hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩০১
অধ্যায়- ৩ : আকাশ
আল্লাহ কোন খুঁটি ছাড়াই আকাশ স্থাপন করেছেন :

اَللهُ الَّذِيْ رَفَعَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا

আল্লাহ ঐ সত্তা, যিনি কোন সত্মম্ভ ছাড়াই আকাশমন্ডলীকে উপরে স্থাপন করেছেন, যা তোমরা দেখতে পাচ্ছ। (সূরা রা‘দ-২)

আল্লাহ আকাশকে উপরে স্থাপন করেছেন:

وَالسَّمَآءَ رَفَعَهَا وَوَضَعَ الْمِيْزَانَ

আর তিনি আকাশকে সমুন্নত করেছেন এবং এতে ভারসাম্য স্থাপন করেছেন। (সূরা আর রহমান- ৭)

ব্যাখ্যা : এখানে اَلْمِيْزَانُ (আল মীযান) অর্থ সুবিচার ও ইনসাফ। আর মীযান প্রতিষ্ঠা করার অর্থ হচ্ছে, আল্লাহ তা‘আলা বিশ্বজাহানের সর্বত্র ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছেন। মহাকাশে অবস্থানরত অসংখ্য তারকা, গ্রহ-উপগ্রহ এবং এ বিশ্বলোকে বিদ্যমান অসংখ্য সৃষ্টির মধ্যে যদি পূর্ণমাত্রায় সুবিচার ও ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতেন, তাহলে এ জগৎ এক মুহূর্তের জন্যও চলতে পারত না।

আল্লাহ আকাশকে বানিয়েছেন ছাদস্বরূপ :

اَلَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الْاَرْضَ فِرَاشًا وَّالسَّمَآءَ بِنَآءً

যিনি তোমাদের জন্য জমিনকে বিছানা ও আকাশকে করেছেন ছাদস্বরূপ। (সূরা বাক্বারা- ২২)

وَجَعَلْنَا السَّمَآءَ سَقْفًا مَّحْفُوْظًاۚ وَهُمْ عَنْ اٰيَاتِهَا مُعْرِضُوْنَ

আমি আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদস্বরূপ, কিন্তু তারা তার নিদর্শনাবলি হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়। (সূরা আম্বিয়া- ৩২)

তিনি আকাশকে সাতটি স্তরে ভাগ করেছেন :

اَلَّذِيْ خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا

যিনি সাত আকাশকে স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। (সূরা মুলক- ৩)

আল্লাহ আকাশকে স্থির রাখেন :

وَيُمْسِكُ السَّمَآءَ اَنْ تَقَعَ عَلَى الْاَرْضِ اِلَّا بِاِذْنِهٖؕ اِنَّ اللهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ

তিনিই আকাশকে স্থির রাখেন, যাতে তাঁর অনুমতি ব্যতীত পৃথিবীর উপর তা পতিত না হয়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি খুবই দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু। (সূরা হজ্জ- ৬৫)

وَمِنْ اٰيَاتِهٖۤ اَنْ تَقُوْمَ السَّمَآءُ وَالْاَرْضُ بِاَمْرِهٖ

তাঁর দৃষ্টান্তগুলোর মধ্যে একটি হলো, আসমান ও জমিন তাঁরই আদেশে স্থির রয়েছে। (সূরা রূম- ২৫)

প্রত্যেক আকাশেই রয়েছে আল্লাহর আইন :

وَاَوْحٰى فِيْ كُلِّ سَمَآءٍ اَمْرَهَا

তিনি প্রত্যেক আকাশেই আদেশনামা প্রেরণ করেন। (সূরা হা-মীম সাজদা- ১২)

আল্লাহ দুনিয়ার আকাশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন :

وَزَيَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيْحَۗ وَحِفْظًاؕ ذٰلِكَ تَقْدِيْرُ الْعَزِيْزِ الْعَلِيْمِ

আমি দুনিয়ার আকাশকে তারকারাজি দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং (শয়তান থেকে) সুরক্ষিত করেছি। এটা মহাপরাক্রমশালী ও সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা। (সূরা হা-মীম সাজদা- ১২)

وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيْحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُوْمًا لِّلشَّيَاطِيْنِ وَاَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيْرِ

আমি দুনিয়ার আকাশকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছি প্রদীপমালা (তারকারাজি) দ্বারা। অতঃপর একে (তারকাসমূহকে) সংস্থাপন করে রেখেছি শয়তানদেরকে তাড়িয়ে দেয়ার উপকরণ (ক্ষেপনাস্ত্র) হিসেবে। আর তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি জাহান্নামের আযাব। (সূরা মুলক- ৫)

আকাশে অনেক কক্ষপথ তৈরি করেছেন :

تَبَارَكَ الَّذِيْ جَعَلَ فِى السَّمَآءِ بُرُوْجًا وَّجَعَلَ فِيْهَا سِرَاجًا وَّقَمَرًا مُّنِيْرًا

বরকতময় সেই সত্তা, যিনি আকাশে নক্ষত্রপুঞ্জ তৈরি করেছেন এবং তাতে সৃষ্টি করে দিয়েছেন একটি প্রদীপ (সূর্য) ও একটি জ্যোতির্ময় চাঁদ। (সূরা ফুরক্বান- ৬১)

ব্যাখ্যা : সমগ্র আকাশে অসংখ্য বিশালাকার গ্রহ-নক্ষত্রকে নিজ নিজ গতিপথে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। কোন তারের সাহায্যে তাদের পরস্পরকে সংযুক্ত করে রাখা হয়নি এবং কোন পেরেকের সাহায্যেও তাদের একটিকে অন্যটির উপর যাওয়া থেকে ঠেকিয়ে রাখা হয়নি।

আকাশের দিকে তাকালে তাওহীদের প্রমাণ পাওয়া যায় :

اِنَّ فِى السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ لَاٰيَاتٍ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে মুমিনদের জন্য রয়েছে অনেক নিদর্শন। (সূরা জাসিয়া- ৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন