hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩১৭
অধ্যায়- ২ : জিনদের কুরআন শ্রবণ ও এর প্রতিক্রিয়া
জিনদের একটি দল নবী ﷺ এর মুখে কুরআন শুনতে পায় :

وَاِذْ صَرَفْنَاۤ اِلَيْكَ نَفَرًا مِّنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُوْنَ الْقُرْاٰنَۚ فَلَمَّا حَضَرُوْهُ قَالُوْاۤ اَنْصِتُوْاۚ فَلَمَّا قُضِيَ وَلَّوْا اِلٰى قَوْمِهِمْ مُّنْذِرِيْنَ

যখন আমি একদল জিনকে তোমার কাছে পাঠিয়ে ছিলাম, যাতে তারা কুরআন শ্রবণ করে। অতঃপর যখন তারা ঐ জায়গায় পৌঁছল (যেখানে তুমি কুরআন তিলাওয়াত করছিলে) তখন তারা একে অপরকে বলছিল, তোমরা চুপ করে শুনো। তারপর যখন (কুরআন পড়া) হয়ে গেল, তখন তারা নিজ সম্প্রদায়ের নিকট সতর্ককারী হয়ে ফিরে গেল। (সূরা আহকাফ- ২৯)

তারা কুরআন শুনে ঈমান এনেছে :

وَاَنَّا لَمَّا سَمِعْنَا الْهُدٰۤى اٰمَنَّا بِهٖؕ فَمَنْ يُّؤْمِنْ ۢبِرَبِّهٖ فَلَا يَخَافُ بَخْسًا وَّلَا رَهَقًا

যখন আমরা হেদায়াতের বাণী শুনলাম, তখন তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে, সে যেন তাঁর পক্ষ হতে কোন ক্ষতি ও কোন অন্যায়ের আশঙ্কা না করে। (সূরা জিন- ১৩)

তারা স্বজাতির কাছে কুরআনের প্রশংসা করল :

قَالُوْا يَا قَوْمَنَاۤ اِنَّا سَمِعْنَا كِتَابًا اُنْزِلَ مِنْ ۢبَعْدِ مُوْسٰى مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ يَهْدِيْۤ اِلَى الْحَقِّ وَاِلٰى طَرِيْقٍ مُّسْتَقِيْمٍ

তারা (তাদের সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে) বলল, হে আমাদের কওম! আমরা এমন এক কিতাব শুনলাম, যা মূসার পরে নাযিল করা হয়েছে, যা এর আগের কিতাবগুলোকে সত্যায়ন করে এবং সত্য ও সঠিক পথের দিকে হেদায়াত করে। (সূরা আহকাফ- ৩০)

তারা তাদেরকে কুরআনের প্রতি ঈমান আনার জন্য দাওয়াত দিল :

يَا قَوْمَنَاۤ اَجِيْبُوْا دَاعِيَ اللهِ وَاٰمِنُوْا بِهٖ يَغْفِرْ لَكُمْ مِّنْ ذُنُوْبِكُمْ وَيُجِرْكُمْ مِّنْ عَذَابٍ اَلِيْمٍ

হে আমাদের কওম! যে আল্লাহর দিকে ডাকে তার ডাকে সাড়া দাও এবং তাঁর প্রতি ঈমান আনয়ন করো। (যদি এসব কর) তবে আল্লাহ তোমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন এবং কষ্টদায়ক আযাব থেকে বাঁচাবেন। (সূরা আহকাফ- ৩১)

কুরআন না মানার পরিণামও বলে দিল :

وَمَنْ لَّا يُجِبْ دَاعِيَ اللهِ فَلَيْسَ بِمُعْجِزٍ فِى الْاَرْضِ وَلَيْسَ لَهٗ مِنْ دُوْنِهٖۤ اَوْلِيَآءُؕ اُولٰٓئِكَ فِيْ ضَلَالٍ مُّبِيْنٍ

আর যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে আহবানকারীর কথা না মানে তার জন্য দুনিয়ায় এমন কোন শক্তি নেই, যে আল্লাহকে হারিয়ে দিতে পারে এবং তার জন্য এমন কোন সহায়ক নেই, যে তাকে আল্লাহর কাছ থেকে বাঁচাতে পারে। এসব লোক স্পষ্ট গোমরাহীতে পড়ে আছে। (সূরা আহকাফ- ৩২)

জিনেরা শিরক না করার সিদ্ধান্ত নিল :

قُلْ اُوْحِيَ اِلَيَّ اَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوْاۤ اِنَّا سَمِعْنَا قُرْاٰنًا عَجَبًا يَهْدِيْۤ اِلَى الرُّشْدِ فَاٰمَنَّا بِهٖؕ وَلَنْ نُّشْرِكَ بِرَبِّنَاۤ اَحَدًا

বলো, আমার প্রতি ওহী করা হয়েছে যে, জিনদের একদল মনোযোগ সহকারে (কুরআন) শ্রবণ করেছে। অতঃপর (তারা নিজ জাতির কাছে গিয়ে) বলেছে, আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি, যা সঠিক পথ দেখায়; তাই আমরা এতে ঈমান আনয়ন করেছি। সুতরাং আমরা কখনো আমাদের প্রতিপালকের সাথে কাউকে শরীক করব না। (সূরা জিন- ১, ২)

জিনেরা তাওহীদের ঘোষণা দিল :

وَاَنَّهٗ تَعَالٰى جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَّلَا وَلَدًا

নিশ্চয় আমাদের প্রতিপালকের মর্যাদা সুমহান; তিনি কোন স্ত্রী বা সন্তান গ্রহণ করেননি। (সূরা জিন- ৩)

আল্লাহ সম্পর্কে স্বজাতির ভুল ধারণা খন্ডন করল :

وَاَنَّهٗ كَانَ يَقُوْلُ سَفِيْهُنَا عَلَى اللهِ شَطَطًا وَاَنَّا ظَنَنَّاۤ اَنْ لَّنْ تَقُوْلَ الْاِنْسُ وَالْجِنُّ عَلَى اللهِ كَذِبًا

আমাদের নির্বোধরা আল্লাহর সম্বন্ধে অতি মিথ্যা উক্তি করে। অথচ আমরা মনে করতাম যে, মানুষ এবং জিন আল্লাহ সম্বন্ধে কখনো মিথ্যা বলবে না। (সূরা জিন- ৪, ৫)

জিনেরা আল্লাহর ক্ষমতা ভালো করেই জানত :

وَاَنَّا ظَنَنَّاۤ اَنْ لَّنْ نُّعْجِزَ اللهَ فِى الْاَرْضِ وَلَنْ نُّعْجِزَهٗ هَرَبًا

আর আমাদের একান্ত বিশ্বাস হয়ে গেছে যে, আমরা পৃথিবীতে আল্লাহকে কোনক্রমে পরাভূত করতে পারব না এবং পলায়ন করেও তাঁকে ব্যর্থ করতে পারব না। (সূরা জিন- ১২)

দুষ্ট জিনেরা মানুষের সাথে শত্রুতা করে :

وَكَذٰلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا شَيَاطِيْنَ الْاِنْسِ وَالْجِنِّ يُوْحِيْ بَعْضُهُمْ اِلٰى بَعْضٍ زُخْرُفَ الْقَوْلِ غُرُوْرًاؕ وَلَوْ شَآءَ رَبُّكَ مَا فَعَلُوْهُ فَذَرْهُمْ وَمَا يَفْتَرُوْنَ

এভাবে আমি মানব ও জিনের মধ্যে শয়তানদেরকে প্রত্যেক নবীর শত্রু বানিয়ে দিয়েছি। তারা একে অন্যকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে চমকপ্রদ কথা দ্বারা প্ররোচিত করে। যদি তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করতেন, তবে তারা এটা করত না। সুতরাং তুমি তাদেরকে ও তাদের মিথ্যা রচনাকে বর্জন করো। (সূরা আন‘আম- ১১২)

জিনদের অনিষ্টতা থেকে বাঁচার দু‘আ :

قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ مَلِكِ النَّاسِ اِلٰهِ النَّاسِ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ اَلَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِيْ صُدُوْرِ النَّاسِ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ

(হে নবী) বলো, আমি আশ্রয় চাই মানুষের প্রতিপালকের কাছে। (আমি আশ্রয় চাই) মানুষের (আসল) বাদশার কাছে। (আমি আশ্রয় চাই) মানুষের (একমাত্র) মা‘বুদের কাছে। (আমি আশ্রয় চাই) কুমন্ত্রণাদানকারীর অনিষ্ট থেকে, যে (প্ররোচনা দিয়েই) গা ঢাকা দেয়। যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়। জিনদের মধ্য থেকে হোক বা মানুষদের মধ্য থেকে। (সূরা নাস)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন