hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৪০
অধ্যায়- ২৩ : মূসা (আঃ) এর সামুদ্রিক সফরের ঘটনা
কাফির ও মুমিন উভয় দলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সত্য সম্পর্কে সজাগ করাই এ ঘটনার মূল উদ্দেশ্য। সে সত্যটি হচ্ছে, দুনিয়ায় যা কিছু ঘটে মানুষের স্থূলদৃষ্টি তা থেকে ভিন্ন ফলাফল গ্রহণ করে। কারণ আল্লাহ যে উদ্দেশ্য ও কল্যাণকে সামনে রেখে কাজ করেন, তা মানুষের জানা থাকে না। মানুষ প্রতিনিয়ত দেখছে- যালিমরা উন্নতি লাভ করছে, আর নিরাপরাধরা কষ্ট ও সংকটের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে। নাফরমানদের প্রতি অপরিমিত অনুগ্রহ বর্ষিত হচ্ছে, আর আনুগত্যশীলদের উপর বিপদের পাহাড় ভেঙ্গে পড়ছে। অসৎ লোকেরা আরামে জীবন-যাপন করছে, আর সৎ লোকেরা দূরাবস্থার মধ্যে অমানবিক জীবন-যাপন করছে। লোকেরা এর রহস্য না জানার কারণে সাধারণভাবে তাদের মনে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। কাফির ও যালিমরা এ থেকে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায় যে, এ দুনিয়াটা একটা অরাজকতার মুল্লুক। এখানে যার যা ইচ্ছা করতে পারে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বা তার থেকে কৈফিয়ত নেয়ার মতো কেউ নেই। এ ধরনের ঘটনাবলি দেখে মুমিনরা মনমরা হয়ে পড়ে এবং অনেক সময় কঠিন পরীক্ষাকালে তার ঈমানের ভিতও নড়ে যায়। এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ মূসা (আঃ) কে বাহ্যিক ঘটনার বিপরীতে কেমন রহস্য লুকিয়ে থাকে, তা এক ঝলক দেখিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে করে ঘটনার বাহ্যিক দিকসমূহ তার অভ্যন্তর থেকে কেমন ভিন্নতর হয়, তা তিনি জানতে পারেন।

মূসা (আঃ) খাদিমকে সফরের কথা জানালেন :

وَاِذْ قَالَ مُوْسٰى لِفَتَاهُ لَاۤ اَبْرَحُ حَتّٰۤى اَبْلُغَ مَجْمَعَ الْبَحْرَيْنِ اَوْ اَمْضِيَ حُقُبًا

স্মরণ করো, যখন মূসা তার সাথিকে বলেছিল, দু’সমুদ্রের সঙ্গমস্থলে না পৌঁছা পর্যন্ত আমি থামব না অথবা আমি যুগ যুগ ধরে চলতে থাকব। (সূরা কাহফু ৬০)

দু’সমুদ্রের মিলনস্থলে পৌঁছলে সাথে থাকা মাছটির কথা ভুলে যান :

فَلَمَّا بَلَغَا مَجْمَعَ بَيْنِهِمَا نَسِيَا حُوْتَهُمَا فَاتَّخَذَ سَبِيْلَهٗ فِى الْبَحْرِ سَرَبًا

যখন তারা উভয়ে দু’সমুদ্রের মিলনস্থলে পৌঁছল, তখন তারা নিজেদের মাছটির কথা ভুলে গেল। অতঃপর তা সুড়ঙ্গের মতো নিজের পথ করে সমুদ্রে নেমে গেল। (সূরা কাহফু ৬১)

কিছুক্ষণ চলার পর নাস্তা চাইলেন :

فَلَمَّا جَاوَزَا قَالَ لِفَتَاهُ اٰتِنَا غَدَآءَنَاؗ لَقَدْ لَقِيْنَا مِنْ سَفَرِنَا هٰذَا نَصَبًا

যখন তারা আরো অগ্রসর হলো মূসা তার সাথিকে বলল, আমাদের নাস্তা আনো। আমরা তো আমাদের এ সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। (সূরা কাহফু ৬২)

খাদেম বলল, মাছটি চলে গেছে :

قَالَ اَرَاَيْتَ اِذْ اَوَيْنَاۤ اِلَى الصَّخْرَةِ فَاِنِّيْ نَسِيْتُ الْحُوْتَ وَمَاۤ اَنْسَانِيْهُ اِلَّا الشَّيْطَانُ اَنْ اَذْكُرَهٗۚ وَاتَّخَذَ سَبِيْلَهٗ فِى الْبَحْرِۗ عَجَبًا

সে বলল, আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, আমরা যখন শিলাখন্ডে বিশ্রাম করছিলাম তখন আমি মৎস্যের কথা ভুলে গিয়েছিলাম? শয়তানই সেটার কথা বলতে আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল। মৎস্যটি আশ্চর্যজনকভাবে সমুদ্রে নিজের পথ করে নিল। (সূরা কাহফু ৬৩)

তারা আবার সেখানে ফিরে আসলেন :

قَالَ ذٰلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِۗ فَارْتَدَّا عَلٰۤى اٰثَارِهِمَا قَصَصًا

মূসা বলল, আমরা তো সে স্থানটিরই অনুসন্ধান করছিলাম। অতঃপর তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চলল। (সূরা কাহফু ৬৪)

ফিরে আসার পর খিজির (আঃ) এর সাথে দেখা হলো :

فَوَجَدَا عَبْدًا مِّنْ عِبَادِنَاۤ اٰتَيْنَاهُ رَحْمَةً مِّنْ عِنْدِنَا وَعَلَّمْنَاهُ مِنْ لَّدُنَّا عِلْمًا

অতঃপর তারা আমার বান্দাদের মধ্যে একজনের সাক্ষাৎ পেল, যাকে আমি আমার পÿ হতে অনুগ্রহ দান করেছিলাম ও আমার পÿ হতে এক বিশেষ জ্ঞানের শিক্ষা দান করেছিলাম। (সূরা কাহফু ৬৫)

মূসা (আঃ) তার কাছ থেকে জ্ঞান শিখতে চাইলেন :

قَالَ لَهٗ مُوْسٰى هَلْ اَتَّبِعُكَ عَلٰۤى اَنْ تُعَلِّمَنِ مِمَّا عُلِّمْتَ رُشْدًا

মূসা তাকে বলল, সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে দান করা হয়েছে তা হতে আমাকে শিক্ষা দেবেন, এ শর্তে আমি কি আপনার অনুসরণ করব? (সূরা কাহফু ৬৬)

খিজির (আঃ) বললেন, আপনি ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না :

قَالَ اِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيْعَ مَعِيَ صَبْرًا وَكَيْفَ تَصْبِرُ عَلٰى مَا لَمْ تُحِطْ بِهٖ خُبْرًا

সে বলল, আপনি কিছুতেই আমার সঙ্গে ধৈর্যধারণ করে থাকতে পারবেন না। যে বিষয় আপনার জ্ঞানায়ত্ত নয়, সে বিষয়ে আপনি কি করে ধৈর্যধারণ করবেন? (সূরা কাহফু ৬৭, ৬৮)

মূসা (আঃ) ধৈর্যধারণ করার আশ্বাস দিলেন :

قَالَ سَتَجِدُنِۤيْ اِنْ شَآءَ اللهُ صَابِرًا وَّلَاۤ اَعْصِيْ لَكَ اَمْرًا

মূসা বলল, আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল হিসেবেই পাবেন এবং আপনার কোন আদেশ আমি অমান্য করব না। (সূরা কাহফু ৬৯)

খিজির (আঃ) একটি শর্তে রাজি হলেন :

قَالَ فَاِنِ اتَّبَعْتَنِيْ فَلَا تَسْاَلْنِيْ عَنْ شَيْءٍ حَتّٰۤى اُحْدِثَ لَكَ مِنْهُ ذِكْرًا

সে বলল, আপনি যদি আমার অনুসরণ করতেই চান, তবে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যতক্ষণ না আমি সে সম্বন্ধে আপনাকে কিছু বলি। (সূরা কাহফু ৭০)

দু’জন একটি নৌকায় চড়লে খিজির (আঃ) তা ছিদ্র করে দিলেন :

فَانْطَلَقَا حَتّٰۤى اِذَا رَكِبَا فِى السَّفِيْنَةِ خَرَقَهَا

অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল, পরে যখন তারা নৌকায় আরোহণ করল তখন সে সেটা বিদীর্ণ করে দিল।

(সূরা কাহফু ৭১)

মূসা (আঃ) ধৈর্যধারণ করতে পারলেন না :

قَالَ اَخَرَقْتَهَا لِتُغْرِقَ اَهْلَهَاۚ لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا اِمْرًا

মূসা বলল, আপনি কি আরোহীদেরকে নিমজ্জিত করে দেয়ার জন্য সেটা বিদীর্ণ করলেন? আপনি তো এক গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন! (সূরা কাহফু ৭১)

খিজির (আঃ) শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ করলেন :

قَالَ اَلَمْ اَقُلْ اِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيْعَ مَعِيَ صَبْرًا

সে বলল, আমি কি বলিনি যে, আপনি আমার সঙ্গে কিছুতেই ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না? (সূরা কাহফু ৭২)

মূসা (আঃ) ভুলের ওজর পেশ করলেন :

قَالَ لَا تُؤَاخِذْنِيْ بِمَا نَسِيْتُ وَلَا تُرْهِقْنِيْ مِنْ اَمْرِيْ عُسْرًا

মূসা বলল, আমার ভুলের জন্য আমাকে অপরাধী করবেন না এবং আমার ব্যাপারে অত্যাধিক কঠোরতা অবলম্বন করবেন না। (সূরা কাহফু ৭৩)

পরে খিজির (আঃ) এক বালককে হত্যা করলেন :

فَانْطَلَقَا حَتّٰۤى اِذَا لَقِيَا غُلَامًا فَقَتَلَهٗ

অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল, এমনকি তাদের সাথে এক বালকের সাক্ষাৎ হলো এবং সে তাকে হত্যা করল। (সূরা কাহফু ৭৪)

এতেও মূসা (আঃ) কথা না বলে পারলেন না :

قَالَ اَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً ۢبِغَيْرِ نَفْسٍؕ لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا نُّكْرًا

তখন মূসা বলল, আপনি কি হত্যা করার মতো অপরাধ ছাড়াই এক নিষ্পাপ জীবনকে হত্যা করে ফেললেন? আপনি তো এক গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন। (সূরা কাহফু ৭৪)

খিজির (আঃ) এবারও অভিযোগ করলেন :

قَالَ اَلَمْ اَقُلْ لَّكَ اِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيْعَ مَعِيَ صَبْرًا

সে বলল, আমি কি আপনাকে বলিনি যে, আপনি আমার সঙ্গে কিছুতেই ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না? (সূরা কাহফু ৭৫)

মূসা (আঃ) শেষবারের মতো ওজর পেশ করলেন :

قَالَ اِنْ سَاَلْتُكَ عَنْ شَيْءٍ ۢ بَعْدَهَا فَلَا تُصَاحِبْنِيْۚ قَدْ بَلَغْتَ مِنْ لَّدُنِّيْ عُذْرًا

মূসা বলল, এরপরও যদি আমি আপনাকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করি, তবে আপনি আমাকে সঙ্গে রাখবেন না; আমার ওজর–আপত্তি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। (সূরা কাহফু ৭৬)

সামনে গিয়ে এক গ্রামবাসীর কাছে খাবার চাইলেন, কিন্তু তারা দিল না :

فَانْطَلَقَا حَتّٰۤى اِذَاۤ اَتَيَاۤ اَهْلَ قَرْيَةِنِ اسْتَطْعَمَاۤ اَهْلَهَا فَاَبَوْا اَنْ يُّضَيِّفُوْهُمَا

অতঃপর উভয়ে চলতে লাগল, এমনকি তারা এক জনপদের অধিবাসীদের নিকট পৌঁছে তাদের নিকট খাদ্য চাইল; কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। (সূরা কাহফু ৭৭)

খিজির (আঃ) তাদের একটি দেয়াল ঠিক করে দিলেন :

فَوَجَدَا فِيْهَا جِدَارًا يُّرِيْدُ اَنْ يَّنْقَضَّ فَاَقَامَهٗ

অতঃপর সেখানে তারা এক প্রাচীর দেখতে পেল, যা ছিল ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম। অতঃপর সে তা সুদৃঢ় করে দিল। (সূরা কাহফ- ৭৭)

মূসা (আঃ) এবারও কথা বলে ফেললেন :

قَالَ لَوْ شِئْتَ لَاتَّخَذْتَ عَلَيْهِ اَجْرًا

মূসা বলল, আপনি তো ইচ্ছা করলে এর জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারতেন। (সূরা কাহফু ৭৭)

খিজির (আঃ) বললেন, এখন আমাদের বিচ্ছেদের সময় হয়েছে :

قَالَ هٰذَا فِرَاقُ بَيْنِيْ وَبَيْنِكَۚ سَاُنَبِّئُكَ بِتَأْوِيْلِ مَا لَمْ تَسْتَطِعْ عَّلَيْهِ صَبْرًا

সে বলল, এখানেই আপনার এবং আমার মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হলো। অতএব যে বিষয়ে আপনি ধৈর্যধারণ করতে পারেননি আমি তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করছি। (সূরা কাহফু ৭৮)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন