hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৮৫
অধ্যায়- ৯ : তাহাজ্জুদ সালাতের বর্ণনা
তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ের নির্দেশ :

يَاۤ اَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ قُمِ اللَّيْلَ اِلَّا قَلِيْلًا نِصْفَهٗۤ اَوِ انْقُصْ مِنْهُ قَلِيْلًا اَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْاٰنَ تَرْتِيْلًا

হে বস্ত্রাবৃত! রাত্রি জাগরণ (সালাত আদায়) করো, তবে কিছু অংশ বাদে। তার অর্ধেক কিংবা তদপেক্ষা কিছু কম অথবা তদপেক্ষা বেশি। আর কুরআন পাঠ করো ধীরে ধীরে (থেমে থেমে সুন্দরভাবে)। (সূরা মুয্যাম্মিল- ১-৪)

وَمِنَ اللَّيْلِ فَاسْجُدْ لَهٗ وَسَبِّحْهُ لَيْلًا طَوِيْلًا

রাতে তাঁর জন্য সিজদায় নত হও এবং রাতে দীর্ঘ সময় তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করো। (সূরা দাহর- ২৬)

নবী ও সাহাবীরা এ সালাত আদায় করতেন :

اِنَّ رَبَّكَ يَعْلَمُ اَنَّكَ تَقُوْمُ اَدْنٰى مِنْ ثُلُثَيِ اللَّيْلِ وَنِصْفَهٗ وَثُلُثَهٗ وَطَآئِفَةٌ مِّنَ الَّذِيْنَ مَعَكَ

তোমার প্রতিপালক তো জানেন যে, তুমি জাগরণ কর- কখনো রাত্রির প্রায় দুই তৃতীয়াংশ, কখনো অর্ধাংশ এবং কখনো এক তৃতীয়াংশ এবং তোমার সাথে যারা আছে তাদের একটি দলও জাগরণ করে। (সূরা মুয্যাম্মিল- ২০)

প্রথমে এ সালাত ফরয ছিল, পরে তা নফল করে দেয়া হয় :

وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهٖ نَافِلَةً لَّكَ ۗ عَسٰى اَنْ يَّبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَّحْمُوْدًا

রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম করবে, এটা তোমার জন্য একটি অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৭৯)

আল্লাহর নেক বান্দারা সিজদারত অবস্থায় রাত কাটায় :

وَالَّذِيْنَ يَبِيْتُوْنَ لِرَبِّهِمْ سُجَّدًا وَّقِيَامًا

তারা তাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হয়ে ও দন্ডায়মান অবস্থায় রাত্রি অতিবাহিত করে। (সূরা ফুরক্বান- ৬৪)

ব্যাখ্যা : এটা হচ্ছে মুমিনগণের রাতের জীবন। তাদের রাত আরাম-আয়েশে, নাচ-গানে, খেলতামাশায়, আড্ডাবাজী ও চুরি-চামারিতে অতিবাহিত হয় না। তারা জাহেলিয়াতের এসব পরিচিত খারাপ কাজগুলোর পরিবর্তে সমাজে এমনসব লোকদের মতো সৎকর্ম সম্পাদন করত- যাদের রাত কাটত আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে এবং দু‘আ ও ইবাদাত করার মধ্য দিয়ে।

আহলে কিতাবের কিছু লোকও ইবাদাতে রাত কাটায় :

لَيْسُوْا سَوَآءًؕ مِنْ اَهْلِ الْكِتَابِ اُمَّةٌ قَآئِمَةٌ يَّتْلُوْنَ اٰيَاتِ اللهِ اٰنَآءَ اللَّيْلِ وَهُمْ يَسْجُدُوْنَ

তারা সবাই সমান নয়। আহলে কিতাবদের মধ্যে একটি দল রয়েছে অটল, তারা রাতের বেলা আল্লাহর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে এবং সিজদা করে। (সূরা আলে ইমরান- ১১৩)

শেষ রাতে ইবাদাত করা জান্নাতী লোকদের বিশেষ গুণ :

تَتَجَافٰى جُنُوْبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَّطَمَعًا وَّمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّاۤ اُخْفِيَ لَهُمْ مِّنْ قُرَّةِ اَعْيُنٍۚ جَزَآءً ۢبِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ

তাদের দেহ বিছানা থেকে এমনভাবে আলাদা হয়ে যায় যে, তারা তাদের প্রতিপালককে আহবান করতে থাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না যে, তাদের কৃতকর্মের প্রতিদানস্বরূপ তাদের জন্য নয়ন জুড়ানো কী কী সামগ্রী লুকিয়ে রাখা হয়েছে? (সূরা সাজদা, ১৫-১৭)

اِنَّ الْمُتَّقِيْنَ فِيْ جَنَّاتٍ وَّعُيُوْنٍ اٰخِذِيْنَ مَاۤ اٰتَاهُمْ رَبُّهُمْؕ اِنَّهُمْ كَانُوْا قَبْلَ ذٰلِكَ مُحْسِنِيْنَ كَانُوْا قَلِيْلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُوْنَ وَبِالْاَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ

সেদিন মুত্তাক্বীরা জান্নাত ও ঝর্ণার মধ্যে থাকবে, যা তাদের প্রতিপালক তাদেরকে প্রদান করবেন; তা তারা গ্রহণ করবে। নিশ্চয় তারা ইতোপূর্বে সৎকর্মপরায়ণ ছিল। তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রাবস্থায় অতিবাহিত করত এবং রাত্রির শেষ প্রহরে ক্ষমাপ্রার্থনা করত। (সূরা যারিয়াত, ১৫-১৮)

তাহাজ্জুদ আদায়কারী ব্যক্তিই প্রকৃত জ্ঞানী :

اَمَّنْ هُوَ قَانِتٌ اٰنَآءَ اللَّيْلِ سَاجِدًا وَّقَآئِمًا يَّحْذَرُ الْاٰخِرَةَ وَيَرْجُوْا رَحْمَةَ رَبِّهٖؕ قُلْ هَلْ يَسْتَوِى الَّذِيْنَ يَعْلَمُوْنَ وَالَّذِيْنَ لَا يَعْلَمُوْنَؕ اِنَّمَا يَتَذَكَّرُ اُولُو الْاَلْبَابِ

কাফিররা কি ঐ ব্যক্তির সমান যে ব্যক্তি রাতে সিজদারত অবস্থায় অথবা দাঁড়িয়ে ইবাদাত করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তার প্রতিপালকের রহমত প্রত্যাশা করে? বলো, যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান হতে পারে? নিশ্চয় জ্ঞানবান ব্যক্তিরাই উপদেশ গ্রহণ করে থাকে। (সূরা যুমার- ৯)

ব্যাখ্যা : এখানে দু’শ্রে্র্র্র্র্র্রণির মানুষের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। এক শ্রেণির মানুষ দুঃসময় আসলে আল্লাহর দিকে ফিরে যায়। কিন্তু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে গায়রুল্লাহর দাসত্ব করে। আরেক শ্রেণির মানুষ আল্লাহর আনুগত্য এবং তাঁর দাসত্বকে তাদের স্থায়ী নীতি বানিয়ে নিয়েছে। রাতের অন্ধকারে আল্লাহর ইবাদাত করা তাদের একনিষ্ঠ হওয়ার প্রমাণ। এর মধ্যে প্রথম দলের অন্তর্ভুক্ত লোকদেরকে আল্লাহ তা‘আলা জ্ঞানহীন বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ ক্ষেত্রে তারা বড় বড় গ্রন্থাগার পড়ে থাকলেও কিছু আসে যায় না। আর দ্বিতীয় দলের অন্তর্ভুক্ত লোকদেরকে জ্ঞানী বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ ক্ষেত্রে একেবারে নিরক্ষর হলেও কিছু আসে যায় না। কারণ প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে সত্য সম্পর্কে জ্ঞান ও তদানুযায়ী কাজ। এর উপরই মানুষের সাফল্য নির্ভরশীল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, এ দু’শ্রেণির মানুষ কীভাবে সমান হতে পারে এবং আখিরাতেও একই পরিণামের সম্মুখীন হবে?

প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ ও কুরআনের মর্ম বুঝার উপযুক্ত সময় এটাই :

اِنَّ نَاشِئَةَ اللَّيْلِ هِيَ اَشَدُّ وَطْئًا وَّاَقْوَمُ قِيْلًا

রাতে বিছানা ত্যাগ করা আত্মসংযমের জন্য অধিক কার্যকর পন্থা এবং স্পষ্ট উচ্চারণের (কুরআন পাঠের) অনুকূল (সময়)। (সূরা মুয্যাম্মিল- ৬)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন