hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫১১
১২. আইয়ূব (আঃ)
আইয়ূব (আঃ) ছিলেন ইসহাক (আঃ) এর বড় ছেলে ঈছ এর নাতী। তাঁর স্ত্রী লায়লা (যিনি রহিমা নামে পরিচিত) ছিলেন ইউসুফ (আঃ) নাতনী। তাঁর জনপদ ছিল ‘হূরান’ অঞ্চলের ‘বাছানিয়া’ এলাকা, যা ফিলিস্তীনের দক্ষিণ সীমান্ত বরাবর দামেষ্ক ও আযরূ‘আত-এর মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থিত। তিনি ৭০ বছর বয়সে আল্লাহর পক্ষ হতে কঠিন পরীক্ষায় পতিত হন। তবে এতে তিনি পরিপূর্ণভাবে সফলতা অর্জন করেন।

আইয়ূব (আঃ) ইবরাহীম (আঃ) এর বংশ থেকে আগমন করেছেন :

وَمِنْ ذُرِّيَّتِهٖ دَاوُوْدَ وَسُلَيْمَانَ وَاَيُّوْبَ

দাউদ, সুলায়মান ও আইয়ূব ইবরাহীমের বংশধর। (সূরা আন‘আম– ৮৪)

আল্লাহ আইয়ূব (আঃ) এর প্রতি ওহী পাঠিয়েছেন :

وَاَوْحَيْنَاۤ اِلٰۤى اِبْرَاهِيْمَ وَاِسْمَاعِيْلَ وَاِسْحَاقَ وَيَعْقُوْبَ وَالْاَسْبَاطِ وَعِيْسٰى وَاَيُّوْبَ

আমি ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তার বংশধর, ঈসা ও আইয়ূবের নিকটও ওহী প্রেরণ করেছিলাম। (সূরা নিসা– ১৬৩)

তিনি রুগ্ন অবস্থায় আল্লাহকে ডাকতে থাকেন :

وَاَيُّوْبَ اِذْ نَادٰى رَبَّهٗۤ اَنِّيْ مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَاَنْتَ اَرْحَمُ الرَّاحِمِيْنَ

স্মরণ করো, যখন আইয়ূব তার প্রতিপালককে আহবান করে বলেছিল, আমি দুঃখ–কষ্টে পতিত হয়েছি, আর তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু! (সূরা আম্বিয়া– ৮৩)

ব্যাখ্যা : আল্লাহ তা‘আলা আইয়ূব (আঃ) কে পরীক্ষা করার জন্য একটি রোগে আক্রান্ত করেন। অধিকাংশ আলিমদের মতে তিনি কঠিন চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বাইবেলে উল্লেখ রয়েছে যে, তাঁর সারা শরীর ফোঁড়ায় ভরে গিয়েছিল।

وَاذْكُرْ عَبْدَنَاۤ اَيُّوْبَ اِذْ نَادٰى رَبَّهٗۤ اَنِّيْ مَسَّنِيَ الشَّيْطَانُ بِنُصْبٍ وَّعَذَابٍ

স্মরণ করো, আমার বান্দা আইয়ূবের কথা। যখন সে তার প্রতিপালককে আহবান করে বলেছিল, নিশ্চয় শয়তান আমাকে যন্ত্রণা ও কষ্টে ফেলেছে। (সূরা সোয়াদু ৪১)

ব্যাখ্যা : এর অর্থ এ নয় যে, শয়তান আমাকে অসুস্থ করে দিয়েছে এবং আমাকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। বরং এর অর্থ হচ্ছে, রোগের প্রচন্ডতা, ধনসম্পদের বিনাশ এবং আত্মীয়স্বজনদের মুখ ফিরিয়ে নেয়ার কারণে আমি যে কষ্ট ও যন্ত্রণার মধ্যে নিক্ষিপ্ত হয়েছি তার চেয়ে বড় কষ্ট ও যন্ত্রণা আমার জন্য এই যে, শয়তান তার প্ররোচনার মাধ্যমে আমাকে বিপদগ্রস্ত করেছে। এ অবস্থায় সে আমাকে আমার রব থেকে হতাশ করার চেষ্টা করে, আমাকে আমার রবের প্রতি অকৃতজ্ঞ করতে চায় এবং আমি যাতে অধৈর্য হয়ে উঠি সে প্রচেষ্টায় রত থাকে।

আল্লাহ তাকে একটি ঝর্ণা দান করলেন :

اُرْكُضْ بِرِجْلِكَۚ هٰذَا مُغْتَسَلٌ ۢبَارِدٌ وَّشَرَابٌ

(আমি আদেশ করলাম) তুমি পা দিয়ে মাটিতে আঘাত করো। (অতঃপর আঘাত করতেই একটি ঝর্ণা উৎপন্ন হলো; আর) এ হলো সুশীতল গোসলের পানি এবং পানীয়। (সূরা সোয়াদু ৪২)

ব্যাখ্যা : অর্থাৎ আল্লাহর হুকুমে মাটিতে পায়ের আঘাত করতেই একটি পানির ঝর্ণা প্রবাহিত হলো। এর পানি পান করা এবং এ পানিতে গোসল করা ছিল আইয়ূব (আঃ) এর জন্য তাঁর রোগের চিকিৎসা।

এভাবে তাকে রোগমুক্ত করেন :

فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ فَكَشَفْنَا مَا بِه مِنْ ضُرٍّ

অতঃপর আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম এবং তার দুঃখ–কষ্ট দূরীভূত করে দিলাম। (সূরা আম্বিয়া– ৮৪)

তিনি খুবই ধৈর্যশীল বান্দা ছিলেন :

اِنَّا وَجَدْنَاهُ صَابِرًاؕ نِعْمَ الْعَبْدُؕ اِنَّهٗۤ اَوَّابٌ

অবশ্যই আমি তাকে ধৈর্যশীল হিসেবেই পেয়েছি। তিনি ছিলেন কতই না উত্তম বান্দা! নিশ্চয় তিনি ছিলেন আল্লাহ অভিমুখী। (সূরা সোয়াদু ৪৪)

ব্যাখ্যা : আল্লাহর নেক বান্দারা যখন বিপদ ও কঠিন সংকটের মুখোমুখি হন তখন তারা তাদের রবের কাছে অভিযোগ করেন না; বরং ধৈর্য সহকারে সে পরীক্ষাকে মেনে নেন এবং তাতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য তাঁর কাছেই সাহায্য চান। কিছুকাল আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার পর যদি বিপদ দূর না হয় তাহলে তাঁর থেকে নিরাশ হয়ে অন্যদের দরবারে হাত পাতার পদ্ধতি অবলম্বন করেন না। কেননা তারা ভালো করেই জানেন যে, যা কিছু পাওয়ার আল্লাহর কাছ থেকেই পাওয়া যাবে। তাই বিপদ যতই দীর্ঘ হোক না কেন তারা তাঁরই করুণাপ্রার্থী হন। এজন্য তারা এমন দান ও করুণা লাভে ধন্য হন যার দৃষ্টান্ত আইয়ূব (আঃ) এর জীবনে পাওয়া যায়। এমনকি যদি তারা কখনো অস্থির হয়ে কোন প্রকার নৈতিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের শিকার হন, তাহলেও আল্লাহ তাদেরকে চিন্তামুক্ত করার জন্য একটি পথ বের করে দেন। যেমন আইয়ূব (আঃ) এর জন্য বের করে দিয়েছিলেন।

আল্লাহ পুনরায় পরিবার-পরিজনকে তার সাথে মিলিয়ে দিলেন :

وَوَهَبْنَا لَهٗۤ اَهْلَهٗ وَمِثْلَهُمْ مَّعَهُمْ رَحْمَةً مِّنَّا وَذِكْرٰى لِاُولِى الْاَلْبَابِ

আমি তাকে তার পরিবার–পরিজন দান করলাম, তার সঙ্গে তাদের আরো সমপরিমাণ। যা ছিল আমার পক্ষ থেকে রহমত এবং জ্ঞানীদের জন্য উপদেশস্বরূপ। (সূরা সোয়াদু ৪৩)

فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ فَكَشَفْنَا مَا بِهٖ مِنْ ضُرٍّ وَّاٰتَيْنَاهُ اَهْلَهٗ وَمِثْلَهُمْ مَّعَهُمْ رَحْمَةً مِّنْ عِنْدِنَا وَذِكْرٰى لِلْعَابِدِيْنَ

তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম, তার দুঃখ–কষ্ট দূরীভূত করে দিলাম, তাকে তার পরিবার–পরিজন ফিরিয়ে দিলাম এবং তাদের মতো তাদের সঙ্গে আমার আরো বিশেষ রহমত দান করলাম। যা ছিল ইবাদাতকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ। (সূরা আম্বিয়া– ৮৪)

ব্যাখ্যা : রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর আইয়ূব (আঃ) এর স্ত্রী ছাড়া আর সবাই তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করেছিল এমনকি সন্তানরাও তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। এ দিকে ইংগিত করেই আল্লাহ বলছেন, যখন আমি তার রোগ নিরাময় করলাম, তখন তার পরিবারবর্গ তার কাছে ফিরে এলো। তারপর আমি তাঁকে আরো সন্তান দান করলাম। একজন বুদ্ধিমানের জন্য এর মধ্যে এ শিক্ষা রয়েছে যে, ভালো অবস্থায় আল্লাহকে ভুলে গিয়ে তার বিদ্রোহী হওয়া উচিত নয় এবং খারাপ অবস্থায় আল্লাহ থেকে নিরাশ হওয়াও উচিত নয়। তাকদীরের ভালো-মন্দ সরাসরি এক আল্লাহর ক্ষমতার আওতাধীন। তিনি চাইলে মানুষের সবচেয়ে ভালো অবস্থাকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পরিবর্তিত করে দিতে পারেন। আবার চাইলে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে তাকে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় পৌঁছিয়ে দিতে পারেন। তাই বুদ্ধিমান ব্যক্তির সকল অবস্থায় আল্লাহর উপর ভরসা এবং তাঁর প্রতি পুরোপুরি নির্ভর করা উচিত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন