hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৫২
অধ্যায়- ৬ : আখিরাত বিশ্বাস না করার যুক্তি ও এর জবাব
আখিরাত অস্বীকারকারীরা বলে, দেহের সবকিছু পঁচে যায় :

اَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَّعِظَامًا اَئِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَ اَوَاٰبَآؤُنَا الْاَوَّلُوْنَ

(কাফিররা বলল) আমরা যখন মৃত্যুবরণ করব এবং মাটি ও হাড্ডিতে পরিণত হব, তারপরও কি আমরা পু্নরুত্থিত হব? (তখন) আমাদের পূর্ববর্তীদেরকেও কি (পুনরুত্থিত করা হবে)? (সূরা সাফ্ফাত- ১৬, ১৭)

وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا هَلْ نَدُلُّكُمْ عَلٰى رَجُلٍ يُّنَبِّئُكُمْ اِذَا مُزِّقْتُمْ كُلَّ مُمَزَّقٍ اِنَّكُمْ لَفِيْ خَلْقٍ جَدِيْدٍ

কাফিররা বলে, আমরা কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যক্তির সন্ধান দেব, যে তোমাদেরকে সংবাদ দেয় যে, যখন তোমরা সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যাবে, তারপর আবার নতুনভাবে জন্ম লাভ করবে? (সূরা সাবা- ৭)

তারা বলে, কোন মৃতকে জীবিত হতে দেখা যায়নি :

اِنَّ هٰۤؤُلَآءِ لَيَقُوْلُوْنَ اِنْ هِيَ اِلَّا مَوْتَتُنَا الْاُوْلٰى وَمَا نَحْنُ بِمُنْشَرِيْنَ فَاْتُوْا بِاٰبَآئِنَاۤ اِنْ كُنْتُمْ صَادِقِيْنَ

নিশ্চয় তারা বলে থাকে যে, আমাদের প্রথম মৃত্যু ব্যতীত আর কিছুই নেই এবং আমরা আর পুনরুত্থিতও হব না। অতএব যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে উপস্থিত করো। (সূরা দুখান- ৩৪, ৩৫)

এসব ভ্রান্ত ধারণার জবাব :

وَضَرَبَ لَنَا مَثَلًا وَّنَسِيَ خَلْقَهٗؕ قَالَ مَنْ يُّحْيِ الْعِظَامَ وَهِيَ رَمِيْمٌ قُلْ يُحْيِيْهَا الَّذِيْۤ اَنْشَاَهَاۤ اَوَّلَ مَرَّةٍؕ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيْمٌ اَلَّذِيْ جَعَلَ لَكُمْ مِّنَ الشَّجَرِ الْاَخْضَرِ نَارًا فَاِذَاۤ اَنْتُمْ مِّنْهُ تُوْقِدُوْنَ اَوَلَيْسَ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضَ بِقَادِرٍ عَلٰۤى اَنْ يَّخْلُقَ مِثْلَهُمْؕ بَلٰىۗ وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيْمُ اِنَّمَاۤ اَمْرُهٗۤ اِذَاۤ اَرَادَ شَيْئًا اَنْ يَّقُوْلَ لَهٗ كُنْ فَيَكُوْنُ فَسُبْحَانَ الَّذِيْ بِيَدِهٖ مَلَكُوْتُ كُلِّ شَيْءٍ وَّاِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ

সে আমার সম্পর্কে উদাহরণ বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টির কথাই ভুলে যায়। সে বলে, এ হাড়গুলোকে কে জীবিত করবে, যখন তা পঁচে গলে যাবে? বলো, তিনিই এগুলোকে আবার জীবিত করবেন, যিনি তা প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন। যিনি সবুজ গাছ থেকে তোমাদের জন্য আগুন উৎপন্ন করেন, অতঃপর তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও। যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি এদের অনুরূপ (আরো অন্য কিছু) সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ, তিনি বিজ্ঞ সৃষ্টিকর্তা। বস্তুত তাঁর সৃষ্টিকার্য এরূপ যে, যখন তিনি কোনকিছু সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করেন, তখন তিনি তাকে বলেন, ‘‘হও’’, অমনি তা হয়ে যায়। অতএব তিনি পবিত্র, যাঁর হাতে রয়েছে সর্ববিষয়ের সর্বময় ক্ষমতা এবং তাঁরই নিকট তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে। (সূরা ইয়াসীন, ৭৮-৮৩)

শানে নুযূল : আস ইবনে ওয়ায়িল নামক এক ব্যক্তি একখন্ড পুরাতন হাড়সহ রাসূল ﷺ এর কাছে উপস্থিত হয়ে দু’আঙ্গুল দ্বারা তাকে ঘষে বলল, এমন অবস্থার পরও কি পুনরায় এটা জীবিত হবে? রাসূল ﷺ বললেন, হ্যাঁ- আর তুমি জাহান্নামে প্রবেশ করবে। এ প্রসঙ্গে উক্ত আয়াতটি নাযিল হয়।

(ইবনে কাসীর ৬ষ্ট খন্ড, ৫৯৩; পৃঃ ফতহুল কাদীর ৬ষ্ট খন্ড, ১৮৪ পৃঃ)

কালের বিবর্তনই মৃত্যু নিয়ে আসে- এ ধারণার জবাব :

وَقَالُوْا مَا هِيَ اِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوْتُ وَنَحْيَا وَمَا يُهْلِكُنَاۤ اِلَّا الدَّهْرُۚ وَمَا لَهُمْ بِذٰلِكَ مِنْ عِلْمٍۚ اِنْ هُمْ اِلَّا يَظُنُّوْنَ

তারা বলে, আমরা মরি ও বাঁচি পার্থিব জীবনই আমাদের একমাত্র জীবন, কালের আবর্তনই আমাদেরকে ধ্বংস করে। বস্তুত এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞান নেই, তারা তো শুধু ধারণার উপর ভিত্তি করেই কথা বলে থাকে। (সূরা জাসিয়া- ২৪)

قُلِ اللهُ يُحْيِيْكُمْ ثُمَّ يُمِيْتُكُمْ ثُمَّ يَجْمَعُكُمْ اِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لَا رَيْبَ فِيْهِ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ

বলো, আল্লাহই তোমাদেরকে জীবিত করেন ও তোমাদের মৃত্যু ঘটান। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে কিয়ামত দিবসে একত্রিত করবেন, যাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না। (সূরা জাসিয়া- ২৬)

মৃত্যুর পর জীবিত হতে হবে না- এ ধারণার জবাব :

وَكَانُوْا يَقُوْلُوْنَ اَئِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَّعِظَامًا اَئِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَ اَوَاٰبَآؤُنَا الْاَوَّلُوْنَ قُلْ اِنَّ الْاَوَّلِيْنَ وَالْاٰخِرِيْنَ لَمَجْمُوْعُوْن اِلٰى مِيْقَاتِ يَوْمٍ مَّعْلُوْمٍ

তারা বলে থাকে যে, যখন আমরা মৃত্যুবরণ করব এবং মাটি ও হাড্ডিতে পরিণত হব, তবুও কি আমরা পুনরায় উত্থিত হব? (তখন) আমাদের পূর্বপুরুষরাও কি (পুনরুত্থিত হবে)? বলো, অবশ্যই পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সকলেই (পুনরুত্থিত হবে)। সকলকে একটি নির্দিষ্ট দিনের নির্ধারিত সময়ে একত্রিত করা হবে। (সূরা ওয়াক্বিয়া, ৪৭-৫০)

পুনরায় জীবিত করা কঠিন কাজ- এ ধারণার জবাব :

اِنَّا نَحْنُ نُحْيِيْ وَنُمِيْتُ وَاِلَيْنَا الْمَصِيْرُ يَوْمَ تَشَقَّقُ الْاَرْضُ عَنْهُمْ سِرَاعًاؕ ذٰلِكَ حَشْرٌ عَلَيْنَا يَسِيْرٌ

আমিই জীবিত করি এবং মৃত্যুও ঘটাই; আর সকলেই আমার দিকে ফিরে আসবে। যেদিন পৃথিবী বিদীর্ণ হবে এবং লোকেরা দ্রুতবেগে বের হয়ে আসবে, এই সমবেতকরণ আমার জন্য খুবই সহজ। (সূরা ক্বাফ- ৪৩, ৪৪)

প্রতিটি মৃতদেহের ক্ষুদ্রাংশের জ্ঞানও আল্লাহর রয়েছে :

وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَا تَاْتِيْنَا السَّاعَةُؕ قُلْ بَلٰى وَرَبِّيْ لَتَاْتِيَنَّكُمْ عَالِمِ الْغَيْبِۚ لَا يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ فِى السَّمَاوَاتِ وَلَا فِى الْاَرْضِ وَلَاۤ اَصْغَرُ مِنْ ذٰلِكَ وَلَاۤ اَكْبَرُ اِلَّا فِيْ كِتَابٍ مُّبِيْنٍ

কাফিররা বলে থাকে যে, আমাদের উপর কিয়ামত আসবে না। আপনি বলে দিন, কেন আসবে না? আমার প্রতিপালকের শপথ! অবশ্যই তা তোমাদের উপর আসবে। তিনি অদৃশ্যের বিষয় সম্পর্কে অবহিত। আকাশে ও পৃথিবীতে ক্ষুদ্রতম ও বৃহত্তম এমন অণুপরিমাণ জিনিসও নেই, যা তাঁর জানা নেই। আর এসবই প্রকাশ্য গ্রন্থেহ লিপিবদ্ধ আছে। (সূরা সাবা- ৩)

দুনিয়াতে অস্বীকার করলেও পরকালে সবাই বিশ্বাস করবে :

وَقَالُوْاۤ اِنْ هِيَ اِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا وَمَا نَحْنُ بِمَبْعُوْثِيْنَ وَلَوْ تَرٰۤى اِذْ وُقِفُوْا عَلٰى رَبِّهِمْؕ قَالَ اَلَيْسَ هٰذَا بِالْحَقِّؕ قَالُوْا بَلٰى وَرَبِّنَاؕ قَالَ فَذُوْقُوا الْعَذَابَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُوْنَ

তারা বলে, আমাদের পার্থিব জীবনই একমাত্র জীবন এবং আমরা পুনরুত্থিতও হব না। তুমি যদি দেখতে, যখন তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের সম্মুখে দাঁড় করানো হবে এবং যখন তিনি বলবেন, এটা কি প্রকৃত সত্য নয়? তারা বলবে, আমাদের প্রতিপালকের শপথ! নিশ্চয় সত্য। তিনি বলবেন, তবে তোমরা যে কুফরী করতে এখন তার জন্য শাস্তি ভোগ করো। (সূরা আন‘আম- ২৯, ৩০)

ব্যাখ্যা : অর্থাৎ যদিও আখিরাতের প্রমাণ পেশ করার মতো বহু সাক্ষ্য ও নিদর্শন রয়েছে এবং সেগুলো থেকে গাফিল হওয়ার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই, তবুও এরা নিজেরাই গাফিল থাকছে। অন্যথায় এটা তাদের নিজেদের ভুল। তারা দুনিয়ার জীবনের এ বাহ্যিক পর্দার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বসে রয়েছে। কিন্তু এর পেছনে যা কিছু আসছে সে সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না। নতুবা আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদেরকে জানানোর ব্যাপারে কোন ত্রুটি করা হয়নি। দুনিয়াতে এ সত্য অস্বীকার করলেও পরকালে যখন সরাসরি দেখবে তখন আর কেউ তা অস্বীকার করতে পারবে না।

তখন শুধুই আফসোস করতে থাকবে :

قَدْ خَسِرَ الَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِلِقَآءِ اللهِؕ حَتّٰۤى اِذَا جَآءَتْهُمُ السَّاعَةُ بَغْتَةً قَالُوْا يَا حَسْرَتَنَا عَلٰى مَا فَرَّطْنَا فِيْهَا وَهُمْ يَحْمِلُوْنَ اَوْزَارَهُمْ عَلٰى ظُهُوْرِهِمْؕ اَ لَا سَآءَ مَا يَزِرُوْنَ

যারা আল্লাহর সম্মুখীন হওয়াকে মিথ্যা বলেছে, অবশ্যই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি আকস্মিকভাবে তাদের নিকট যখন কিয়ামত উপস্থিত হবে তখন তারা বলবে, হায় আফসোস! আমরা তো একে অবহেলা করতাম। অতঃপর তারা তাদের পিঠে নিজেদের পাপ বহন করবে। দেখো, তারা যা বহন করবে তা কতই না নিকৃষ্ট! (সূরা আন‘আম- ৩১)

মানুষ আল্লাহর সামনে উপস্থিত হবেই :

يَاۤ اَيُّهَا الْاِنْسَانُ اِنَّكَ كَادِحٌ اِلٰى رَبِّكَ كَدْحًا فَمُلَاقِيْهِ

হে মানব! তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট পৌঁছার জন্য কঠোর সাধনা করছ। অতএব তাঁর সাক্ষাৎ লাভ ঘটবেই। (সূরা ইনশিক্বাক- ৬)

আল্লাহ সকলের হাশর ঘটাবেন :

وَاِنَّ رَبَّكَ هُوَ يَحْشُرُهُمْ اِنَّهٗ حَكِيْمٌ عَلِيْمٌ

তোমার প্রতিপালকই তাদেরকে সমবেত করবেন; তিনি প্রজ্ঞাময় ও সর্বজ্ঞ। (সূরা হিজর- ২৫)

সকলকে আল্লাহর দিকেই ফিরে যেতে হবে :

وَاعْلَمُوْاۤ اَنَّكُمْ اِلَيْهِ تُحْشَرُوْنَ

জেনে রেখো! তোমরা সকলেই তাঁর দিকে সমবেত হবে। (সূরা বাক্বারা- ২০৩)

قُلْ هُوَ الَّذِيْ ذَرَاَكُمْ فِى الْاَرْضِ وَاِلَيْهِ تُحْشَرُوْنَ

বলো, তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন; অতঃপর তোমাদেরকে তাঁরই কাছে একত্রিত করা হবে। (সূরা মুলক- ২৪)

জিন-ইনসান সকলেরই হাশর হবে :

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيْعًا

সেদিন তিনি তাদের সকলকে একত্র করবেন। (সূরা আন‘আম- ১২৮)

পশু-পাখিরও হাশর হবে :

وَمَا مِنْ دَآبَّةٍ فِى الْاَرْضِ وَلَا طَآئِرٍ يَّطِيْرُ بِجَنَاحَيْهِ اِلَّاۤ اُمَمٌ اَمْثَالُكُمْؕ مَا فَرَّطْنَا فِى الْكِتَابِ مِنْ شَيْءٍ ثُمَّ اِلٰى رَبِّهِمْ يُحْشَرُوْنَ

ভূপৃষ্ঠে বিচরণশীল যত জীব আছে অথবা নিজ ডানার সাহায্যে উড়ে এমন যত পাখী আছে তারা প্রত্যেকেই তোমাদের মতো এক একটি উম্মত। কিতাবে কোনকিছুই আমি বাদ দেইনি। অতঃপর স্বীয় প্রতিপালকের দিকে তাদেরকেও একত্র করা হবে। (সূরা আন‘আম- ৩৮)

শয়তানেরও হাশর হবে :

فَوَرَبِّكَ لَنَحْشُرَنَّهُمْ وَالشَّيَاطِيْنَ ثُمَّ لَنُحْضِرَنَّهُمْ حَوْلَ جَهَنَّمَ جِثِيًّا

সুতরাং শপথ তোমার প্রতিপালকের! আমি তো তাদেরকে এবং শয়তানদেরকে একত্রে সমবেত করবই। তারপর আমি অবশ্যই তাদেরকে নতজানু অবস্থায় জাহান্নামে উপস্থিত করব। (সূরা মারইয়াম- ৬৮)

মুশরিকদের উপাস্যদেরও হাশর হবে :

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ وَمَا يَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ فَيَقُوْلُ اَاَنْتُمْ اَضْلَلْتُمْ عِبَادِيْ هٰۤؤُلَآءِ اَمْ هُمْ ضَلُّوا السَّبِيْلَ

যেদিন তিনি তাদেরকে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইবাদাত করত তাদেরকে একত্র করবেন। সেদিন তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তোমরাই কি আমার এ বান্দাদেরকে বিভ্রামত্ম করেছিলে, না তারা নিজেরাই পথভ্রষ্ট হয়েছিল? (সূরা ফুরক্বান- ১৭)

اُحْشُرُوا الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا وَاَزْوَاجَهُمْ وَمَا كَانُوْا يَعْبُدُوْنَ

ফেরেশতাদেরকে বলা হবে- যালিমদেরকে, তাদের সাথিদেরকে এবং তারা যাদের ইবাদাত করত তাদেরকে একত্র করো। (সূরা সাফ্ফাত- ২২)

কাফিরদের হাশর হবে জাহান্নামের দিকে :

وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْاۤ اِلٰى جَهَنَّمَ يُحْشَرُوْنَ

যারা কুফরী করে তাদেরকে জাহান্নামের দিকে সমবেত করা হবে। (সূরা আনফাল- ৩৬)

قُلْ لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْا سَتُغْلَبُوْنَ وَتُحْشَرُوْنَ اِلٰى جَهَنَّمَ وَبِئْسَ الْمِهَادُ

যারা কুফরী করেছে তাদেরকে বলো, অচিরেই তোমরা পরাজিত হবে এবং জাহান্নামে একত্রিত হবে। আর তা কতই না নিকৃষ্ট বাসস্থান! (সূরা আলে ইমরান- ১২)

মুমিনদের হাশর হবে আল্লাহর দিকে :

يَوْمَ نَحْشُرُ الْمُتَّقِيْنَ اِلَى الرَّحْمٰنِ وَفْدًا

সেদিন মুত্তাক্বীদেরকে দয়াময়ের নিকট সম্মানিত মেহমান হিসেবে সমবেত করব। (সূরা মারইয়াম- ৮৫)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন