hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৬৮
অধ্যায়- ১১ : শিরকের ভয়াবহ পরিণতি
মুশরিকদের প্রতি হুশিয়ারী :

فَلَا تَكُ فِيْ مِرْيَةٍ مِّمَّا يَعْبُدُ هٰۤؤُلَآءِؕ مَا يَعْبُدُوْنَ اِلَّا كَمَا يَعْبُدُ اٰبَآؤُهُمْ مِّنْ قَبْلُؕ وَاِنَّا لَمُوَفُّوْهُمْ نَصِيْبَهُمْ غَيْرَ مَنْقُوْصٍ

সুতরাং তারা যাদের ইবাদাত করে তাদের সম্বন্ধে সংশয়ে থেকো না, ইতোপূর্বে তাদের পিতৃপুরুষরা যাদের ইবাদাত করত তারা তো কেবল তাদেরই ইবাদাত করে। অবশ্যই আমি তাদেরকে তাদের প্রাপ্য পরিপূর্ণভাবে আদায় করব এবং কোনকিছুই হ্রাস করব না। (সূরা হুদ- ১০৯)

আল্লাহ তাদের কাজকর্ম দেখছেন :

وَالَّذِيْنَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖۤ اَوْلِيَآءَ اللهُ حَفِيْظٌ عَلَيْهِمْ وَمَاۤ اَنْتَ عَلَيْهِمْ بِوَكِيْلٍ

যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্য কাউকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি কঠোর দৃষ্টি রাখেন। আর তুমি তাদের তত্ত্বাবধায়ক নও। (সূরা শূরা- ৬)

তারা তাদের পরিণাম সম্পর্কে জানতে পারবে :

اَلَّذِيْنَ يَجْعَلُوْنَ مَعَ اللهِ اِلٰهًا اٰخَرَۚ فَسَوْفَ يَعْلَمُوْنَ

যারা আল্লাহর সাথে অপর কোন ইলাহ্ নির্ধারণ করেছে, অতি শীঘ্রই তারা (এর পরিণাম সম্পর্কে) জানতে পারবে। (সূরা হিজর- ৯৬)

মৃত্যুর সময় শরীকরা কোন কাজে আসবে না :

حَتّٰۤى اِذَا جَآءَتْهُمْ رُسُلُنَا يَتَوَفَّوْنَهُمْ قَالُوْاۤ اَيْنَ مَا كُنْتُمْ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِؕ قَالُوْا ضَلُّوْا عَنَّا وَشَهِدُوْا عَلٰۤى اَنْفُسِهِمْ اَنَّهُمْ كَانُوْا كَافِرِيْنَ

যখন আমার ফেরেশতাগণ জান কবজের জন্য তাদের নিকট আসবে ও জিজ্ঞেস করবে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ডাকতে তারা কোথায়? তারা বলবে, তারা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। সেদিন তারা নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে যে, নিশ্চয় তারা কাফির ছিল। (সূরা আ‘রাফ- ৩৭)

পরকালে মুশরিকদের কাছে আল্লাহ প্রশ্ন করবেন :

وَيَوْمَ نَحْشُرُهُمْ جَمِيْعًا ثُمَّ نَقُوْلُ لِلَّذِيْنَ اَشْرَكُوْاۤ اَيْنَ شُرَكَآؤُكُمُ الَّذِيْنَ كُنْتُمْ تَزْعُمُوْنَ

স্মরণ করো, যেদিন তাদের সকলকে একত্র করব। অতঃপর মুশরিকদেরকে বলব, তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে তারা কোথায়? (সূরা আন‘আম- ২২)

ثُمَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُخْزِيْهِمْ وَيَقُوْلُ اَيْنَ شُرَكَآئِىَ الَّذِيْنَ كُنْتُمْ تُشَآقُّوْنَ فِيْهِمْؕ قَالَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ اِنَّ الْخِزْيَ الْيَوْمَ وَالسُّوْٓءَ عَلَى الْكَافِرِيْنَ

অতঃপর কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন এবং বলবেন, আমার সেসব শরীকরা কোথায়, যাদের সম্বন্ধে তোমরা বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হতে? তখন যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছিল তারা বলবে, আজ কাফিরদের জন্য শুধু লাঞ্ছনা ও অমঙ্গল। (সূরা নাহল- ২৭)

মুশরিকরা মিথ্যা জবাব দেবে :

ثُمَّ لَمْ تَكُنْ فِتْنَتُهُمْ اِلَّاۤ اَنْ قَالُوْا وَاللهِ رَبِّنَا مَا كُنَّا مُشْرِكِيْنَ

অতঃপর তাদের এটা ছাড়া বলার মতো অন্য কোন অজুহাত থাকবে না- হে আমাদের প্রতিপালক! আল্লাহর শপথ, আমরা তো মুশরিক ছিলাম না। (সূরা আন‘আম- ২৩)

মিথ্যা বললেও আযাব থেকে বাঁচতে পারবে না :

ثُمَّ قِيْلَ لَهُمْ اَيْنَ مَا كُنْتُمْ تُشْرِكُوْنَۚ مِنْ دُوْنِ اللهِ قَالُوْا ضَلُّوْا عَنَّا بَلْ لَّمْ نَكُنْ نَّدْعُوْا مِنْ قَبْلُ شَيْئًاؕ كَذٰلِكَ يُضِلُّ اللهُ الْكَافِرِيْنَ ذٰلِكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَفْرَحُوْنَ فِى الْاَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَبِمَا كُنْتُمْ تَمْرَحُوْنَ اُدْخُلُوْاۤ اَبْوَابَ جَهَنَّمَ خَالِدِيْنَ فِيْهَاۚ فَبِئْسَ مَثْوَى الْمُتَكَبِّرِيْنَ

অতঃপর তাদেরকে বলা হবে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে (তাঁর) শরীক স্থাপন করতে তারা কোথায়? তারা বলবে, তারা তো আমাদের নিকট হতে অদৃশ্য হয়ে গেছে। বস্তুত ইতোপূর্বে আমরা তো কাউকে ডাকিনি। এভাবে আল্লাহ কাফিরদেরকে বিভ্রান্ত করবেন। এটা এ কারণে যে, তোমরা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে উল্লাস করতে এবং তোমরা অহংকার করে বেড়াতে। সুতরাং তোমরা স্থায়ীভাবে অবস্থানের জন্য জাহান্নামের দ্বারসমূহে প্রবেশ করো; অহংকারীদের আবাসস্থল কতই না নিকৃষ্ট! (সূরা মু’মিন, ৭৩-৭৬)

আল্লাহ শিরকের উপর প্রমাণ পেশ করতে বলবেন :

وَنَزَعْنَا مِنْ كُلِّ اُمَّةٍ شَهِيْدًا فَقُلْنَا هَاتُوْا بُرْهَانَكُمْ فَعَلِمُوْاۤ اَنَّ الْحَقَّ لِلّٰهِ وَضَلَّ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَفْتَرُوْنَ

প্রত্যেক সম্প্রদায় হতে আমি একজন সাক্ষী বের করে আনব এবং বলব, তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত করো। তখন তারা জানতে পারবে, সত্য (ইলাহ হওয়ার অধিকার) কেবল আল্লাহরই এবং তারা যা উদ্ভাবন করত তা তাদের নিকট হতে হারিয়ে গেছে। (সূরা ক্বাসাস- ৭৫)

হাশরের দিন শরীকরা উধাও হয়ে যাবে :

وَلَقَدْ جِئْتُمُوْنَا فُرَادٰى كَمَا خَلَقْنَاكُمْ اَوَّلَ مَرَّةٍ وَّتَرَكْتُمْ مَّا خَوَّلْنَاكُمْ وَرَآءَ ظُهُوْرِكُمْۚ وَمَا نَرٰى مَعَكُمْ شُفَعَآءَكُمُ الَّذِيْنَ زَعَمْتُمْ اَنَّهُمْ فِيْكُمْ شُرَكَآءُ

আজ তোমরা তো আমার নিকট নিঃসঙ্গ অবস্থায় এসেছ, যেমনিভাবে আমি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম। তোমাদেরকে যা দিয়েছিলাম তা তোমরা পেছনে ফেলে এসেছ। আজ তোমাদের সেই সুপারিশকারীদেরকেও তো তোমাদের সাথে দেখছি না। (সূরা আন‘আম- ৯৪)

وَضَلَّ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَفْتَرُوْنَ

তাদের উদ্ভাবিত মিথ্যা তাদের নিকট হতে হারিয়ে যাবে। (সূরা ইউনুস- ৩০)

وَضَلَّ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَدْعُوْنَ مِنْ قَبْلُ وَظَنُّوْا مَا لَهُمْ مِّنْ مَّحِيْصٍ

পূর্বে তারা যাদেরকে আহবান করত তারা অদৃশ্য হয়ে যাবে এবং অংশীবাদীরা উপলব্ধি করবে যে, তাদের মুক্তির কোন উপায় নেই। (সূরা হা-মীম সাজদা- ৪৮)

মুশরিক ও শরীকদের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হবে :

وَاتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللهِ اٰلِهَةً لِّيَكُوْنُوْا لَهُمْ عِزًّا كَلَّاؕ سَيَكْفُرُوْنَ بِعِبَادَتِهِمْ وَيَكُوْنُوْنَ عَلَيْهِمْ ضِدًّا

তারা আল্লাহ ব্যতীত অন্য ইলাহ্ গ্রহণ করে এজন্য যে, যাতে তারা তাদের সাহায্যকারী হতে পারে। কখনো নয়; অচিরেই তারা তাদের ইবাদাতকে অস্বীকার করবে এবং তাদের বিরোধী হয়ে যাবে। (সূরা মারইয়াম- ৮১, ৮২)

لَقَدْ تَقَطَّعَ بَيْنَكُمْ وَضَلَّ عَنْكُمْ مَّا كُنْتُمْ تَزْعُمُوْنَ

অবশ্যই (আজ) তোমাদের মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে এবং তোমরা যা ধারণা করেছিলে তাও নিষ্ফল হয়ে গেছে। (সূরা আন‘আম- ৯৪)

শরীকরা মুশরিকদের ইবাদাতকে অস্বীকার করবে :

وَاِذَا حُشِرَ النَّاسُ كَانُوْا لَهُمْ اَعْدَآءً وَّكَانُوْا بِعِبَادَتِهِمْ كَافِرِيْنَ

যখন সব মানুষকে একত্র করা হবে, তখন তারা যাদেরকে ডাকত তারা তাদের শত্রু হয়ে যাবে এবং তাদের ইবাদাতকে অস্বীকার করবে। (সূরা আহকাফ- ৬)

اِنْ تَدْعُوْهُمْ لَا يَسْمَعُوْا دُعَآءَكُمْۚ وَلَوْ سَمِعُوْا مَا اسْتَجَابُوْا لَكُمْؕ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكْفُرُوْنَ بِشِرْكِكُمْؕ وَلَا يُنَبِّئُكَ مِثْلُ خَبِيْرٍ

যদি তোমরা তাদেরকে আহবান কর, তবে তারা তোমাদের আহবান শুনতে পাবে না। আর যদিও শুনতে পায় তবে তারা তোমাদের আহবানে সাড়া দেবে না। কিয়ামতের দিন তারা তোমাদের শিরক সাব্যস্ত করাকে অস্বীকার করবে। তখন সর্বজ্ঞ আল্লাহ ছাড়া কেউই তোমাকে সঠিক সংবাদ দিতে পারবে না। (সূরা ফাতির- ১৪)

ব্যাখ্যা : অর্থাৎ তারা পরিষ্কার বলে দেবে, আমরা কখনো এদেরকে বলিনি যে, আমরা আল্লাহর শরীক; সুতরাং তোমরা আমাদের ইবাদাত করো। তাছাড়া আমরা এও জানতাম না যে, তোমরা আমাদেরকে আল্লাহর সাথে শরীক করেছ এবং আমাদের কাছে প্রার্থনা করেছ। আর তোমাদের কোন প্রার্থনাও আমাদের কাছে আসেনি এবং কোন নজরানা বা উৎসর্গও আমাদের হস্তগত হয়নি।

وَيَوْمَ نَحْشُرُهُمْ جَمِيْعًا ثُمَّ نَقُوْلُ لِلَّذِيْنَ اَشْرَكُوْا مَكَانَكُمْ اَنْتُمْ وَشُرَكَآؤُكُمْۚ فَزَيَّلْنَا بَيْنَهُمْ وَقَالَ شُرَكَآؤُهُمْ مَّا كُنْتُمْ اِيَّانَا تَعْبُدُوْنَ فَكَفٰى بِاللهِ شَهِيْدًاۘ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ اِنْ كُنَّا عَنْ عِبَادَتِكُمْ لَغَافِلِيْنَ

সেদিন আমি তাদের সকলকে একত্র করে মুশরিকদেরকে বলব, তোমরা এবং তোমরা যাদেরকে শরীক করেছিলে তারা স্ব স্ব স্থানে অবস্থান করো। অতঃপর আমি তাদেরকে পরস্পর হতে পৃথক করে দেব, তখন তারা যাদেরকে শরীক করেছিল তারা বলবে, তোমরা তো আমাদের ইবাদাত করতে না। আমরা যে তোমাদের সম্পর্কে গাফিল ছিলাম- এর সাক্ষ্য হিসেবে আমাদের ও তোমাদের মধ্যে আল্লাহই যথেষ্ট। (সূরা ইউনুস- ২৮, ২৯)

وَاِذَا رَاَى الَّذِيْنَ اَشْرَكُوْا شُرَكَآءَهُمْ قَالُوْا رَبَّنَا هٰۤؤُلَآءِ شُرَكَآؤُنَا الَّذِيْنَ كُنَّا نَدْعُوْا مِنْ دُوْنِكَۚ فَاَلْقَوْا اِلَيْهِمُ الْقَوْلَ اِنَّكُمْ لَكَاذِبُوْنَ وَاَلْقَوْا اِلَى اللهِ يَوْمَئِذِنِ السَّلَمَ وَضَلَّ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَفْتَرُوْنَ

মুশরিকরা যাদেরকে আল্লাহর শরীক স্থাপন করেছিল, যখন তারা তাদেরকে দেখবে তখন বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! এরাই তো তারা, যাদেরকে আমরা আপনার শরীক স্থাপন করেছিলাম এবং যাদেরকে আমরা আপনার পরিবর্তে আহবান করতাম। তখন তাদেরকে বলা হবে, অবশ্যই তোমরা মিথ্যাবাদী। সেদিন তারা আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করবে এবং তারা যে মিথ্যা উদ্ভাবন করত, তা তাদের জন্য নিষ্ফল হয়ে যাবে। (সূরা নাহল- ৮৬, ৮৭)

শরীকরা কেউই দায়িত্ব নেবে না :

وَيَوْمَ يُنَادِيْهِمْ فَيَقُوْلُ اَيْنَ شُرَكَآئِيَ الَّذِيْنَ كُنْتُمْ تَزْعُمُوْنَ قَالَ الَّذِيْنَ حَقَّ عَلَيْهِمُ الْقَوْلُ رَبَّنَا هٰۤؤُلَآءِ الَّذِيْنَ اَغْوَيْنَا ۚ اَغْوَيْنَاهُمْ كَمَا غَوَيْنَاۚ تَبَرَّأْنَاۤ اِلَيْكَ مَا كَانُوْاۤ اِيَّانَا يَعْبُدُوْنَ وَقِيْلَ ادْعُوْا شُرَكَآءَكُمْ فَدَعَوْهُمْ فَلَمْ يَسْتَجِيْبُوْا لَهُمْ وَرَاَوُا الْعَذَابَۚ لَوْ اَنَّهُمْ كَانُوْا يَهْتَدُوْنَ

সেদিন তিনি তাদেরকে আহবান করে বলবেন, তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে তারা কোথায়? অতঃপর যাদের জন্য শাস্তি অবধারিত হয়েছে তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! এদেরকেই তো আমরা বিভ্রান্ত করেছিলাম। আমরা যেমনিভাবে এদেরকে বিভ্রান্ত করেছিলাম, ঠিক তেমনিভাবে আমরাও বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। আজ আমরা আপনার কাছে দায়িত্ব হতে অব্যাহতি চাইছি। এরা কেবল আমাদেরই গোলামী করত না (বরং এরা নিজেরা নিজেদের প্রবৃত্তিরও গোলামী করত)। অতঃপর তাদেরকে বলা হবে, তোমাদের দেবতাদেরকে আহবান করো। তখন তারা তাদেরকে ডাকবে; কিন্তু তারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। ইতোমধ্যে তারা (মুশরিকরা নিজেদের চোখে) আযাব প্রত্যক্ষ করতে পারবে। (তখন তারা আফসোস করে বলবে) হায়! এরা যদি সৎপথ অনুসরণ করত। (সূরা ক্বাসাস, ৬২-৬৪)

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ وَمَا يَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ فَيَقُوْلُ اَاَنْتُمْ اَضْلَلْتُمْ عِبَادِيْ هٰۤؤُلَآءِ اَمْ هُمْ ضَلُّوا السَّبِيْلَ قَالُوْا سُبْحَانَكَ مَا كَانَ يَنْۢبَغِيْ لَنَاۤ اَنْ نَّتَّخِذَ مِنْ دُوْنِكَ مِنْ اَوْلِيَآءَ وَلٰكِنْ مَّتَّعْتَهُمْ وَاٰبَآءَهُمْ حَتّٰى نَسُوا الذِّكْرَۚ وَكَانُوْا قَوْمًا ۢبُوْرًا

যেদিন তিনি তাদেরকে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইবাদাত করত তাদেরকে একত্র করে জিজ্ঞেস করবেন, তোমরাই কি আমার এ বান্দাদেরকে বিভ্রান্ত করেছিলে, নাকি তারা নিজেরাই পথভ্রষ্ট হয়েছিল? তারা বলবে, আমরা তোমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। আমরা তোমার পরিবর্তে অন্য কাউকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করতে পারি না। তুমিই তো এদেরকে এবং এদের পিতৃপুরুষদেরকে ভোগ-সম্ভার দিয়েছিলে; পরিণামে তারা উপদেশবাণীকে ভুলে গিয়েছিল এবং এক ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিতে পরিণত হয়েছিল।

(সূরা ফুরক্বান, ১৭-১৮)

ফেরেশতারাও কোন দায়িত্ব নেবে না :

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيْعًا ثُمَّ يَقُوْلُ لِلْمَلَآئِكَةِ اَهٰۤؤُلَآءِ اِيَّاكُمْ كَانُوْا يَعْبُدُوْنَ قَالُوْا سُبْحَانَكَ اَنْتَ وَلِيُّنَا مِنْ دُوْنِهِمْۚ بَلْ كَانُوْا يَعْبُدُوْنَ الْجِنَّۚ اَكْثَرُهُمْ بِهِمْ مُّؤْمِنُوْنَ

যেদিন তিনি তাদের সবাইকে একত্র করবেন এবং ফেরেশতাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন, এরা কি তোমাদেরই পূজা করত? ফেরেশতারা বলবে, আপনি পবিত্র ও মহান! তারা ব্যতীত আমাদের অভিভাবক আপনিই। বরং তারা জিনদের পূজা করত; আর তাদের অধিকাংশই ছিল তাদের প্রতি বিশ্বাসী। (সূরা সাবা- ৪০, ৪১)

নবীরাও মুশরিকদের কোন দায়িত্ব নেবেন না :

وَاِذْ قَالَ اللهُ يَا عِيْسَى ابْنَ مَرْيَمَ اَاَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُوْنِيْ وَاُمِّيَ اِلٰهَيْنِ مِنْ دُوْنِ اللهِ قَالَ سُبْحَانَكَ مَا يَكُوْنُ لِۤيْ اَنْ اَقُوْلَ مَا لَيْسَ لِيْ بِحَقٍّ اِنْ كُنْتُ قُلْتُهٗ فَقَدْ عَلِمْتَهٗ تَعْلَمُ مَا فِيْ نَفْسِيْ وَلَاۤ اَعْلَمُ مَا فِيْ نَفْسِكَ اِنَّكَ اَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ

যখন আল্লাহ বলবেন, হে মারইয়ামের পুত্র ঈসা! তুমি কি কখনো লোকদেরকে বলেছিলে যে, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমাকে ও আমার মাকে ইলাহ্ হিসেবে গ্রহণ করো। তখন ঈসা বলবেন, তুমি (এ থেকে অনেক) পবিত্র ও মহান; এমন কোন কথা বলা আমার জন্য শোভা পায় না, যে কথা বলার কোন অধিকার আমার নেই। আর আমি যদি তা বলতাম, তবে অবশ্যই তুমি তা জানতে। কেননা আমার অন্তরে কী আছে সে সম্পর্কে তুমি অবগত, কিন্তু তোমার অন্তরে কী আছে সে সম্পর্কে আমি অবগত নই। (সূরা আন‘আম- ১১৬)

ব্যাখ্যা : কিয়ামতের দিন এমনসব ফেরেশতা, জিন, রূহ, পূর্ববর্তী মনীষী, পূর্বপুরুষ, নবী, অলী ও শহীদ সকলকে একত্র করা হবে, যাদেরকে দুনিয়ায় পূজা করা হয়েছে, আল্লাহর গুণাবলিতে অংশীদার স্থাপন করা হয়েছে, সাথে সাথে তাদেরকে এমনও অধিকার দান করা হয়েছে যেগুলো কেবল আল্লাহর জন্যই নির্দিষ্ট। তখন তারা তাদের পূজারীদেরকে স্পষ্ট বলে দেবে যে, তোমরা যে আমাদের পূজা করতে তা তো আমরা জানতামই না। তোমাদের কোন দু‘আ, আকুতি, আবেদন, মান্নত, শিরনী, প্রশংসা এবং কোন সিজদা, চুম্বন ও দরগাহ প্রদক্ষিণ আমাদের কাছে পৌঁছেনি। আমরা জোর করে তোমাদেরকে গোমরাহ করিনি। তোমাদের দৃষ্টি ও শ্রবণ শক্তি ছিনিয়ে নেইনি এবং তোমাদের চিন্তা ও অনুধাবন শক্তিও কেঁড়ে নেইনি। আবার এমন অবস্থাও সৃষ্টি করিনি যে, তোমরা সঠিক পথের দিকে যেতে চাচ্ছিলে, কিন্তু আমরা হাত ধরে টেনে জোর করে ভুলপথে নিয়ে গিয়েছিলাম। বরং আমরা যেমন স্বেচ্ছায় ভুলপথ অবলম্বন করেছিলাম, তেমনি তোমাদের সামনেও আমরা ভুলপথ পেশ করেছিলাম। আর তোমরাও স্বেচ্ছায় তা গ্রহণ করেছিলে। কাজেই আমরা তোমাদের দায়িত্ব গ্রহণ করছি না। আমরা নিজেরাই নিজেদের কাজের জন্য দায়ী, তোমাদের কোন কর্মকান্ডের জন্য আমরা দায়ী নই; বরং ভুলপথ গ্রহণ করার জন্য তোমরা নিজেরাই দায়ী।

শরীকরা কাউকে সাহায্যও করতে পারবে না :

وَاتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللهِ اٰلِهَةً لَّعَلَّهُمْ يُنْصَرُوْنَ لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ نَصْرَهُمْ وَهُمْ لَهُمْ جُنْدٌ مُّحْضَرُوْنَ

তারা আল্লাহ ব্যতীত অনেক ইলাহ্ গ্রহণ করেছে এ আশায় যে, তাদেরকে অনুগ্রহ করা হবে। অথচ এসব ইলাহ্ তাদের কোনই সাহায্য করতে সক্ষম নয়। এরা তাদের সৈন্য হিসেবে উপস্থাপিত হবে। (সূরা ইয়াসীন- ৭৪, ৭৫)

মুশরিকরা পরকালে স্পষ্ট ক্ষতির শিকার হবে :

اُولٰٓئِكَ الَّذِيْنَ خَسِرُوْاۤ اَنْفُسَهُمْ وَضَلَّ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَفْتَرُوْنَ لَا جَرَمَ اَنَّهُمْ فِى الْاٰخِرَةِ هُمُ الْاَخْسَرُوْنَ

এরাই হচ্ছে সেসব লোক, যারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি সাধন করল এবং তারা যে মিথ্যা কল্পনা রচনা করেছিল, তা তাদের নিকট হতে উধাও হয়ে গেল। নিঃসন্দেহে তারা আখিরাতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা হুদ- ২১, ২২)

মুশরিকদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম :

مِنْ وَّرَآئِهِمْ جَهَنَّمُۚ وَلَا يُغْنِيْ عَنْهُمْ مَّا كَسَبُوْا شَيْئًا وَّلَا مَا اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللهِ اَوْلِيَآءَۚ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيْمٌ

তাদের পশ্চাতে রয়েছে জাহান্নাম; তাদের কৃতকর্ম তাদের কোন কাজে আসবে না, তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেছে তারাও নয়। তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। (সূরা জাসিয়া- ১০)

তারা অপমানিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে :

وَلَا تَجْعَلْ مَعَ اللهِ اِلٰهًا اٰخَرَ فَتُلْقٰى فِيْ جَهَنَّمَ مَلُوْمًا مَّدْحُوْرًا

তুমি আল্লাহর সাথে অপর কোন ইলাহ্ গ্রহণ করো না, নতুবা তুমি নিন্দিত ও বিতাড়িত অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৩৯)

মুশরিকরা পরকালে পরিতাপ করবে :

فَهَلْ لَّنَا مِنْ شُفَعَآءَ فَيَشْفَعُوْا لَنَاۤ اَوْ نُرَدُّ فَنَعْمَلَ غَيْرَ الَّذِيْ كُنَّا نَعْمَلُؕ قَدْ خَسِرُوْاۤ اَنْفُسَهُمْ وَضَلَّ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَفْتَرُوْنَ

আমাদের কি এমন কোন সুপারিশকারী আছে, যে আমাদের জন্য সুপারিশ করবে অথবা আমাদেরকে পুনরায় (দুনিয়াতে) ফিরে যেতে দেয়া হবে, যেন আমরা পূর্বে যা করতাম তা হতে ভিন্ন কিছু করে আসতে পারি? নিশ্চয় তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আর তারা যা মিথ্যা রচনা করত, তাও উধাও হয়ে যাবে। (সূরা আ‘রাফ- ৫৩)

মুশরিকদের মূর্তিগুলোও জাহান্নামে যাবে :

اِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ حَصَبُ جَهَنَّمَؕ اَنْتُمْ لَهَا وَارِدُوْنَ لَوْ كَانَ هٰۤؤُلَآءِ اٰلِهَةً مَّا وَرَدُوْهَاؕ وَكُلٌّ فِيْهَا خَالِدُوْنَ

তোমরা এবং আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইবাদাত কর সেগুলো তো জাহান্নামের ইন্ধন; তোমরা সকলে তাতে প্রবেশ করবে। যদি তারা ইলাহ্ হতো, তবে তারা তাতে (জাহান্নামে) প্রবেশ করত না; অতঃপর তারা সকলেই তাতে স্থায়ী হবে। (সূরা আম্বিয়া- ৯৮, ৯৯)

اُحْشُرُوا الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا وَاَزْوَاجَهُمْ وَمَا كَانُوْا يَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ فَاهْدُوْهُمْ اِلٰى صِرَاطِ الْجَحِيْمِ

(ফেরেশতাদেরকে বলা হবে) তোমরা যালিমদেরকে এবং তাদের সাথিদেরকে একত্র করো; আর তারা আল্লাহকে ছেড়ে যাদের ইবাদাত করত তাদেরকেও একত্র করো। অতঃপর তাদেরকে জাহান্নামের দিকে পরিচালিত করো। (সূরা সাফফাত- ২২, ২৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন