hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৩৬
অধ্যায়- ৬ : মুসলিম জামা‘আতের কর্মীদের জন্য সান্ত্বনা
আল্লাহর ফেরেশতারা তাদের সান্ত্বনা দেয় :

اِنَّ الَّذِيْنَ قَالُوْا رَبُّنَا اللهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوْا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلَآئِكَةُ اَلَّا تَخَافُوْا وَلَا تَحْزَنُوْا وَاَبْشِرُوْا بِالْجَنَّةِ الَّتِيْ كُنْتُمْ تُوْعَدُوْنَ نَحْنُ اَوْلِيَآؤُكُمْ فِى الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِى الْاٰخِرَةِۚ وَلَكُمْ فِيْهَا مَا تَشْتَهِيْۤ اَنْفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيْهَا مَا تَدَّعُوْنَ نُزُلًا مِّنْ غَفُوْرٍ رَّحِيْمٍ

নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, অতঃপর তাতে অবিচল থাকে, তাদের নিকট ফেরেশতারা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভীত হয়ো না এবং চিন্তিত হয়ো না, বরং তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তার সুসংবাদ পেয়ে আনন্দিত হও। দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে আমরাই তোমাদের বন্ধু; সেখানে তোমরা নিজেদের জন্য যা ইচ্ছা করবে, তা-ই তোমাদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে এবং সেখানে তোমরা যা আহবান করবে, তোমাদের জন্য তাও রয়েছে। এটা হলো ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ হতে আপ্যায়ন। (সূরা হা-মীম সাজদা, ৩০-৩২)

ব্যাখ্যা : যে পরিস্থিতিতে এ আয়াতগুলো নাযিল হয়েছে সে সম্পর্কে যদি গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা যায় তাহলে এ পার্থিব জীবনে ইসলামী জীবনব্যবস্থাকে সমুন্নত করার জন্য যারা জীবন দান করছেন তাদের কাছে ফেরেশতাদের অবতরণের কথা বর্ণনা করাই এখানে মূল উদ্দেশ্য। যাতে করে তারা প্রশান্তি লাভ করতে পারে, মনোবল ফিরে পায় এবং তাদের হৃদয়-মন এই অনুভূতিতে পরিতৃপ্ত হয় যে, তারা সহযোগী ও বন্ধুহীন নয়, বরং আল্লাহর ফেরেশতারা তাদের সাথে আছেন। যে পরিস্থিতিতে এ কথা বলা হয়েছে তা এমন ছিল যে, যে ব্যক্তিই মুসলিম হওয়ার কথা প্রকাশ করত তার উপর বিপদের ঝড় নেমে আসত। যে ব্যক্তি আরো একটু অগ্রসর হয়ে ইসলাম প্রচারের জন্য মুখ খুলত, সে যেন নিজেকে ছিঁড়ে-ফেড়ে খাওয়ার জন্য হিংস্র পশুপালকে আহবান জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তির আল্লাহকে রব হিসেবে স্বীকার করে সোজা পথ গ্রহণ করা এবং তা থেকে বিচ্যুত না হওয়া নিঃসন্দেহে বড় মর্যাদার কাজ।

যদিও মৃত্যুর সময় ফেরেশতারা ঈমানদারদেরকে স্বাগত জানাতে আসে, কবরেও তারা তাদেরকে স্বাগত জানায় এবং কিয়ামতের দিনও হাশরের শুরু থেকে জান্নাতে পৌঁছা পর্যন্ত সবসময় তারা তাদের সাথে থাকবে। তবে তাদের এ সঙ্গ কেবল পরকালীন জগতের জন্যই নির্দিষ্ট নয়, এ পৃথিবীতেও চলছে। উল্লেখিত আয়াতে কথার ধারাবাহিকতাই বলে দিচ্ছে, হক ও বাতিলের সংঘাতে বাতিলের অনুসারীদের সাথে যেমন শয়তান ও অপরাধীরা থাকে, তেমনি ঈমানদারদের সাথে ফেরেশতারাও থাকে। একদিকে বাতিলপন্থীদের কৃতকর্মসমূহকে তাদের সঙ্গী-সাথিরা সুন্দর করে দেখায় এবং তাদেরকে এ মর্মে নিশ্চয়তা দেয় যে, সত্যকে হেয় করার জন্য তোমরা যে যুলুম-অত্যাচার করছ সেটিই তোমাদের সফলতার উপায় এবং এভাবে পৃথিবীতে তোমাদের নেতৃত্ব নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে। অপরদিকে হকপন্থীদের কাছেও আল্লাহর ফেরেশতারা এসে এসব সুখবর পেশ করে।

পৃথিবীতে ফেরেশতাদের এ উপদেশের অর্থ হচ্ছে, বাতিল শক্তি যতই স্বৈরাচারী হোক না কেন তাদেরকে দেখে কখনো ভীত হয়ো না এবং হকের অনুসারী হওয়ার কারণে যত দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে হয় হোক, সেজন্য দুঃখ করো না। কেননা, এর বিনিময়ে ভবিষ্যতে তোমাদের জন্য এমন কিছু আছে, যার কাছে দুনিয়ার সমস্ত নিয়ামত তুচ্ছ। মৃত্যুর সময় ফেরেশতারা যখন এই কথাগুলো বলে তখন তার অর্থ দাঁড়ায়, তুমি সামনে যে গন্তব্যস্থলের দিকে অগ্রসর হচ্ছ সেখানে তোমার জন্য ভয়ের কোন কারণ নেই। কেননা সেখানে তোমার জন্য জান্নাত অপেক্ষমান। আর দুনিয়াতে তুমি যা কিছু ছেড়ে যাচ্ছ, সেজন্য তোমার দুঃখভারাক্রান্ত হওয়ারও প্রয়োজন নেই। কেননা এখানে আমরা তোমাদের অভিভাবক ও বন্ধু। আলমে বারযাখ ও হাশরের ময়দানে যখন ফেরেশতারা এ কথাগুলো বলবে তখন তার অর্থ হবে, এখানে তোমাদের জন্য কেবল শান্তি আর শান্তি। পার্থিব জীবনে তোমরা যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছ, সেজন্য দুঃখ করো না এবং আখিরাতে যা কিছু সামনে আসবে, সেজন্য ভয় করবে না। কারণ আমরা তোমাদেরকে সেই জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছি, যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

আল্লাহর ইবাদাতের উপর দৃঢ়পদ হওয়া এবং এ পথ গ্রহণ করার পর পুনরায় তা থেকে বিচ্যুত না হওয়াটা এমন এক মৌলিক নেকী, যা মানুষকে ফেরেশতাদের বন্ধু এবং জান্নাতের উপযুক্ত বানিয়ে দেয়। এর পরবর্তী স্তর হচ্ছে, তোমরা নিজে নেক কাজ করো, অন্যদেরকে আল্লাহর দিকে আহবান করো এবং ঘোষণা করো যে, ‘আমি মুসলিম’। মানুষের জন্য এর চেয়ে উচ্চ স্তর আর নেই।

আজ হোক বা কাল হোক বিরোধীরা ধ্বংস হবেই :

فَاِمَّا نَذْهَبَنَّ بِكَ فَاِنَّا مِنْهُمْ مُّنْتَقِمُوْنَ اَوْ نُرِيَنَّكَ الَّذِيْ وَعَدْنَاهُمْ فَاِنَّا عَلَيْهِمْ مُّقْتَدِرُوْنَ

আমি যদিও তোমার মৃত্যু ঘটাই, তবুও আমি তাদের প্রতিশোধ নেব! অথবা আমি তাদেরকে যে আযাবের ওয়াদা করেছি যদি আমি তোমাকে তা প্রত্যক্ষ করাই, তবে (জেনে রেখো) তাদের উপর আমার পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে। (সূরা যুখরুফ- ৪১, ৪২)

আবু লাহাব ও তার স্ত্রী ধ্বংস হয়েছে :

تَبَّتْ يَدَاۤ اَبِيْ لَهَبٍ وَّتَبَّ مَاۤ اَغْنٰى عَنْهُ مَالُهٗ وَمَا كَسَبَ سَيَصْلٰى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ وَامْرَاَتُهٗ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ فِيْ جِيْدِهَا حَبْلٌ مِّنْ مَّسَدٍ

আবু লাহাবের দু’হাতই ধ্বংস হয়ে যাক এবং ধ্বংস হয়ে যাক সে নিজেও। তার ধনসম্পদ ও আয়-উপার্জন তার কোন কাজে আসবে না। অচিরেই সে লেলিহান শিখাবিশিষ্ট আগুনে প্রবেশ করবে। ধ্বংস হয়ে যাক তার স্ত্রীও, যে কাঠের বোঝা বহন করে। (অবস্থা দেখে মনে হবে) তার গলায় যেন খেজুর পাতার পাকানো শক্ত কোন রশি জড়িয়ে আছে। (সূরা লাহাব)

অতীতের লোকেরাও ধ্বংস হয়েছে :

قُتِلَ اَصْحَابُ الْاُخْدُوْدِ اَلنَّارِ ذَاتِ الْوَقُوْدِ اِذْ هُمْ عَلَيْهَا قُعُوْدٌ وَهُمْ عَلٰى مَا يَفْعَلُوْنَ بِالْمُؤْمِنِيْنَ شُهُوْدٌ وَمَا نَقَمُوْا مِنْهُمْ اِلَّاۤ اَنْ يُّؤْمِنُوْا بِاللهِ الْعَزِيْزِ الْحَمِيْدِ

ধ্বংস হয়েছে গুহাবাসী, যারা ছিল ইন্ধনপূর্ণ অগ্নিওয়ালা। যখন তারা তার পাশে বসেছিল এবং তারা মুমিনদের সাথে যা করেছিল তা প্রত্যক্ষ করছিল। তারা তাদেরকে নির্যাতন করেছিল শুধুমাত্র এ কারণে যে, তারা এক পরাক্রমশালী ও প্রশংসিত আল্লাহর উপর ঈমান এনেছিল। (সূরা বুরুজ, ৪-৮)

বিরোধীদেরকে একটু সুযোগ দেয়া হচ্ছে :

اِنَّهُمْ يَكِيْدُوْنَ كَيْدًا وَاَكِيْدُ كَيْدًا فَمَهِّلِ الْكَافِرِيْنَ اَمْهِلْهُمْ رُوَيْدًا

নিশ্চয় তারা (আমার বিরুদ্ধে) ভীষণ চক্রান্ত করছে, আর আমিও একটি কৌশল অবলম্বন করেছি। অতএব কাফিরদেরকে অবকাশ দাও; আর তাদেরকে অবকাশ দাও কিছুকালের জন্য। (সূরা তারেক, ১৫-১৭)

ব্যাখ্যা : যারা প্রকৃত সত্য সম্পর্কে অবহিত নয় তারা মিথ্যার মুকাবিলায় সত্যের দুর্বলতা এবং বাতিল মতাদর্শের পার্থিব সাফল্য দেখে এ ধারণা করতে থাকে, হয়তো মহান আল্লাহ বাতিলপন্থীদেরকে এ দুনিয়ায় কর্তৃত্বশীল দেখতে চান। ফলে তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছে যে, সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম আসলে অর্থহীন। এ অবস্থায় কুফরী ও ফাসিকী শাসনের আওতায় দ্বীনের পথে চলার যে সামান্যতম অনুমতিটুকু পাওয়া যাচ্ছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত। কিন্তু আসল ব্যাপার হচ্ছে, আল্লাহ বাতিলপন্থীদেরকে একটু সুযোগ দিতে চান যাতে তারা শাস্তির পুরোপোরি উপযুক্ত হয়ে যায়।

যারা মুসলিমদেরকে নির্যাতন করেছে তারা রেহাই পাবে না :

اِنَّ الَّذِيْنَ فَتَنُوا الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَتُوْبُوْا فَلَهُمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَلَهُمْ عَذَابُ الْحَرِيْقِ

যারা ঈমানদার নর-নারীর উপর যুলুম-নির্যাতন করেছে এবং পরে তাওবা করেনি, তাদের জন্য জাহান্নামের আযাব ও দহন যন্ত্রণা প্রস্তুত রয়েছে। (সূরা বুরুজ- ১০)

দুঃখের পরে সুখ আসবেই :

فَاِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا اِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا

আর কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। (সূরা ইনশিরাহ- ৫, ৬)

আল্লাহ দ্বীনকে বিজয় দান করবেনই :

كَتَبَ اللهُ لَاَغْلِبَنَّ اَنَاْ وَرُسُلِيْۤ اِنَّ اللهَ قَوِيٌّ عَزِيْزٌ

আল্লাহ লিখে রেখেছেন যে, আমি এবং আমার রাসূলগণ অবশ্যই বিজয় লাভ করব। নিশ্চয় আল্লাহ মহাশক্তিধর ও মহাপ্রতাপশালী। (সূরা মুজাদালা- ২১)

يُرِيْدُوْنَ لِيُطْفِئُوْا نُوْرَ اللهِ بِاَفْوَاهِهِمْ وَاللهُ مُتِمُّ نُوْرِهٖ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ

তারা আল্লাহর নূর (শরীয়াত) তাদের মুখ দিয়ে নিভিয়ে দিতে চায়; কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূর পূর্ণরূপে প্রকাশকারী, যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে। (সূরা সাফ- ৮)

আল্লাহ সত্য দিয়ে মিথ্যাকে ধ্বংস করেন :

بَلْ نَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَى الْبَاطِلِ فَيَدْمَغُهٗ فَاِذَا هُوَ زَاهِقٌ

কিন্তু আমি সত্য দ্বারা মিথ্যার উপর আঘাত হানি; ফলে তা মিথ্যাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় এবং সাথে সাথেই তা নিশ্চি ‎‎ হ্ন হয়ে যায়। (সূরা আম্বিয়া- ১৮)

সত্যের বিজয় হবেই :

وَقُلْ جَآءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ اِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوْقًا

বলো, সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে; অবশ্যই মিথ্যা বিলুপ্ত হবেই। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৮১)

قُلْ جَآءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيْدُ

বলো, সত্য এসে পড়েছে এবং অসত্য নতুন কিছু সৃষ্টিও করতে পারে না, আর পুনরাবৃত্তিও ঘটাতে পারে না। (সূরা সাবা- ৪৯)

ব্যাখ্যা : এটা আল্লাহর নিয়ম যে, তিনি বাতিলকে কখনো স্থায়িত্ব দান করেন না। একসময় তিনি সত্যকে সত্য হিসেবে প্রমাণ করে দেখিয়ে দেন। বর্তমানে যে কুফরী ও শিরকের অজ্ঞতার ছায়া চারদিকে ছেয়ে আছে এটা কোন স্থায়ী জিনিস নয়। তবে আল্লাহ কখনো আকস্মিক পরিবর্তন আনেন না। বস্তুজগতে যেমনিভাবে সূর্য ধীরে ধীরে উদিত হয় এবং অন্ধকারের ছায়া ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়, ঠিক তেমনিভাবে চিন্তা ও নৈতিকতার জগতেও হেদায়াতের সূর্যের উত্থান ও ভ্রষ্টতার ছায়ার পতন ধীরে ধীরেই হবে। জাহেলিয়াতের রাত শেষ হয়ে গেছে; এখন জ্ঞান, চেতনা ও হেদায়াতের উজ্জ্বল দিবালোকের উদয় ঘটেছে। সুতরাং দেরিতে হলেও ঘুমন্তরা জেগে উঠবেই। তবে যাদের ঘুম হলো মৃত্যুর ঘুম, তারা আর জাগবে না। তাদের না জাগাটাই হবে তাদের নিজেদের জন্য জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া। দ্বীনের কাজ তাদের কারণে বন্ধ হয়ে যাবে না। শুরুতে সত্যের শত্রুরা যতই সফলতার অধিকারী হোক না কেন শেষে একমাত্র তারাই সফলকাম হয়, যারা আল্লাহর ভয়ে কুচিন্তা ও কুকর্মের ভুলপথ ত্যাগ করে হকের উপর কাজ করে। কাজেই এখন যেসব বিপদাপদ ও দুঃখ-কষ্টের মুখোমুখি হতে হচ্ছে এবং হকের দাওয়াতকে দাবিয়ে দেয়ার জন্য বিরোধীদের আপাত দৃষ্টিতে যে সাফল্য দেখা যাচ্ছে, তাতে মন খারাপ করার প্রয়োজন নেই। বরং ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে কাজ করে যেতে হবে। যখন আল্লাহ এ দ্বীনের জন্য জীবন উৎসর্গকারীদের সাফল্য ও বিজয় দান করবেন তখন যারা সত্য দ্বীনের জন্য নিজেদের গায়ে বিন্দুমাত্র আঘাত নিতেও প্রস্তুত নয়; তারা বিজয়ের ফল ভোগ করে নেয়ার জন্য এসে বলবে, আমরা তো তোমাদের সাথেই ছিলাম; তোমাদের সাফল্যের জন্য দু‘আ করেছিলাম। কিন্তু এসব সুযোগ সন্ধানী লোক যখনই দেখে যে, ইসলামের পথ কঠিন হয়ে গেছে তখনই তারা নিরাপত্তা লাভের অজুহাতে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন