hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৪৯
অধ্যায়- ১০ : মুমিনের কতিপয় করণীয় কাজ
কুরআন পড়ে ঈমান বৃদ্ধি করা :

وَاِذَا مَاۤ اُنْزِلَتْ سُوْرَةٌ فَمِنْهُمْ مَّنْ يَّقُوْلُ اَيُّكُمْ زَادَتْهُ هٰذِه ۤ اِيْمَانًاۚ فَاَمَّا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا فَزَادَتْهُمْ اِيْمَانًا وَّهُمْ يَسْتَبْشِرُوْنَ

যখনই কোন সূরা অবতীর্ণ হয় তখন তাদের কেউ কেউ বলে, এটা তোমাদের মধ্যে কারো ঈমান বৃদ্ধি করল কি? অতঃপর যারা ঈমান আনয়ন করেছে এতে তাদের ঈমান আরো বৃদ্ধি পায় এবং তারাই আনন্দিত হয়। (সূরা তাওবা - ১২৪)

সর্বদা আল্লাহর সৃষ্টির রহস্য নিয়ে চিন্তা করা :

اَلَّذِيْنَ يَذْكُرُوْنَ اللهَ قِيَامًا وَّقُعُوْدًا وَّعَلٰى جُنُوْبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُوْنَ فِيْ خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِۚ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَاطِلًاۚ سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

যারা দন্ডায়মান, উপবেশন ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা করে এবং বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তা বৃথা সৃষ্টি করেননি; আপনি কতই না পবিত্র। অতএব আপনি আমাদেরকে জাহান্নাম হতে রক্ষা করুন। (সূরা আলে ইমরান- ১৯১)

আল্লাহকে গভীরভাবে ভালোবাসা :

وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰهِ

যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি তাদের ভালোবাসা দৃঢ়তর। (সূরা বাক্বারা- ১৬৫)

জান মাল দিয়ে জিহাদ করা :

لٰكِنِ الرَّسُوْلُ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مَعَه جَاهَدُوْا بِاَمْوَالِهِمْ وَاَنْفُسِهِمْ وَاُولٰٓئِكَ لَهُمُ الْخَيْرَاتُ وَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ

তবে রাসূল এবং তাঁর সাথে যারা ঈমান এনেছিল, তারা তাদের সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে; তাদের জন্যই রয়েছে কল্যাণ এবং তারাই সফলকাম। (সূরা তাওবা- ৮৮)

আল্লাহর স্মরণ দ্বারা মনকে শান্ত করা :

اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوْبُهُمْ بِذِكْرِ اللهِؕ اَلَا بِذِكْرِ اللهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوْبُ

যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের চিত্ত প্রশান্ত হয় (তারাই আল্লাহমুখী)। (প্রকৃতপক্ষে) আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। (সূরা রা‘দ- ২৮)

আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হওয়া :

فَمَاۤ اُوْتِيْتُمْ مِّنْ شَيْءٍ فَمَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَاۚ وَمَا عِنْدَ اللهِ خَيْرٌ وَّاَبْقٰى لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَلٰى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُوْنَ

তোমরা (দুনিয়াতে) যা পেয়েছ তা পার্থিব জীবনের ভোগ-সম্ভার মাত্র। কিন্তু আল্লাহর নিকট যা আছে তা আরো উত্তম ও স্থায়ী। তবে এগুলো তাদের জন্য নির্ধারিত, যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে। (সূরা শূরা- ৩৬)

একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করা, তাঁর দিকেই আহবান করা :

قُلْ اِنَّمَاۤ اُمِرْتُ اَنْ اَعْبُدَ اللهَ وَلَاۤ اُشْرِكَ بِه ؕ اِلَيْهِ اَدْعُوْا وَاِلَيْهِ مَاٰبِ

বলো, আমি তো আল্লাহর ইবাদাত করতে ও তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করতে আদিষ্ট হয়েছি। আমি তাঁরই দিকে আহবান করি এবং তাঁরই নিকট আমার প্রত্যাবর্তন। (সূরা রা‘দ- ৩৬)

আল্লাহওয়ালাদের পথ অনুসরণ করা :

وَاتَّبِعْ سَبِيْلَ مَنْ اَنَابَ اِلَيَّ

আর তুমি তার অনুসরণ করো, যে আমার অভিমুখী হয়েছে। (সুরা লুক্বমান- ১৫)

আল্লাহর আযাবকে ভয় করা :

وَالَّذِيْنَ هُمْ مِّنْ عَذَابِ رَبِّهِمْ مُّشْفِقُوْنَ

আর যারা তাদের প্রতিপালকের আযাব সম্পর্কে ভীত-সন্ত্রস্ত। (সূরা মা‘আরিজ- ২৭)

কঠিন হিসাবকে ভয় করা :

وَالَّذِيْنَ يَصِلُوْنَ مَاۤ اَمَرَ اللهُ بِه ۤ اَنْ يُّوْصَلَ وَيَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ وَيَخَافُوْنَ سُوْٓءَ الْحِسَابِ

আর যারা সেসব সম্পর্ক বহাল রাখে, যা বহাল রাখার জন্য আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন। আর তারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে এবং ভয়াবহ হিসাব-নিকাশকে ভয় করে। (সূরা রা‘দ- ২১)

কুরআনের বাণী শুনে প্রভাবিত হওয়া :

وَالَّذِيْنَ اِذَا ذُكِّرُوْا بِاٰيَاتِ رَبِّهِمْ لَمْ يَخِرُّوْا عَلَيْهَا صُمًّا وَّعُمْيَانًا

(মুমিন তো তারাই) যখন তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের আয়াতসমূহ স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়, তখন তারা অন্ধ এবং বধিরের মতো আচরণ করে না। (সূরা ফুরক্বান- ৭৩)

ব্যাখ্যা : তারা এমন লোক নয়, যারা আল্লাহর আয়াত শুনে একটুও প্রভাবিত হয় না। বরং তারা এর দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়। সংশ্লিষ্ট আয়াতগুলোতে যেসব নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তারা তা মেনে চলে। যা ফরয করা হয়েছে, তা অবশ্যই পালন করে। যে কাজের নিন্দা করা হয়েছে, তা থেকে বিরত থাকে। যে আযাবের ভয় দেখানো হয়েছে, তার কল্পনা করতেই তাদের হৃদয় কেঁপে ওঠে।

বিনাবাক্যে আল্লাহ ও তাঁর নবীর ফায়সালা মেনে নেয়া :

وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَّلَا مُؤْمِنَةٍ اِذَا قَضَى اللهُ وَرَسُوْلُهٗۤ اَمْرًا اَنْ يَّكُوْنَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ اَمْرِهِمْؕ وَمَنْ يَّعْصِ اللهَ وَرَسُوْلَه فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُّبِيْنًا

কোন মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর জন্য এ অবকাশ নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যখন কোন কাজের নির্দেশ দেন, তখন সে কাজে তাদের কোন নিজস্ব সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করে, সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়। (সূরা আহযাব- ৩৬)

ইসলামের কোন বিধান জানার সাথে সাথে তা মেনে নেয়া :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اَطِيْعُوا اللهَ وَرَسُوْلَه وَلَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَاَنْتُمْ تَسْمَعُوْنَ وَلَا تَكُوْنُوْا كَالَّذِيْنَ قَالُوْا سَمِعْنَا وَهُمْ لَا يَسْمَعُوْنَ

হে মুমিনগণ! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করো এবং তোমরা যখন তাঁর কথা শ্রবণ কর তখন তা হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। আর তোমরা তাদের ন্যায় হয়ো না, যারা বলে- শ্রবণ করলাম; বস্তুত তারা শ্রবণ করে না। (সূরা আনফাল- ২০, ২১)

ব্যাখ্যা : এখানে শ্রবণ করা বলতে এমনভাবে শ্রবণ করাকে বুঝানো হয়েছে, যা মেনে নেয়া ও গ্রহণ করার অর্থ প্রকাশ করে। যেসব মুনাফিক মুখে ঈমানের কথা বলত কিন্তু আল্লাহর হুকুম মেনে চলত না এবং তার আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিত- এখানে তাদের দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।

দ্বীনের উপর অটল থাকা :

يُثَبِّتُ اللهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِى الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِى الْاٰخِرَةِ

যারা শাশ্বত বাণীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন। (সূরা ইবরাহীম- ২৭)

ধৈর্য, সততা ও আনুগত্যের জ্ঞানার্জন করা :

اَلصَّابِرِيْنَ وَالصَّادِقِيْنَ وَالْقَانِتِيْنَ وَالْمُنْفِقِيْنَ وَالْمُسْتَغْفِرِيْنَ بِالْاَسْحَارِ

তারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, বিনয়ী, দানশীল এবং শেষ রাত্রে ক্ষমা প্রার্থনাকারী। (সূরা আলে ইমরান- ১৭)

বিনয়ের সাথে সালাত প্রতিষ্ঠা করা :

قَدْ اَفْلَحَ الْمُؤْمِنُوْنَ اَ لَّذِيْنَ هُمْ فِيْ صَلَاتِهِمْ خَاشِعُوْنَ

অবশ্যই মুমিনগণ সফলকাম হয়েছে। আর (মুমিন তো তারাই) যারা নিজেদের সালাতে বিনয়ী। (সূরা মু’মিনূন- ১, ২)

তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করা :

وَالَّذِيْنَ يَبِيْتُوْنَ لِرَبِّهِمْ سُجَّدًا وَّقِيَامًا

তারা তাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সিজদাবনত ও দন্ডায়মান হয়ে রাত্রি অতিবাহিত করে। (সূরা ফুরক্বান- ৬৪)

শেষরাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা :

كَانُوْا قَلِيْلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُوْنَ وَبِالْاَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ

তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রাবস্থায় অতিবাহিত করত এবং রাত্রির শেষ প্রহরে ক্ষমাপ্রার্থনা করত।

(সূরা যারিয়াত- ১৭, ১৮)

কোন পাপ হয়ে গেলে সাথে সাথে তাওবা করা :

وَالَّذِيْنَ اِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَةً اَوْ ظَلَمُوْاۤ اَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللهَ فَاسْتَغْفَرُوْا لِذُنُوْبِهِمْؕ وَمَنْ يَّغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اللهُ وَلَمْ يُصِرُّوْا عَلٰى مَا فَعَلُوْا وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ

যারা- যখনই কোন অশ্লীল কাজ করে ফেলে কিংবা নিজেদের জীবনের প্রতি অত্যাচার করে ফেলে, তখনই আল্লাহকে স্মরণ করে নিজেদের অপরাধসমূহের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে (তারাই মুমিন)। আর আল্লাহ ব্যতীত কে আছে, যে অপরাধসমূহ ক্ষমা করতে পারে? আর তারা যা (পাপ) করেছে, তার উপর জেনে-শুনে অটল থাকে না। (সূরা আলে ইমরান- ১৩৫)

ভীত অবস্থায় আল্লাহকে ডাকা :

تَتَجَافٰى جُنُوْبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَّطَمَعًا وَّمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ

তাদের দেহ বিছানা থেকে আলাদা থাকে, তারা তাদের প্রতিপালককে আহবান করতে থাকে ভয় ও আশার সাথে। আর আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। (সূরা সাজদা- ১৬)

আমল কবুল হচ্ছে কি না- এ ভয়ে ভীত থাকা :

وَالَّذِيْنَ يُؤْتُوْنَ مَاۤ اٰتَوْا وَّقُلُوْبُهُمْ وَجِلَةٌ اَنَّهُمْ اِلٰى رَبِّهِمْ رَاجِعُوْنَ اُولٰٓئِكَ يُسَارِعُوْنَ فِى الخَيْرَاتِ وَهُمْ لَهَا سَابِقُوْنَ

যারা তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত সম্পদ থেকে দান করে এবং মনে মনে এ ভয়ও রাখে যে, তাদেরকে একদিন তাদের প্রতিপালকের কাছে ফিরে যেতে হবে। তারাই কল্যাণকর কাজ দ্রুত সম্পাদন করে এবং তারা তাতে দ্রুত অগ্রগামী হয়। (সূরা মু’মিনূন- ৬০, ৬১)

ব্যাখ্যা : ইবাদাত মুমিনদের অন্তরে কোন অহংকার জন্ম দেয় না। অধিক ইবাদাতের ফলে আগুন তাদেরকে স্পর্শ করতে পারবে না- এ ধরনের আত্মগর্বও তাদের মনে সৃষ্টি হয় না। বরং নিজেদের সমস্ত সৎকাজ ও ইবাদাত থাকা সত্ত্বেও তারা এ ভয়ে কাঁপতে থাকে যে, এসব আমল কবুল হলো কি না? আবার তারা কাজের বিনিময়ে জান্নাত লাভ করে নেয়ার অহংকারও করে না। বরং তারা নিজেদের মানবিক দুর্বলতার কথা চিন্তা করে সর্বদা আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহের উপর ভরসা করে। আল্লাহর হুকুম পালনের ক্ষেত্রে তারা যেসব ত্যাগ স্বীকার করে সেজন্য একটুও গর্ব করে না এবং আল্লাহর প্রিয়পাত্র হয়ে যাওয়ার অহংকারেও লিপ্ত হয় না। বরং নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সবকিছু করার পরও এ মর্মে আল্লাহর ভয়ে ভীত থাকে যে, এসব আমল তাঁর কাছে গৃহীত হবে কি না, নিজেদের গোনাহের মুকাবিলায় এগুলো ভারী প্রমাণিত হবে কি না এবং আল্লাহর কাছে মাগফিরাতের জন্য এগুলো যথেষ্ট হবে কি না।

পরিবারকে পাপ থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করা :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا قُوْاۤ اَنْفُسَكُمْ وَاَهْلِيْكُمْ نَارًا وَّقُوْدُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ

হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার-পরিজনকে ঐ অগ্নি হতে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর। (সূরা তাহরীম- ৬)

তাদেরকে সালাত ও ইবাদাতের নির্দেশ দেয়া :

وَاْمُرْ اَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْاَلُكَ رِزْقًاؕ نَحْنُ نَرْزُقُكَؕ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوٰى

তোমরা তোমাদের পরিবারবর্গকে সালাতের আদেশ দাও ও তাতে অটল থাকো। আমি তোমার নিকট কোন রিযিক চাই না, কেননা আমিই তো তোমাকে রিযিক দেই। আর শুভ পরিণাম মুত্তাক্বীদের জন্য। (সূরা ত্বা-হা- ১৩২)

মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা :

وَالَّذِيْنَ اِذَاۤ اَنْفَقُوْا لَمْ يُسْرِفُوْا وَلَمْ يَقْتُرُوْا وَكَانَ بَيْنَ ذٰلِكَ قَوَامًا

আর যখন তারা ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না এবং কার্পণ্যও করে না। বরং তারা এতদুভয়ের মাঝে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে। (সূরা ফুরক্বান- ৬৭)

ব্যাখ্যা : তাদের অবস্থা এ নয় যে, আরাম-আয়েশ, বিলাসিতা, মদ-জুয়া, বন্ধুবান্ধব, মেলা ও বিয়ে-শাদীর পেছনে অথবা নিজেদের সামর্থ্যের চেয়ে অনেক বেশি করে নিজেকে উপস্থাপনের জন্য খাবার-দাবার, পোশাক-পরিচ্ছদ, বাড়ি-গাড়ি, সাজ-গোজ ইত্যাদির পেছনে অঢেল সম্পদ ব্যয় করে চলছে। আবার তারা এমন অর্থলোভীর মতোও নয়, যারা প্রতিটি পয়সা গুণে গুণে জমা রাখে। ফলে সে নিজেও ভালোভাবে খায় না, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের ছেলে-মেয়ে ও পরিবার-পরিজনের লোকদের প্রয়োজনও সঠিকভাবে পূর্ণ করে না এবং কোন ভালো কাজে প্রাণ খুলে কোনকিছু ব্যয়ও করে না। বরং তারা ভারসাম্য রক্ষা করে চলে, যা আল্লাহর সৎ বান্দাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

বিনয় ও নম্রতার সাথে জীবন-যাপন করা :

وَعِبَادُ الرَّحْمٰنِ الَّذِيْنَ يَمْشُوْنَ عَلَى الْاَرْضِ هَوْنًا وَّاِذَا خَاطَبَهُمُ الْجَاهِلُوْنَ قَالُوْا سَلَامًا

‘রহমান’-এর বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং যখন তাদেরকে অজ্ঞ ব্যক্তিরা সম্বোধন করে, তখন তারা বলে, ‘সালাম’। (সূরা ফুরক্বান- ৬৩)

চালচলনে ভারসাম্য রক্ষা করা :

وَاقْصِدْ فِيْ مَشْيِكَ وَاغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَؕ اِنَّ اَنْكَرَ الْاَصْوَاتِ لَصَوْتُ الْحَمِيْرِ

আর তুমি তোমার চলাফেরায় মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো এবং তোমার কণ্ঠস্বর নীচু রাখো। নিঃসন্দেহে স্বরের মধ্যে গাধার স্বরই সবচেয়ে অপছন্দনীয়। (সূরা লুক্বমান- ১৯)

মানুষের সাথে কোমল আচরণ করা :

فَبِمَا رَحْمَةٍ مِّنَ اللهِ لِنْتَ لَهُمْۚ وَلَوْ كُنْتَ فَظًّا غَلِيْظَ الْقَلْبِ لَانْفَضُّوْا مِنْ حَوْلِكَ فَاعْفُ عَنْهُمْ وَاسْتَغْفِرْ لَهُمْ وَشَاوِرْهُمْ فِى الْاَمْرِ فَاِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى اللهِۚ اِنَّ اللهَ يُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِيْنَ

অতএব আল্লাহর অনুগ্রহ এই যে, তুমি তাদের সাথে কোমলচিত্তের অধিকারী হিসেবে রয়েছ। তুমি যদি কর্কশভাষী ও কঠোর হৃদয়ের অধিকারী হতে, তবে নিশ্চয় তারা তোমার সংস্পর্শে আসা হতে বিরত থাকত। অতএব তুমি তাদের (ভুল-ত্রুটিসমূহ) উপেক্ষা করো এবং তাদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করো। আর কাজকর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করো। অতঃপর যখন তুমি (কোন বিষয়ে) সঙ্কল্পবদ্ধ হও, তখন আল্লাহর উপর নির্ভর করো। নিশ্চয় আল্লাহ (তাঁর উপর) নির্ভরশীলদেরকে ভালোবাসেন। (সূরা আলে ইমরান- ১৫৯)

ভিক্ষুক ও গরীবের হক আদায় করা :

وَالَّذِيْنَ فِۤيْ اَمْوَالِهِمْ حَقٌّ مَّعْلُوْمٌ لِلسَّآئِلِ وَالْمَحْرُوْمِ

আর (যারা মনে করে) তাদের সম্পদে নির্ধারিত হক রয়েছে- ভিক্ষুক ও বঞ্চিতদের জন্য। (সূরা মা‘আরিজ- ২৪, ২৫)

মেহমানের সেবা করা :

هَلْ اَتَاكَ حَدِيْثُ ضَيْفِ اِبْرَاهِيْمَ الْمُكْرَمِيْنَ اِذْ دَخَلُوْا عَلَيْهِ فَقَالُوْا سَلَامًاؕ قَالَ سَلَامٌۚ قَوْمٌ مُّنْكَرُوْنَ فَرَاغَ اِلٰۤى اَهْلِه فَجَآءَ بِعِجْلٍ سَمِيْنٍ

হে নবী! তোমার নিকট ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের কাহিনী এসেছে কি? যখন তারা তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, (আপনার প্রতি) সালাম। উত্তরে তিনি বললেন, (আপনাদেরকেও) সালাম, তোমরা তো অপরিচিত সম্প্রদায়। অতঃপর সে তাঁর স্ত্রীর নিকট গেল এবং একটি ভূনা করা মোটা-তাজা গরুর বাছুর নিয়ে আসল। (সূরা যারিয়াত, ২৪-২৬)

অসহায় মানুষ দেখলে সাহায্য করা :

وَلَمَّا وَرَدَ مَآءَ مَدْيَنَ وَجَدَ عَلَيْهِ اُمَّةً مِّنَ النَّاسِ يَسْقُوْنَ وَوَجَدَ مِنْ دُوْنِهِمُ امْرَاَتَيْنِ تَذُوْدَانِۚ قَالَ مَا خَطْبُكُمَاؕ قَالَتَا لَا نَسْقِيْ حَتّٰى يُصْدِرَ الرِّعَآءُ وَاَبُوْنَا شَيْخٌ كَبِيْرٌ فَسَقٰى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلّٰۤى اِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ اِنِّيْ لِمَاۤ اَنْزَلْتَ اِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيْرٌ

যখন তিনি (মূসা আঃ) মাদইয়ানের কূপের নিকট পৌঁছলেন এবং দেখলেন যে, একদল লোক তাদের পশুগুলোকে পানি পান করাচ্ছে এবং তাদের পেছনে দু’জন নারী তাদের পশুগুলোকে আগলে রাখছে। তখন তিনি বললেন, তোমাদের কী ব্যাপার? তারা বলল, আমরা আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারি না, যতক্ষণ না রাখালরা তাদের পশুগুলোকে নিয়ে সরে না যায়। আর আমাদের পিতা অতি বৃদ্ধ। অতঃপর তিনি তাদের পশুগুলোকে পানি পান করিয়ে দিলেন। তারপর তিনি এক ছায়ার নিচে আশ্রয় গ্রহণ করে বললেন, হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ দান করবে, আমি তো তারই মুখাপেক্ষী। (সূরা ক্বাসাস- ২৩, ২৪)

কেউ উপকার করলে নিজেও তার উপকার করার চেষ্টা করা :

فَجَآءَتْهُ اِحْدَاهُمَا تَمْشِيْ عَلَى اسْتِحْيَآءٍۚ قَالَتْ اِنَّ اَبِيْ يَدْعُوْكَ لِيَجْزِيَكَ اَجْرَ مَا سَقَيْتَ لَنَا

তখন নারীদ্বয়ের একজন লজ্জাবনত অবস্থায় তাঁর নিকট আসল এবং বলল, আমার পিতা আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করানোর পারিশ্রমিক দেয়ার জন্য আপনাকে আমন্ত্রণ করেছেন। (সূরা ক্বাসাস- ২৫)

একজন যতটুকু ভদ্রতা দেখায় তার সাথে তার চেয়ে বেশি ভদ্রতা দেখানো :

وَاِذَا حُيِّيْتُمْ بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوْا بِاَحْسَنَ مِنْهَاۤ اَوْ رُدُّوْهَا ؕ اِنَّ اللهَ كَانَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ حَسِيْبًا

তোমাদেরকে যখন অভিবাদন করা হয়, তখন তোমরাও তার চেয়ে আরো উত্তম অভিবাদন জানাবে অথবা তারই অনুরূপ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ের হিসাব গ্রহণকারী। (সূরা নিসা- ৮৬)

মানুষের ভুল-ত্রুটিকে ক্ষমা করে দেয়া :

اَلَّذِيْنَ يُنْفِقُوْنَ فِى السَّرَّآءِ وَالضَّرَّآءِ وَالْكَاظِمِيْنَ الْغَيْظَ وَالْعَافِيْنَ عَنِ النَّاسِؕ وَاللهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِيْنَ

যারা স্বচ্ছলতা ও অভাবের মধ্যে থেকেও ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ সংবরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকেই ভালোবাসেন। (সূরা আলে ইমরান- ১৩৪)

খারাপ আচরণের মুকাবিলায় ভালো আচরণ করা :

وَيَدْرَءُوْنَ بِالْحَسَنَةِ السَّيِّئَةَ اُولٰٓئِكَ لَهُمْ عُقْبَى الدَّارِ

যারা ভালো দ্বারা মন্দকে দূরীভূত করে দেয়, এদের জন্যই রয়েছে শুভ পরিণাম। (সূরা রা‘দ- ২২)

তবে ইসলামের শত্রুদের কাছে দুর্বল না হওয়া :

فَاصْبِرْ اِنَّ وَعْدَ اللهِ حَقٌّ وَّلَا يَسْتَخِفَّنَّكَ الَّذِيْنَ لَا يُوْقِنُوْنَ

অতএব আপনি ধৈর্যধারণ করুন; নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। (সুতরাং) যারা দৃঢ়বিশ্বাসী নয় তারা যেন আপনাকে দুর্বল করতে না পারে। (সূরা রূম- ৬০)

وَالَّذِيْنَ اِذَاۤ اَصَابَهُمُ الْبَغْيُ هُمْ يَنْتَصِرُوْنَ

আর যারা অত্যাচারিত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে। (সূরা শূরা- ৩৯)

ব্যাখ্যা : এটাও ঈমানদারদের একটি সর্বোৎকৃষ্ট গুণ। তারা যালিম ও নিষ্ঠুরদের জন্য সহজ শিকার নয়। তাদের কোমলতা এবং ক্ষমাশীলতা দুর্বলতার কারণে নয়। তাদেরকে মিসকীন হয়ে থাকার শিক্ষা দেয়া হয়নি। তাদের ভদ্রতার দাবী হচ্ছে, তারা বিজয়ী হলে পরাজিতদের দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করে দেয়। অধীনস্ত ও দুর্বল ব্যক্তির দ্বারা কোন ভুল-ত্রুটি সংঘটিত হলে তা উপেক্ষা করে যায়। কিন্তু কোন শক্তিশালী ব্যক্তি যদি তার শক্তির অহংকারে তার প্রতি বাড়াবাড়ি করে, তাহলে বুক টান করে দাঁড়িয়ে যায় এবং তাকে উচিত শিক্ষা দেয়। মুমিন কখনো যালিমের কাছে হার মানে না এবং অহংকারীর সামনে মাথা নত করে না। এ ধরনের লোকদের জন্য তারা বড় কঠিন খাদ্য, যা চিবানোর প্রচেষ্টাকারীর মাড়িই ভেঙ্গে দেয়।

কেউ বাড়াবাড়ি করলে সমপরিমাণ প্রতিশোধ নেয়া :

وَجَزَآءُ سَيِّئَةٍ سَيِّئَةٌ مِّثْلُهَاۚ فَمَنْ عَفَا وَاَصْلَحَ فَاَجْرُهٗ عَلَى اللهِؕ اِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الظَّالِمِيْنَ

মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ, তবে যে ক্ষমা করে দেয় ও সংশোধন করে নেয় তার পুরস্কার আল্লাহর নিকট। নিশ্চয় আল্লাহ যালিমদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা শূরা- ৪০)

ব্যাখ্যা : প্রতিশোধ গ্রহণের বৈধ সীমা হচ্ছে, কারো প্রতি যতটুকু অন্যায় করা হয়েছে সে তার প্রতি ঠিক ততটুকুই প্রতিশোধ নেবে। তার চেয়ে বেশি কিছু করার অধিকার তার নেই। অন্যের কৃত যুলুমের প্রতিশোধ গ্রহণ করতে যেয়ে নিজেই যালিম হওয়া উচিত নয়। একটি অন্যায়ের পরিবর্তে তার চেয়ে বড় অন্যায় করে ফেলা বৈধ নয়। যদি কেউ কাউকে একটি চপেটাঘাত করে তাহলে সে তাকে একটি চপেটাঘাতই করতে পারে, অসংখ্য লাথি ও ঘুঁষি মারতে পারে না। অনুরূপ গোনাহের প্রতিশোধ গোনাহের কাজের মাধ্যমে নেয়া ঠিক নয়। যেমন কোন দুষ্ট লোক যদি কারো বোন বা কন্যার সাথে ব্যভিচার করে, তাহলে সেই ব্যক্তির জন্য তার বোন বা কন্যার সাথে ব্যভিচার করা জায়েয হবে না।

পরস্পর বিবাদ দেখা দিলে মীমাংসা করে নেয়া :

فَاتَّقُوا اللهَ وَاَصْلِحُوْا ذَاتَ بَيْنِكُمْ

আল্লাহকে ভয় করো এবং নিজেদের মধ্যে সংশোধন করে নাও। (সূরা আনফাল- ১)

ভালো কাজে একে অপরের সহযোগিতা করা :

وَتَعَاوَنُوْا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوٰىۚ وَلَا تَعَاوَنُوْا عَلَى الْاِثْمِ وَالْعُدْوَانِؕ وَاتَّقُوا اللهَ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ

সৎকর্ম ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পর সহযোগিতা করো; কিন্তু পাপ ও সীমালঙ্ঘনমূলক কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় করো; নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তিদানে খুবই কঠোর। (সূরা মায়েদা- ২)

সত্য ও সঠিক কথা বলা :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَقُوْلُوْا قَوْلًا سَدِيْدًا يُصْلِحْ لَكُمْ اَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْؕ وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيْمًا

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো। (তাহলে) আল্লাহ তোমাদের আমলগুলোকে সংশোধন করে দেবেন এবং তোমাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে, সে তো মহাসাফল্য লাভ করবে। (সূরা আহযাব- ৭০, ৭১)

পৃথিবীতে ঘুরে আল্লাহর কুদরত অবলোকন করা :

قُلْ سِيْرُوْا فِى الْاَرْضِ فَانْظُرُوْا كَيْفَ بَدَاَ الْخَلْقَ ثُمَّ اللهُ يُنْشِئُ النَّشْاَةَ الْاٰخِرَةَؕ اِنَّ اللهَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

বলো, তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করো এবং লক্ষ্য করো, কীভাবে তিনি সৃষ্টি আরম্ভ করেছেন? অতঃপর পরবর্তীতে অপর সৃষ্টিকে আল্লাহ সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (সূরা আনকাবূত- ২০)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন