hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৭১
অধ্যায়- ৮ : ঈসা (আঃ) এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
খ্রিস্টানরা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল :

وَمَكَرُوْا وَمَكَرَ اللهُؕ وَاللهُ خَيْرُ الْمَاكِرِيْنَ

তারা কৌশল করেছিল এবং আল্লাহও কৌশল গ্রহণ করলেন। মূলত আল্লাহই উত্তম কৌশলী। (সূরা আলে ইমরানু ৫৪)

ইয়াহুদিরা তাকে হত্যা করেছে বলে মনে করত :

اِنَّا قَتَلْنَا الْمَسِيْحَ عِيْسَى ابْنَ مَرْيَمَ رَسُوْلَ اللهِ

(ইয়াহুদিরা বলত) নিশ্চয় আমরা আল্লাহর রাসূল মারইয়ামের পুত্র ঈসা মাসীহকে হত্যা করেছি। (সূরা নিসা– ১৫৭)

ব্যাখ্যা : তাদের অপরাধ করার দুঃসাহস এতই বেড়ে গিয়েছিল, যার ফলে তারা আল্লাহর রাসূলকে রাসূল জেনেও তাকে হত্যা করার পদক্ষেপ নিয়েছিল এবং গর্ব করে বলেছিল, আমরা আল্লাহর রাসূলকে হত্যা করেছি। কোন জাতি এক ব্যক্তিকে নবী বলে জানার পরও তাকে হত্যা করেছে- এটা একটা বিস্ময়কর ব্যাপার মনে হলেও দুনিয়ার বিকৃত জাতিদের কাজকর্ম এমন বিস্ময়করই হয়ে থাকে। যে ব্যক্তি তাদের অন্যায় ও পাপকাজের সমালোচনা করে এবং তাদের অবৈধ কাজে বাধা দেয়, এমন কোন ব্যক্তিকে তারা সহ্য করতে পারে না। নবী হলেও এ ধরনের লোকেরা সর্বদা অসৎ, দুশ্চরিত্র ও পাপাচারী জাতিদের হাতে কারাযন্ত্রণা ও মৃত্যুদন্ড ভোগ করে এসেছেন।

আসলে তারা ঈসা (আঃ) কে হত্যা করতে পারেনি :

وَمَا قَتَلُوْهُ وَمَا صَلَبُوْهُ وَلٰكِنْ شُبِّهَ لَهُمْؕ وَاِنَّ الَّذِيْنَ اخْتَلَفُوْا فِيْهِ لَفِيْ شَكٍّ مِّنْهُؕ مَا لَهُمْ بِهٖ مِنْ عِلْمٍ اِلَّا اتِّبَاعَ الظَّنِّۚ وَمَا قَتَلُوْهُ يَقِيْنًا

তারা তাকে হত্যা করেনি এবং ক্রুশবিদ্ধও করেনি; কিন্তু তাদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। আর যারা তার সম্বন্ধে মতভেদ করেছিল, তারা এ সম্বন্ধে সংশয়যুক্ত ছিল; এ সম্পর্কে অনুমানের অনুসরণ ব্যতীত তাদের অন্য কোন জ্ঞানই ছিল না। তবে এটা নিশ্চিত যে, তারা তাকে হত্যা করেনি। (সূরা নিসা– ১৫৭)

আল্লাহ তাঁকে আকাশে উঠিয়ে নিয়েছেন :

اِذْ قَالَ اللهُ يَا عِيْسٰۤى اِنِّيْ مُتَوَفِّيْكَ وَرَافِعُكَ اِلَيَّ

স্মরণ করো, যখন আল্লাহ বললেন, হে ঈসা! নিশ্চয় আমি তোমাকে মৃত্যু দেব ও তোমাকে আমার দিকে তুলে নেব। (সূরা আলে ইমরানু ৫৫)

بَلْ رَّفَعَهُ اللهُ اِلَيْهِؕ وَكَانَ اللهُ عَزِيْزًا حَكِيْمًا

বরং আল্লাহ তাকে তাঁর নিকট তুলে নিয়েছেন। আর (এ ব্যাপারে) আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা নিসা– ১৫৮)

ব্যাখ্যা : এ আয়াতটি দ্ব্যর্থহীনভাবে এ কথা প্রমাণ করে যে, ঈসা (আঃ) কে শূলে চড়ানোর আগেই উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল। আর ঈসা (আঃ) শূলবিদ্ধ হয়ে জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন বলে খ্রিস্টান ও ইয়াহুদিরা যে ধারণা পোষণ করে তা নিছক একটি ভুল বুঝাবুঝি ছাড়া আর কিছুই নয়। ইয়াহুদিরা যে ব্যক্তিকে শূলে চড়িয়েছিল সে ঈসা ইবনে মারইয়াম ছিল না। তাছাড়া ঈসা (আঃ) কে শূলে চড়ানোর ব্যাপারে তাদের কোন সর্বসম্মত মত বা বক্তব্য নেই। এ ব্যাপারে তাদের মধ্যে বহু মতের প্রচলন রয়েছে।

তাদের একদল বলে, যে ব্যক্তিকে শূলে চড়ানো হয়েছিল সে ঈসা মাসীহ ছিল না। ঈসার চেহারায় সে ছিল অন্য এক ব্যক্তি। ইয়াহুদি ও রোমীয় সৈন্যরা তাকে লাঞ্ছনার সাথে শূলে চড়িয়েছিল। আর ঈসা মাসীহ সেখানে কোন এক স্থানে দাঁড়িয়ে তাদের নির্বুদ্ধিতায় হাসছিলেন।

অন্য একদল বলে, ঈসা মাসীহকেই শূলে চড়ানো হয়েছিলো। কিন্তু এতে তার মৃত্যু হয়নি বরং নামিয়ে নেয়ার পরও তার মধ্যে প্রাণ ছিল।

আরেক দল বলে, তিনি শূলে মৃত্যুবরণ করেছিলেন আবার প্রাণ লাভ করেছিলেন। এরপর কমপক্ষে দশ বার নিজের হাওয়ারীদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের সাথে আলাপ করেছিলেন।

আরেক দল বলে, মরার পর ঈসা মাসীহ (আঃ) এ জড়দেহসহ জীবিত হয়ে গিয়েছিলেন এবং তাকে সশরীরেই উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের এ অসংখ্য মতামতই প্রমাণ করে যে, আসল ব্যাপারটি তাদের কাছে সংশয়পূর্ণই রয়ে গেছে। আসল সত্য ঘটনাটি তাদের জানা থাকলে সে সম্পর্কে এতগুলো পরস্পর বিরোধী কথা ও মত তাদের মধ্যে প্রচলিত থাকত না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন