hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫২৪
অধ্যায়- ৭ : মূসা (আঃ) এর নবুওয়াত লাভ
মূসা (আঃ) তূর পাহাড়ের দিকে আগুন দেখতে পেলেন :

اِذْ قَالَ مُوْسٰى لِاَهْلِهٖۤ اِنِّۤيْ اٰنَسْتُ نَارًاؕ سَاٰتِيْكُمْ مِّنْهَا بِخَبَرٍ اَوْ اٰتِيْكُمْ بِشِهَابٍ قَبَسٍ لَّعَلَّكُمْ تَصْطَلُوْنَ

স্মরণ করো, যখন মূসা তার পরিবারবর্গকে বলেছিল, আমি আগুন দেখতে পাচ্ছি। শীঘ্রই আমি তা হতে তোমাদের জন্য কোন খবর নিয়ে আসব অথবা তোমাদের জন্য জ্বলন্ত আঙ্গার নিয়ে আসব, যাতে তোমরা আগুন পোহাতে পার। (সূরা নামল- ৭)

পরিবারকে থামিয়ে আগুন আনতে গেলেন :

اِذْ رَاٰى نَارًا فَقَالَ لِاَهْلِهِ امْكُثُوْاۤ اِنِّۤيْ اٰنَسْتُ نَارًا لَّعَلِّيْۤ اٰتِيْكُمْ مِّنْهَا بِقَبَسٍ اَوْ اَجِدُ عَلَى النَّارِ هُدًى

যখন সে আগুন দেখতে পেল তখন তার পরিবারবর্গকে বলল, তোমরা এখানে থাকো; আমি আগুন দেখতে পাচ্ছি। সম্ভবত আমি তোমাদের জন্য তা হতে কিছু জ্বলন্ত আঙ্গার আনতে পারব অথবা আমি আগুনের নিকট কোন পথনির্দেশ পাব। (সূরা ত্বা–হা– ১০)

সেখানে এক গাছ থেকে আওয়াজ আসল :

فَلَمَّاۤ اَتَاهَا نُوْدِيَ مِنْ شَاطِئِ الْوَادِ الْاَيْمَنِ فِى الْبُقْعَةِ الْمُبَارَكَةِ مِنَ الشَّجَرَةِ اَنْ يَّا مُوْسٰۤى اِنِّۤيْ اَنَا اللهُ رَبُّ الْعَالَمِيْنَ

যখন মূসা আগুনের নিকট পৌঁছল তখন উপত্যকার দক্ষিণ পার্শ্বে পবিত্র ভূমিতে অবস্থিত এক বৃক্ষের দিক হতে তাকে আহবান করে বলা হলো, হে মূসা! আমিই আল্লাহ, জগতসমূহের প্রতিপালক। (সূরা ক্বাসাস– ৩০)

ব্যাখ্যা : কোন বিরাট জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করে এবং আকাশ ও পৃথিবীতে কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার মাধ্যমে কাউকে নবুওয়াত দান করা হয় না। মূসা (আঃ) সিনাই পাহাড়ের নিঝুম উপত্যকার পাশ দিয়ে চলার সময় নবুওয়াত লাভ করেন। অথচ তিনি কীভাবে তা লাভ করেন এবং সেখানে কী ঘটেছিল তা কেউ জানতে পারল না। মূসা (আঃ) নিজেও এক সেকেন্ড আগে জানতেন না যে, তিনি কী জিনিস পেতে যাচ্ছেন। যাচ্ছিলেন আগুন আনতে, কিন্তু পেয়ে গেলেন নবুওয়াত।

আল্লাহ মূসা (আঃ) কে ডাক দিয়ে জুতা খোলার নির্দেশ দিলেন :

فَلَمَّاۤ اَتَاهَا نُوْدِيَ يَا مُوْسٰى اِنِّۤيْ اَنَاْ رَبُّكَ فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَۚ اِنَّكَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى

অতঃপর যখন সে আগুনের নিকট আসল তখন আহবান করে বলা হলো, হে মূসা! আমিই তোমার প্রতিপালক। অতএব তোমার জুতা খুলে ফেলো, কারণ তুমি পবিত্র ‘তুয়া’ উপত্যকায় রয়েছ। (সূরা ত্বা-হা– ১১, ১২)

ওহীর বাণী মনোযোগ দিয়ে শুনতে বললেন :

وَاَنَا اخْتَرْتُكَ فَاسْتَمِعْ لِمَا يُوْحٰى

আমি তোমাকে (রাসূল হিসেবে) মনোনীত করেছি। অতএব যা ওহী প্রেরণ করা হচ্ছে তুমি তা মনোযোগের সাথে শ্রবণ করো। (সূরা ত্বা–হা– ১৩)

আল্লাহ নিজের পরিচয় উপস্থাপন করলেন :

فَلَمَّا جَآءَهَا نُوْدِيَ اَنْ ۢ بُوْرِكَ مَنْ فِى النَّارِ وَمَنْ حَوْلَهَاؕ وَسُبْحَانَ اللهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ يَا مُوْسٰۤى اِنَّهٗۤ اَنَا اللهُ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ

অতঃপর সে যখন তার নিকট আসল তখন ঘোষণা করা হলো যে, ধন্য যারা আছে এ আলোর মধ্যে এবং যারা আছে এর আশপাশে, জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ পবিত্র ও মহিমান্বিত। হে মূসা! আমিই আল্লাহ, (আমি) মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা নামল- ৮, ৯)

শুধুমাত্র তাঁর ইবাদাত করা এবং সালাত আদায় করার নির্দেশ দিলেন :

اِنَّنِيْۤ اَنَا اللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَاْ فَاعْبُدْنِيْ وَاَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِيْ

আমিই আল্লাহ, আমি ব্যতীত সত্য কোন ইলাহ্ নেই। অতএব আমার ইবাদাত করো এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম করো। (সূরা ত্বা–হা– ১৪)

আখিরাতের সঠিক ধারণা দিলেন :

اِنَّ السَّاعَةَ اٰتِيَةٌ اَكَادُ اُخْفِيْهَا لِتُجْزٰى كُلُّ نَفْسٍ ۢبِمَا تَسْعٰى

কিয়ামত অবশ্যই আসবে, আমি এটা গোপন রাখতে চাই যেন প্রত্যেকেই নিজ নিজ কর্মানুযায়ী ফল লাভ করতে পারে। (সূরা ত্বা–হা– ১৫)

পরকালকে না ভুলার জন্য সতর্ক করলেন :

فَلَا يَصُدَّنَّكَ عَنْهَا مَنْ لَّا يُؤْمِنُ بِهَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ فَتَرْدٰى

সুতরাং যে ব্যক্তি কিয়ামত দিবসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে না ও নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, সে যেন তোমাকে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করতে নিবৃত্ত না করে, অন্যথায় তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে। (সূরা ত্বা–হা– ১৬)

মূসা (আঃ) এর লাঠি সম্পর্কে আল্লাহ প্রশ্ন করলেন :

وَمَا تِلْكَ بِيَمِيْنِكَ يَا مُوْسٰى

হে মূসা! তোমার ডান হাতে ওটা কী? (সূরা ত্বা–হা– ১৭)

তিনি দীর্ঘ উত্তর দিলেন :

قَالَ هِيَ عَصَايَۚ اَتَوَكَّاُ عَلَيْهَا وَاَهُشُّ بِهَا عَلٰى غَنَمِيْ وَلِيَ فِيْهَا مَاٰرِبُ اُخْرٰى

সে বলল, এটা আমার লাঠি। আমি এতে ভর দেই এবং তা দ্বারা আঘাত করে আমি আমার মেষপালের জন্য গাছের পাতা ফেলে থাকি। তাছাড়া এটা আমার অন্যান্য কাজেও লাগে। (সূরা ত্বা–হা– ১৮)

আল্লাহ মূসা (আঃ) কে তাওরাত কিতাব দিয়েছিলেন :

وَلَقَدْ اٰتَيْنَا مُوْسَى الْكِتَابَ

আমি তো মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম। (সূরা ফুরক্বানু ৩৫)

এ কিতাব ছিল হেদায়াত ও নূর :

قُلْ مَنْ اَنْزَلَ الْكِتَابَ الَّذِيْ جَآءَ بِهٖ مُوْسٰى نُوْرًا وَّهُدًى لِّلنَّاسِ

বলো, কে নাযিল করেছেন মূসার আনীত কিতাব, যা ছিল মানুষের জন্য আলো ও পথনির্দেশ? (সূরা আন‘আম– ৯১)

وَاٰتَيْنَا مُوْسَى الْكِتَابَ وَجَعَلْنَاهُ هُدًى لِّبَنِيْۤ اِسْرَآئِيْلَ اَلَّا تَتَّخِذُوْا مِنْ دُوْنِيْ وَكِيْلًا

আমি মূসাকে কিতাব প্রদান করেছিলাম ও তাকে বনী ইসরাঈলের জন্য পথনির্দেশক হিসেবে নির্বাচন করেছিলাম। আমি আদেশ করেছিলাম, তোমরা আমাকে ব্যতীত অপর কাউকে কর্মবিধায়ক হিসেবে গ্রহণ করো না। (সূরা বনী ইসরাঈল– ২)

এটা ছিল তাদের জন্য রহমতস্বরূপ :

وَمِنْ قَبْلِهٖ كِتَابُ مُوْسٰۤى اِمَامًا وَّرَحْمَةً

ইতোপূর্বে মূসার কিতাব ছিল পথপ্রদর্শক ও অনুগ্রহস্বরূপ। (সূরা হুদু ১৭)

এটা ছিল মুত্তাক্বীদের জন্য উপদেশস্বরূপ :

وَلَقَدْ اٰتَيْنَا مُوْسٰى وَهَارُوْنَ الْفُرْقَانَ وَضِيَآءً وَّذِكْرًا لِّلْمُتَّقِيْنَ

আমি তো মূসা ও হারূনকে ফুরক্বান দান করেছিলাম, যা ছিল মুত্তাক্বীদের জন্য জ্যোতি ও উপদেশস্বরূপ।

(সূরা আম্বিয়া– ৪৮)

মূসা (আঃ) এর কিতাবের কিছু বিষয় কুরআনে রয়েছে :

اَمْ لَمْ يُنَبَّأْ بِمَا فِيْ صُحُفِ مُوْسٰى وَاِبْرَاهِيْمَ الَّذِيْ وَفّٰى اَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ اُخْرٰى وَاَنْ لَّيْسَ لِلْاِنْسَانِ اِلَّا مَا سَعٰى وَاَنَّ سَعْيَهٗ سَوْفَ يُرٰى ثُمَّ يُجْزَاهُ الْجَزَآءَ الْاَوْفٰى وَاَنَّ اِلٰى رَبِّكَ الْمُنْتَهٰى وَاَنَّهٗ هُوَ اَضْحَكَ وَاَبْكٰى وَاَنَّهٗ هُوَ اَمَاتَ وَاَحْيَا وَاَنَّهٗ خَلَقَ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْاُنْثٰى مِنْ نُّطْفَةٍ اِذَا تُمْنٰى وَاَنَّ عَلَيْهِ النَّشْاَةَ الْاُخْرٰى

মূসা এবং ইবরাহীমের কিতাবে যা আছে তাকে কি তা অবগত করা হয়নি? যিনি (স্বীয়) অঙ্গীকার পূর্ণ করেছিলেন? তা এই যে, অবশ্যই কোন বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না, মানুষ তাই পায় যা সে চেষ্টা করে। অচিরেই তার কর্ম দেখানো হবে এবং তাকে পূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে। নিশ্চয় সবকিছুর সমাপ্তি তোমার প্রতিপালকের নিকট। তিনিই হাসান, তিনিই কাঁদান; তিনিই মৃত্যু দান করেন এবং তিনিই জীবন দান করেন। তিনিই নিক্ষিপ্ত শুক্রবিন্দু হতে জোড়ায় জোড়ায় পুরুষ ও নারী সৃষ্টি করেন। আর পুনরায় জীবিত করার দায়িত্বও তাঁরই। (সূরা নাজম, ৩৬–৪৭)

قَدْ اَفْلَحَ مَنْ تَزَكّٰى وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهٖ فَصَلّٰى بَلْ تُؤْثِرُوْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةُ خَيْرٌ وَّاَبْقٰى اِنَّ هٰذَا لَفِى الصُّحُفِ الْاُوْلٰى صُحُفِ اِبْرَاهِيْمَ وَمُوْسٰى

নিশ্চয় যে পবিত্রতা অবলম্বন করে, সে সাফল্য লাভ করে। অতঃপর সে তার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করে এবং সালাত কায়েম করে। কিন্তু তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাক। অথচ আখিরাতের জীবনই উত্তম ও চিরস্থায়ী। নিশ্চয় এটা পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে বর্ণিত হয়েছে, (বিশেষত) ইবরাহীম ও মূসার কিতাবসমূহে। (সূরা আলা, ১৪–১৯)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন