hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৮৭
অধ্যায়- ৫ : জান্নাতের নদুনদী ও ঝর্ণাধারা
জান্নাতে পানি, দুধ, শরবত ও মধুর নদী রয়েছে :

مَثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِيْ وُعِدَ الْمُتَّقُوْنَؕ فِيْهَاۤ اَنْهَارٌ مِّنْ مَّآءٍ غَيْرِ اٰسِنٍۚ وَاَنْهَارٌ مِّنْ لَّبَنٍ لَّمْ يَتَغَيَّرْ طَعْمُهٗۚ وَاَنْهَارٌ مِّنْ خَمْرٍ لَّذَّةٍ لِّلشَّارِبِيْنَۚ وَاَنْهَارٌ مِّنْ عَسَلٍ مُّصَفًّى

মুত্তাক্বীদেরকে যে জান্নাতের ওয়াদা দেয়া হয়েছে তার পরিচয় হলো- সেখানে আছে পানির নদী, যা (একেবারে) স্বচ্ছ ও পরিষ্কার। (আরো আছে) দুধের নদী, যার স্বাদ কখনো পরিবর্তন হয় না। (আরো আছে) শরবতের নদী, যা পানকারীদের জন্য খুবই সুস্বাদু। (আরো আছে) মধুর নদী, যা খাঁটি ও নির্ভেজাল। (সূরা মুহাম্মাদু ১৫)

ব্যাখ্যা : اٰسِنٌ (আছিনুন) বলা হয় এমন পানিকে, যার স্বাদ ও রং পরিবর্তিত হয়ে গেছে অথবা যার মধ্যে কোনভাবে গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত পৃথিবীর সমুদ্র ও নদীর পানি ঘোলা হয়ে থাকে। তার সাথে বালু, মাটি এবং মাঝে মধ্যে নানা রকম উদ্ভিদ মিশে যাওয়ার কারণে বর্ণ ও স্বাদ পরিবর্তিত হয়ে যায় এবং তাতে কিছু না কিছু দুর্গন্ধও সৃষ্টি হয়। তাই জান্নাতের নদীসমূহের পানির পরিচয় দেয়া হয়েছে এভাবে যে, তা হবে غَيْرِ اٰسِنٌ অর্থাৎ নির্ভেজাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পানি। তার মধ্যে কোন প্রকার সংমিশ্রণ থাকবে না। জান্নাতের দুধ পশুর ওলান থেকে নির্গত দুধ হবে না। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা এ দুধ ঝর্ণার আকারে মাটি থেকে বের করে নদীর আকারে প্রবাহিত করবেন। পশুর ওলান থেকে দোহন করে তারপর জান্নাতের নদীসমূহে ঢেলে প্রবাহিত করা হবে এমন নয়। এ কুদরতী দুধের পরিচয়ে বলা হয়েছে, তার স্বাদে কোন পরিবর্তন আসবে না অর্থাৎ পশুর ওলান থেকে নির্গত দুধে যে এক ধরনের গন্ধ থাকে, তার লেশমাত্রও এতে থাকবে না। জান্নাতের শরাব পদদলন বা মাড়ানোর মাধ্যমে নির্গত হবে না অর্থাৎ সে শরাব দুনিয়ার সাধারণ মদের মতো ফল পঁচিয়ে পায়ে মাড়িয়ে নির্গত করা হবে না। বরং এটাও আল্লাহ তা‘আলা ঝর্ণার আকারে সৃষ্টি করবেন এবং নদী-নালার আকারে প্রবাহিত করবেন। এর পরিচয় দিতে গিয়ে আরো বলা হয়েছে, তা হবে পানকারীদের জন্য অত্যন্ত সুস্বাদু। অর্থাৎ তা দুনিয়ার মদের মতো বিকৃত স্বাদ যুক্ত হবে না। দুনিয়ার মদ তো এমন যে, যত বড় অভ্যস্ত মদখোরই তা পান করুক, মুখ বিকৃত না করে পান করতে পারে না। আর তা পান করায় শরীরের কোন ক্ষতিও হবে না এবং বুদ্ধিও লোপ পাবে না। তার কারণে মাথাও ধরবে না কিংবা ব্যক্তির বিবেকও বিকৃত হবে না। সর্বোপরি তা নেশাযুক্ত হবে না, বরং তা শুধু স্বাদ ও আনন্দই দান করবে। জান্নাতের মধু মৌমাছির পেট থেকে নির্গত মধু হবে না। ঐ মধু ঝর্ণা থেকে নির্গত হবে এবং নদী-নালায় প্রবাহিত হবে। সুতরাং তার মধ্যে মোম, মৌচাকের টুকরা এবং মৃত মৌমাছির পা মিশে থাকবে না। বরং তা হবে নির্ভেজাল মধু। জান্নাতের এসব নিয়ামত উল্লেখের পর আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমার কথা উল্লেখ করার দু’টি অর্থ হতে পারে। (এক) এসব নিয়ামতের চেয়ে বড় নিয়ামত হচ্ছে এই যে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। (দুই) পৃথিবীতে তাদের দ্বারা যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছিল জান্নাতে তাদের সামনে কখনো তা উল্লেখ করা হবে না। বরং যাতে তারা জান্নাতে দুঃখিত না হয় সেজন্য আল্লাহ তাদের ঐসব ত্রুটি-বিচ্যুতির উপর চিরদিনের জন্য পর্দা টেনে দেবেন।

জান্নাতে রয়েছে ঝর্ণা :

فِيْهَا عَيْنٌ جَارِيَةٌ

আর জান্নাতে রয়েছে প্রবাহিত ঝর্ণা। (সূরা গাশিয়া– ১২)

কুরআনের মধ্যে জান্নাতের বিভিন্ন ঝর্ণার নাম পাওয়া যায় যেমন :

১। كَافُوْرٌ (কাফুর) :

اِنَّ الْاَبْرَارَ يَشْرَبُوْنَ مِنْ كَاْسٍ كَانَ مِزَاجُهَا كَافُوْرًا عَيْنًا يَّشْرَبُ بِهَا عِبَادُ اللهِ يُفَجِّرُوْنَهَا تَفْجِيْرًا

সৎকর্মশীলরা কাফুর মিশ্রিত পানীয় পান করবে। আর কাফুর হলো একটি বিশেষ ঝর্ণা যা থেকে আল্লাহর নেক বান্দারা পান করবে এবং তাদের ইচ্ছানুযায়ী এগুলোকে প্রবাহিত করবে। (সূরা দাহর– ৫, ৬)

২। وَ سَلْسَبِيْلُ زَنْجَبِيْلُ (যানজাবীল ও সালসাবীল) :

وَيُسْقَوْنَ فِيْهَا كَاْسًا كَانَ مِزَاجُهَا زَنْجَبِيْلًا عَيْنًا فِيْهَا تُسَمّٰى سَلْسَبِيْلًا

সেখানে তাদেরকে এমন এক (অপূর্ব) পানীয় পান করানো হবে, যার সাথে মেশানো হবে ‘যানজাবীল’ (নামের এক মূল্যবান সুগন্ধ)। তাতে রয়েছে (জান্নাতের) এক (অমিয়) ঝর্ণা, যার নাম রাখা হয়েছে ‘সালসাবীল’। (সূরা দাহর- ১৭, ১৮)

৩। تَسْنِيْمٌ (তাসনীম) :

اِنَّ الْاَبْرَارَ لَفِيْ نَعِيْمٍ عَلَى الْاَرَآئِكِ يَنْظُرُوْنَ تَعْرِفُ فِيْ وُجُوْهِهِمْ نَضْرَةَ النَّعِيْمِ يُسْقَوْنَ مِنْ رَّحِيْقٍ مَّخْتُوْمٍ خِتَامُهٗ مِسْكٌؕ وَفِيْ ذٰلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ الْمُتَنَافِسُوْنَ وَمِزَاجُهٗ مِنْ تَسْنِيْمٍ عَيْنًا يَّشْرَبُ بِهَا الْمُقَرَّبُوْنَ

পুণ্যবান বান্দারা নিয়ামতের মধ্যে স্বাচ্ছন্দে থাকবে। তারা উঁচু উঁচু আসনে হেলান দিয়ে বসে একে অপরের প্রতি তাকাবে। তাদের চেহারায় নিয়ামতের উজ্জ্বলতা পরিলক্ষিত হবে। তাদেরকে মোহর করা বিশুদ্ধতম শরবত হতে পান করানো হবে, যার মোহর হবে মিশকের (কস্তুরীর)। এ নিয়ামত লাভ করতে হলে প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা করা উচিৎ। এ শরবতের মিশ্রণ হবে তাসনীমের। তাসনীম হলো জান্নাতের একটি ঝর্ণা। আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দারা তা হতে পান করবে। (সূরা মুতাফফিফীন, ২২–২৮)

ঝর্ণাসমূহ জান্নাতীদের ইচ্ছামতো প্রবাহিত হবে :

عَيْنًا يَّشْرَبُ بِهَا عِبَادُ اللهِ يُفَجِّرُوْنَهَا تَفْجِيْرًا

এমন ঝর্ণাধারা যা হতে আল্লাহর বান্দাগণ পান করবে। তারা এগুলোকে ইচ্ছামতো প্রবাহিত করতে পারবে। (সূরা দাহর– ৬)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন