hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৬০
অধ্যায়- ৩ : আল্লাহর সাথে কারো অংশীদারিত্ব নেই
আল্লাহর কোন সন্তান নেই :

وَقَالُوا اتَّخَذَ اللهُ وَلَدًا سُبْحَانَهٗؕ بَلْ لَّهٗ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِؕ كُلٌّ لَّهٗ قَانِتُوْنَ

তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। অথচ তিনি তা থেকে পবিত্র, বরং আকাশমন্ডলী ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই (মালিকানাধীন) এবং সবকিছু তাঁরই অনুগত। (সূরা বাক্বারা- ১১৬)

وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمٰنُ وَلَدًا لَقَدْ جِئْتُمْ شَيْئًا اِدًّا تَكَادُ السَّمَاوَاتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَتَنْشَقُّ الْاَرْضُ وَتَخِرُّ الْجِبَالُ هَدًّا اَنْ دَعَوْا لِلرَّحْمٰنِ وَلَدًا

তারা বলে, দয়াময় (আল্লাহ) সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এক কঠিন বিষয়ের অবতারণা করেছ। (এটা এতই কঠিন যে, এ কারণে) আকাশমন্ডলী বিদীর্ণ হয়ে যাবে, পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হয়ে যাবে এবং পর্বতগুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে পতিত হয়ে যাবে। যেহেতু তারা দয়াময়ের প্রতি সন্তান আরোপ করে। (সূরা মারইয়াম, ৮৮-৯১)

ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানরা আল্লাহর পুত্র সাব্যস্ত করে :

وَقَالَتِ الْيَهُوْدُ عُزَيْرُنِ ابْنُ اللهِ وَقَالَتِ النَّصَارَى الْمَسِيْحُ ابْنُ اللهِ

ইয়াহুদিরা বলে, উযাইর আল্লাহর পুত্র এবং খ্রিস্টানরা বলে, মাসীহ আল্লাহর পুত্র। (সূরা তাওবা- ৩০)

ব্যাখ্যা : পুত্র দু’রকম হতে পারে। ঔরসজাত আর পালিত। তারা যদি কাউকে ঔরসজাত অর্থে আল্লাহর পুত্র গণ্য করে তাহলে এর অর্থ হবে, তারা আল্লাহকে এমন এক জীবের মতো মনে করে, যে মরণশীল এবং যার অস্তিত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য একজন স্ত্রী হতে হবে এবং তাদের দু’জনের সম্পর্কের মাধ্যমে তার সন্তান হবে। আর যদি তারা রূপক অর্থে কাউকে আল্লাহর পুত্র হিসেবে গণ্য করে তাহলে এর অর্থ হবে, তারা আল্লাহকে এমন এক মানুষের মতো মনে করে, যে নিঃসন্তান হওয়ার কারণে নিজের উত্তরাধিকারী করার উদ্দেশ্যে কোন একজনকে পালকপুত্র হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

আল্লাহর সন্তান আছে- এটা তাদের মনগড়া দাবী :

اَلَاۤ اِنَّهُمْ مِّنْ اِفْكِهِمْ لَيَقُوْلُوْنَ وَلَدَ اللهُ وَاِنَّهُمْ لَكَاذِبُوْنَ

দেখো, তারা তো নিজেদের মনগড়া কথা অনুযায়ী বলে থাকে যে, আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন; নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী। (সূরা সাফ্ফাত- ১৫১, ১৫২)

এর কোন দলীল নেই :

قَالُوا اتَّخَذَ اللهُ وَلَدًا سُبْحَانَهٗؕ هُوَ الْغَنِيُّؕ لَهٗ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْاَرْضِؕ اِنْ عِنْدَكُمْ مِّنْ سُلْطَانٍ ۢبِهٰذَاؕ اَتَقُوْلُوْنَ عَلَى اللهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ

তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন; অথচ তিনি (এ থেকে) পবিত্র এবং তিনি অভাবমুক্ত। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই (মালিকানাধীন); কিন্তু এ বিষয়ে তোমাদের নিকট কোন দলিল নেই। তোমরা কি আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কিছু বলছ, যে বিষয়ে তোমাদের কোন জ্ঞান নেই? (সূরা ইউনুস- ৬৮)

মুশরিকরা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা সাব্যস্ত করে :

وَجَعَلُوا الْمَلَآئِكَةَ الَّذِيْنَ هُمْ عِبَادُ الرَّحْمٰنِ اِنَاثًاؕ اَشَهِدُوْا خَلْقَهُمْؕ سَتُكْتَبُ شَهَادَتُهُمْ وَيُسْاَلُوْنَ

তারা দয়াময় আল্লাহর বান্দা ফেরেশতাদেরকে কন্যা হিসেবে গণ্য করেছে। এদের সৃষ্টির সময় কি তারা উপস্থিত ছিল? তাদের সাক্ষী লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে। (সূরা যুখরুফ- ১৯)

اَفَاَصْفَاكُمْ رَبُّكُمْ بِالْبَنِيْنَ وَاتَّخَذَ مِنَ الْمَلَآئِكَةِ اِنَاثًاؕ اِنَّكُمْ لَتَقُوْلُوْنَ قَوْلًا عَظِيْمًا

তোমাদের প্রতিপালক কি তোমাদেরকে পুত্রসন্তানের জন্য নির্বাচিত করেছেন এবং তিনি কি নিজে ফেরেশতাদেরকে কন্যা হিসেবে গ্রহণ করেছেন? তোমরা তো ভয়ানক কথা বলে থাক! (সূরা বনী ইসরাঈল- ৪০)

এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বণ্টন :

اَصْطَفَى الْبَنَاتِ عَلَى الْبَنِيْنَ مَا لَكُمْؕ كَيْفَ تَحْكُمُوْنَ

তিনি কি পুত্রসন্তানের পরিবর্তে কন্যাসন্তানকে নির্বাচন করেছেন? তোমাদের কী হলো? তোমরা এ কেমন সিদ্ধান্ত দিচ্ছ? (সূরা সাফ্ফাত- ১৫৩, ১৫৪)

اَلَكُمُ الذَّكَرُ وَلَهُ الْاُنْثٰى تِلْكَ اِذًا قِسْمَةٌ ضِيْزٰى

তবে কি তোমাদের জন্য পুত্র, আর তাঁর (আল্লাহর) জন্য কন্যাসন্তান (নির্ধারণ করেছ)? এ প্রকার বণ্টন তো অসঙ্গত। (সূরা নাজম- ২১, ২২)

তারা নিজেরাই কন্যাসন্তান পছন্দ করে না :

وَاِذَا بُشِّرَ اَحَدُهُمْ بِالْاُنْثٰى ظَلَّ وَجْهُهٗ مُسْوَدًّا وَّهُوَ كَظِيْمٌ يَتَوَارٰى مِنَ الْقَوْمِ مِنْ سُوْٓءِ مَا بُشِّرَ بِهٖؕ اَيُمْسِكُهٗ عَلٰى هُوْنٍ اَمْ يَدُسُّهٗ فِى التُّرَابِؕ اَ لَا سَآءَ مَا يَحْكُمُوْنَ

যখন তাদের কাউকে কন্যাসন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়, তখন তার মুখমন্ডল কালো হয়ে যায় এবং সে অসহনীয় আক্ষেপে ক্লিষ্ট হয়। তাদেরকে যে বিষয়ে সুসংবাদ দেয়া হয়, তার কারণে মনের কষ্টে সে নিজ সম্প্রদায় হতে আত্মগোপন করে। সে চিন্তা করে যে, হীনতা সত্ত্বেও সে তাকে রেখে দেবে, নাকি মাটিতে পুঁতে দেবে। সাবধান! তারা যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা কতই না নিকৃষ্ট। (সূরা নাহল- ৫৮, ৫৯)

সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর কাজ নয় :

مَا كَانَ لِلّٰهِ اَنْ يَّتَّخِذَ مِنْ وَّلَدٍ سُبْحَانَهٗؕ اِذَا قَضٰۤى اَمْرًا فَاِنَّمَا يَقُوْلُ لَهٗ كُنْ فَيَكُوْنُ

সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর কাজ নয়, তিনি (এর থেকে) পবিত্র ও মহিমাময়। তিনি যখনই কোনকিছু স্থির করেন তখন বলেন, হও; ফলে সেটা (সাথে সাথেই) হয়ে যায়। (সূরা মারইয়াম- ৩৫)

وَمَا يَنْۢبَغِيْ لِلرَّحْمٰنِ اَنْ يَّتَّخِذَ وَلَدًا

আর সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভনীয় নয়! (সূরা মারইয়াম- ৯২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন