hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৭৪
অধ্যায়- ১৫ : ইদ্দতের বিধান
ইদ্দত শব্দের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে গণনা করা। পারিভাষিক অর্থে স্ত্রীর জরায়ুতে সন্তান আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য যে কয়দিন অপেক্ষা করতে হয় তাকেই ইদ্দত বলে।

সতর্কতার সাথে ইদ্দতের সময়ের হিসাব রাখতে হবে :

يَاۤ اَيُّهَا النَّبِيُّ اِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَآءَ فَطَلِّقُوْهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ وَاَحْصُوا الْعِدَّةَ

হে নবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে ইচ্ছা কর, তখন তাদেরকে তালাক দেয়ার ক্ষেত্রে ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখো এবং ইদ্দতের (দিনগুলোর) হিসাব রেখো। (সূরা তালাক্ব- ১)

সহবাসের আগে তালাক দিলে ইদ্দত নেই :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اِذَا نَكَحْتُمُ الْمُؤْمِنَاتِ ثُمَّ طَلَّقْتُمُوْهُنَّ مِنْ قَبْلِ اَنْ تَمَسُّوْهُنَّ فَمَا لَكُمْ عَلَيْهِنَّ مِنْ عِدَّةٍ

হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা মুমিন নারীদেরকে বিবাহ কর, তারপর তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বেই তালাক দিয়ে দাও, তখন তোমাদের জন্য তাদের উপর কোন ইদ্দত নেই। (সূরা আহযাব- ৪৯)

তালাকপ্রাপ্তা মহিলার ইদ্দত হলো তিন হায়েয :

وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِاَنْفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوْٓءٍ

আর তালাকপ্রাপ্তা মহিলারা তিনটি মাসিক পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। (সূরা বাক্বারা- ২২৮)

যার হায়েয হয় না বা বন্ধ হয়ে গেছে, তার ইদ্দত তিন মাস :

وَاللَّآئِيْ يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيْضِ مِنْ نِّسَآئِكُمْ اِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ اَشْهُرٍ وَّاللَّآئِيْ لَمْ يَحِضْنَ

তোমাদের যেসব স্ত্রীদের ব্যাপারে ঋতুবতী হওয়ার আশা নেই তাদের ইদ্দত সম্পর্কে যদি তোমরা সন্দেহ পোষণ কর, তবে তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস এবং যাদের ঋতুকাল এখনো শুরু হয়নি তারাও (তিন মাস ইদ্দত) পালন করবে। (সূরা তালাক্ব- ৪)

স্বামী মারা গেলে ইদ্দত চারমাস দশ দিন :

وَالَّذِيْنَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُوْنَ اَزْوَاجًا يَّتَرَبَّصْنَ بِاَنْفُسِهِنَّ اَرْبَعَةَ اَشْهُرٍ وَّعَشْرًا

তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায়, তাদের স্ত্রীরা চার মাস দশ দিন অপেক্ষা করবে। (সূরা বাক্বারা- ২৩৪)

গর্ভবতী নারীর ইদ্দত সন্তান প্রসবের পূর্ব পর্যন্ত :

وَاُولَاتُ الْاَحْمَالِ اَجَلُهُنَّ اَنْ يَّضَعْنَ حَمْلَهُنَّ

গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত। (সূরা তালাক্ব- ৪)

ইদ্দত পালনকালীন সময় স্বামীই খরচ বহন করবে :

وَاِنْ كُنَّ اُولَاتِ حَمْلٍ فَاَنْفِقُوْا عَلَيْهِنَّ حَتّٰى يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ

আর যদি তারা গর্ভবতী থাকে, তবে সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত তাদের জন্য ব্যয় করবে। (সূরা তালাক্ব- ৬)

সন্তান আছে মনে হলে তা প্রকাশ করতে হবে :

وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ اَنْ يَّكْتُمْنَ مَا خَلَقَ اللهُ فِۤيْ اَرْحَامِهِنَّ اِنْ كُنَّ يُؤْمِنَّ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ

আর তাদের গর্ভে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তা গোপন করা তাদের জন্য বৈধ হবে না, যদি তারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে। (সূরা বাক্বারা- ২২৮)

তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী বাচ্চাকে দুধ খাওয়ালে তাকে বিনিময় দিতে হবে :

فَاِنْ اَرْضَعْنَ لَكُمْ فَاٰتُوْهُنَّ اُجُوْرَهُنَّ وَأْتَمِرُوْا بَيْنَكُمْ بِمَعْرُوْفٍ

অতঃপর যদি তারা (ধাত্রীরা) তোমাদের সন্তানদেরকে স্তন্যদান করে, তবে তাদেরকে পারিশ্রমিক দেবে এবং সন্তানের কল্যাণ সম্পর্কে তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে নেবে। (সূরা তালাক্ব- ৬)

ইদ্দত চলাকালে স্বামীর বাড়িতেই থাকবে :

لَا تُخْرِجُوْهُنَّ مِنْ ۢبُيُوْتِهِنَّ وَلَا يَخْرُجْنَ اِلَّاۤ اَنْ يَّأْتِيْنَ بِفَاحِشَةٍ مُّبَيِّنَةٍ

তোমরা তাদেরকে (তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীদেরকে) তাদের বাসগৃহ হতে বের করে দিয়ো না এবং তারাও যেন বের না হয়ে যায় (তাদের সাথে এমন ব্যবহার করো না)। তবে যদি তারা স্পষ্ট অশ্লীলতায় লিপ্ত হয় (তবে বের করে দেয়া যাবে)। (সূরা তালাক্ব- ১)

ইদ্দত চলাকালে তাকে কোন কষ্ট দেয়া যাবে না :

وَلَا تُضَآرُّوْهُنَّ لِتُضَيِّقُوْا عَلَيْهِنَّ

আর তাদেরকে সংকটে ফেলার জন্য কষ্ট দিয়ো না। (সূরা তালাক্ব- ৬)

স্বামী তার সামর্থ্যানুযায়ী খরচ বহন করবে :

لِيُنْفِقْ ذُوْ سَعَةٍ مِّنْ سَعَتِهٖؕ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهٗ فَلْيُنْفِقْ مِمَّاۤ اٰتَاهُ اللهُؕ لَا يُكَلِّفُ اللهُ نَفْسًا اِلَّا مَاۤ اٰتَاهَاؕ سَيَجْعَلُ اللهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُّسْرًا

সামর্থ্যবান ব্যক্তি নিজ সামর্থ্যানুযায়ী ব্যয় করবে। আর যার জীবনোপকরণ সীমিত, সে আল্লাহ যা দান করেছেন তা হতে ব্যয় করবে। আল্লাহ যাকে যে সামর্থ্য দিয়েছেন তদপেক্ষা অতিরিক্ত বোঝা তিনি তার উপর চাপিয়ে দেন না। অচিরেই আল্লাহ কষ্টের পর সহজ করে দেবেন। (সূরা তালাক্ব- ৭)

ইদ্দত চলাকালীন সময়ে বিয়ের কল্পনা করা যায় :

وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيْمَا عَرَّضْتُمْ بِهٖ مِنْ خِطْبَةِ النِّسَآءِ اَوْ اَكْنَنْتُمْ فِۤيْ اَنْفُسِكُمْؕ عَلِمَ اللهُ اَنَّكُمْ سَتَذْكُرُوْنَهُنَّ

যদি তোমরা ইদ্দতের মধ্যে নারীদের কাছে ইঙ্গিতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাও অথবা নিজেদের মনে তা গোপন রাখ, তবে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ হবে না। কেননা আল্লাহ জানেন যে, অচিরেই তোমরা তাদের কথা বার বার মনে করবে। (সূরা বাক্বারা- ২৩৫)

তবে বিয়ের পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না :

وَلَا تَعْزِمُوْا عُقْدَةَ النِّكَاحِ حَتّٰى يَبْلُغَ الْكِتَابُ اَجَلَهٗؕ وَاعْلَمُوْاۤ اَنَّ اللهَ يَعْلَمُ مَا فِۤيْ اَنْفُسِكُمْ فَاحْذَرُوْهُۚ وَاعْلَمُوْاۤ اَنَّ اللهَ غَفُوْرٌ حَلِيْمٌ

ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পূর্বে বিয়ের কাজ পাকাপোক্ত করার ইচ্ছা করো না। জেনে রেখো, তোমাদের মনে যা আছে আল্লাহ সবই জানেন। সুতরাং তোমরা তাকে ভয় করো এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ ক্ষমাশীল ও ধৈর্যশীল। (সূরা বাক্বারা- ২৩৫)

ইদ্দত শেষ হওয়ার পর বিয়ে বসতে বাধা নেই :

فَاِذَا بَلَغْنَ اَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيْمَا فَعَلْنَ فِۤيْ اَنْفُسِهِنَّ بِالْمَعْرُوْفِؕ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ

অতঃপর যখন তাদের ইদ্দত পূর্ণ হয়ে যাবে তখন তারা নিজেদের ব্যাপারে নিয়মানুযায়ী যা (সিদ্ধান্ত গ্রহণ) করবে, তাতে তোমাদের কোন গোনাহ হবে না। আর তোমরা যা কর আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।

(সূরা বাক্বারা- ২৩৪)

ইদ্দত শেষ হলে নারীদেরকে বিয়ে বসতে বাধা দেয়া যাবে না :

وَاِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَآءَ فَبَلَغْنَ اَجَلَهُنَّ فَلَا تَعْضُلُوْهُنَّ اَنْ يَّنْكِحْنَ اَزْوَاجَهُنَّ اِذَا تَرَاضَوْا بَيْنَهُمْ بِالْمَعْرُوْفِ

আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দাও এবং তারা ইদ্দত পূর্ণ করে, তবে তারা যদি তাদের স্বামীদের সাথে বিধি মোতাবেক পরস্পরের সম্মতিতে বিয়ে করতে চায়, তবে তোমরা তাদেরকে বাধা দেবে না।

(সূরা বাক্বারা- ২৩২)

ব্যাখ্যা : কোন মহিলাকে তার স্বামী তালাক দিয়ে দেয়ার পর ইদ্দতকালের মধ্যে যদি তাকে ফিরিয়ে না নেয় এবং ইদ্দতকাল শেষ হওয়ার পর তারা দু’জন পারস্পরিক সম্মতিক্রমে আবার বিয়ে করতে চায়, তবে এ ক্ষেত্রে মহিলার আত্মীয়স্বজনদের তাদের এ পদক্ষেপে বাধা দেয়া উচিত নয়। এ ছাড়া এ আয়াতটির এ অর্থও হতে পারে যে, যদি কোন ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে তালাক দেয় এবং তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী ইদ্দতকাল শেষ করার পর তার থেকে মুক্ত হয়ে গিয়ে নিজের পছন্দ মতো অন্য কাউকে বিয়ে করতে চায়, তাহলে এ ক্ষেত্রে তার পূর্বের স্বামী যেন তার এ বিয়েতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। যে মহিলাকে সে ত্যাগ করেছে তাকে যাতে আর কেউ গ্রহণ করতে এগিয়ে না আসে, এজন্য সে যেন কোন ধরনের প্রচেষ্টা না চালায়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন