hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৫৬
অধ্যায়- ৩ : সুলায়মান (আঃ) এর প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ
আল্লাহ তাকে অনেক নিয়ামত দান করেছেন :

هٰذَا عَطَآؤُنَا فَامْنُنْ اَوْ اَمْسِكْ بِغَيْرِ حِسَابٍ

এগুলো আমার অনুগ্রহ, অতএব তুমি কাউকে দান কর কিংবা নিজের জন্য রাখ, সেজন্য তোমাকে জবাবদিহি করতে হবে না। (সূরা সোয়াদু ৩৯)

এক বিচারে পিতার চেয়ে উত্তম রায় দেন :

وَدَاوُوْدَ وَسُلَيْمَانَ اِذْ يَحْكُمَانِ فِى الْحَرْثِ اِذْ نَفَشَتْ فِيْهِ غَنَمُ الْقَوْمِۚ وَكُنَّا لِحُكْمِهِمْ شَاهِدِيْنَ فَفَهَّمْنَاهَا سُلَيْمَانَۚ وَكُلًّا اٰتَيْنَا حُكْمًا وَّعِلْمًا

স্মরণ করো, দাউদ ও সুলায়মানের কথা, যখন তারা শস্যক্ষেত্র সম্পর্কে বিচার করছিল। যখন রাত্রিকালে কোন সম্প্রদায়ের মেষ তাতে (ঐ শস্যক্ষেত্রে) প্রবেশ করেছিল; আর আমি তাদের বিচার প্রত্যক্ষ করছিলাম। অতঃপর আমি সুলায়মানকে এ বিষয়ের মীমাংসা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাদের প্রত্যেককে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান। (সূরা আম্বিয়া– ৭৮, ৭৯)

ব্যাখ্যা : এ ঘটনার বিবরণ হলো : একদা দু’জন লোক দাউদ (আঃ) এর কাছে উপস্থিত হয়। তাদের একজন ছিল ছাগলপালের মালিক ও অপরজন ছিল শস্যক্ষেতের মালিক। শস্যক্ষেতের মালিক ছাগলপালের মালিকের বিরুদ্ধে দাবী করল যে, তার ছাগলপাল রাত্রিকালে আমার শস্যক্ষেত বিনষ্ট করে দিয়েছে। দাউদ (আঃ) ঘটনার বিবরণ শুনে রায় দিলেন যে, ছাগলপালের মালিক তার সমস্ত ছাগল শস্যক্ষেতের মালিককে অর্পন করুক। এ রায় শুনে সুলায়মান (আঃ) বললেন, আমি রায় দিলে তা ভিন্নরূপ হতো এবং উভয়ের জন্য কল্যাণকর হতো। দাউদ (আঃ) বললেন, এ রায় থেকে উত্তম রায়টা কী? সুলায়মান (আঃ) বললেন, আপনি ছাগলপাল শস্যক্ষেতের মালিককে দিয়ে দেন। সে এগুলোর দুধ, পশম ইত্যাদি দ্বারা উপকার লাভ করুক এবং শস্যক্ষেত ছাগলপালের মালিককে অর্পণ করুন। সে তাতে চাষাবাদ করে শস্য উৎপন্ন করুক। যখন শস্যক্ষেত ছাগলপালের বিনষ্ট করার পূর্বের অবস্থায় পৌঁছে যাবে, তখন তা তার মালিককে এবং ছাগলপাল ছাগলের মালিককে প্রত্যর্পণ করুন। দাউদ (আঃ) বললেন, এটা খুবই উত্তম রায়। সুতরাং এ রায়ই কার্যকর করা হবে। (মুস্তাদরাকে হাকীম, হা/৪১৩৮; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/২০৮৬২)

তিনি আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন :

وَقَالَ رَبِّ اَوْزِعْنِيْۤ اَنْ اَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِيْۤ اَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلٰى وَالِدَيَّ وَاَنْ اَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَاَدْخِلْنِيْ بِرَحْمَتِكَ فِيْ عِبَادِكَ الصَّالِحِيْنَ

সুলায়মান বলল, হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দান করো, যাতে আমি তোমার প্রতি ঐ নিয়ামতের উপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, যা তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতা–মাতার প্রতি দান করেছ এবং যাতে আমি সৎকাজ করতে পারি, যা তুমি পছন্দ কর। আর আমাকে তোমার অনুগ্রহে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করো। (সূরা নামল– ১৯)

ব্যাখ্যা : এর প্রকৃত অর্থ হলো, ‘‘হে আমার রব! তুমি আমাকে যে বিরাট শক্তি ও যোগ্যতা দান করেছ তা থেকে যদি আমি সামান্য গাফিল হয়ে যাই, তাহলে আমি দাসত্বের সীমানা থেকে বের হয়ে যাব। সুতরাং হে আমার মালিক! তুমি আমাকে নিয়ন্ত্রণে রাখো, যাতে আমি অনুগ্রহ অস্বীকারকারীর পরিবর্তে অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী হতে পারি।

পরকালে তার জন্য রয়েছে শুভ পরিণাম :

وَاِنَّ لَهٗ عِنْدَنَا لَزُلْفٰى وَحُسْنَ مَاٰبٍ

নিশ্চয় তার জন্য আমার কাছে রয়েছে (নৈকট্য লাভের) মর্যাদা ও উত্তম ঠিকানা। (সূরা সোয়াদু ৪০)

ঘোড়া সম্পর্কিত ঘটনা :

وَوَهَبْنَا لِدَاوُوْدَ سُلَيْمَانَؕ نِعْمَ الْعَبْدُؕ اِنَّهٗۤ اَوَّابٌ اِذْ عُرِضَ عَلَيْهِ بِالْعَشِيِّ الصَّافِنَاتُ الْجِيَادُ فَقَالَ اِنِّۤيْ اَحْبَبْتُ حُبَّ الْخَيْرِ عَنْ ذِكْرِ رَبِّيْۚ حَتّٰى تَوَارَتْ بِالْحِجَابِ رُدُّوْهَا عَلَيَّؕ فَطَفِقَ مَسْحًا ۢبِالسُّوْقِ وَالْاَعْنَاقِ

আর আমি দাউদকে দান করেছিলাম সুলায়মান। সে ছিল অতি উত্তম বান্দা। নিশ্চয় সে ছিল আল্লাহ অভিমুখী। যখন এক সন্ধ্যায় তার সামনে উৎকৃষ্ট ঘোড়ার পাল পেশ করা হলো তখন সে বলল, আমি তো আমার প্রতিপালকের স্মরণ থেকে উদাসীন হয়ে সম্পদের মোহে মশগুল হয়ে পড়েছি, এমনকি সূর্য পর্দার আড়ালে চলে গেছে। অতএব এগুলোকে আবার আমার সামনে নিয়ে আসো। তারপর সে সেগুলোর পা ও গলদেশসমূহে (স্নেহের) হাত বুলিয়ে দিল। (সূরা সোয়াদ, ৩০–৩৩)

পিঁপড়া সংক্রান্ত ঘটনা :

وَحُشِرَ لِسُلَيْمَانَ جُنُوْدُهٗ مِنَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ وَالطَّيْرِ فَهُمْ يُوْزَعُوْنَ حَتّٰۤى اِذَاۤ اَتَوْا عَلٰى وَادِ النَّمْلِ قَالَتْ نَمْلَةٌ يَّاۤ اَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوْا مَسَاكِنَكُمْۚ لَا يَحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمَانُ وَجُنُوْدُهٗ وَهُمْ لَا يَشْعُرُوْنَ فَتَبَسَّمَ ضَاحِكًا مِّنْ قَوْلِهَا وَقَالَ رَبِّ اَوْزِعْنِيْۤ اَنْ اَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِيْۤ اَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلٰى وَالِدَيَّ وَاَنْ اَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَاَدْخِلْنِيْ بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِيْنَ

সুলায়মানের সম্মুখে সমবেত করা হলো তার বাহিনী- জিন, মানুষ ও বিহঙ্গকুলকে এবং তাদেরকে বিন্যস্ত করা হলো বিভিন্ন দলে। যখন তারা পিপীলিকা অধ্যুষিত উপত্যকায় পৌঁছল তখন এক পিপীলিকা বলল, হে পিপীলিকা বাহিনী! তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ করো, যেন সুলায়মান এবং তার বাহিনী তাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পদতলে পিষে না ফেলে। সুলায়মান তার উক্তিতে মৃদু হাসল এবং বলল, হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দান করো, যাতে আমি তোমার প্রতি ঐ নিয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, যা তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতা–মাতার প্রতি দান করেছ এবং যাতে করে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার অনুগ্রহে আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করো। (সূরা নামল, ১৭–১৯)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন