hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪৪২
অধ্যায়- ২ : জান্নাতে বসবাস
আল্লাহ আদম (আঃ) কে স্ত্রীসহ জান্নাতে বসবাস করতে দিলেন :

وَقُلْنَا يَاۤ اٰدَمُ اسْكُنْ اَنْتَ وَزَوْجُكَ الْجَنَّةَ وَكُلَا مِنْهَا رَغَدًا حَيْثُ شِئْتُمَا

আমি বললাম, হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করো এবং তা হতে যা ইচ্ছা স্বাচ্ছন্দে আহার করো। (সূরা বাক্বারা– ৩৫)

وَيَاۤ اَدَمُ اسْكُنْ اَنْتَ وَزَوْجُكَ الْجَنَّةَ فَكُلَا مِنْ حَيْثُ شِئْتُمَا

হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করো এবং সেখান থেকে যা ইচ্ছে খাও। (সূরা আ‘রাফ- ১৯)

ব্যাখ্যা : পৃথিবীতে খলীফা নিযুক্ত করে পাঠানোর আগে মানসিক প্রবণতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে আদম ও হাওয়া (আঃ) কে পরীক্ষা করার জন্য জান্নাতে রাখা হয়। আসলে জান্নাতকে পরীক্ষাগৃহ করার উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে এ কথা বুঝিয়ে দেয়া যে, মর্যাদার প্রেক্ষিতে তোমাদের জন্য জান্নাতই উপযুক্ত স্থান। কিন্তু শয়তানের প্রলোভনে পড়ে যদি তোমরা আল্লাহর নাফরমানির পথে এগিয়ে যেতে থাক, তাহলে যেভাবে শুরুতে তোমরা এ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলে তেমনিভাবে শেষেও বঞ্চিত হবে। তোমাদের সেই হারানো আবাসস্থলটিকে পুনরুদ্ধার করতে হলে অবশ্যই তোমাদের সেই শত্রুর মুকাবিলা করতে হবে, যে তোমাদেরকে আল্লাহর হুকুম মেনে চলার পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।

জান্নাতের গুণাগুণ বলে দিলেন :

اِنَّ لَكَ اَ لَّا تَجُوْعَ فِيْهَا وَلَا تَعْرٰى وَاَنَّكَ لَا تَظْمَاُ فِيْهَا وَلَا تَضْحٰى

তোমার জন্য এটাই রইল যে, তুমি জান্নাতে ক্ষুধার্ত হবে না এবং নগ্নও হবে না। সেখানে তুমি পিপাসার্ত হবে না এবং রৌদ্রের কষ্টও অনুভব করবে না। (সূরা ত্বা–হা– ১১৮, ১১৯)

তবে একটি গাছের নিকট যেতে নিষেধ করলেন :

وَلَا تَقْرَبَا هٰذِهِ الشَّجَرَةَ فَتَكُوْنَا مِنَ الظَّالِمِيْنَ

কিন্তু ঐ বৃক্ষের নিকটবর্তী হয়ো না, তাহলে তোমরা অত্যাচারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (সূরা বাক্বারা– ৩৫)

শয়তান সম্পর্কেও সতর্ক করে দিলেন :

فَقُلْنَا يَاۤ اٰدَمُ اِنَّ هٰذَا عَدُوٌّ لَّكَ وَلِزَوْجِكَ فَلَا يُخْرِجَنَّكُمَا مِنَ الْجَنَّةِ فَتَشْقٰى

অতঃপর আমি বললাম, হে আদম! নিশ্চয় এ তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্রু। সুতরাং সে যেন কিছুতেই তোমাদেরকে জান্নাত হতে বের করে না দেয়, নতুবা তোমরা খুবই দুঃখ-কষ্টে পতিত হবে। (সূরা ত্বা–হা– ১১৭)

ব্যাখ্যা : মানুষের শত্রু শয়তান এবং শয়তানের শত্রু মানুষ। ‘‘শয়তান মানুষের শত্রু’’- এ কথা সুস্পষ্ট। কারণ সে মানুষকে আল্লাহর হুকুম পালনের পথ থেকে সরিয়ে রেখে ধ্বংসের পথে পরিচালিত করে। কিন্তু ‘‘শয়তানের শত্রু মানুষ’’- এ কথার অর্থ হলো, আসলে শয়তানের প্রতি শত্রুতার মনোভাব পোষণ করাই মানবতার দাবী। কিন্তু কুপ্রবৃত্তির কামনা-বাসনার সামনে শয়তান যেসব প্রলোভন এনে উপস্থিত করে মানুষ সেগুলো দ্বারা প্রতারিত হয়ে তাকে নিজের বন্ধু ভেবে বসে।

শয়তান আদম ও হাওয়াকে কুমন্ত্রণা দিল :

فَوَسْوَسَ اِلَيْهِ الشَّيْطَانُ قَالَ يَاۤ اٰدَمُ هَلْ اَدُلُّكَ عَلٰى شَجَرَةِ الْخُلْدِ وَمُلْكٍ لَّا يَبْلٰى فَاَكَلَا مِنْهَا فَبَدَتْ لَهُمَا سَوْاٰتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِنْ وَّرَقِ الْجَنَّةِ وَعَصٰۤى اٰدَمُ رَبَّهٗ فَغَوٰى

অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রণা দিল। সে বলল, হে আদম! আমি কি তোমাকে বলে দেব অনন্ত জীবন দানকারী বৃক্ষের কথা ও এমন রাজত্বের কথা, যার কখনো পতন হবে না? অতঃপর তারা উভয়ে সেটা ভক্ষণ করল; (ফলে) সাথে সাথে তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে গেল এবং তারা জান্নাতের পাতা দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত করতে লাগল। আদম তার প্রতিপালকের হুকুম অমান্য করল, ফলে সে পথভ্রষ্ট হয়ে গেল। (সূরা ত্বা–হা– ১২০, ১২১)

وَقَاسَمَهُمَاۤ اِنِّيْ لَكُمَا لَمِنَ النَّاصِحِيْنَ فَدَلَّاهُمَا بِغُرُوْرٍ فَلَمَّا ذَاقَا الشَّجَرَةَ بَدَتْ لَهُمَا سَوْاٰتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِنْ وَّرَقِ الْجَنَّةِ

সে (শয়তান) তাদের উভয়ের নিকট শপথ করে বলল, আমি তো তোমাদের কল্যাণকামীদের একজন। এভাবে সে তাদেরকে তার প্রতারণার জালে আটকে ফেলল। তারপর যখন তারা সে বৃক্ষের ফলের স্বাদ গ্রহণ করল, তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল এবং তারা নিজেদেরকে জান্নাতের পাতা দ্বারা আবৃত করতে লাগল। (সূরা আ‘রাফু ২১)

আল্লাহর হুকুম আর মানা হলো না :

وَلَقَدْ عَهِدْنَاۤ اِلٰۤى اٰدَمَ مِنْ قَبْلُ فَنَسِيَ وَلَمْ نَجِدْ لَهٗ عَزْمًا

আমি তো ইতোপূর্বেই আদমের প্রতি নির্দেশ দান করেছিলাম, কিন্তু সে তা ভুলে গিয়েছিল; আমি তার সংকল্পে দৃঢ়তা পাইনি। (সূরা ত্বা–হা- ১১৫)

فَاَكَلَا مِنْهَا فَبَدَتْ لَهُمَا سَوْاٰتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِنْ وَّرَقِ الْجَنَّةِؗ وَعَصٰۤى اٰدَمُ رَبَّهٗ فَغَوٰى

অতঃপর তারা উভয়ে সেটা হতে ভক্ষণ করল। তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল এবং তারা জান্নাতের (গাছের) পাতা দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত করতে লাগল। আদম তার প্রতিপালকের হুকুম অমান্য করল, ফলে সে ভুলের মধ্যে পতিত হলো। (সূরা ত্বা–হা- ১২১)

ব্যাখ্যা : এ নির্দেশ অমান্য করা অহংকারের ভিত্তিতে ছিল না বরং গাফলতি এবং ইচ্ছার দুর্বলতার কারণে ছিল। তিনি এ ধরনের সংকল্পের ভিত্তিতে আল্লাহর হুকুম অমান্য করেননি যে, আমি আল্লাহর পরোয়া করতে যাব কেন? বরং তিনি আল্লাহর হুকুম মনে রাখার চেষ্টা করেননি। আল্লাহ তাকে কী বুঝিয়ে ছিলেন, তা তিনি ভুলে গিয়েছিলেন। তার ইচ্ছাশক্তি খুব বেশি মজবুত ছিল না। ফলে শয়তান যখন তাকে প্ররোচিত করতে এলো তখন তিনি আল্লাহর সকর্তবাণী স্মরণ করতে পারেননি এবং শয়তানের প্রদত্ত লালসার মুকাবিলা করতে সক্ষম হননি। কিন্তু আল্লাহ তাকে বহিষ্কার করেননি। আনুগত্যের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে যেখানে তিনি পড়ে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে উঠিয়ে তাকে আবার নিজের কাছে ডেকে নিলেন এবং নিজের খেদমতের জন্য বাছাই করলেন।

আল্লাহ আদম ও হাওয়াকে সতর্ক করলেন :

وَنَادَاهُمَا رَبُّهُمَاۤ اَلَمْ اَنْهَكُمَا عَنْ تِلْكُمَا الشَّجَرَةِ وَاَقُلْ لَّكُمَاۤ اِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمَا عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ

তখন তাদের প্রতিপালক তাদেরকে সম্বোধন করে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ বৃক্ষের নিকটবর্তী হতে বারণ করিনি এবং আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয় শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? (সূরা আ‘রাফু ২২)

আদম (আঃ) তাওবার দু‘আ শিখলেন :

فَتَلَقّٰۤى اٰدَمُ مِنْ رَّبِّهٖ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِؕ اِنَّهٗ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ

আদম তাঁর রবের পক্ষ থেকে কিছু বাক্য শিক্ষা করল (যার দ্বারা সে তাওবা করল), অতঃপর আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়। (সূরা বাক্বারা– ৩৭)

আদম ও হাওয়া নিচের দু‘আ পড়ে তাওবা করলেন :

قَالَا رَبَّنَا ظَلَمْنَاۤ اَنْفُسَنَا وَاِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ

তারা বলল, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি, যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর এবং দয়া না কর, তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। (সূরা আ‘রাফু ২৩)

আল্লাহ তাওবা কবুল করলেন :

ثُمَّ اجْتَبَاهُ رَبُّهٗ فَتَابَ عَلَيْهِ وَهَدٰى

এরপর তার প্রতিপালক তাকে মনোনীত করলেন, অতঃপর তার তাওবা কবুল করলেন এবং তাকে পথনির্দেশ করলেন। (সূরা ত্বা–হা– ১২২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন