hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৭
অধ্যায়- ১৫ : কুরআনকে অস্বীকার করার পরিণাম
কুরআন অস্বীকারকারীরা অন্ধকারে ডুবে থাকে :

وَالَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِاٰيَاتِنَا صُمٌّ وَّبُكْمٌ فِى الظُّلُمَاتِؕ مَنْ يَّشَاِ اللهُ يُضْلِلْهُؕ وَمَنْ يَّشَاْ يَجْعَلْهُ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ

যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে তারা বধির ও বোবা, তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত রয়েছে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিপথগামী করেন এবং যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন। (সূরা আন‘আম- ৩৯)

অর্থাৎ যারা সত্য কথা শোনে না, সত্য কথা বলেও না, তাদের কান ও মুখ সত্যের ব্যাপারে বধির ও বোবা।

তারা কখনো হেদায়াত পাবে না :

قُلْ اَرَاَيْتُمْ اِنْ كَانَ مِنْ عِنْدِ اللهِ ثُمَّ كَفَرْتُمْ بِهٖ مَنْ اَضَلُّ مِمَّنْ هُوَ فِيْ شِقَاقٍ ۢبَعِيْدٍ

বলো, তোমাদের অভিমত কী, যদি (এই কুরআন) আল্লাহর নিকট হতে অবতীর্ণ হয়ে থাকে এবং তোমরা এটা প্রত্যাখ্যান কর তবে যে ব্যক্তি ঘোর বিরোধিতায় লিপ্ত আছে, তার চেয়ে কে অধিক পথভ্রষ্ট? (সূরা হা-মীম সাজদা- ৫২)

قُلْ اَرَاَيْتُمْ اِنْ كَانَ مِنْ عِنْدِ اللهِ وَكَفَرْتُمْ بِهٖ وَشَهِدَ شَاهِدٌ مِّنْ ۢبَنِيْۤ اِسْرَآئِيْلَ عَلٰى مِثْلِهٖ فَاٰمَنَ وَاسْتَكْبَرْتُمْؕ اِنَّ اللهَ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الظَّالِمِيْنَ

(হে রাসূল) বলুন, তোমরা কি ভেবে দেখেছ যে, যদি এ কালাম আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসে থাকে এবং তোমরা তা মানতে অস্বীকার কর (তাহলে তোমাদের অবস্থা কী হবে?) আর এ ধরনের কালামের পক্ষে তো বনী ইসরাঈলের একজন সাক্ষী দিয়েছে। অতঃপর সে ঈমান এনেছে, আর তোমরা অহংকারে ডুবে রয়েছ। নিশ্চয় আল্লাহ এমন যালিমদেরকে হেদায়াত করেন না। (সূরা আহকাফ- ১০)

তাদের কুরআন বুঝার তাওফীক হয় না :

وَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنْ ذُكِّرَ بِاٰيَاتِ رَبِّهٖ فَاَعْرَضَ عَنْهَا وَنَسِيَ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُؕ اِنَّا جَعَلْنَا عَلٰى قُلُوْبِهِمْ اَ كِنَّةً اَنْ يَّفْقَهُوْهُ وَفِۤيْ اٰذَانِهِمْ وَقْرًاؕ وَاِنْ تَدْعُهُمْ اِلَى الْهُدٰى فَلَنْ يَّهْتَدُوْاۤ اِذًا اَبَدًا

কোন ব্যক্তিকে তার প্রতিপালকের নিদর্শনাবলি স্মরণ করিয়ে দেয়ার পর সে যদি সেটা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং তার কৃতকর্মসমূহ ভুলে যায়, তবে তার চেয়ে অধিক যালিম আর কে হতে পারে? আমি তাদের অমত্মরের উপর আবরণ সৃষ্টি করে দিয়েছি, যেন তারা তা (কুরআন) বুঝতে না পারে; আর তাদের কানে রয়েছে বধিরতা। (সুতরাং) তুমি তাদেরকে সৎপথে আহবান করলেও তারা কখনো সৎপথে আসবে না। (সূরা কাহফ- ৫৭)

তারা কুরআন বুঝতে সমর্থ হয় না :

وَاِذَا قَرَاْتَ الْقُرْاٰنَ جَعَلْنَا بَيْنَكَ وَبَيْنَ الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَةِ حِجَابًا مَّسْتُوْرًا وَجَعَلْنَا عَلٰى قُلُوْبِهِمْ اَكِنَّةً اَنْ يَّفْقَهُوْهُ وَفِۤيْ اٰذَانِهِمْ وَقْرًاؕ وَاِذَا ذَكَرْتَ رَبَّكَ فِى الْقُرْاٰنِ وَحْدَهٗ وَلَّوْا عَلٰۤى اَدْبَارِهِمْ نُفُوْرًا

যখন তুমি কুরআন পাঠ কর, তখন তোমার মাঝে ও যারা আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে না তাদের মাঝে এক প্রচ্ছন্ন পর্দা রেখে দেই। আমি তাদের অমত্মরের উপর আবরণ ফেলে দিয়েছি, যেন তারা তা উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদের কানের মধ্যে ছিপি এঁটে দিয়েছি। ফলে যখন তুমি কুরআন হতে তোমার প্রতিপালকের একত্ববাদ বিষয়ক আয়াত তিলাওয়াত করো, তখন তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে সরে পড়ে। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৪৫, ৪৬)

ব্যাখ্যা : কুরআনের দাওয়াত হচ্ছে, অসীম ক্ষমতাসম্পন্ন রবের সামনে জবাবদিহি করতে হবে- সেদিকে নজর রাখা। এখন যে ব্যক্তি আদৌ আখিরাতকেই মেনে নিতে প্রস্তুত নয় এবং এ দুনিয়ার অভিজ্ঞতালব্ধ যাবতীয় বিষয়ের মধ্যেই যার সমস্ত আস্থা ও বিশ্বাস সীমাবদ্ধ, সে কখনো কুরআনের এ দাওয়াতকে গ্রহণ করতে রাজি হবে না। এ আওয়াজ সর্বদা তার কানের পর্দায় আসতে থাকবে, কিন্তু কখনো তার মনোরাজ্যে প্রবেশ করার পথ খুঁজে পাবে না। এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক সত্য ব্যাপার। সর্বশক্তিমান আল্লাহ এ সত্যকে এভাবে বর্ণনা করেছেন যে, যে ব্যক্তি আখিরাত মানে না, আমি তার অন্তর ও কান কুরআনের দাওয়াতের জন্য বন্ধ করে দেই। অর্থাৎ এটি আমার প্রাকৃতিক আইন। আখিরাত অস্বীকারকারীদের উপর এ আইনটি এভাবে প্রবর্তিত হয়।

তারা সবচেয়ে বড় যালিম :

فَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنْ كَذَبَ عَلَى اللهِ وَكَذَّبَ بِالصِّدْقِ اِذْ جَآءَهٗؕ اَلَيْسَ فِيْ جَهَنَّمَ مَثْوًى لِّلْكَافِرِيْنَ

যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর মিথ্যারোপ করে এবং যখন তার নিকট সত্য আসে তখন তা প্রত্যাখ্যান করে, তার চেয়ে বড় যালিম আর কে হতে পারে? কাফিরদের ঠিকানা কি জাহান্নাম নয়? (সূরা যুমার- ৩২)

وَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰى عَلَى اللهِ كَذِبًا اَوْ كَذَّبَ بِاٰيَاتِهٖؕ اِنَّهٗ لَا يُفْلِحُ الظَّالِمُوْنَ

যে ব্যক্তি আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে অথবা তাঁর আয়াতসমূহকে প্রত্যাখ্যান করে, তার চেয়ে বড় যালিম আর কে হতে পারে? নিশ্চয় যালিমরা কখনো সফলকাম হবে না। (সূরা আন‘আম- ২১)

তাদের সকল আমল নষ্ট হয়ে যাবে :

وَالَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِاٰيَاتِنَا وَلِقَآءِ الْاٰخِرَةِ حَبِطَتْ اَعْمَالُهُمْؕ هَلْ يُجْزَوْنَ اِلَّا مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ

যারা আমার আয়াতসমূহ ও আখিরাতের সাক্ষাতকে অস্বীকার করে তাদের আমলসমূহ নষ্ট হয়ে যাবে। তারা যা করে তাদেরকে সে অনুযায়ী প্রতিফল দেয়া হবে। (সূরা আ‘রাফ- ১৪৭)

তারা পর্যায়ক্রমে ধ্বংসের সম্মুখীন হবে :

وَالَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِاٰيَاتِنَا سَنَسْتَدْرِجُهُمْ مِّنْ حَيْثُ لَا يَعْلَمُوْنَ

যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যারোপ করে আমি তাদেরকে এমনভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাই যে, তারা জানতেও পারে না। (সূরা আ‘রাফ- ১৮২)

فَذَرْنِيْ وَمَنْ يُّكَذِّبُ بِهٰذَا الْحَدِيْثِؕ سَنَسْتَدْرِجُهُمْ مِّنْ حَيْثُ لَا يَعْلَمُوْنَ وَاُمْلِيْ لَهُمْؕ اِنَّ كَيْدِيْ مَتِيْنٌ

যারা আমাকে এবং এ বাণীকে মিথ্যারোপ করেছে তাদের ব্যাপারটি ছেড়ে দাও, আমি তাদেরকে এমনভাবে ক্রমে ক্রমে ধরব যে, তারা বুঝতেও পারবে না। আর আমি তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকি, নিশ্চয় আমার কৌশল সুদৃঢ়। (সূরা ক্বালাম- ৪৪, ৪৫)

তারা জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে :

اِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِاٰيَاتِنَا سَوْفَ نُصْلِيْهِمْ نَارًاؕ كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُوْدُهُمْ بَدَّلْنَاهُمْ جُلُوْدًا غَيْرَهَا لِيَذُوْقُوا الْعَذَابَؕ اِنَّ اللهَ كَانَ عَزِيْزًا حَكِيْمًا

যারা আমার আয়াতসমূহকে প্রত্যাখ্যান করে, তাদেরকে আগুনে পোড়াব। যখনই তাদের চামড়া জ্বলে যাবে, তখনই তার স্থলে নতুন চামড়া সৃষ্টি করব- যেন তারা (পরিপূর্ণভাবে) শাস্তি ভোগ করে। নিশ্চয় আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা নিসা- ৫৬)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন