hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৭৭
অধ্যায়- ১ : সালাত সর্বকালীন ইবাদাত
সকল নবীর যুগে সালাতের বিধান ছিল :

وَجَعَلْنَاهُمْ اَئِمَّةً يَّهْدُوْنَ بِاَمْرِنَا وَاَوْحَيْنَاۤ اِلَيْهِمْ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَاِقَامَ الصَّلَاةِ وَاِيْتَآءَ الزَّكَاةِ ۚ وَكَانُوْا لَنَا عَابِدِيْنَ

আমি তাদেরকে নেতা বানিয়েছিলাম; যাতে করে তারা আমার নির্দেশ অনুযায়ী মানুষকে পথপ্রদর্শন করে। আর আমি তাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করে এ আদেশ দিয়েছিলাম যে, তারা যেন ভালো কাজ করে, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত আদায় করে। আর তারা আমারই ইবাদাত করত। (সূরা আম্বিয়া- ৭৩)

ইসমাঈল (আঃ) সালাতের দাওয়াত দিতেন :

وَاذْكُرْ فِى الْكِتَابِ اِسْمَاعِيْلَ اِنَّهٗ كَانَ صَادِقَ الْوَعْدِ وَكَانَ رَسُوْلًا نَّبِيًّا -‐ وَكَانَ يَاْمُرُ اَهْلَهٗ بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ وَكَانَ عِنْدَ رَبِّهٖ مَرْضِيًّا

স্মরণ করো, এ কিতাবে ইসমাঈলের কথা! তিনি ছিলেন প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যবাদী এবং তিনি ছিলেন রাসূল ও নবী। তিনি তার পরিবার-পরিজনকে সালাত ও যাকাতের নির্দেশ দিতেন; আর তিনি ছিলেন তার প্রতিপালকের প্রতি সন্তুষ্ট। (সূরা মারইয়াম- ৫৪, ৫৫)

মূসা (আঃ) কে সালাতের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল :

وَاَنَا اخْتَرْتُكَ فَاسْتَمِعْ لِمَا يُوْحىٰ اِنَّنِيْۤ اَنَا اللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَاْ فَاعْبُدْنِيْ وَاَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِيْ

আমি তোমাকে মনোনীত করেছি; অতএব যে ওহী তোমার নিকট প্রেরণ করা হচ্ছে তুমি তা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করো। আমিই আল্লাহ, আমি ব্যতীত কোন সত্যিকার ইলাহ্ নেই। অতএব আমারই ইবাদাত করো এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম করো। (সূরা ত্বা-হা- ১৩, ১৪)

وَاَوْحَيْنَاۤ اِلٰى مُوْسٰى وَاَخِيْهِ اَنْ تَبَوَّاٰلِقَوْمِكُمَا بِمِصْرَ بُيُوْتًا وَّاجْعَلُوْا بُيُوْتَكُمْ قِبْلَةً وَّاَقِيْمُوا الصَّلَاةَ ؕ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِيْنَ

আমি মূসা ও তার ভাইকে প্রত্যাদেশ করলাম যে, মিসরে তোমাদের সম্প্রদায়ের জন্য গৃহ স্থাপন করো এবং তোমাদের গৃহগুলোকে ইবাদাতগৃহ হিসেবে বানিয়ে নাও। আর সালাত কায়েম করো এবং মুমিনদেরকে সুসংবাদ দাও। (সূরা ইউনুস- ৮৭)

লুক্বমান (আঃ) তার ছেলেকে সালাতের অসিয়ত করেছিলেন :

يَا بُنَيَّ اَقِمِ الصَّلَاةَ وَاْمُرْ بِالْمَعْرُوْفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَاصْبِرْ عَلٰى مَاۤ اَصَابَكَؕ اِنَّ ذٰلِكَ مِنْ عَزْمِ الْاُمُوْرِ

হে আমার ছেলে! সালাত কায়েম করো, সৎকাজের আদেশ দাও, মন্দকাজ থেকে নিষেধ করো এবং তোমার উপর যে বিপদ আসে তাতে ধৈর্যধারণ করো। নিশ্চয় এটা দৃঢ় সংকল্পের কাজ। (সূরা লুক্বমান- ১৭)

মারইয়াম (আঃ) কেও সালাতের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল :

يَا مَرْيَمُ اقْنُتِيْ لِرَبِّكِ وَاسْجُدِيْ وَارْكَعِيْ مَعَ الرَّاكِعِيْنَ

হে মারইয়াম! তুমি তোমার রবের অনুগত হও, আমাকে সিজদা করো এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ করো। (সূরা আলে ইমরান- ৪৩)

ঈসা (আঃ) এর যুগেও সালাতের বিধান ছিল :

قَالَ اِنِّيْ عَبْدُ اللهِؕ اٰتَانِيَ الْكِتَابَ وَجَعَلَنِيْ نَبِيًّا وَجَعَلَنِيْ مُبَارَكًا اَيْنَ مَا كُنْتُ وَاَوْصَانِيْ بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ مَا دُمْتُ حَيًّا

ঈসা বললেন, আমি আল্লাহর বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী বানিয়েছেন, আমি যেখানেই থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। আর যতদিন আমি বেঁচে থাকব, ততদিন তিনি আমাকে সালাত ও যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। (সূরা মারইয়াম- ৩০, ৩১)

আহলে কিতাবের প্রতিও সালাতের নির্দেশ ছিল :

وَمَا تَفَرَّقَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتَابَ اِلَّا مِنْ ۢبَعْدِ مَا جَآءَتْهُمُ الْبَيِّنَةُ وَمَاۤ اُمِرُوْاۤ اِلَّا لِيَعْبُدُوا اللهَ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ حُنَفَآءَ وَيُقِيْمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذٰلِكَ دِيْنُ الْقَيِّمَةِ

যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পরও তাদের মাঝে বিচ্ছিন্নতা দেখা দিয়েছিল। তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ দেয়া হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদাত করবে, সালাত কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম। (সূরা বায়্যিনাহ- ৪, ৫)

বনী ইসরাঈলদের থেকেও সালাতের অঙ্গীকার নেয়া হয়েছিল :

وَاِذْ اَخَذْنَا مِيْثَاقَ بَنِيْۤ اِسْرَآئِيْلَ لَا تَعْبُدُوْنَ اِلَّا اللهَؕ وَبِالْوَالِدَيْنِ اِحْسَانًا وَّذِى الْقُرْبٰى وَالْيَتَامٰى وَالْمَسَاكِيْنِ وَقُوْلُوْا لِلنَّاسِ حُسْنًا وَّاَقِيْمُوا الصَّلَاةَ وَاٰتُوا الزَّكَاةَؕ ثُمَّ تَوَلَّيْتُمْ اِلَّا قَلِيْلًا مِّنْكُمْ وَاَنْتُمْ مُّعْرِضُوْنَ

আর যখন আমি বনী ইসরাঈল হতে এ অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত কারো ইবাদাত করবে না। পিতামাতা ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে, ইয়াতীম ও মিসকীনদের সঙ্গেও (সদ্ব্যবহার করবে)। আর তোমরা মানুষের সাথে উত্তমভাবে কথা বলবে এবং সালাত কায়েম করবে ও যাকাত প্রদান করবে। তারপরও তোমাদের মধ্য হতে অল্প সংখ্যক ব্যতীত তোমরা সকলেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলে; আর তোমরা ছিলে বিমুখী সম্প্রদায়। (সূরা বাক্বারা- ৮৩)

উম্মতে মুহাম্মাদীর প্রতি সালাতের বিধান রয়েছে :

وَاَقِيْمُوا الصَّلَاةَ وَاٰتُوا الزَّكَاةَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ

তোমরা সালাত কায়েম করো, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য করো, যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পার। (সূরা নূর- ৫৬)

وَاَقِيْمُوا الصَّلَاةَ وَاٰتُوا الزَّكَاةَ وَاَقْرِضُوا اللهَ قَرْضًا حَسَنًا

তোমরা সালাত প্রতিষ্ঠা করো, যাকাত প্রদান করো এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। (সূরা মুয্যাম্মিল- ২০)

এ উম্মতের মহিলাদের প্রতিও সালাত আদায়ের বিশেষ নির্দেশ :

وَقَرْنَ فِيْ بُيُوْتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْاُوْلٰى وَاَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَاٰتِيْنَ الزَّكَاةَ وَاَطِعْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ

(হে নারীরা) তোমরা নিজেদের ঘরে অবস্থান করবে এবং প্রথম যুগের মূর্খদের ন্যায় নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। তোমরা সালাত কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ পালন করবে। (সূরা আহযাব- ৩৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন