hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৭৯
অধ্যায়- ১৬ : অপরাধীদের শেষ পরিণতি
কৃতকর্মের স্বাদ ভোগ করতেই হবে :

وَاِنْ تَعْدِلْ كُلَّ عَدْلٍ لَّا يُؤْخَذْ مِنْهَاؕ اُولٰٓئِكَ الَّذِيْنَ اُبْسِلُوْا بِمَا كَسَبُوْاۚ لَهُمْ شَرَابٌ مِّنْ حَمِيْمٍ وَّعَذَابٌ اَلِيْمٌ ۢبِمَا كَانُوْا يَكْفُرُوْنَ

(অপরাধীরা) বিনিময় হিসেবে সবকিছু দিতে চাইলেও তা গৃহীত হবে না। এরা নিজেদের কৃতকর্মের জন্যই ধ্বংস হবে; কুফরীর কারণে এদের জন্য রয়েছে উত্তপ্ত পানীয় ও মর্মামিত্মক শাস্তি। (সূরা আন‘আম- ৭০)

فَالْيَوْمَ لَا يُؤْخَذُ مِنْكُمْ فِدْيَةٌ وَّلَا مِنَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْاؕ مَاْوَاكُمُ النَّارُؕ هِيَ مَوْلَاكُمْؕ وَبِئْسَ الْمَصِيْرُ

আজ তোমাদের নিকট হতে কোন মুক্তিপণ নেয়া হবে না এবং কাফিরদের নিকট হতেও নয়। জাহান্নামই তোমাদের আবাসস্থল, এটাই তোমাদের চিরসঙ্গী; কতই না নিকৃষ্ট তোমাদের এ প্রত্যাবর্তন! (সূরা হাদীদ- ১৫)

اَفَمَنْ يَّتَّقِيْ بِوَجْهِهٖ سُوْٓءَ الْعَذَابِ يَوْمَ الْقِيَامَةِؕ وَقِيْلَ لِلظَّالِمِيْنَ ذُوْقُوْا مَا كُنْتُمْ تَكْسِبُوْنَ

যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন নিজের মুখমন্ডল দ্বারা কঠিন আযাব ঠেকাতে চাইবে, (সে কি ঐ ব্যক্তির মতো হবে, যে এরূপ নয়?) আর এসব যালিমদেরকে বলা হবে, তোমরা যা অর্জন করেছিলে তার বিনিময়ে (শাস্তির) স্বাদ গ্রহণ করো। (সূরা যুমার- ২৪)

ব্যাখ্যা : মানুষ মুখমন্ডলের উপর কোন আঘাত তখনই সহ্য করে যখন সে পুরোপুরি অক্ষম ও নিরুপায় হয়ে পড়ে। অন্যথায় যতক্ষণ পর্যন্ত তার মধ্যে প্রতিরোধের সামান্যতম শক্তিও বাকি থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে শরীরের প্রত্যেকটি অংশে আঘাত সহ্য করতে থাকে; কিন্তু তবুও মুখের উপর আঘাত লাগতে দেয় না। তাই এখানে ঐ ব্যক্তির চরম অসহায়ত্বের চিত্রাঙ্কন করা হয়েছে এই বলে যে, সে নিজের মুখে চরম আঘাত সহ্য করবে।

পরিশেষে সবাই জাহান্নামে যাবে :

اُحْشُرُوا الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا وَاَزْوَاجَهُمْ وَمَا كَانُوْا يَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ فَاهْدُوْهُمْ اِلٰى صِرَاطِ الْجَحِيْمِ

(ফেরেশতাদেরকে বলা হবে) যালিমদেরকে ও তাদের সাথিদেরকে এবং তারা আল্লাহ ব্যতীত যাদের ইবাদাত করত তাদেরকে একত্র করো। অতঃপর তাদেরকে জাহান্নামের পথে পরিচালিত করো। (সূরা সাফ্ফাত- ২২, ২৩)

وَقَالَ قَرِيْنُهٗ هٰذَا مَا لَدَيَّ عَتِيْدٌ اَلْقِيَا فِيْ جَهَنَّمَ كُلَّ كَفَّارٍ عَنِيْدٍ

তার সাথি (ফেরেশতা) বলবে, এই তো আমার নিকট আমলনামা প্রস্তুত। (আদেশ করা হবে) তোমরা উভয়ে প্রত্যেক কাফিরকে জা‎হান্নামে নিক্ষেপ করো। (সূরা ক্বাফ- ২৩, ২৪)

অপরাধী নেতারা দ্বিগুণ শাস্তি ভোগ করবে :

وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّبِعُوْا سَبِيْلَنَا وَلْنَحْمِلْ خَطَايَاكُمْؕ وَمَا هُمْ بِحَامِلِيْنَ مِنْ خَطَايَاهُمْ مِّنْ شَيْءٍؕ اِنَّهُمْ لَكَاذِبُوْنَ وَلَيَحْمِلُنَّ اَثْقَالَهُمْ وَاَثْقَالًا مَّعَ اَثْقَالِهِمْ وَلَيُسْاَلُنَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَمَّا كَانُوْا يَفْتَرُوْنَ

কাফিররা মুমিনদেরকে বলে, আমাদের পথ অনুসরণ করো তাহলে আমরা তোমাদের পাপের বোঝা বহন করব। কিন্তু তারা তো তাদের পাপের বোঝা কিছুই বহন করবে না; অবশ্যই তারা মিথ্যাবাদী। তারা নিজেদের ভার বহন করবে এবং নিজেদের বোঝার সাথে আরো কিছু বোঝা। আর তারা যে মিথ্যা উদ্ভাবন করে সে সম্পর্কে কিয়ামত দিবসে অবশ্যই তাদেরকে প্রশ্ন করা হবে। (সূরা আনকাবূত- ১২, ১৩)

وَاِذَا قِيْلَ لَهُمْ مَّاذَاۤ اَنْزَلَ رَبُّكُمْ قَالُوْاۤ اَسَاطِيْرُ الْاَوَّلِيْنَ لِيَحْمِلُوْاۤ اَوْزَارَهُمْ كَامِلَةً يَّوْمَ الْقِيَامَةِ وَمِنْ اَوْزَارِ الَّذِيْنَ يُضِلُّوْنَهُمْ بِغَيْرِ عِلْمٍؕ اَلَا سَآءَ مَا يَزِرُوْنَ

যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমাদের প্রতিপালক কী অবতীর্ণ করেছেন? তখন তারা বলে, পূর্ববর্তীদের উপকথা! ফলে কিয়ামতের দিন তারা তাদের পাপের বোঝা পূর্ণ মাত্রায় বহন করবে এবং তাদেরও পাপের বোঝা বহন করবে- যাদেরকে তারা না জেনে বিভ্রামত্ম করেছে। লক্ষ্য করো, তারা যা বহন করবে তা কতই না নিকৃষ্ট! (সূরা নাহল- ২৪, ২৫)

اَلَّذِيْنَ يَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِ اللهِ وَيَبْغُوْنَهَا عِوَجًا وَّهُمْ بِالْاٰخِرَةِ هُمْ كَافِرُوْنَ اُولٰٓئِكَ لَمْ يَكُوْنُوْا مُعْجِزِيْنَ فِى الْاَرْضِ وَمَا كَانَ لَهُمْ مِّنْ دُوْنِ اللهِ مِنْ اَوْلِيَآءَ يُضَاعَفُ لَهُمُ الْعَذَابُؕ مَا كَانُوْا يَسْتَطِيْعُوْنَ السَّمْعَ وَمَا كَانُوْا يُبْصِرُوْنَ

যারা আল্লাহর পথে বাধা দেয় এবং এতে বক্রতা অনুসন্ধান করে; তারাই আখিরাতের ব্যাপারে অবিশ্বাসী। তারা পৃথিবীতে আল্লাহকে অপারগ করতে পারেনি এবং আল্লাহ ব্যতীত তাদের অপর কোন অভিভাবক ছিল না। তাদের শাসিত্ম দ্বিগুণ করা হবে, তাদের শুনার সামর্থ্যও ছিল না এবং তারা দেখতেও পারত না। (সূরা হুদ- ১৯, ২০)

ব্যাখ্যা : সৎলোক অথবা অসৎলোক উভয়ই দ্বিগুণ বোঝা বহন করবে। সৎলোক দ্বিগুণ নেকীর বোঝা বহন করবে; আর অসৎলোক দ্বিগুণ পাপের বোঝা বহন করবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না এবং কারো উপর কোন রকম যুলুমও করা হবে না। আর তারা এসব বোঝা বহন করবে তাদের নিজ নিজ আমলের কারণে। রাসূল ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সঠিক পথের দিকে আহবান জানায় সে তাদের সমান প্রতিদান পাবে, যারা তার আহবানে সাড়া দিয়ে সঠিক পথ অবলম্বন করেছে। এজন্য তাদের প্রতিদানে কোন কমতি করা হবে না। আর যে ব্যক্তি গোমরাহীর দিকে আহবান জানায় সে তাদের সবার সমান গোনাহের ভাগী হবে, যারা তার অনুসরণ করেছে এবং এজন্য তাদের গোনাহের মধ্যে কোন কমতি করা হবে না। (সহীহ মুসলিম, হা/৬৯৮০)

অপরাধীদের কোন অভিযোগ কাজে লাগবে না :

فَيَوْمَئِذٍ لَّا يَنْفَعُ الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا مَعْذِرَتُهُمْ وَلَا هُمْ يُسْتَعْتَبُوْنَ

সেদিন যালিমদের আপত্তি তাদের কোন উপকারে আসবে না এবং তাদেরকে তাওবা করারও সুযোগ দেয়া হবে না। (সূরা রূম- ৫৭)

يَوْمَ لَا يَنْفَعُ الظَّالِمِيْنَ مَعْذِرَتُهُمْ وَلَهُمُ اللَّعْنَةُ وَلَهُمْ سُوْٓءُ الدَّارِ

সেদিন যালিমদের কোন আপত্তিই কোন উপকারে আসবে না। তাদের জন্য রয়েছে লানত এবং তাদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট আবাসস্থল। (সূরা মু’মিন- ৫২)

তারা নিজেদেরকে ধিক্কার দেবে :

وَقَالُوْا يَا وَيْلَنَا هٰذَا يَوْمُ الدِّيْنِ

আর তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভাগ্য! এটাই তো বিচারের দিন। (সূরা সাফ্ফাত- ২০)

وَاقْتَرَبَ الْوَعْدُ الْحَقُّ فَاِذَا هِيَ شَاخِصَةٌ اَبْصَارُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْاؕ يَا وَيْلَنَا قَدْ كُنَّا فِيْ غَفْلَةٍ مِّنْ هٰذَا بَلْ كُنَّا ظَالِمِيْنَ

সত্য প্রতিশ্রুতিকাল আসন্ন হলে কাফিরদের চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। তারা বলবে, হায় দুর্ভোগ আমাদের! আমরা তো এ বিষয়ে উদাসীন ছিলাম; এমনকি আমরা সীমালঙ্ঘনকারীও ছিলাম। (সূরা আম্বিয়া- ৯৭)

অপরাধীরা দুনিয়াতে ফিরে আসতে চাইবে :

وَلَوْ تَرٰۤى اِذِ الْمُجْرِمُوْنَ نَاكِسُوْا رُءُوْسِهِمْ عِنْدَ رَبِّهِمْؕ رَبَّنَاۤ اَبْصَرْنَا وَسَمِعْنَا فَارْجِعْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا اِنَّا مُوْقِنُوْنَ

আর যদি আপনি দেখতেন, যখন পাপীরা তাদের প্রতিপালকের সামনে স্বীয় মাথা নীচু করে বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা দেখলাম ও শ্রবণ করলাম। এখন আপনি আমাদেরকে পুনরায় (পৃথিবীতে) প্রেরণ করুন; আমরা নেক কাজ করব। এখন আমরা দৃঢ় বিশ্বাসী হয়েছি। (সূরা সাজদা- ১২)

يَقُوْلُ الَّذِيْنَ نَسُوْهُ مِنْ قَبْلُ قَدْ جَآءَتْ رُسُلُ رَبِّنَا بِالْحَقِّۚ فَهَلْ لَّنَا مِنْ شُفَعَآءَ فَيَشْفَعُوْا لَنَاۤ اَوْ نُرَدُّ فَنَعْمَلَ غَيْرَ الَّذِيْ كُنَّا نَعْمَلُ

সেদিন যারা ইতোপূর্বে তার কথা ভুলে গিয়েছিল তারা বলবে, আমাদের প্রতিপালকের রাসূলগণ তো সত্যবাণীই এনেছিল। এখন আমাদের কি এমন কোন সুপারিশকারী আছে, যে আমাদের জন্য সুপারিশ করবে? অথবা আমাদেরকে কি পুনরায় ফিরে যেতে দেয়া হবে, যেন আমরা পূর্বে যা করতাম তা হতে ভিন্নতর কিছু করতে পারি? (সূরা আ‘রাফ- ৫৩)

اِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا يُنَادَوْنَ لَمَقْتُ اللهِ اَكْبَرُ مِنْ مَّقْتِكُمْ اَنْفُسَكُمْ اِذْ تُدْعَوْنَ اِلَى الْاِيْمَانِ فَتَكْفُرُوْنَ قَالُوْا رَبَّنَاۤ اَمَتَّنَا اثْنَتَيْنِ وَاَحْيَيْتَنَا اثْنَتَيْنِ فَاعْتَرَفْنَا بِذُنُوْبِنَا فَهَلْ اِلٰى خُرُوْجٍ مِّنْ سَبِيْلٍ

নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে তাদেরকে আহবান করা হবে। (অতঃপর বলা হবে) নিজেদের প্রতি তোমাদের ক্ষোভ অপেক্ষা আল্লাহর অসন্তুষ্টিই ছিল অনেক বড়। (কেননা) যখন তোমাদেরকে ঈমানের প্রতি আহবান করা হতো তখন তোমরা তা অস্বীকার করতে। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে মৃত অবস্থায় দু’বার রেখেছেন এবং দু’বার প্রাণ দিয়েছেন। আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি; এখন বহির্গমণের (নিস্কৃতির জন্য) কোন পথ মিলবে কি? (সূরা মু’মিন- ১০, ১১)

ব্যাখ্যা : কিয়ামতের দিন কাফিররা যখন দেখবে যে, তারা পৃথিবীতে শিরক, নাস্তিকতা, আখিরাতকে অস্বীকৃতি এবং নবী-রাসূলদের বিরোধিতার উপর নিজেদের গোটা জীবনের ভিত্তি স্থাপন করার কারণে চরম অশুভ পরিণামের সম্মুখীন হয়েছে, তখন তারা নিজেদের আঙ্গুল কামড়াতে থাকবে এবং বিরক্ত হয়ে নিজেরাই নিজেদের উপর অভিশাপ দিতে থাকবে। এসময় ফেরেশতারা তাদেরকে ডেকে বলবেন, আজ তোমরা নিজেরাই নিজেদের উপর অত্যন্ত ক্রোধান্বিত হচ্ছ; অথচ ইতোপূর্বে পৃথিবীতে তোমাদেরকে এ পরিণাম থেকে রক্ষা করার জন্য সৎকর্মশীল লোকেরা সঠিক পথের দিকে আহবান করেছিলেন, কিন্তু তোমরা সে আহবান প্রত্যাখ্যান করতে। তখন আল্লাহর ক্রোধ এর চেয়েও বেশি প্রজ্বলিত হতো। তারা বলবে, এখন আমরা আযাবের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মতো যে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি, আমাদের পক্ষ থেকে অপরাধের স্বীকৃতিকে গ্রহণ করে তা থেকে রক্ষা পাওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে কি?

কিন্তু দুনিয়াতে ফিরে আসার কোন সুযোগ থাকবে না :

وَاَنْذِرِ النَّاسَ يَوْمَ يَاْتِيْهِمُ الْعَذَابُ فَيَقُوْلُ الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا رَبَّنَاۤ اَخِّرْنَاۤ اِلٰۤى اَجَلٍ قَرِيْبٍ نُّجِبْ دَعْوَتَكَ وَنَتَّبِعِ الرُّسُلَؕ اَوَلَمْ تَكُوْنُوْاۤ اَقْسَمْتُمْ مِّنْ قَبْلُ مَا لَكُمْ مِّنْ زَوَالٍ

যেদিন তাদের শাসিত্মর আগমন ঘটবে, সেদিন সম্পর্কে তুমি মানুষকে সতর্ক করো। তখন যালিমরা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে কিছু কালের জন্য অবকাশ দাও, আমরা তোমার আহবানে সাড়া দেব এবং রাসূলগণের অনুসরণ করব। (তখন আল্লাহ বলবেন) তোমরা কি পূর্বে শপথ করে বলতে না যে, তোমাদের পতন নেই? (সূরা ইবরাহীম- ৪৪)

بَلْ بَدَا لَهُمْ مَّا كَانُوْا يُخْفُوْنَ مِنْ قَبْلُؕ وَلَوْ رُدُّوْا لَعَادُوْا لِمَا نُهُوْا عَنْهُ وَاِنَّهُمْ لَكَاذِبُوْنَ

বরং পূর্বে তারা যা গোপন করত এখন তা তাদের নিকট প্রকাশ পেয়ে গেছে। এখন তারা প্রত্যাবর্তিত হলেও তাদেরকে যা করতে নিষেধ করা হয়েছিল পুনরায় তারা তাই করবে; নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী। (সূরা আন‘আম- ২৮)

নবীদের পথ অনুসরণ না করার কারণে অপরাধীরা আফসোস করবে :

وَيَوْمَ يَعَضُّ الظَّالِمُ عَلٰى يَدَيْهِ يَقُوْلُ يَا لَيْتَنِى اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُوْلِ سَبِيْلًا يَا وَيْلَتَا لَيْتَنِيْ لَمْ اَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِيْلًا لَقَدْ اَضَلَّنِيْ عَنِ الذِّكْرِ بَعْدَ اِذْ جَآءَنِيْؕ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِلْاِنْسَانِ خَذُوْلًا

সেদিন যালিম ব্যক্তি নিজ হসত্মদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায়! আমি যদি রাসূলের সাথে সৎপথ অবলম্বন করতাম। হায় আমার দুর্ভোগ, আমি যদি অমুককে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করতাম, সে তো আমাকে বিভ্রামত্ম করেছিল আমার নিকট উপদেশ পৌঁছার পর। আর শয়তান মানুষের জন্য মহাপ্রতারক। (সূরা ফুরক্বান, ২৭-২৯)

يَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوْهُهُمْ فِى النَّارِ يَقُوْلُوْنَ يَا لَيْتَنَاۤ اَطَعْنَا اللهَ وَاَطَعْنَا الرَّسُوْلَا وَقَالُوْا رَبَّنَاۤ اِنَّاۤ اَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَآءَنَا فَاَضَلُوْنَا السَّبِيْلَا

যেদিন তাদের চেহারা জাহান্নামের আগুনের মধ্যে পরিবর্তন করা হবে, সেদিন তারা বলবে হায়! আমরা যদি আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করতাম! তারা আরো বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তো আমাদের নেতা ও বড়দের অনুসরণ করেছিলাম। অতএব তারাই আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল। (সূরা আহযাব- ৬৬, ৬৭)

ব্যাখ্যা : দুনিয়ায় আমার নবী ক্রমাগতভাবে তোমাদেরকে বলেছেন যে, দুনিয়ার জীবন নিছক কয়েকটি পরীক্ষার ঘণ্টামাত্র। সুতরাং একেই তোমরা আসল এবং একমাত্র জীবন মনে করো না। আসল জীবন হচ্ছে আখিরাতের জীবন। সেখানে তোমাদেরকে চিরকাল থাকতে হবে। এখানকার সাময়িক লাভ ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের লোভে এমন কাজ করো না, যা আখিরাতের চিরন্তন জীবন ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু তখন তো তোমরা তাঁর কথায় কান দাওনি। কাজেই এখন আর অনুশোচনা করে কী লাভ। তখনই ছিল সাবধান হওয়ার উপযুক্ত সময় যখন তোমরা দুনিয়ার কয়েক দিনের জীবনের ভোগবিলাসে মত্ত হয়ে এখানকার চিরন্তন জীবনের লাভ বিসর্জন দিয়ে এসেছ।

وَجِيْٓئَ يَوْمَئِذٍ ۢبِجَهَنَّمَ يَوْمَئِذٍ يَّتَذَكَّرُ الْاِنْسَانُ وَاَنّٰى لَهُ الذِّكْرٰى يَقُوْلُ يَا لَيْتَنِيْ قَدَّمْتُ لِحَيَاتِيْ

যেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ উপলদ্ধি করবে। কিন্তু এই উপলব্ধি তার কি কোন কাজে আসবে? সে বলবে, হায়! আমার এ জীবনের জন্য আমি যদি কিছু অগ্রীম পাঠাতাম! (সূরা ফাজর- ২৩, ২৪)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন