hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৭০
অধ্যায়- ১ : আল্লাহর কোন শরীক নেই
আল্লাহ একক সত্তা :

وَاِلٰهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌۚ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ

তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহ। তিনি ব্যতীত অন্য কোন সত্য উপাস্য নেই। (সূরা বাক্বারা- ১৬৩)

তাঁর কোন শরীক নেই :

لَا شَرِيْكَ لَهٗ وَبِذٰلِكَ اُمِرْتُ وَاَنَاْ اَوَّلُ الْمُسْلِمِيْنَ

তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি এরই জন্য আদিষ্ট হয়েছি; আর আমিই মুসলিমদের মধ্যে প্রথম। (সূরা আন‘আম- ১৬৩)

তিনি শরীক থেকে অনেক ঊর্ধ্বে :

خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضَ بِالْحَقِّ تَعَالٰى عَمَّا يُشْرِكُوْنَ

তিনি যথাযথভাবে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, তারা যা শরীক করে তিনি তা হতে অনেক ঊর্ধ্বে। (সূরা নাহল- ৩)

عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَتَعَالٰى عَمَّا يُشْرِكُوْنَ

তিনি প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য জ্ঞানের অধিকারী, তারা যাকে শরীক করে তিনি তার থেকে অনেক ঊর্ধ্বে।

(সূরা মু’মিনূন- ৯২)

তাঁর শরীক থাকলে সেও আরশে যেতে চাইত :

قُلْ لَّوْ كَانَ مَعَهٗۤ اٰلِهَةٌ كَمَا يَقُوْلُوْنَ اِذًا لَّابْتَغَوْا اِلٰى ذِى الْعَرْشِ سَبِيْلًا

বলো, তাদের কথা অনুযায়ী যদি তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহ্ থাকত, তবে তারা আরশের অধিপতির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উপায় অমেবষণ করত। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৪২)

একাধিক ইলাহ্ থাকলে বিশ্বব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যেত :

لَوْ كَانَ فِيْهِمَاۤ اٰلِهَةٌ اِلَّا اللهُ لَفَسَدَتَاؕ فَسُبْحَانَ اللهِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُوْنَ

যদি আকাশ ও পৃথিবীতে আল্লাহ ব্যতীত বহু ইলাহ্ থাকত, তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব তারা যা দ্বারা গুণান্বিত করে তা হতে আরশের অধিপতি আল্লাহ অনেক পবিত্র ও মহান। (সূরা আম্বিয়া- ২২)

ব্যাখ্যা : একটি ছোট্ট গৃহে যদি দু’জন গৃহকর্তা হয়, তাহলে সে গৃহের পরিচালনা দু’দিনও ভালোভাবে চলবে না। বিশ্বজাহানের সমগ্র ব্যবস্থা পৃথিবীর ভূগর্ভ থেকে দূরবর্তী গ্রহ নক্ষত্র পর্যন্ত সবকিছুই একটি বিশ্বজনীন নিয়মের অধীনে পরিচালিত। এখন এটা কীভাবে ধারণা করা যেতে পারে যে, বহু স্বতন্ত্র ও স্বাধীন শাসকের রাজ্যে একই আইন ও একই নিয়ম চলতে পারে? এখানে যে নিয়ম ও শৃঙ্খলা বজায় আছে এটাই এ কথার সাক্ষ্য দেয় যে, ক্ষমতা একই সার্বভৌম কর্তৃত্বে কেন্দ্রীভূত রয়েছে এবং এ সার্বভৌম কর্তৃত্ব বিভিন্ন শাসকদের মধ্যে বিভক্ত নয়।

বহু ইলাহ্ থাকলে একজন অপরজন থেকে পৃথক হয়ে যেত :

مَا اتَّخَذَ اللهُ مِنْ وَّلَدٍ وَّمَا كَانَ مَعَهٗ مِنْ اِلٰهٍ اِذًا لَّذَهَبَ كُلُّ اِلٰهٍ ۢبِمَا خَلَقَ وَلَعَلَا بَعْضُهُمْ عَلٰى بَعْضٍ سُبْحَانَ اللهِ عَمَّا يَصِفُوْنَ

আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর সাথে অপর কোন ইলাহও নেই। যদি থাকত তবে প্রত্যেক ইলাহ্ স্বীয় সৃষ্টি নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অপরের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত। (সুতরাং) তারা যা দ্বারা তাঁকে গুণান্বিত করে আল্লাহ তা হতে পবিত্র! (সূরা মু’মিনূন- ৯১)

ব্যাখ্যা : বিশ্বের নিয়ম-শৃঙ্খলা ও তার বিভিন্ন অংশের পারস্পরিক একাত্মতা স্পষ্টভাবেই প্রমাণ করছে যে, এর ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর হাতে কেন্দ্রীভূত। যদি কর্তৃত্ব বিভক্ত হতো তাহলে কর্তৃত্বশীলদের মধ্যে অনিবার্যভাবে মতবিরোধ সৃষ্টি হতো এবং এক সময় তা তাদের উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত করত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন