hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪৪৩
অধ্যায়- ৩ : পৃথিবীতে অবতরণ
আল্লাহ সবাইকে পৃথিবীতে নামিয়ে দিলেন :

قَالَ اهْبِطَا مِنْهَا جَمِيْعًا ۢبَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ

তিনি বললেন, তোমরা উভয়ে একসঙ্গে জানণাত হতে নেমে যাও। তোমরা পরস্পর পরস্পরের শত্রু। (সূরা ত্বা–হা– ১২৩)

পৃথিবীতে জীবন যাপনের ব্যবস্থা করে দিলেন :

قَالَ اهْبِطُوْا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّۚ وَلَكُمْ فِى الْاَرْضِ مُسْتَقَرٌّ وَّمَتَاعٌ اِلٰى حِيْنٍ

তিনি বললেন, তোমরা নেমে যাও, তোমরা একে অন্যের শত্রু। আর পৃথিবীতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তোমাদের বসবাস ও জীবিকা রইল। (সূরা আ‘রাফু ২৪)

জীবন, মরণ ও কবর পৃথিবীতেই হবে :

قَالَ فِيْهَا تَحْيَوْنَ وَفِيْهَا تَمُوْتُوْنَ وَمِنْهَا تُخْرَجُوْنَ

তিনি বললেন, সেখানেই তোমরা জীবন যাপন করবে, সেখানেই তোমাদের মৃত্যু হবে এবং সেখান থেকেই তোমাদেরকে আবার বের করা হবে। (সূরা আ‘রাফু ২৫)

এখান থেকেই আল্লাহ আবার সবাইকে উঠাবেন :

مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيْهَا نُعِيْدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً اُخْرٰى

আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি মাটি হতে। অতঃপর তাতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দেব এবং তোমাদেরকে সেখান থেকেই পুনর্বার বের করে আনব। (সূরা ত্বা–হা– ৫৫)

আল্লাহ শয়তানকেও জান্নাত থেকে বের করে দিলেন :

قَالَ فَاخْرُجْ مِنْهَا فَاِنَّكَ رَجِيْمٌ

তিনি বললেন, এখান হতে বের হয়ে যাও; নিশ্চয় তুমি অভিশপ্ত। (সূরা হিজর– ৩৪)

শয়তানের উপর অভিশাপ দিলেন :

وَاِنَّ عَلَيْكَ اللَّعْنَةَ اِلٰى يَوْمِ الدِّيْنِ

আর কর্মফল দিবস পর্যন্ত অবশ্যই তোমার প্রতি রইল অভিশাপ। (সূরা হিজর– ৩৫)

وَاِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِيْۤ اِلٰى يَوْمِ الدِّيْنِ

কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তোমার প্রতি আমার অভিশাপ রইল। (সূরা সোয়াদু ৭৮)

সে আল্লাহর কাছে সুযোগ চাইল :

قَالَ رَبِّ فَاَنْظِرْنِۤيْ اِلٰى يَوْمِ يُبْعَثُوْنَ

সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন। (সূরা সোয়াদ- ৭৯)

আল্লাহ তাকে কিয়ামত পর্যন্ত সুযোগ দিলেন :

قَالَ فَاِنَّكَ مِنَ الْمُنْظَرِيْنَ اِلٰى يَوْمِ الْوَقْتِ الْمَعْلُوْمِ

আল্লাহ বললেন, যাদেরকে অবকাশ দেয়া হয়েছে তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত হলে, নির্ধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত। (সূরা হিজর–৩৭, ৩৮; সূরা সোয়াদু ৮০, ৮১)

আদম (আঃ) ছিলেন আল্লাহর নির্বাচিত বান্দা :

اِنَّ اللهَ اصْطَفٰۤى اٰدَمَ وَنُوْحًا وَّ اٰلَ اِبْرَاهِيْمَ وَاٰلَ عِمْرَانَ عَلَى الْعَالَمِيْنَ

নিশ্চয় আল্লাহ আদম, নূহ, ইবরাহীমের বংশধর এবং ইমরানের বংশধরকে বিশ্ববাসীর জন্য মনোনীত করেছেন। (সূরা আলে ইমরানু ৩৩)

আল্লাহ আদম (আঃ) এর সন্তানদের থেকে তাওহীদের অঙ্গীকার নিয়েছেন :

وَاِذْ اَخَذَ رَبُّكَ مِنْ ۢبَنِيْۤ اٰدَمَ مِنْ ظُهُوْرِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَاَشْهَدَهُمْ عَلٰۤى اَنْفُسِهِمْ اَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُوْا بَلٰى شَهِدْنَاۤ اَنْ تَقُوْلُوْا يَوْمَ الْقِيَامَةِ اِنَّا كُنَّا عَنْ هٰذَا غَافِلِيْنَ اَوْ تَقُوْلُوْاۤ اِنَّمَاۤ اَشْرَكَ اٰبَآؤُنَا مِنْ قَبْلُ وَكُنَّا ذُرِّيَّةً مِّنْ ۢبَعْدِهِمْ اَفَتُهْلِكُنَا بِمَا فَعَلَ الْمُبْطِلُوْنَ وَكَذٰلِكَ نُفَصِّلُ الْاٰيَاتِ وَلَعَلَّهُمْ يَرْجِعُوْنَ

স্মরণ করো, যখন তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তার বংশধরকে বের করেন এবং তাদের নিজেদের সম্বন্ধে স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেন এবং বলেন, আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই? তারা বললেন, হ্যাঁ! অবশ্যই আমরা সাক্ষী রইলাম। এটা এজন্য যে, তোমরা যেন কিয়ামতের দিন না বলতে পার, আমরা তো এ বিষয়ে গাফিল ছিলাম। কিংবা তোমরা যেন না বলো, ইতোপূর্বে আমাদের পূর্বপুরুষরাই তো শিরক করেছে। আর আমরা তো তাদের পরবর্তী বংশধর; তবে কি পথভ্রষ্টদের কৃতকর্মের জন্য তুমি আমাদেরকে ধ্বংস করবে? এভাবে আমি নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করি, যাতে তারা প্রত্যাবর্তন করে। (সূরা আ‘রাফ, ১৭২–১৭৪)

আদম ও হাওয়াকে পৃথিবীতে নামিয়ে দেয়ার সময় আল্লাহর উপদেশ :

قُلْنَا اهْبِطُوْا مِنْهَا جَمِيْعًاۚ فَاِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ مِّنِّيْ هُدًى فَمَنْ تَبِعَ هُدَايَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُوْنَ

আমি বললাম, তোমরা সবাই এখান থেকে (জান্নাত থেকে) নিচে নেমে যাও। পরে আমার পক্ষ হতে তোমাদের নিকট হেদায়াত উপস্থিত হলে যারা আমার হেদায়াতের অনুসরণ করবে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। (সূরা বাক্বারা– ৩৮)

এ উপদেশ না মানলে পরিণতি খুবই খারাপ হবে :

قَالَ اهْبِطَا مِنْهَا جَمِيْعًا ۢبَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّۚ فَاِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ مِّنِّيْ هُدًى فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ فَلَا يَضِلُّ وَلَا يَشْقٰى وَمَنْ اَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِيْ فَاِنَّ لَهٗ مَعِيْشَةً ضَنْكًا وَّنَحْشُرُهٗ يَوْمَ الْقِيَامَةِ اَعْمٰى قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرْتَنِيْۤ اَعْمٰى وَقَدْ كُنْتُ بَصِيْرًا قَالَ كَذٰلِكَ اَتَتْكَ اٰيَاتُنَا فَنَسِيْتَهَا وَكَذٰلِكَ الْيَوْمَ تُنْسٰى وَكَذٰلِكَ نَجْزِيْ مَنْ اَسْرَفَ وَلَمْ يُؤْمِنْ ۢبِاٰيَاتِ رَبِّهٖؕ وَلَعَذَابُ الْاٰخِرَةِ اَشَدُّ وَاَبْقٰى

তিনি বললেন, তোমরা উভয়ে একসঙ্গে জান্নাত হতে নেমে যাও। তোমরা পরস্পর পরস্পরের শত্রু। পরে আমার পক্ষ হতে তোমাদের নিকট সৎপথের নির্দেশ আসলে যে আমার পথ অনুসরণ করবে, সে বিপথগামী হবে না ও দুঃখ–কষ্টও পাবে না। আর যে আমার স্মরণ হতে বিমুখ থাকবে, তার জীবন যাপন হবে সংকুচিত এবং আমি তাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়। সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! কেন আমাকে অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করলে? আমি তো চাক্ষুষ্মান ছিলাম। তিনি বলবেন, এভাবেই তোমার নিকট আমার নিদর্শনাবলি এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে। সুতরাং সেভাবে আজও তোমাকে ভুলে যাওয়া হয়েছে। এভাবেই আমি প্রতিফল দেই তাকে, যে বাড়াবাড়ি করে ও তার প্রতিপালকের নিদর্শনাবলির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে না। আর পরকালের শাস্তি তো খুবই কঠিনতর ও অধিক স্থায়ী। (সূরা ত্বা–হা, ১২৩–১২৭)

ব্যাখ্যা : এ কাহিনীর মাধ্যমে সুস্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে যে, মানুষের একমাত্র মুক্তির পথ হচ্ছে আল্লাহর আনুগত্য করা। এ পথ পরিহার করে যে পথেই চলবে, তা হবে শয়তানের পথ। আর শয়তানের সকল পথই চলে গেছে জাহান্নামের দিকে। এখানে আরো বুঝানো হয়েছে যে, মানুষ নিজেরাই নিজেদের ভুলের জন্য দায়ী। এ ক্ষেত্রে শয়তানের ভূমিকা এ থেকে বেশি কিছু নয় যে, সে দুনিয়ার বাহ্যিক জীবনোপকরণের সাহায্যে ধোঁকা দিয়ে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার চেষ্টা করে। তার ধোঁকায় পড়ে যাওয়া মানুষের নিজেদের ভুল। এর কোন দায়-দায়িত্ব অন্য কারো উপর বর্তাবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন