hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৬৫
অধ্যায়- ২ : ঈসা (আঃ) এর জন্মের ইতিহাস
ফেরেশতা ঈসা (আঃ) এর মাকে তাঁর জন্মের সুসংবাদ প্রদান করেন :

اِذْ قَالَتِ الْمَلَآئِكَةُ يَا مَرْيَمُ اِنَّ اللهَ يُبَشِّرُكِ بِكَلِمَةٍ مِّنْهُۗ اِسْمُهُ الْمَسِيْحُ عِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَ وَجِيْهًا فِى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ وَمِنَ الْمُقَرَّبِيْنَ

স্মরণ করো, যখন ফেরেশতারা বলেছিলেন, হে মারইয়াম! নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর পক্ষ থেকে তোমাকে এক কালিমার সুসংবাদ দিচ্ছেন। তার নাম হলো মাসীহ ঈসা ইবনে মারইয়াম। তিনি দুনিয়া এবং আখিরাতে সম্মানিত এবং নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা আলে ইমরানু ৪৫)

অবিবাহিতা হওয়ায় তিনি অভিযোগ করলেন :

قَالَتْ رَبِّ اَنّٰى يَكُوْنُ لِيْ وَلَدٌ وَّلَمْ يَمْسَسْنِيْ بَشَرٌ

মারইয়াম বললেন, হে আমার রব! আমার সন্তান হবে কেমন করে ? আমাকে তো কোন পুরুষ স্পর্শ করেনি। (সূরা আলে ইমরানু ৪৭)

তিনি যিনাকারিনীও ছিলেন না :

قَالَتْ اَنّٰى يَكُوْنُ لِيْ غُلَامٌ وَّلَمْ يَمْسَسْنِيْ بَشَرٌ وَّلَمْ اَكُ بَغِيًّا

মারইয়াম বলল, কেমন করে আমার পুত্র হবে যখন আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও নই? (সূরা মারইয়াম– ২০)

আল্লাহ তার কথার উত্তর দিলেন :

قَالَ كَذٰلِكِ اللهُ يَخْلُقُ مَا يَشَآءُؕ اِذَا قَضٰۤى اَمْرًا فَاِنَّمَا يَقُوْلُ لَهٗ كُنْ فَيَكُوْنُ

আল্লাহ বললেন, এভাবেই আল্লাহ যা চান তাই সৃষ্টি করেন। তিনি যখন কোন কাজের ফায়সালা করেন, তখন কেবল ‘হও’ বলাতেই তা হয়ে যায়। (সূরা আলে ইমরানু ৪৭)

মারইয়াম (আঃ) এক নির্জন স্থানে আশ্রয় নিলেন :

وَاذْكُرْ فِى الْكِتَابِ مَرْيَمَ اِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ اَهْلِهَا مَكَانًا شَرْقِيًّا فَاتَّخَذَتْ مِنْ دُوْنِهِمْ حِجَابًا

এ কিতাবে উলেস্নখিত মারইয়ামের কথা বর্ণনা করো, যখন সে তার পরিবারবর্গ হতে পৃথক হয়ে নিরালায় পূর্ব দিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল, অতঃপর সে তাদের হতে পর্দা করল। (সূরা মারইয়াম– ১৬, ১৭)

আল্লাহ তার কাছে মানবাকৃতিতে ফেরেশতা পাঠালেন :

فَاَرْسَلْنَاۤ اِلَيْهَا رُوْحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا

অতঃপর আমি তার নিকট আমার রূহকে পাঠালাম, সে তার নিকট পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করল।

(সূরা মারইয়াম– ১৭)

মারইয়াম (আঃ) তাকে কাছে আসতে নিষেধ করলেন :

قَالَتْ اِنِّۤيْ اَعُوْذُ بِالرَّحْمٰنِ مِنْكَ اِنْ كُنْتَ تَقِيًّا

মারইয়াম বলল, যদি তুমি মুত্তাক্বী হয়ে থাক, তবে আল্লাহকে ভয় করো। আমি তোমার হতে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (সূরা মারইয়াম– ১৮)

ফেরেশতা কর্তৃক সন্তানের সুসংবাদ পেলেন :

قَالَ اِنَّمَاۤ اَنَاْ رَسُوْلُ رَبِّكِۗ لِاَهَبَ لَكِ غُلَامًا زَكِيًّا

সে বলল, আমি তো তোমার প্রতিপালকের দূত। আমি তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করার জন্য এসেছি। (সূরা মারইয়াম– ১৯)

قَالَ كَذٰلِكِۚ قَالَ رَبُّكِ هُوَ عَلَيَّ هَيِّنٌۚ وَلِنَجْعَلَهٗۤ اٰيَةً لِّلنَّاسِ وَرَحْمَةً مِّنَّاۚ وَكَانَ اَمْرًا مَّقْضِيًّا

সে বলল, এরূপই হবে। তোমার প্রতিপালক বলেছেন, এটা আমার জন্য খুবই সহজসাধ্য ব্যাপার। আর আমি এটা এজন্য করব যে, যাতে করে আমি তাকে মানুষের জন্য নিদর্শন ও আমার নিকট হতে এক অনুগ্রহ বানাতে পারি। তাছাড়া এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। (সূরা মারইয়াম– ২১)

প্রসবের সময় হলে তিনি দূরবর্তী স্থানে চলে গেলেন :

فَحَمَلَتْهُ فَانْتَبَذَتْ بِه مَكَانًا قَصِيًّا

অতঃপর সে তাকে গর্ভে ধারণ করল; এরপর সে এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেল। (সূরা মারইয়াম– ২২)

একটি খেজুর গাছের নিচে আশ্রয় নিলেন :

فَاَجَآءَهَا الْمَخَاضُ اِلٰى جِذْعِ النَّخْلَةِ

অতঃপর প্রসব–বেদনা তাকে এক খেজুর বৃক্ষের নিচে আশ্রয় নিতে বাধ্য করল। (সূরা মারইয়াম– ২৩)

তিনি আফসোস করে নিজেকে ধিক্কার দিলেন :

قَالَتْ يَا لَيْتَنِيْ مِتُّ قَبْلَ هٰذَا وَكُنْتُ نَسْيًا مَّنْسِيًّا

সে বলল, হায়! এর পূর্বেই যদি আমি মরে যেতাম ও লোকের স্মৃতি হতে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যেতাম!

(সূরা মারইয়াম– ২৩)

আল্লাহ তাকে সান্ত্বনা দিয়ে পানির ব্যবস্থা করে দিলেন :

فَنَادَاهَا مِنْ تَحْتِهَاۤ اَ لَّا تَحْزَنِيْ قَدْ جَعَلَ رَبُّكِ تَحْتَكِ سَرِيًّا

ফেরেশতা তার নিম্ন পার্শ্ব হতে আহবান করে তাকে বলল, দুঃখ করো না- তোমার প্রতিপালক তোমার পাদদেশে একটি নহর তৈরি করে দিয়েছেন। (সূরা মারইয়াম– ২৪)

খেজুর ও পানি খাওয়ার নির্দেশ দিলেন :

وَهُزِّيْۤ اِلَيْكِ بِجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا فَكُلِيْ وَاشْرَبِيْ وَقَرِّيْ عَيْنًا

তুমি খেজুর বৃক্ষের কান্ডে তোমার দিকে নাড়া দাও, তা তোমাকে সুপরিপক্ক তাজা খেজুর দান করবে। সুতরাং (তুমি তা হতে) আহার করো, পান করো ও চক্ষু শীতল করো। (সূরা মারইয়াম– ২৫, ২৬)

মানুষ দেখলে কী বলতে হবে তাও তিনি বলে দিলেন :

فَاِمَّا تَرَيِنَّ مِنَ الْبَشَرِ اَحَدًا فَقُوْلِۤيْ اِنِّيْ نَذَرْتُ لِلرَّحْمٰنِ صَوْمًا فَلَنْ اُكَلِّمَ الْيَوْمَ اِنْسِيًّا

যদি তুমি মানুষের মধ্যে কাউকে দেখতে পাও তখন বলে দিয়ো, আমি দয়াময়ের উদ্দেশ্যে (মৌনতা অবলম্বনের) রোযা মান্নত করেছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সাথে কথা বলব না। (সূরা মারইয়াম– ২৬)

মারইয়াম সন্তান নিয়ে জাতির কাছে আসলেন :

فَاَتَتْ بِه قَوْمَهَا تَحْمِلُهٗ

অতঃপর সে সন্তানকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের নিকট উপস্থিত হলো। (সূরা মারইয়াম– ২৭)

সন্তান দেখে লোকেরা তাকে দোষারোপ শুরু করল :

قَالُوْا يَا مَرْيَمُ لَقَدْ جِئْتِ شَيْئًا فَرِيًّا يَاۤ اُخْتَ هَارُوْنَ مَا كَانَ اَبُوْكِ امْرَاَ سَوْءٍ وَّمَا كَانَتْ اُمُّكِ بَغِيًّا

তারা বলল, হে মারইয়াম! তুমি তো এক অদ্ভুত কান্ড করে বসেছ। হে হারূনের বোন, তোমার পিতা তো অসৎ ছিল না এবং তোমার মাতাও ব্যভিচারিণী ছিল না। (সূরা মারইয়াম– ২৭, ২৮)

তিনি কোলের বাচ্চার সাথে কথা বলতে ইঙ্গিত করলেন :

فَاَشَارَتْ اِلَيْهِؕ قَالُوْا كَيْفَ نُكَلِّمُ مَنْ كَانَ فِى الْمَهْدِ صَبِيًّا

অতঃপর মারইয়াম (কথা বলার জন্য) সন্তানের দিকে ইঙ্গিত করল। তখন তারা বলল, সে তো কোলের শিশুমাত্র; কীভাবে আমরা তার সাথে কথা বলব? (সূরা মারইয়াম– ২৯)

এবার ঈসা (আঃ) কথা বললেন :

قَالَ اِنِّيْ عَبْدُ اللهِؕ اٰتَانِيَ الْكِتَابَ وَجَعَلَنِيْ نَبِيًّا وَجَعَلَنِيْ مُبَارَكًا اَيْنَ مَا كُنْتُ۪ وَاَوْصَانِيْ بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ مَا دُمْتُ حَيًّا وَبَرًّا ۢبِوَالِدَتِيْؗ وَلَمْ يَجْعَلْنِيْ جَبَّارًا شَقِيًّا وَالسَّلَامُ عَلَيَّ يَوْمَ وُلِدْتُّ وَيَوْمَ اَمُوْتُ وَيَوْمَ اُبْعَثُ حَيًّا

সে বলল, আমি আল্লাহর বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী বানিয়ে পাঠিয়েছেন। আমি যেখানেই থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন- যতদিন আমি জীবিত থাকি ততদিন যেন সালাত কায়েম করি এবং যাকাত আদায় করি। আর তিনি আমাকে আমার মায়ের প্রতি অনুগত করেছেন এবং তিনি আমাকে অহংকারী ও হতভাগা হিসেবে তৈরি করেননি। আমার প্রতি শান্তি, যেদিন আমি জন্মলাভ করেছি, যেদিন আমার মৃত্যু হবে এবং যেদিন আমি জীবিত অবস্থায় উত্থিত হব। (সূরা মারইয়াম, ৩০–৩৩)

তিনিই হলেন ঈসা ইবনে মারইয়াম :

ذٰلِكَ عِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَۚ قَوْلَ الْحَقِّ الَّذِيْ فِيْهِ يَمْتَرُوْنَ

এ–ই হলো মারইয়ামের পুত্র ঈসা। এটা এমন সত্য কথা, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করে। (সূরা মারইয়াম– ৩৪)

তাঁর জন্ম আদম (আঃ) এর সৃষ্টির মতো বিস্ময়কর :

اِنَّ مَثَلَ عِيْسٰى عِنْدَ اللهِ كَمَثَلِ اٰدَمَۚ خَلَقَهٗ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ قَالَ لَهٗ كُنْ فَيَكُوْنُ اَلْحَقُّ مِنْ رَّبِّكَ فَلَا تَكُنْ مِّنَ الْمُمْتَرِيْنَ

নিশ্চয় ঈসার দৃষ্টান্ত আল্লাহর কাছে আদমের মতো। তিনি তাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর বললেন, ‘হও’ এতে তিনি হয়ে গেছেন। সত্য তোমার রবের পক্ষ থেকে আসে। সুতরাং তুমি সন্দেহকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (সূরা আলে ইমরানু ৫৯, ৬০)

তিনি ছিলেন বিশ্ববাসীর জন্য নিদর্শনস্বরূপ :

وَالَّتِيْۤ اَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيْهَا مِنْ رُّوْحِنَا وَجَعَلْنَاهَا وَابْنَهَاۤ اٰيَةً لِّلْعَالَمِيْنَ

স্মরণ করো, সে নারীকে যে নিজ সতীত্বকে রক্ষা করেছিল। অতঃপর তার মধ্যে আমি আমার রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাকে ও তার পুত্রকে বিশ্ববাসীর জন্য নিদর্শন হিসেবে নির্বাচন করেছিলাম।

(সূরা আম্বিয়া– ৯১)

ব্যাখ্যা : ঈসা (আঃ) এর জন্মবৃত্তান্ত সম্পর্কে আসলে ইয়াহুদি জাতির মধ্যে বিন্দুমাত্র সংশয় ছিল না। বরং যেদিন তার জন্ম হয়েছিল সেদিনই আল্লাহ সমগ্র জাতিকে এ মর্মে সাক্ষী বানিয়েছিলেন যে, এটি একটি অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন শিশু। তাঁর জন্ম কোন অনৈতিক অপরাধের মাধ্যমে নয় বরং একটি মু‘জিযার ফলশ্রুতি। যখন বনী ইসরাঈলের সবচেয়ে ভদ্র ও খ্যাতনামা ধর্মীয় পরিবারের একটি কুমারী মেয়ে একটি শিশুপুত্র কোলে নিয়ে এগিয়ে এলেন এবং জাতির ছোট বড় অসংখ্য লোক তার ঘরে ভিড় জমাল, তখন কুমারী মেয়েটি তাদের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে নীরবে নবজাত সন্তানের দিকে ইশারা করলেন। লোকেরা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, একে আমরা কি জিজ্ঞেস করব, এ তো দোলনায় শুয়ে আছে? কিন্তু হঠাৎ শিশুটি সুস্পষ্ট ও বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলে উঠলো-

اِنِّىْ عَبْدُ اللهِ اَتٰنِىَ الْكِتَابَ وَجَعَلَنِىْ نَبِيًّا

আমি আল্লাহর বান্দা, আল্লাহ আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী হিসেবে নির্বাচন করেছেন।

(সূরা মারইয়াম- ৩০)

এভাবে ঈসা (আঃ) এর জন্ম সম্পর্কে যে সংশয় জমে উঠার সম্ভাবনা ছিল আল্লাহ নিজেই তার মূলোৎপাটন করেন। এজন্য ঈসা (আঃ) যৌবনে পদার্পণ করা পর্যন্ত কেউ কোন দিন মারইয়াম (আঃ) এর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগ আনেনি। কিন্তু যখন তিনি নবুওয়াতের কাজ শুরু করলেন এবং যাবতীয় রিয়াকারীদের সমালোচনা করতে থাকলেন, মানুষকে তাদের নৈতিক ও চারিত্রিক অবনতির বিষয় সম্পর্কে সতর্ক করতে লাগলেন এবং আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিজের জাতিকে ত্যাগ স্বীকার করার ও শয়তানি শক্তির সাথে লড়াই করার আহবান জানালেন, তখনই এই নির্লজ্জ অপরাধীরা সত্য ও সততার কণ্ঠ রোধ করার জন্য সবরকমের নিকৃষ্টতম অস্ত্র ব্যবহার করতে এগিয়ে আসল। তখন তারা এমনসব কথা বলতে থাকল, যা তারা ইতোপূর্বে আর কখনো বলেনি। অর্থাৎ তারা এসব বলতে লাগল যে, মারইয়াম (আঃ) একজন ব্যভিচারিনী এবং ঈসা (আঃ) তার অবৈধ সন্তান (নাউযুবিল্লাহ)। অথচ এ যালিমরা নিশ্চিতভাবেই জানত যে, এরা উভয়ই এ ধরনের কলুষতা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত। তাদের মনে যথার্থই এ ধরনের কোন সন্দেহ পুঞ্জিভূত ছিল না, যার ভিত্তিতে তারা এই দোষারোপ করেছিল। মূলত এটা ছিল তাদের একটা স্বেচ্ছাকৃত দোষারোপ। জেনে বুঝে নিছক হকের বিরোধিতা করার জন্য তারা তাদের বিরুদ্ধে এ মিথ্যাটি তৈরি করেছিল। তাই আল্লাহ এ অন্যায়কে যুলুম ও মিথ্যার পরিবর্তে কুফরী হিসেবে গণ্য করেছেন। কারণ এই দোষারোপের মাধ্যমে তারা আসলে আল্লাহর দ্বীনের পথে বাধা সৃষ্টি করতে চাচ্ছিল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন