hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৬১৯
অধ্যায়- ৪৭ : তাবুকের যুদ্ধ
৬৩০ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে (৯ম হিজরী, রজব মাস) রোমান সম্রাট হিরাক্লিয়াস মদিনা আক্রমণের বিষয়টি চূড়ান্ত করে। রোম সাম্রাজ্যের অধীন লাখম, জুযাম, গাসসান, আমেলাহ প্রভৃতি কয়েকটি আরব গোত্রও প্রায় এক লক্ষ সৈন্য নিয়ে রোমান বাহিনীতে শামিল হয়। আরবের ইয়াহুদিরা মুহাম্মাদ ﷺ এর হাতে কয়েকবার পরাজয় বরণ করে সিরিয়া সংলগ্ন খায়বার অঞ্চলে নাশকতামূলক কার্যে লিপ্ত ছিল। হুদায়বিয়া সন্ধির পর মুহাম্মাদ ﷺ রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের নিকট দূত পাঠান। কিন্তু মক্কা বিজয়ের পর হুনাইন ও তায়েফ বিজয়ে হিরাক্লিয়াস ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। তদুপরি মুতার যুদ্ধে খ্রিস্টানদের পরাজয় এবং ইয়াহুদিদের প্ররোচনা তাকে উত্তেজিত করে তুলে। গাসসানীদের সহযোগিতায় ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে নভেম্বর মাসে লক্ষাধিক সৈন্যসহ বায়জান্টাইন বাহিনী মদিনার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। মুহাম্মাদ ﷺ এ সংবাদ পেয়ে সিরিয়া গমনের বাণিজ্য পথটিকে নিরাপদ রাখার জন্য সিরিয়া সীমামেত্ম অবস্থিত তাবুক নামক স্থানে শত্রুপক্ষের গতিরোধ করেন। মুসলিম বাহিনীতে পদাতিক সৈন্য ছিল ৩০,০০০ এবং অশ্বারোহী ১০,০০০। এ যুদ্ধে আবু বকর (রাঃ) তাঁর সমসত্ম সম্পত্তি, উমর (রাঃ) তাঁর অর্ধেক সম্পত্তি এবং ওসমান (রাঃ) ১,০০০ স্বর্ণমুদ্রা, ১,০০০ উট এবং ৭০টি অশ্ব যুদ্ধ তহবিলে দান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে এসব আয়োজন বিশেষ কোন কাজে আসেনি। কেননা আগত যুদ্ধে মুসলিমদের বিজয়লাভ অবশ্যম্ভাবী মনে করে বায়জান্টাইন বাহিনী সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ না হয়ে পলায়ন করে। মহানবী ﷺ ২০ দিন তাবুকে অবস্থান করে মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন। মুসলিম সৈন্যবাহিনী তাবুকে গমনকালে পথিমধ্যে গ্রীষ্মের সূর্যের প্রচন্ড কিরণ ও প্রখর তাপে এবং পানির অভাবে ভয়ানক কষ্ট পান। মুহাম্মাদ ﷺ এর জীবদ্দশায় ছোট বড় সর্বমোট ২৭টি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তন্মধ্যে তাবুক ও অন্যান্য ৮টি যুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। নবম হিজরী সনে অনুষ্ঠিত এ অভিযানটিই ছিল মহানবী ﷺ এর জীবনের শেষ অভিযান।

পরিস্থিতি কঠিন হওয়া সত্ত্বেও যুদ্ধে বের হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয় :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مَا لَكُمْ اِذَا قِيْلَ لَكُمُ انْفِرُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ اثَّاقَلْتُمْ اِلَى الْاَرْضِؕ اَرَضِيْتُمْ بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الْاٰخِرَةِۚ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِى الْاٰخِرَةِ اِلَّا قَلِيْلٌ

হে মুমিনগণ! তোমাদের কী হলো? যখন তোমাদেরকে আল্লাহর পথে অভিযানে বের হতে বলা হয় তখন তোমরা ভরাক্রান্ত হয়ে জমিনের দিকে ঝুঁকে পড়? তোমরা কি আখিরাতের পরিবর্তে পার্থিব জীবনেই পরিতুষ্ট হয়েছ? (জেনে রেখো) আখিরাতের তুলনায় পার্থিব জীবনের ভোগের উপকরণ অতি সামান্য। (সূরা তাওবা- ৩৮)

বের না হলে সতর্কবাণী শুনিয়ে দেয়া হয় :

اِلَّا تَنْفِرُوْا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا اَلِيْمًا وَّيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّوْهُ شَيْئًاؕ وَاللهُ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

যদি তোমরা অভিযানে বের না হও, তবে তিনি তোমাদেরকে মর্মান্তিক শাস্তি দেবেন এবং অন্য কোন জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। আর তোমরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (সূরা তাওবা- ৩৯)

যে যেই অবস্থাতেই থাকুক না কেন বের হওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো :

اِنْفِرُوْا خِفَافًا وَّثِقَالًا وَّجَاهِدُوْا بِاَمْوَالِكُمْ وَاَنْفُسِكُمْ فِيْ سَبِيْلِ اللهِؕ ذٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ

তোমরা অভিযানে বের হয়ে পড়ো, হালকা অবস্থায় হোক অথবা ভারি অবস্থায় এবং তোমাদের সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করো। আর এটাই তোমাদের জন্য উত্তম হবে, যদি তোমরা জানতে। (সূরা তাওবা- ৪১)

সত্যিকার মুমিনগণ কোন অজুহাত উপস্থিত করেননি :

لَا يَسْتَاْذِنُكَ الَّذِيْنَ يُؤْمِنُوْنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ اَنْ يُّجَاهِدُوْا بِاَمْوَالِهِمْ وَاَنْفُسِهِمْ وَاللهُ عَلِيْمٌ ۢبِالْمُتَّقِيْنَ

যারা আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, তারা তোমার নিকট নিজ সম্পদ ও জীবন দ্বারা জিহাদ থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করে না। আল্লাহ মুত্তাক্বীদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। (সূরা তাওবা- ৪৪)

তারা নবীর সাথে যুদ্ধে বের হয়ে যায় :

لٰكِنِ الرَّسُوْلُ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مَعَهٗ جَاهَدُوْا بِاَمْوَالِهِمْ وَاَنْفُسِهِمْؕ وَاُولٰٓئِكَ لَهُمُ الْخَيْرَاتُؗ وَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ

তবে রাসূল এবং যারা তাঁর সাথে ঈমান এনেছিল তারা নিজ সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে; তাদের জন্যই রয়েছে কল্যাণ এবং তারাই সফলকাম। (সূরা তাওবা- ৮৮)

মুনাফিকরা এ যুদ্ধে যেতে অক্ষমতা প্রকাশ করে :

لَوْ كَانَ عَرَضًا قَرِيْبًا وَّسَفَرًا قَاصِدًا لَّاتَّبَعُوْكَ وَلٰكِنْ ۢبَعُدَتْ عَلَيْهِمُ الشُّقَّةُؕ وَسَيَحْلِفُوْنَ بِاللهِ لَوِ اسْتَطَعْنَا لَخَرَجْنَا مَعَكُمْؕ يُهْلِكُوْنَ اَنْفُسَهُمْۚ وَاللهُ يَعْلَمُ اِنَّهُمْ لَكَاذِبُوْنَ

যদি তাড়াতাড়ি সম্পদ লাভের সম্ভাবনা থাকত এবং সফলতা আসাটা সহজ হতো, তাহলে অবশ্যই তারা তোমার অনুসরণ করত; কিন্তু তাদের নিকট যাত্রাপথ খুবই সুদীর্ঘ মনে হলো। (ফলে) অচিরেই তারা আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে, ‘যদি পারতাম তবে আমরা অবশ্যই তোমাদের সঙ্গে বের হতাম।’ বস্তুত তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ধ্বংস করে। আল্লাহ জানেন যে, নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী। (সূরা তাওবা- ৪২)

তারা প্রচন্ড গরমের দিন বের না হওয়ার পরামর্শ দেয় :

وَقَالُوْا لَا تَنْفِرُوْا فِى الْحَرِّ ؕ قُلْ نَارُ جَهَنَّمَ اَشَدُّ حَرًّاؕ لَوْ كَانُوْا يَفْقَهُوْنَ

তারা বলল, গরমের মধ্যে অভিযানে বের হয়ো না। বলো, গরমের দিক থেকে জাহান্নামের আগুন প্রচন্ডতম, যদি তারা বুঝত। (সূরা তাওবা- ৮১)

তারা না যাওয়ার জন্য অজুহাত উপস্থিত করে :

وَمِنْهُمْ مَّنْ يَّقُوْلُ ائْذَنْ لِّيْ وَلَا تَفْتِنِّيْؕ اَ لَا فِى الْفِتْنَةِ سَقَطُوْاؕ وَاِنَّ جَهَنَّمَ لَمُحِيْطَةٌ ۢبِالْكَافِرِيْنَ

তাদের মধ্যে এমনও লোক আছে যারা বলে, আমাকে অব্যাহতি দিন এবং আমাকে ফিতনায় ফেলবেন না। সাবধান! তারাই ফিতনায় লিপ্ত রয়েছে। নিশ্চয় জাহান্নাম কাফিরদেরকে বেষ্টন করে আছে। (সূরা তাওবা- ৪৯)

তারা বের হওয়ার কোন প্রস্তুতিই নেয়নি :

وَلَوْ اَرَادُوا الْخُرُوْجَ لَاَعَدُّوْا لَهٗ عُدَّةً وَّلٰكِنْ كَرِهَ اللهُ انْۢبِعَاثَهُمْ فَثَبَّطَهُمْ وَقِيْلَ اقْعُدُوْا مَعَ الْقَاعِدِيْنَ

তারা বের হতে চাইলে নিশ্চয় তারা এর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করত, কিন্তু তাদের অভিযাত্রা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় ছিল না। সুতরাং তিনি তাদেরকে বিরত রাখেন এবং তাদেরকে বলা হয়, ‘যারা বসে আছে তোমরা তাদের সাথে বসে থাকো।’ (সূরা তাওবা- ৪৬)

তারা বাড়িতে বসে থেকেই আনন্দ লাভ করল :

فَرِحَ الْمُخَلَّفُوْنَ بِمَقْعَدِهِمْ خِلَافَ رَسُوْلِ اللهِ وَكَرِهُوْاۤ اَنْ يُّجَاهِدُوْا بِاَمْوَالِهِمْ وَاَنْفُسِهِمْ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ

যারা পশ্চাতে রয়ে গেল তারা আল্লাহর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে বসে থাকাতেই আনন্দ বোধ করল এবং তাদের ধনসম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করাকে অপছন্দ করল। (সূরা তাওবা- ৮১)

ধনীরা আরো বেশি পেছনে থাকার বাহানা জুড়েছিল :

وَاِذَاۤ اُنْزِلَتْ سُوْرَةٌ اَنْ اٰمِنُوْا بِاللهِ وَجَاهِدُوْا مَعَ رَسُوْلِهِ اسْتَاْذَنَكَ اُولُو الطَّوْلِ مِنْهُمْ وَقَالُوْا ذَرْنَا نَكُنْ مَّعَ الْقَاعِدِيْنَ

যখন এ মর্মে কোন সূরা অবতীর্ণ হয় যে, তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়ন করো এবং রাসূলের সাথি হয়ে জিহাদ করো, তখন তাদের মধ্যে যাদের শক্তি-সামর্থ্য রয়েছে, তারা তোমার নিকট অব্যাহতি চায় এবং বলে, আমাদেরকে অব্যাহতি দিন, যারা বসে থাকে আমরা তাদের সঙ্গেই থাকব। (সূরা তাওবা- ৮৬)

এদের অভিযোগ গ্রহণ করাতে নবীকে সতর্ক করা হয় :

عَفَا اللهُ عَنْكَۚ لِمَ اَذِنْتَ لَهُمْ حَتّٰى يَتَبَيَّنَ لَكَ الَّذِيْنَ صَدَقُوْا وَتَعْلَمَ الْكَاذِبِيْنَ

আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করেছেন। কারা সত্যবাদী তা তোমার নিকট স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত এবং কারা মিথ্যাবাদী তা না জানা পর্যন্ত তুমি কেন তাদেরকে অব্যাহতি দিলে? (সূরা তাওবা- ৪৩)

যুদ্ধ শেষ হলে মুনাফিকরা অজুহাত উপস্থিত করতে থাকে :

يَعْتَذِرُوْنَ اِلَيْكُمْ اِذَا رَجَعْتُمْ اِلَيْهِمْؕ قُلْ لَّا تَعْتَذِرُوْا لَنْ نُّؤْمِنَ لَكُمْ قَدْ نَبَّاَنَا اللهُ مِنْ اَخْبَارِكُمْؕ وَسَيَرَى اللهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُوْلُهٗ ثُمَّ تُرَدُّوْنَ اِلٰى عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ

তোমরা তাদের নিকট ফিরে আসলে তারা তোমাদের নিকট অজুহাত পেশ করবে। বলো, অজুহাত পেশ করো না, আমরা কখনো তোমাদেরকে বিশ্বাস করব না। আল্লাহ আমাদেরকে তোমাদের ব্যাপারে জানিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করবেন এবং তাঁর রাসূলও। অতঃপর যিনি অদৃশ্য ও দৃশ্য সম্পর্কে পরিজ্ঞাত তোমাদেরকে তাঁর নিকট প্রত্যাবর্তিত করা হবে। তারপর তোমরা যা করতে তা তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন। (সূরা তাওবা- ৯৪)

আল্লাহ তাদের উপর কখনই সন্তুষ্ট নন :

يَحْلِفُوْنَ لَكُمْ لِتَرْضَوْا عَنْهُمْ فَاِنْ تَرْضَوْا عَنْهُمْؕ فَاِنَّ اللهَ لَا يَرْضٰى عَنِ الْقَوْمِ الْفَاسِقِيْنَ

তারা তোমাদের নিকট শপথ করবে যাতে তোমরা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হও। তোমরা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেও আল্লাহ (কখনো) সত্যত্যাগী সম্প্রদায়ের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন না। (সূরা তাওবা- ৯৬)

পরবর্তীতে যুদ্ধে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয় :

فَاِنْ رَّجَعَكَ اللهُ اِلٰى طَآئِفَةٍ مِّنْهُمْ فَاسْتَاْذَنُوْكَ لِلْخُرُوْجِ فَقُلْ لَّنْ تَخْرُجُوْا مَعِيَ اَبَدًا وَّلَنْ تُقَاتِلُوْا مَعِيَ عَدُوًّا اِنَّكُمْ رَضِيْتُمْ بِالْقُعُوْدِ اَ وَّلَ مَرَّةٍ فَاقْعُدُوْا مَعَ الْخَالِفِيْنَ

আল্লাহ যদি তোমাকে তাদের কোন দলের নিকট ফেরত আনেন এবং তারা অভিযানে বের হওয়ার জন্য তোমার অনুমতি প্রার্থনা করে তবে তুমি তাদেরকে বলে দেবে যে, তোমরা তো কখনো আমার সাথে বের হবে না এবং আমার সাথি হয়ে শত্রুর সাথে যুদ্ধও করবে না। তোমরা তো প্রথমবার বসে থাকাকেই পছন্দ করেছিলে; সুতরাং যারা পেছনে থাকে তাদের সাথেই বসে থাকো। (সূরা তাওবা- ৮৩)

যারা যুদ্ধে শরীক হয়েছেন তাদের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেয়া হয় :

لَقَدْ تَّابَ اللهُ عَلَى النَّبِيِّ وَالْمُهَاجِرِيْنَ وَالْاَنْصَارِ الَّذِيْنَ اتَّبَعُوْهُ فِيْ سَاعَةِ الْعُسْرَةِ مِنْ ۢبَعْدِ مَا كَادَ يَزِيْغُ قُلُوْبُ فَرِيْقٍ مِّنْهُمْ ثُمَّ تَابَ عَلَيْهِمْؕ اِنَّهٗ بِهِمْ رَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ

আল্লাহ অনুগ্রহপরায়ণ হলেন নবীর প্রতি এবং মুহাজির ও আনসারদের প্রতি, যারা সংকটকালে তাঁর অনুসরণ করেছিল- এমনকি যখন তাদের এক দলের অন্তর বক্র হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। পরে আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করলেন; নিশ্চয় তিনি তাদের প্রতি দয়াদ্র ও পরম দয়ালু। (সূরা তাওবা- ১১৭)

পেছনে থাকা কিছু সাহাবী নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেন :

وَاٰخَرُوْنَ اعْتَرَفُوْا بِذُنُوْبِهِمْ خَلَطُوْا عَمَلًا صَالِحًا وَّاٰخَرَ سَيِّئًاؕ عَسَى اللهُ اَنْ يَّتُوْبَ عَلَيْهِمْؕ اِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

অপর কতক লোক নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে, তারা এক সৎকর্মের সাথে অপর অসৎকর্ম মিশ্রিত করেছে। সম্ভবত আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন; নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা তাওবা- ১০২)

তিনজনের তাওবা পিছিয়ে দেয়া হয় :

وَاٰخَرُوْنَ مُرْجَوْنَ لِاَمْرِ اللهِ اِمَّا يُعَذِّبُهُمْ وَاِمَّا يَتُوْبُ عَلَيْهِمْ ؕ وَاللهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ

আল্লাহর আদেশের প্রতীক্ষায় অপর কতকের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত স্থগিত রইল যে, তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন অথবা ক্ষমা করবেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা তাওবা- ১০৬)

পঞ্চাশ দিন পর এ তিনজনের তাওবা কবুল হয় :

وَعَلَى الثَّلَاثَةِ الَّذِيْنَ خُلِّفُوْاؕ حَتّٰۤى اِذَا ضَاقَتْ عَلَيْهِمُ الْاَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ وَضَاقَتْ عَلَيْهِمْ اَنْفُسُهُمْ وَظَنُّوْاۤ اَنْ لَّا مَلْجَاَ مِنَ اللهِ اِلَّاۤ اِلَيْهِؕ ثُمَّ تَابَ عَلَيْهِمْ لِيَتُوْبُوْاؕ اِنَّ اللهَ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ

তিনি ক্ষমা করলেন অপর তিনজনকে, যাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছিল; যে পর্যন্ত না পৃথিবী বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও তাদের জন্য সেটা সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল এবং তাদের জীবন তাদের জন্য দুর্বিসহ হয়ে পড়েছিল। তারা উপলব্ধি করেছিল যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন আশ্রয়স্থল নেই। অতঃপর তিনি তাদের তাওবা কবুল করে নিলেন, যাতে তারা তাওবায় স্থির থাকে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

(সূরা তাওবা- ১১৮)

ব্যাখ্যা : যুদ্ধ হতে পশ্চাদপদ দশজনের মধ্যে যে তিনজন তাওবা করেননি, কেবল অপরাধ স্বীকার করেছিলেন, রাসূল ﷺ তাদের সঙ্গে মুসলিমদের কথাবার্তা বলতে নিষেধ করে চল্লিশ দিন পর বললেন, তারা নিজেদের স্ত্রী হতে দূরে থাকবে। এতে সমগ্র জগৎ যেন তাদের নিকট সংকীর্ণ হয়ে পড়ল। অতঃপর পঞ্চাশ দিন পর তাওবা কবুল হওয়ার খবর নিয়ে এ আয়াতটি নাযিল হয়। এ তিন সাহাবী ছিলেন কা‘ব ইবনে মালেক, হিলাল ইবনে উমাইয়া এবং মুরারা ইবনে রুবাই (রাঃ)।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন