hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৪৯
অধ্যায়- ৩ : আখিরাত বিশ্বাসের উপকারিতা
আখিরাত বিশ্বাসীরা সৎকাজের প্রেরণা লাভ করে :

ذٰلِكُمْ يُوْعَظُ بِهٖ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِؕ وَمَنْ يَّتَّقِ اللهَ يَجْعَلْ لَّهٗ مَخْرَجًا

এটা দ্বারা তোমাদের মধ্যে যে আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তাকে উপদেশ দেয়া হয়। আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তাকে পথ দেখিয়ে দেন। (সূরা তালাক্ব- ২)

وَاسْتَعِيْنُوْا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِؕ وَاِنَّهَا لَكَبِيْرَةٌ اِلَّا عَلَى الْخَاشِعِيْنَ اَلَّذِيْنَ يَظُنُّوْنَ اَنَّهُمْ مُّلَاقُوْا رَبِّهِمْ وَاَنَّهُمْ اِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ

তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। এ কাজ খুবই কঠিন, তবে বিনয়ীগণ ব্যতীত। (আর বিনয়ী তো তারাই) যারা ধারণা করে যে, নিশ্চয় তারা তাদের প্রতিপালকের সাথে মিলিত হবে এবং তারা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। (সূরা বাক্বারা- ৪৫, ৪৬)

ব্যাখ্যা : আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস ছাড়া অন্য কোন জিনিসই এমন নেই, যা এ দুনিয়ায় মানুষকে সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত রাখার নিশ্চয়তা দিতে পারে। যদি কোন ব্যক্তি এ কথা না মানে যে, মৃত্যুর পর তাকে আবার জীবিত হতে হবে এবং আল্লাহর সামনে নিজের কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে, তাহলে সে অবশ্যই পথভ্রষ্ট ও বিপথগামী হবে। কারণ যে দায়িত্বানুভূতি মানুষকে সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত রাখে তা তার মধ্যে নেই। তাই শয়তান মানুষকে আখিরাত থেকে গাফিল করে দেয়। এটিই তার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এবং এর সাহায্যেই সে মানুষকে নিজের ফাঁদে আটকে ফেলে। যে ব্যক্তি শয়তানের এ প্রতারণার জাল ছিন্ন করে বের হয়ে আসে, সে কখনো নিজের আসল ও চিরন্তন জীবনের স্বার্থকে দুনিয়ার সাময়িক জীবনের স্বার্থে কুরবানী করে দিতে রাজি হবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি শয়তানের প্রতারণায় বিভ্রান্ত হয়ে আখিরাতকে অস্বীকার করে বসে অথবা সে ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে পড়ে, সে কখনো এ দুনিয়ায় নগদ লাভ থেকে বিরত থাকতে রাজি হবে না। দুনিয়ায় যে ব্যক্তিই পথভ্রষ্ট হয়েছে তার মূল কারণ হচ্ছে, আখিরাতকে অস্বীকার করা বা এ ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা। আবার যে-ই সঠিক পথ অবলম্বন করেছে তার সঠিক কর্মের ভিত্তি আখিরাতের প্রতি ঈমানের উপরই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আখিরাত বিশ্বাসীরা ব্যর্থ হবে না :

وَمَنْ اَرَادَ الْاٰخِرَةَ وَسَعٰى لَهَا سَعْيَهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَاُولٰٓئِكَ كَانَ سَعْيُهُمْ مَّشْكُوْرًا

যারা মুমিন হয়ে আখিরাত কামনা করে এবং তার জন্য যথাযথ চেষ্টা করে, তাদের প্রচেষ্টা পুরস্কারযোগ্য।

(সূরা বনী ইসরাঈল- ১৯)

তাদের প্রতিদান বৃদ্ধি পাবে :

مَنْ كَانَ يُرِيْدُ حَرْثَ الْاٰخِرَةِ نَزِدْ لَهٗ فِيْ حَرْثِهٖۚ وَمَنْ كَانَ يُرِيْدُ حَرْثَ الدُّنْيَا نُؤْتِهٖ مِنْهَا وَمَا لَهٗ فِى الْاٰخِرَةِ مِنْ نَّصِيْبٍ

যে ব্যক্তি আখিরাতে ফসল কামনা করে, আমি তার জন্য তার ফসল বৃদ্ধি করে দেই। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার ফসল কামনা করে, আমি তাকে এর থেকেও কিছু দেই। কিন্তু আখিরাতে তার জন্য কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। (সূরা শূরা- ২০)

ব্যাখ্যা : যারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ের জন্য কাজ করে, এ আয়াতে তাদেরকে এমন কৃষকের সাথে তুলনা করা হয়েছে, যারা ভূমি প্রস্তুত করা থেকে ফসল প্রস্তুত হওয়া পর্যন্ত ঘাম ঝরায়। আখিরাতের ফসল বপনকারী কৃষক এবং পার্থিব ফসল বপনকারী কৃষকের মধ্যে বিরাট পার্থক্য রয়েছে, তাই আল্লাহ উভয়ের পরিশ্রমের ফলাফলও ভিন্ন রেখেছেন। অথচ এ পৃথিবীই উভয়ের কর্মক্ষেত্র। আখিরাতের ফসল বপনকারী দুনিয়া লাভ করবে না- আল্লাহ তা বলেননি। কম বা বেশি যাই হোক না কেন দুনিয়া তো সে পাবেই। কারণ এখানে আল্লাহর দয়া সবার জন্য সমান এবং তার মধ্যে তারও অংশ আছে। তাই ভালো-মন্দ সবাই এখানে রিযিক পাচ্ছে। কিন্তু আল্লাহ তাকে দুনিয়া লাভের সুসংবাদ দেননি বরং তাকে সুসংবাদ দিয়েছেন এই বলে যে, তার আখিরাতের শস্যক্ষেত্র বৃদ্ধি করা হবে। কেননা সে সেটিই চায় এবং সে সেখানকার পরিণামের চিন্তায় বিভোর। এ শস্যক্ষেত্র বর্ধিত করার অনেকগুলো পন্থা হতে পারে। যেমন- সে যতটা সদুদ্দেশ্য নিয়ে আখিরাতের জন্য নেক আমল করতে থাকবে তাকে ততবেশি নেক আমল করার সুযোগ দেয়া হবে এবং তার হৃদয়-মন নেক কাজের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। যখন সে পবিত্র উদ্দেশ্য অর্জন করার জন্য পবিত্র উপায় অবলম্বন করার সংকল্প করবে, তখন তার জন্য পবিত্র উপায়-উপকরণের দরজাসমূহ খোলা থাকবে। তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা হলো, তার এই পৃথিবীর সামান্য নেকীও আখিরাতে কমপক্ষে দশগুণ বৃদ্ধি করা হবে। আর বেশির তো কোন সীমাই থাকবে না। আল্লাহ যার জন্য চাইবেন হাজার বা লক্ষগুণ বৃদ্ধি করে দেবেন। আর যে আখিরাত চায় না এবং দুনিয়ার জন্যই সবকিছু করে আল্লাহ তাকে তার এই চেষ্টা-সাধনার দু’টি ফলের কথা সুস্পষ্টভাবে শুনিয়ে দিয়েছেন। (এক) সে যত চেষ্টাই করুক না কেন দুনিয়া যতটা অর্জন করতে চায় তা সে পুরোপুরিভাবে পাবে না। বরং তার একটা অংশ পাবে অর্থাৎ আল্লাহ তার জন্য যতটা নির্দিষ্ট করে রেখেছেন ততটা সে পাবে। (দুই) সে যা কিছু পাবে এই দুনিয়াতেই পাবে, আখিরাতে তার কোন অংশ থাকবে না।

পরকালে বিশ্বাসী হওয়া কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে :

فَمَنْ كَانَ يَرْجُوْا لِقَآءَ رَبِّهٖ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَّلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهٖۤ اَحَدًا

যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার প্রতিপালকের ইবাদাতে কাউকে শরীক না করে। (সূরা কাহফ- ১১০)

مَنْ كَانَ يَرْجُوْا لِقَآءَ اللهِ فَاِنَّ اَجَلَ اللهِ لَاٰتٍؕ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ

যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ কামনা করে সে জেনে রাখুক যে, আল্লাহর নির্ধারিত কাল আসবেই; তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। (সূরা আনকাবূত- ৫)

ব্যাখ্যা : যারা আশা রাখে যে, একসময় তাদেরকে আল্লাহর সামনে হাজির হতে হবে এবং নিজের কর্ম অনুযায়ী পুরস্কার বা শাস্তি পেতে হবে। তাদের এ ভুল ধারণায় ডুবে থাকা উচিত নয় যে, তাদের মৃত্যুর সময় অনেক দূরে। তাদের মনে করা উচিত, সে সময় অতি নিকটেই এসে গেছে এবং কাজের অবকাশ শেষ হওয়ারই পথে। তাই নিজের শুভ পরিণামের জন্য তারা যা কিছু করতে চায় করে ফেলুক। দীর্ঘ জীবনকালের ভিত্তিহীন নির্ভরতার উপর ভরসা করে নিজের সংশোধনে বিলম্ব করা উচিত নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন