আ‘রাফ- ১০১)

কুফর বিতর্কে টিকতে পারে না :

اَلَمْ تَرَ اِلَى الَّذِيْ حَآجَّ اِبْرَاهِيْمَ فِيْ رَبِّهٖۤ اَنْ اٰتَاهُ اللهُ الْمُلْكَ اِذْ قَالَ اِبْرَاهِيْمُ رَبِّيَ الَّذِيْ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ قَالَ اَنَاْ اُحْيِيْ وَاُمِيْتُؕ قَالَ اِبْرَاهِيْمُ فَاِنَّ اللهَ يَأْتِيْ بِالشَّمْسِ مِنَ الْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنَ الْمَغْرِبِ فَبُهِتَ الَّذِيْ كَفَرَ وَاللهُ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الظَّالِمِيْنَ

আপনি কি তার দিকে লক্ষ্য করেননি, যে ইবরাহীমের সাথে তাঁর রব সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিল? এজন্য যে, আল্লাহ তাকে রাজত্ব দান করেছিলেন। যখন ইবরাহীম বলেছিলেন, আমার রব তিনি যিনি জীবন এবং মৃত্যু দান করেন। তখন সে বলেছিল, আমিই জীবন এবং মৃত্যু দিয়ে থাকি। এবার ইবরাহীম বললেন, আল্লাহ সূর্যকে পূর্ব দিকে উদিত করেন সুতরাং তুমি তা পশ্চিম দিক থেকে নিয়ে আস। এতে সেই অবিশ্বাসী হতভম্ব হয়ে গেল। কিন্তু আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না। (সূরা বাক্বারা- ২৫৮)

কুফরী করলে আল্লাহর কোন ক্ষতি হয় না :

اِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَصَدُّوْا عَنْ سَبِيْلِ اللهِ وَشَآقُّوا الرَّسُوْلَ مِنْ ۢبَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْهُدٰى لَنْ يَّضُرُّوا اللهَ شَيْئًاؕ وَسَيُحْبِطُ اَعْمَالَهُمْ

হেদায়াতের পথ স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও যারা কুফরী করেছে এবং আল্লাহর পথে (মানুষকে আসতে) বাধা দিয়েছে। আর যারা রাসূলের সাথে ঝগড়া করেছে, তারা বাস্তবে আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারবে না; বরং আল্লাহই তাদের সব আমল বরবাদ করে দেবেন। (সূরা মুহাম্মাদ- ৩২)

কুফরী নিজের ক্ষতি ডেকে আনে :

مَنْ كَفَرَ فَعَلَيْهِ كُفْرُهٗ

যে ব্যক্তি কুফরী করে, তার কুফরীর ফল তার উপরই বর্তাবে। (সূরা রূম- ৪৪)

ব্যাখ্যা : মানুষের কুফরীর কারণে আল্লাহর প্রভুত্বের সামান্যতম ক্ষতিও হতে পারে না। মানুষ মানলেও তিনি আল্লাহ, না মানলেও তিনি আল্লাহ; তিনি আছেন এবং থাকবেন। নিজের ক্ষমতায় তাঁর কর্তৃত্ব চলছে। মানুষের মানা বা না মানাতে তাঁর কিছু আসে-যায় না। আর তিনি কারো প্রতি মুখাপেক্ষীও নন। নিজের কোন স্বার্থের জন্য নয়, বরং তিনি বান্দার স্বার্থের জন্য কুফরী করা পছন্দ করেন না। প্রত্যেক ব্যক্তিই তার নিজের কাজকর্মের জন্য দায়ী। কেউ যদি অন্যকে সন্তুষ্ট করার জন্য কিংবা তার অসন্তুষ্টি থেকে বাঁচার জন্য কুফরী করে, তাহলে এর দায়ভার তাকেই বহন করতে হবে। সুতরাং কুফরীর ভ্রান্তি এবং ঈমানের সত্যতা যার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে তার উচিত ভুল নীতি পরিত্যাগ করে সঠিক নীতি গ্রহণ করা এবং নিজের বংশ বা সম্প্রদায়ের অনুসরণ করে নিজেকে আল্লাহর আযাবের উপযুক্ত না বানানো।

কুফরী মূলত শয়তানের কাজ :

وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلٰكِنَّ الشَّيَاطِيْنَ كَفَرُوْا

সুলায়মান কুফরী করেনি, বরং শয়তানরাই কুফরী করেছিল। (সূরা বাক্বারা- ১০২)

শয়তান মানুষকে কুফরীর দিকে আকৃষ্ট করে :

اَلَمْ تَرَ اَنَّاۤ اَرْسَلْنَا الشَّيَاطِيْنَ عَلَى الْكَافِرِيْنَ تَؤُزُّهُمْ اَزًّا

তুমি কি লক্ষ্য করনি যে, আমি কাফিরদের উপর শয়তানদেরকে ছেড়ে রেখেছি? তারা তাদেরকে মন্দকর্মের দিকে ক্রমাগত উৎসাহ দান করছে। (সূরা মারইয়াম- ৮৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন