hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৩৭
অধ্যায়- ৫ : তাসবীহ পাঠ করা
আল্লাহর তাসবীহ পাঠের নির্দেশ :

فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَكُنْ مِّنَ السَّاجِدِيْنَ

প্রশংসার সাথে তুমি তোমার রবের তাসবীহ পাঠ করো এবং সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হও। (সূরা হিজর- ৯৮)

سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْاَعْلٰى

তুমি তোমার সুমহান প্রতিপালকের নামে পবিত্রতা ঘোষণা করো। (সূরা আ‘লা- ১)

فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيْمِ

সুতরাং তুমি তোমার মহান প্রতিপালকের নামের সাথে পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো। (সূরা ওয়াক্বিয়া- ৭৪)

সকাল-সন্ধ্যায় তাসবীহ পাঠের নির্দেশ :

فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ بِالْعَشِيِّ وَالْاِبْكَارِ

সকাল-সন্ধ্যায় তোমার প্রতিপালকের প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো। (সূরা মু’মিন- ৫৫)

وَسَبِّحْ بِالْعَشِيِّ وَالْاِبْكَارِ

সকাল ও সন্ধ্যায় তাসবীহ পাঠ করো। (সূরা আলে ইমরান- ৪১)

সালাতের শেষে তাসবীহ পাঠের আদেশ :

وَمِنَ اللَّيْلِ فَسَبِّحْهُ وَاَدْبَارَ السُّجُوْدِ

তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো রাত্রির একাংশে এবং সালাতের পরেও। (সূরা ক্বাফ- ৪০)

ঘুম থেকে উঠার পর তাসবীহ পাঠের আদেশ :

وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ حِيْنَ تَقُوْمُ

যখন তুমি শয্যা ত্যাগ কর তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো। (সূরা তূর- ৪৮)

ব্যাখ্যা : এ কথাটির কয়েকটি অর্থ হতে পারে। আর এখানে সবগুলো অর্থ গ্রহণীয় হওয়া সম্ভব। (এক) তুমি যখনই কোন মজলিস থেকে উঠবে আল্লাহর প্রশংসা ও তাসবীহ পাঠ করে উঠবে। (দুই) যখন তোমরা ঘুম থেকে জেগে বিছানা ত্যাগ করবে তখন তোমার রবের প্রশংসা করবে। (তিন) তোমরা যখন নামাযের জন্য দাঁড়াবে তখন আল্লাহর হামদ ও তাসবীহ দ্বারা সূচনা করবে। (চার) যখন তোমরা আল্লাহর পথে আহবান জানানোর জন্য প্রস্তুত হবে, তখন আল্লাহর প্রশংসা ও তাসবীহ দ্বারা সূচনা করবে। নবী ﷺ এ নির্দেশটি নিয়মিত পালন করতেন। তিনি সবসময় আল্লাহর প্রশংসার মাধ্যমে এসব কাজ শুরু করতেন।

ফেরেশতারা আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে :

وَالْمَلَآئِكَةُ يُسَبِّحُوْنَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ

ফেরেশতারা প্রশংসার সাথে তাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। (সূরা শূরা- ৫)

তারা তাসবীহ পাঠে কোন ত্রুটি করে না এবং ক্লান্তও হয় না :

يُسَبِّحُوْنَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ لَا يَفْتُرُوْنَ

তারা রাত্রে ও দিনে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং এতে কোন রকম শৈথিল্য করে না। (সূরা আম্বিয়া- ২০)

দাউদ (আঃ) এর সাথে পাহাড় ও পাখীরাও তাসবীহ পাঠ করত :

وَسَخَّرْنَا مَعَ دَاوُوْدَ الْجِبَالَ يُسَبِّحْنَ وَالطَّيْرَ وَكُنَّا فَاعِلِيْنَ

আমি পর্বত ও বিহঙ্গকুলকে দাউদের অধীন করে দিয়েছিলাম, ফলে তারা দাউদের সঙ্গে আমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করত। আর আমিই এ সবকিছুর কর্তা। (সূরা আম্বিয়া- ৭৯)

বজ্রধ্বনিও আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে :

وَيُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهٖ وَالْمَلَآئِكَةُ مِنْ خِيْفَتِهٖ

আর বজ্রধ্বনিও প্রশংসার সাথে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং ফেরেশতারাও তাঁর ভয়ে (তাসবীহ পাঠ করে)। (সূরা রা‘দ- ১৩)

আকাশ ও পৃথিবীর সবকিছুই আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে :

يُسَبِّحُ لِلّٰهِ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْاَرْضِ

আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছুই আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। (সূরা জুমু‘আ- ১; সূরা তাগাবুন- ১; সূরা সাফ- ১)

সকলেই নিজ নিজ তাসবীহের ধরণ বুঝতে পারে :

اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللهَ يُسَبِّحُ لَهٗ مَنْ فِى السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَالطَّيْرُ صَآفَّاتٍ ؕ كُلٌّ قَدْ عَلِمَ صَلَاتَهٗ وَتَسْبِيْحَهٗؕ وَاللهُ عَلِيْمٌ ۢبِمَا يَفْعَلُوْنَ

তুমি কি দেখ না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা এবং উড্ডীয়মান বিহঙ্গকুল আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে? প্রত্যেকেই তাঁর ইবাদাত ও পবিত্রতা ঘোষণার পদ্ধতি সম্পর্কে জানে। আর তারা যা করে সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবগত। (সূরা নূর- ৪১)

মানুষ তাদের তাসবীহ বুঝতে পারে না :

تُسَبِّحُ لَهُ السَّمٰوَاتُ السَّبْعُ وَالْاَرْضُ وَمَنْ فِيْهِنَّؕ وَاِنْ مِّنْ شَيْءٍ اِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِهٖ وَلٰكِنْ لَّا تَفْقَهُوْنَ تَسْبِيْحَهُمْ

সপ্তাকাশ, পৃথিবী এবং তাদের অন্তর্বর্তী সবকিছু তাঁরই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। আর এমন কিছু নেই, যা তাঁর প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে না। কিন্তু তোমরা তাদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করাটা অনুধাবন করতে পার না। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৪৪)

মুমিন ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য হলো তাসবীহ পাঠ করা :

اِنَّمَا يُؤْمِنُ بِاٰيَاتِنَا الَّذِيْنَ اِذَا ذُكِّرُوْا بِهَا خَرُّوْا سُجَّدًا وَّسَبَّحُوْا بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ

কেবল তারাই আমার নিদর্শনগুলোর প্রতি ঈমান রাখে, যাদেরকে আমার আয়াতসমূহ স্মরণ করিয়ে দেয়া হলে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং স্বীয় প্রতিপালকের প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে; আর তারা অহংকার করে না। (সূরা সাজদা- ১৫)

তাসবীহ পাঠ বিপদ থেকে মুক্তি লাভের উপায় :

فَنَادٰى فِى الظُّلُمَاتِ اَنْ لَّاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّيْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّؕ وَكَذٰلِكَ نُنْجِى الْمُؤْمِنِيْنَ

অতঃপর সে (ইউনুস আঃ) অন্ধকার হতে (মাছের পেট থেকে) আহবান করেছিল যে, ‘‘তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, তুমিই পবিত্র ও মহান এবং আমি সীমালঙ্ঘনকারী।’’ তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে তার মানসিক দুশ্চিন্তা হতে রক্ষা করেছিলাম। এভাবেই আমি মুমিনদেরকে উদ্ধার করে থাকি। (সূরা আম্বিয়া- ৮৭, ৮৮)

যানবাহনে সওয়ার হওয়ার তাসবীহ :

سُبْحَانَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَمَا كُنَّا لَهٗ مُقْرِنِيْنَ

তিনিই পবিত্র ও মহান, যিনি এদেরকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যদিও আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। (সূরা যুখরুফ- ১৩)

ব্যাখ্যা : অর্থাৎ প্রতিটি সফরে যাওয়ার সময় স্মরণ করো যে, সামনে আরো একটি বড় সফর আছে; আর সেটিই শেষ সফর। তাছাড়া যে কোন সওয়ারী ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনাও থাকে যে, হয়তো কোন দুর্ঘটনা এ সফরকেই তার শেষ সফর বানিয়ে দেবে। তাই মুমিন ব্যক্তির জন্য উত্তম হচ্ছে, সবসময় সে তার রবের কাছে ফিরে যাওয়ার বিষয়টিকে স্মরণ করে যাত্রা করবে। যে ব্যক্তি কোন সওয়ারীতে আরোহণের সময় পূর্ণ অনুভূতির সাথে এভাবে আল্লাহকে এবং তাঁর কাছে ফিরে যাওয়া ও জবাবদিহি করার কথা স্মরণ করে সে অগ্রসর হয়ে কোন পাপাচার অথবা যুলুম-নির্যাতনে জড়িত হতে পারে না। এসব কথা উচ্চারণ করে কেউ কোন চরিত্রহীনার সাথে সাক্ষাতের জন্য, কিংবা ক্লাবে মদ্যপান বা জুয়াখেলার উদ্দেশ্যে বের হতে পারে না। কোন শাসক, সরকারি কর্মচারী অথবা ব্যবসায়ী- যে মনে মনে এসব কথা ভাবে এবং মুখে উচ্চারণ করে বাড়ি থেকে বের হয় সে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে মানুষের হক নষ্ট করতে পারে না। আর এই একটিমাত্র জিনিসই তাকে গোনাহের কাজের প্রতিটি তৎপরতায় বাধা সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট।

তাসবীহ পাঠের কয়েকটি বাক্য :

وَسُبْحَانَ اللهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ

জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ পবিত্র ও মহিমান্বিত। (সূরা নামল- ৮)

فَسُبْحَانَ الَّذِيْ بِيَدِهٖ مَلَكُوْتُ كُلِّ شَيْءٍ

অতএব তিনি পবিত্র, যাঁর হাতে রয়েছে সর্ববিষয়ের সর্বময় ক্ষমতা। (সূরা ইয়াসীন- ৮৩)

سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِيْنَ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ

তারা (মুশরিকরা আল্লাহর ব্যাপারে) যা বলে থাকে তা থেকে আপনার প্রতিপালক মহিমান্বিত। ‘সালাম’ বর্ষিত হোক রাসূলগণের প্রতি। আর সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সারাবিশ্বের প্রতিপালক। (সূরা সাফ্ফাত, ১৮০-১৮২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন